সত্যিই ঘুরিয়ে দিলেন কেভিন
দে ঘুরিয়ে’ বিশ্বকাপের থিম সংটা মনে হয় ভালো করেই আত্মস্থ করেছিলেন কেভিন ও’ব্রায়েন। বিশ্বকাপ নাটকের ‘ইংলিশ-আইরিশ লড়াই’ পর্বে সেটার অনুবাদও করলেন সার্থকভাবে। যেন ‘দে ঘুরিয়ে’ গাইতে গাইতে ব্যাট হাতে নামলেন, আর ঘুরিয়ে দিলেন সবকিছু। বিশ্বকাপের ইতিহাসে অনন্য এক সেঞ্চুরি করে ও’ব্রায়েন ভাইদের ছোট জন ঘুরিয়ে দিলেন ম্যাচ। ঘুরিয়ে দিলেন ইংলিশদের মাথা!
৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩২৭—প্রথমে ব্যাট করে রানের পাহাড় গড়েছিল ইংল্যান্ড। এই পাহাড় ডিঙাতে নেমে ১১১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল আয়ারল্যান্ড। কেভিনের জন্য ঘুরিয়ে দেওয়ার মঞ্চ তখন প্রস্তুত। মঞ্চে উপবিষ্ট হলেন আইরিশ অলরাউন্ডার, করলেন বিশ্বকাপের দ্রুততম সেঞ্চুরি (৫০ বলে), অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দিলেন দলকে, কেড়ে নিলেন পাদপ্রদীপের আলো।
ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসও বলেছেন, ম্যাচ ঘুরে যাওয়ার কথা, ‘ভেবেছিলাম ব্যাটিংয়ে আমরা যা করেছি, সেটাই যথেষ্ট। এর পর আয়ারল্যান্ডের ৫ উইকেট ফেলে দিয়েছি। সবকিছু ঠিকই ছিল। কিন্তু এটা আমাদের হিসাবেই ছিল না কেভিন এ রকম একটা ইনিংস খেলবে। নিষ্ঠুর একটা ইনিংসই খেলেছে সে।’
কেভিন যে এ রকম কিছু করতে পারেন, সেটা বিশ্বকাপের আগেই বলে রেখেছিলেন আয়ারল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু ম্যাকগ্লাসান। আয়ারল্যান্ডের বিশ্বকাপ দল বিশ্লেষণ করেছিলেন তিনি। কেভিন প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘ব্যাট হাতে চাপের মধ্যে ও কতটা স্থির থাকতে পারে, এর প্রমাণ ২০০৭ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে দিয়েছে। ও আবার ব্যাট হাতে ধ্বংসযজ্ঞও চালাতে পারে।’ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পরশু দুটির সন্নিবেশই দেখা গেছে কেভিনের ব্যাটে।
ইংলিশ বোলারদের রীতিমতো শাসন করেছে তাঁর ব্যাট। জেমস অ্যান্ডারসন, গ্রায়েম সোয়ান, টিম ব্রেসনান—কেউ পাত্তা পাননি কেভিনের কাছে। ৫০ বলে করা সেঞ্চুরিটা থেমেছে ১১৩ রানে। ইংল্যান্ডের কোনো বোলার তাঁকে আউট করতে পারেনি। ঝুঁকিপূর্ণ ডাবল নিতে গিয়ে হয়ে গেছেন রানআউট। এর আগে ৬৩ বলে ১১৩ রানের ইনিংসটি সাজিয়ে গেছেন ১৩টি চার ও ৬টি ছক্কায়। স্ট্রাইক রেট ১৭৯.৩৬।
ওয়ানডে সেঞ্চুরি এর আগেও করেছেন। ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ রান ১৪২। ম্যাচ জেতানো ইনিংসও আছে বেশ কয়েকটি। তবে পরশুর ইনিংসটি তুলনাহীনই বলতে হবে। বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মঞ্চে নিজেকে মেলে ধরতে পারার ব্যাপারই যে আলাদা। ‘এটাই মনে হয় আমার সেরা ইনিংস’—কেভিন নিজেই এই ইনিংসটাকে দিয়ে দিয়েছেন সেরার মর্যাদা। সেরা ইনিংস তো এটাকে বলবেনই। ‘চিরশত্রু’ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি। তাও আবার বিশ্বকাপে এবং স্ট্যান্ডে বসে থাকা মা-বাবাসহ পুরো পরিবারের সামনে গড়েছেন অসাধারণ এই কীর্তি।
তবে একটা পর্যায়ে এমন কিছু কল্পনাতেও ভাবতে পারেননি কেভিন। ‘১১১ রানে ৫ উইকেটে পড়ে যাওয়ার পর নিজেকে বলেছিলাম, কোনোমতে ইনিংসটাকে টেনেহিঁচড়ে ৫০ ওভার পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে, তাতে ৮ বা ৯ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান হয়তো করা যাবে। আর ভেবেছিলাম ম্যাচটি হবে ভীষণ একঘেয়ে!’
কেভিন যেমন ভাবেননি আয়ারল্যান্ড এ রকম কিছু করতে পারবে, তেমনি স্ট্রাউসও তো ভাবেননি এই ম্যাচ ইংল্যান্ড হেরে যেতে পারে। মানুষ যা ভাবে, সব সময় কি তা হয়! উল্টোটাও যে দেখতে হয় কখনো কখনো! আর না হলে ‘দে ঘুরিয়ে’ থিম সংয়ের সঙ্গে মিল রেখে সবকিছু ঘুরে যাবে কী করে!
৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩২৭—প্রথমে ব্যাট করে রানের পাহাড় গড়েছিল ইংল্যান্ড। এই পাহাড় ডিঙাতে নেমে ১১১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল আয়ারল্যান্ড। কেভিনের জন্য ঘুরিয়ে দেওয়ার মঞ্চ তখন প্রস্তুত। মঞ্চে উপবিষ্ট হলেন আইরিশ অলরাউন্ডার, করলেন বিশ্বকাপের দ্রুততম সেঞ্চুরি (৫০ বলে), অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দিলেন দলকে, কেড়ে নিলেন পাদপ্রদীপের আলো।
ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসও বলেছেন, ম্যাচ ঘুরে যাওয়ার কথা, ‘ভেবেছিলাম ব্যাটিংয়ে আমরা যা করেছি, সেটাই যথেষ্ট। এর পর আয়ারল্যান্ডের ৫ উইকেট ফেলে দিয়েছি। সবকিছু ঠিকই ছিল। কিন্তু এটা আমাদের হিসাবেই ছিল না কেভিন এ রকম একটা ইনিংস খেলবে। নিষ্ঠুর একটা ইনিংসই খেলেছে সে।’
কেভিন যে এ রকম কিছু করতে পারেন, সেটা বিশ্বকাপের আগেই বলে রেখেছিলেন আয়ারল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু ম্যাকগ্লাসান। আয়ারল্যান্ডের বিশ্বকাপ দল বিশ্লেষণ করেছিলেন তিনি। কেভিন প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘ব্যাট হাতে চাপের মধ্যে ও কতটা স্থির থাকতে পারে, এর প্রমাণ ২০০৭ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে দিয়েছে। ও আবার ব্যাট হাতে ধ্বংসযজ্ঞও চালাতে পারে।’ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পরশু দুটির সন্নিবেশই দেখা গেছে কেভিনের ব্যাটে।
ইংলিশ বোলারদের রীতিমতো শাসন করেছে তাঁর ব্যাট। জেমস অ্যান্ডারসন, গ্রায়েম সোয়ান, টিম ব্রেসনান—কেউ পাত্তা পাননি কেভিনের কাছে। ৫০ বলে করা সেঞ্চুরিটা থেমেছে ১১৩ রানে। ইংল্যান্ডের কোনো বোলার তাঁকে আউট করতে পারেনি। ঝুঁকিপূর্ণ ডাবল নিতে গিয়ে হয়ে গেছেন রানআউট। এর আগে ৬৩ বলে ১১৩ রানের ইনিংসটি সাজিয়ে গেছেন ১৩টি চার ও ৬টি ছক্কায়। স্ট্রাইক রেট ১৭৯.৩৬।
ওয়ানডে সেঞ্চুরি এর আগেও করেছেন। ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ রান ১৪২। ম্যাচ জেতানো ইনিংসও আছে বেশ কয়েকটি। তবে পরশুর ইনিংসটি তুলনাহীনই বলতে হবে। বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মঞ্চে নিজেকে মেলে ধরতে পারার ব্যাপারই যে আলাদা। ‘এটাই মনে হয় আমার সেরা ইনিংস’—কেভিন নিজেই এই ইনিংসটাকে দিয়ে দিয়েছেন সেরার মর্যাদা। সেরা ইনিংস তো এটাকে বলবেনই। ‘চিরশত্রু’ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি। তাও আবার বিশ্বকাপে এবং স্ট্যান্ডে বসে থাকা মা-বাবাসহ পুরো পরিবারের সামনে গড়েছেন অসাধারণ এই কীর্তি।
তবে একটা পর্যায়ে এমন কিছু কল্পনাতেও ভাবতে পারেননি কেভিন। ‘১১১ রানে ৫ উইকেটে পড়ে যাওয়ার পর নিজেকে বলেছিলাম, কোনোমতে ইনিংসটাকে টেনেহিঁচড়ে ৫০ ওভার পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে, তাতে ৮ বা ৯ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান হয়তো করা যাবে। আর ভেবেছিলাম ম্যাচটি হবে ভীষণ একঘেয়ে!’
কেভিন যেমন ভাবেননি আয়ারল্যান্ড এ রকম কিছু করতে পারবে, তেমনি স্ট্রাউসও তো ভাবেননি এই ম্যাচ ইংল্যান্ড হেরে যেতে পারে। মানুষ যা ভাবে, সব সময় কি তা হয়! উল্টোটাও যে দেখতে হয় কখনো কখনো! আর না হলে ‘দে ঘুরিয়ে’ থিম সংয়ের সঙ্গে মিল রেখে সবকিছু ঘুরে যাবে কী করে!
No comments