চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছেন রাজ্জাক
আবদুর রাজ্জাক যেন গোটা স্পিনার সমাজের প্রতিনিধি! ওয়ানডে ক্রিকেটটা যখন দিনে দিনে অনেক বেশি ব্যাটসম্যানের খেলা হয়ে যাচ্ছে, তখন উল্টোস্রোতে বুক চিতিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ এই বাঁহাতি স্পিনার।
‘রান চাই’ স্লোগান ক্রিকেটে যতই তীব্র হয়ে উঠুক, রাজ্জাক দমছেন না। উইলোবাজদের কাছে আত্মসমর্পণও নয়। তাঁর বাঁহাত, তাঁর ভরাট কণ্ঠ বরং চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে ব্যাটসম্যানদের পক্ষ নেওয়া আধুনিক ওয়ানডেকে, ‘আমি মনে করি এটা ভালো একটা চ্যালেঞ্জ এবং এটা আমি নিচ্ছি। কন্ডিশন প্রতিকূলে থাকার পরও ভালো করতে পারলে, উইকেট পেলে সেটার আনন্দ অন্য রকম।’
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে সেই আনন্দের সন্ধানেই ছিলেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। তবে তাঁদের আশার আলো দেখাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের উইকেট। অনুশীলনের ফাঁকে রাজ্জাক নিজেও কাল বলে গেলেন, ‘আগের দুই ম্যাচে স্পিনাররা ভালো টার্ন পায়নি। আশা করি পরের ম্যাচে পাব। উইকেট দেখে মনে হচ্ছে টার্ন একটু বেশি হতে পারে। আগের দুই ম্যাচের তুলনায় অন্তত ভালো হবে।’
উপমহাদেশের বিশ্বকাপ হওয়ার কথা স্পিনারদের বিশ্বকাপ। অথচ এখন পর্যন্ত বোলিং প্রান্তে আলোর মশালটা পেসারদের হাতেই। কেমার রোচ আর লাসিথ মালিঙ্গা হ্যাটট্রিক করলেন, গত ম্যাচে আগুন ঝরিয়েছেন বাংলাদেশের শফিউল ইসলাম। পরিস্থিতি বুঝে রাজ্জাকও মানছেন, ‘প্রথমে আমিও ভেবেছিলাম স্পিনারদের উইকেট হবে। কিন্তু উইকেট খুব স্পোর্টিং। এই উইকেটে শুধু স্পিনের ওপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না।’
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ সেটারই প্রমাণ। ভারতের কাছে হারার পর ওই ম্যাচে আইরিশদের হারিয়ে বিশ্বকাপে অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে আরও অন্তত দুটি ম্যাচ জিততে হবে। তবে ইংল্যান্ড, হল্যান্ড বা দক্ষিণ আফ্রিকা নয়, বাংলাদেশ দলের চিন্তাজুড়ে এখন শুধুই ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ‘বিশ্বকাপে সব ম্যাচই বড় ম্যাচ। আমরা তাই ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাই। এখন যেমন আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ নিয়েই ভাবছি। ইংল্যান্ড, হল্যান্ড বা দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে কী হবে, সেসব নিয়ে আপাতত ভাবছি না।’
গত ম্যাচের পর কালকের আগ পর্যন্ত অনুশীলনের চেয়ে ছুটিই বেশি কাটানো বাংলাদেশ দলের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের আগে বেশ চনমনে ভাব। রাজ্জাক এর মধ্যে খুঁজে পাচ্ছেন আত্মবিশ্বাস। ক্যারিবীয় পেসার কেমার রোচ ঢাকায় আসার আগে বোঝাতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের তুলনায় তারা কিছুই না। বাংলাদেশে বাংলাদেশকে হারাতেই আসছেন তাঁরা। রোচের কথার জবাবে বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার পাল্টা আক্রমণে না গিয়ে শুধু আত্মবিশ্বাসের কথাই বললেন, ‘আমি তাঁদের মতো সে রকম কিছু বলতে চাই না। তবে আমরা খুব আত্মবিশ্বাসী। দল এখন খুব ভালো অবস্থায় আছে।’
এই ভালোটা ধরে রাখার দায়িত্ব কালকের ম্যাচে অনেকটাই থাকবে স্পিনারদের হাতে। রাজ্জাকের স্পিনিং উইকেট পাওয়ার আশাটা পূরণ হলে ভালো, না হলেও খুঁজে বের করতে হবে বিকল্প পথ। সেই পথটা কী, রাজ্জাক সেটা আগে বলেছেন, বলেছেন কালও, ‘বোলিংয়ে আমাদের পরিকল্পনা আগের মতোই। লাইন-লেন্থ ঠিক রাখতে হবে, গতিতে বৈচিত্র্য আনতে হবে।’
ব্যাটিংয়ে ভালো একটা স্কোর দাঁড় করানোর ব্যাপারও আছে। যদিও বিশ্বকাপের আগ থেকে এখন পর্যন্ত পাওয়ার প্লের ব্যাটিংটা সমস্যাই হয়ে আছে বাংলাদেশের জন্য। রাজ্জাক অবশ্য যুক্তি দেখালেন, ‘বিশ্বকাপে উপমহাদেশে কোনো দলই ভালোভাবে পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে পারছে না। প্রথম ম্যাচে শুধু ভারত একটু ভালো খেলেছে। হতে পারে এটা উইকেটের কারণে। পাওয়ার প্লেতে আমাদের পরিকল্পনা হলো, যত বেশি সম্ভব রান করতে হবে, কিন্তু উইকেট হারানো যাবে না।’
‘রান চাই’ স্লোগান ক্রিকেটে যতই তীব্র হয়ে উঠুক, রাজ্জাক দমছেন না। উইলোবাজদের কাছে আত্মসমর্পণও নয়। তাঁর বাঁহাত, তাঁর ভরাট কণ্ঠ বরং চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে ব্যাটসম্যানদের পক্ষ নেওয়া আধুনিক ওয়ানডেকে, ‘আমি মনে করি এটা ভালো একটা চ্যালেঞ্জ এবং এটা আমি নিচ্ছি। কন্ডিশন প্রতিকূলে থাকার পরও ভালো করতে পারলে, উইকেট পেলে সেটার আনন্দ অন্য রকম।’
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে সেই আনন্দের সন্ধানেই ছিলেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। তবে তাঁদের আশার আলো দেখাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের উইকেট। অনুশীলনের ফাঁকে রাজ্জাক নিজেও কাল বলে গেলেন, ‘আগের দুই ম্যাচে স্পিনাররা ভালো টার্ন পায়নি। আশা করি পরের ম্যাচে পাব। উইকেট দেখে মনে হচ্ছে টার্ন একটু বেশি হতে পারে। আগের দুই ম্যাচের তুলনায় অন্তত ভালো হবে।’
উপমহাদেশের বিশ্বকাপ হওয়ার কথা স্পিনারদের বিশ্বকাপ। অথচ এখন পর্যন্ত বোলিং প্রান্তে আলোর মশালটা পেসারদের হাতেই। কেমার রোচ আর লাসিথ মালিঙ্গা হ্যাটট্রিক করলেন, গত ম্যাচে আগুন ঝরিয়েছেন বাংলাদেশের শফিউল ইসলাম। পরিস্থিতি বুঝে রাজ্জাকও মানছেন, ‘প্রথমে আমিও ভেবেছিলাম স্পিনারদের উইকেট হবে। কিন্তু উইকেট খুব স্পোর্টিং। এই উইকেটে শুধু স্পিনের ওপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না।’
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ সেটারই প্রমাণ। ভারতের কাছে হারার পর ওই ম্যাচে আইরিশদের হারিয়ে বিশ্বকাপে অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে আরও অন্তত দুটি ম্যাচ জিততে হবে। তবে ইংল্যান্ড, হল্যান্ড বা দক্ষিণ আফ্রিকা নয়, বাংলাদেশ দলের চিন্তাজুড়ে এখন শুধুই ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ‘বিশ্বকাপে সব ম্যাচই বড় ম্যাচ। আমরা তাই ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাই। এখন যেমন আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ নিয়েই ভাবছি। ইংল্যান্ড, হল্যান্ড বা দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে কী হবে, সেসব নিয়ে আপাতত ভাবছি না।’
গত ম্যাচের পর কালকের আগ পর্যন্ত অনুশীলনের চেয়ে ছুটিই বেশি কাটানো বাংলাদেশ দলের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের আগে বেশ চনমনে ভাব। রাজ্জাক এর মধ্যে খুঁজে পাচ্ছেন আত্মবিশ্বাস। ক্যারিবীয় পেসার কেমার রোচ ঢাকায় আসার আগে বোঝাতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের তুলনায় তারা কিছুই না। বাংলাদেশে বাংলাদেশকে হারাতেই আসছেন তাঁরা। রোচের কথার জবাবে বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার পাল্টা আক্রমণে না গিয়ে শুধু আত্মবিশ্বাসের কথাই বললেন, ‘আমি তাঁদের মতো সে রকম কিছু বলতে চাই না। তবে আমরা খুব আত্মবিশ্বাসী। দল এখন খুব ভালো অবস্থায় আছে।’
এই ভালোটা ধরে রাখার দায়িত্ব কালকের ম্যাচে অনেকটাই থাকবে স্পিনারদের হাতে। রাজ্জাকের স্পিনিং উইকেট পাওয়ার আশাটা পূরণ হলে ভালো, না হলেও খুঁজে বের করতে হবে বিকল্প পথ। সেই পথটা কী, রাজ্জাক সেটা আগে বলেছেন, বলেছেন কালও, ‘বোলিংয়ে আমাদের পরিকল্পনা আগের মতোই। লাইন-লেন্থ ঠিক রাখতে হবে, গতিতে বৈচিত্র্য আনতে হবে।’
ব্যাটিংয়ে ভালো একটা স্কোর দাঁড় করানোর ব্যাপারও আছে। যদিও বিশ্বকাপের আগ থেকে এখন পর্যন্ত পাওয়ার প্লের ব্যাটিংটা সমস্যাই হয়ে আছে বাংলাদেশের জন্য। রাজ্জাক অবশ্য যুক্তি দেখালেন, ‘বিশ্বকাপে উপমহাদেশে কোনো দলই ভালোভাবে পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে পারছে না। প্রথম ম্যাচে শুধু ভারত একটু ভালো খেলেছে। হতে পারে এটা উইকেটের কারণে। পাওয়ার প্লেতে আমাদের পরিকল্পনা হলো, যত বেশি সম্ভব রান করতে হবে, কিন্তু উইকেট হারানো যাবে না।’
No comments