‘আমরা সত্যিই দুঃখিত’
গতকাল শুক্রবার দিনটিকে অনেকেই এদেশের ক্রিকেটের কৃষ্ণতম দিন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ মাত্র ৫৮ রানে অল আউট হয়ে যাওয়ায় হতাশায় নুইয়ে পড়েছিল গোটা দেশ ও জাতি। ক্রিকেটামোদীদের হতাশা, লজ্জা, ক্ষোভ-যাই বলা হোক না কেন, দিনের শেষে সবকিছু ছাপিয়ে মূর্ত হয়ে উঠেছিল একটি অপ্রত্যাশিত লজ্জার খবর। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল যখন স্টেডিয়াম থেকে হোটেলে ফিরছিল, ঠিক সেই সময়ই একদল উচ্ছৃঙ্খল দর্শক তাদের টিম বাসে ইট ছুঁড়ে জন্ম দিয়েছিল, জাতীয় দলের ৫৮ রানে অল আউট হয়ে যাওয়ার থেকেও বড় লজ্জার ঘটনা। মুহূর্তে এই ঘটনা শিরোনাম হয়ে যায়, সারা বিশ্বের প্রধান সব গণমাধ্যমেই। সত্যিকারের ক্রিকেট প্রিয় মানুষ শঙ্কিত হয়ে পড়েছিল একদল কাণ্ডজ্ঞানহীন দর্শকের বিবেকহীন হঠকারিতায়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ক্রিস গেইল তাঁদের বাস আক্রান্ত হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই নিজের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এই লজ্জাজনক ঘটনার বার্তা টুইটারে তুলে দিয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘জঘন্য ব্যাপার..বাংলাদেশ আমাদের বাসে পাথর ছুড়ছে!!! কাচ ভেঙে গেছে!!! এটা যা-তা ব্যাপার-বিশ্বাস করতে পারছিনা-এরপর কি...বুলেট!!!’ ক্রিস গেইল লিখলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের বাসে পাথর ছুড়ছে।’ কি ভয়ানক !! মাত্র কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল মানুষের মুহূর্তের হঠকারিতা আমাদের গোটা দেশের মুখে কালিমা লেপে দিল। গেইল বলে কিনা, বাংলাদেশ পাথর ছুড়ছে!!!
ব্যাপারটি একেবারেই মেনে নিতে পারলেন না, ঢাকায় বসবাসকারী কয়েক যুবক। তাঁরা এটাকে ‘মায়ের কয়েকজন কুসন্তানের অপরাধ’ হিসেবেই দেখলেন। সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকে তাঁরা গঠন করলেন একটি গ্রুপ, যার নাম, ‘লেটস সে সরি টু আওয়ার গেস্ট’। সেই ফেসবুকের দল নিয়ে এই যুবকেরা আজ শনিবার সকালে এমন মহত্ একটি কাজ করেছেন, যাতে আবার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশের সম্মান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল তথা বিশ্বকাপের কারণে এদেশে আসা বিদেশি অতিথিরা জেনেছেন, কাল সন্ধ্যার সেই দুঃখজনক ঘটনাটি ছিল আসলেই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
আজ শনিবার খুব ভোরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল যখন ঢাকা ছাড়ছিল তার অনেক আগেই ‘লেটস সে সরি টু আওয়ার গেস্ট’ দলের সদস্যরা জড়ো হয়েছিলেন হোটেল শেরাটনের মূল ফটকে। তাঁরা হাতে ফুল ও দুঃখ প্রকাশ করে লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে জানাতে চেয়েছিলেন, ‘তোমরা আবার ভেবে বসো না যে তোমাদের বাসে গোটা বাংলাদেশ পাথর ছুঁড়েছে। যারা এই ঘৃণ্য কাজটি করেছে তাঁরা এই সমাজের খুবই নগন্য বিচ্ছিন্ন একটা অংশ।’
স্বাভাবিক নিরাপত্তা জনিত কারণেই এই দলের সদস্যরা সরাসরি ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি ও অন্যান্য খেলোয়াড়দের হাতে সরাসরি ফুল তুলে দিতে পারেননি। কিন্তু তাঁরা ক্যারিবীয় দলের নিরাপত্তার তত্ত্বাবধান করা আইসিসির অন্যান্য কর্মকর্তাদের কাছে তাঁদের সেই ফুল ও শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। ড্যারেন স্যামি তাঁদের কাছে আসতে না পারলেও দূর থেকে হাত নেড়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘তোমাদের শুভেচ্ছা আমরা গ্রহণ করছি।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের কাছে গোটা জাতির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা এই দলের অন্যতম সদস্য ইফতেখার আল মাসুম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের কাছে গোটা জাতির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করতে পেরে আমরা সত্যিই অনেকটা নির্ভার বোধ করছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘ কমপক্ষে তাঁরা তো দেশে ফেরার সময় জেনে গেল যে এই ঘটনায় বাংলাদেশের মানুষ দুঃখিত, এটাই বা কম কি?’
মোটেও কম কিছু নয়। সত্যি বলতে কি, ইফতেখাররা আমাদের সকলকেই ভয়ঙ্কর একটি লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন। তাঁদের সবাইকে অভিনন্দনের জানানোর পাশাপাশি, আর কোনোদিন এদেশের মাটিতে অতিথিরা যেন খারাপ অভিজ্ঞতার শিকার না হন, সে কামনাই থাকল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ক্রিস গেইল তাঁদের বাস আক্রান্ত হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই নিজের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এই লজ্জাজনক ঘটনার বার্তা টুইটারে তুলে দিয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘জঘন্য ব্যাপার..বাংলাদেশ আমাদের বাসে পাথর ছুড়ছে!!! কাচ ভেঙে গেছে!!! এটা যা-তা ব্যাপার-বিশ্বাস করতে পারছিনা-এরপর কি...বুলেট!!!’ ক্রিস গেইল লিখলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের বাসে পাথর ছুড়ছে।’ কি ভয়ানক !! মাত্র কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল মানুষের মুহূর্তের হঠকারিতা আমাদের গোটা দেশের মুখে কালিমা লেপে দিল। গেইল বলে কিনা, বাংলাদেশ পাথর ছুড়ছে!!!
ব্যাপারটি একেবারেই মেনে নিতে পারলেন না, ঢাকায় বসবাসকারী কয়েক যুবক। তাঁরা এটাকে ‘মায়ের কয়েকজন কুসন্তানের অপরাধ’ হিসেবেই দেখলেন। সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকে তাঁরা গঠন করলেন একটি গ্রুপ, যার নাম, ‘লেটস সে সরি টু আওয়ার গেস্ট’। সেই ফেসবুকের দল নিয়ে এই যুবকেরা আজ শনিবার সকালে এমন মহত্ একটি কাজ করেছেন, যাতে আবার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশের সম্মান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল তথা বিশ্বকাপের কারণে এদেশে আসা বিদেশি অতিথিরা জেনেছেন, কাল সন্ধ্যার সেই দুঃখজনক ঘটনাটি ছিল আসলেই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
আজ শনিবার খুব ভোরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল যখন ঢাকা ছাড়ছিল তার অনেক আগেই ‘লেটস সে সরি টু আওয়ার গেস্ট’ দলের সদস্যরা জড়ো হয়েছিলেন হোটেল শেরাটনের মূল ফটকে। তাঁরা হাতে ফুল ও দুঃখ প্রকাশ করে লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে জানাতে চেয়েছিলেন, ‘তোমরা আবার ভেবে বসো না যে তোমাদের বাসে গোটা বাংলাদেশ পাথর ছুঁড়েছে। যারা এই ঘৃণ্য কাজটি করেছে তাঁরা এই সমাজের খুবই নগন্য বিচ্ছিন্ন একটা অংশ।’
স্বাভাবিক নিরাপত্তা জনিত কারণেই এই দলের সদস্যরা সরাসরি ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি ও অন্যান্য খেলোয়াড়দের হাতে সরাসরি ফুল তুলে দিতে পারেননি। কিন্তু তাঁরা ক্যারিবীয় দলের নিরাপত্তার তত্ত্বাবধান করা আইসিসির অন্যান্য কর্মকর্তাদের কাছে তাঁদের সেই ফুল ও শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। ড্যারেন স্যামি তাঁদের কাছে আসতে না পারলেও দূর থেকে হাত নেড়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘তোমাদের শুভেচ্ছা আমরা গ্রহণ করছি।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের কাছে গোটা জাতির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা এই দলের অন্যতম সদস্য ইফতেখার আল মাসুম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের কাছে গোটা জাতির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করতে পেরে আমরা সত্যিই অনেকটা নির্ভার বোধ করছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘ কমপক্ষে তাঁরা তো দেশে ফেরার সময় জেনে গেল যে এই ঘটনায় বাংলাদেশের মানুষ দুঃখিত, এটাই বা কম কি?’
মোটেও কম কিছু নয়। সত্যি বলতে কি, ইফতেখাররা আমাদের সকলকেই ভয়ঙ্কর একটি লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন। তাঁদের সবাইকে অভিনন্দনের জানানোর পাশাপাশি, আর কোনোদিন এদেশের মাটিতে অতিথিরা যেন খারাপ অভিজ্ঞতার শিকার না হন, সে কামনাই থাকল।
No comments