লিবিয়ায় পশ্চিমা আগ্রাসন চায় না আরব বিশ্ব
লিবিয়ার বর্তমান রাজনৈতিক সংকটে সরাসরি ভূমিকা রাখতে তোড়জোড় শুরু করেছে পশ্চিমা বিশ্ব। যুক্তরাষ্ট্র এর মধ্যে রণতরী পাঠিয়েছে লিবিয়ার দিকে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, লিবিয়ায় পশ্চিমা বিশ্বের এ ধরনের ভূমিকা চান না আরব বিশ্বের নেতারা। তাঁরা চান না লিবিয়া আরেকটি ইরাক হোক।
তেলসমৃদ্ধ লিবিয়ায় ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে গাদ্দাফিবিরোধী আন্দোলন দানা বাঁধে। অল্প সময়েই তা এটি সশস্ত্র বিক্ষোভে রূপ নেয়। এ অবস্থায় পশ্চিমা বিশ্ব লিবিয়ার আকাশ নো-ফ্লাইজোন হিসেবে ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিদ্রোহীদের ওপর গাদ্দাফি যাতে বিমান হামলা চালাতে না পারেন, তাই তারা উদ্যোগটি নিতে চাচ্ছে বলে প্রচার চালাচ্ছে। কারণ, নো-ফ্লাইজোন ঘোষণা করা হলে লিবিয়ার আকাশে উড্ডয়নকারী যেকোনো বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করার এখতিয়ার পেয়ে যাবে পশ্চিমারা।
এদিকে পশ্চিমাদের কাছ থেকে প্রস্তাবটি আসার পর গত বুধবার আরব লিগ জানিয়েছে, তারা এতে সমর্থন দেবে কি না, বিবেচনা করে দেখবে।
ব্রুকিংস দোহা সেন্টারের উপপরিচালক ইব্রাহিম বলেন, লিবিয়ায় সামরিক আগ্রাসন চালানোর প্রশ্নটি আরবদের জন্য খুবই স্পর্শকাতর। কারণ ইরাকেও এ রকম আগ্রাসন চালিয়ে দেশটি যে অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, লিবিয়ার ক্ষেত্রে সে পরিস্থিতি তাঁরা মেনে নেবেন না। যে লক্ষ্যের কথা বলে ২০০৩ সালে পশ্চিমা বিশ্ব ইরাকে আগ্রাসন চালিয়েছিল, এর কিছুই তারা অর্জন করতে পারেনি। বরং গৃহযুদ্ধের দিকে দেশটিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
আরব-বিশ্লেষক ও সাংবাদিক জামিল মৌর বলেন, লিবিয়ার গাদ্দাফিবিরোধীরাও পশ্চিমাদের অযোগ্যতায় শঙ্কিত। তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে ইরাক, আফগানিস্তানে ব্যর্থ হয়েছে। এসব দেশে নিরপরাধ অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এখনো দেশ দুটিতে শান্তি ফিরে আসেনি। লিবিয়ায়ও ওই পশ্চিমারা তাদের ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারে।
তেলসমৃদ্ধ লিবিয়ায় ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে গাদ্দাফিবিরোধী আন্দোলন দানা বাঁধে। অল্প সময়েই তা এটি সশস্ত্র বিক্ষোভে রূপ নেয়। এ অবস্থায় পশ্চিমা বিশ্ব লিবিয়ার আকাশ নো-ফ্লাইজোন হিসেবে ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিদ্রোহীদের ওপর গাদ্দাফি যাতে বিমান হামলা চালাতে না পারেন, তাই তারা উদ্যোগটি নিতে চাচ্ছে বলে প্রচার চালাচ্ছে। কারণ, নো-ফ্লাইজোন ঘোষণা করা হলে লিবিয়ার আকাশে উড্ডয়নকারী যেকোনো বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করার এখতিয়ার পেয়ে যাবে পশ্চিমারা।
এদিকে পশ্চিমাদের কাছ থেকে প্রস্তাবটি আসার পর গত বুধবার আরব লিগ জানিয়েছে, তারা এতে সমর্থন দেবে কি না, বিবেচনা করে দেখবে।
ব্রুকিংস দোহা সেন্টারের উপপরিচালক ইব্রাহিম বলেন, লিবিয়ায় সামরিক আগ্রাসন চালানোর প্রশ্নটি আরবদের জন্য খুবই স্পর্শকাতর। কারণ ইরাকেও এ রকম আগ্রাসন চালিয়ে দেশটি যে অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, লিবিয়ার ক্ষেত্রে সে পরিস্থিতি তাঁরা মেনে নেবেন না। যে লক্ষ্যের কথা বলে ২০০৩ সালে পশ্চিমা বিশ্ব ইরাকে আগ্রাসন চালিয়েছিল, এর কিছুই তারা অর্জন করতে পারেনি। বরং গৃহযুদ্ধের দিকে দেশটিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
আরব-বিশ্লেষক ও সাংবাদিক জামিল মৌর বলেন, লিবিয়ার গাদ্দাফিবিরোধীরাও পশ্চিমাদের অযোগ্যতায় শঙ্কিত। তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে ইরাক, আফগানিস্তানে ব্যর্থ হয়েছে। এসব দেশে নিরপরাধ অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এখনো দেশ দুটিতে শান্তি ফিরে আসেনি। লিবিয়ায়ও ওই পশ্চিমারা তাদের ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারে।
No comments