ডিএসইতে লেনদেন ৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন
শেয়ারবাজার স্থিতিশীল রাখতে নেওয়া কোনো প্রণোদনা সেভাবে কাজে আসছে না। আর্থিক খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ার কিনলেও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এর কোনো প্রভাব নেই।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার শেয়ারবাজারে লেনদেনের পরিমাণ নয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে ৮৪৮ কোটি টাকা। এর আগে গত বছরের ১৫ এপ্রিলে লেনদেন ৭৭২ কোটি টাকায় নেমে গিয়েছিল। এভাবে লেনদেন কমার জন্য তারল্য পরিস্থিতিকেই দায়ী করছেন বাজার বিশ্লেষকেরা।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ও ডিএসইর সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন আহমেদ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাজারে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। বড় কথা, বিনিয়োগকারীরা একটা স্নায়ুচাপে রয়েছেন। পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু যেসব প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক ভিত্তি বড়, তারল্য-সংকটের কারণে তারা তেমন কোনো ভূমিকায় যেতে পারছে না। বাজারকে ইতিবাচক ধারায় ফেরাতে এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে তারল্য আসতে হবে।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ অবশ্য এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত না হয়ে বিনিয়োগকারীদের অপেক্ষাকৃত কম মূল্যের শেয়ারে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেন।
বাজার পরিস্থিতি: ডিএসইতে গতকাল লেনদেন চালু হওয়ার প্রথম ১৫ মিনিটে মূল্যসূচক ৫০ পয়েন্টের বেশি বাড়ে। এর পরের মিনিটে ১৩৫ পয়েন্ট কমে যায়। এরপর সূচক ৮০ পয়েন্ট বাড়লেও পরক্ষণেই আবার কমতে শুরু করে। এভাবে দিনভর ওঠা-নামার মধ্যে থাকায় মূল্যসূচক শেষ পর্যন্ত আগের দিনের চেয়ে ৫৭ পয়েন্ট কমে সাত হাজার ৩৭৮ পয়েন্টে নেমে আসে।
বাজারের দরপতন ঠেকাতে ১০ জানুয়ারি সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের পর দুই দিনে সূচক এক হাজার ১৯০ পয়েন্ট বেড়েছিল। কিন্তু টানা তিন দিনের দরপতনে তা আবার ৩১৩ পয়েন্ট কমে গেছে।
বাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের অনেকে বাজারের স্থিতিশীলতার জন্য অপেক্ষা করছেন। অনেক বিনিয়োগকারীর ক্রয়ক্ষমতা থাকলেও তাঁরা বাজারের গতিবিধি সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে নতুন করে বিনিয়োগে যাচ্ছেন না। আবার অনেক বিনিয়োগকারী আরও দরপতনের আশঙ্কায় ক্ষতি কমাতে লোকসানেই শেয়ার বিক্রি করছেন। এসব কারণে শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ছে, যা সার্বিক মূল্যসূচকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
এদিকে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে আগের দিনের মতো গতকালও রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি), সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও জনতা ব্যাংক পৃথকভাবে মোট ২১১ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে।
এর মধ্যে আইসিবি নিজস্ব পত্রকোষ বা পোর্টফোলিওতে কিনেছে ৮১ কোটি টাকার শেয়ার। আর প্রতিষ্ঠানটির তিনটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ও গ্রাহকেরা মিলে কিনেছেন ৩৪ কোটি টাকার।
গতকাল তিন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক মিলে কিনেছে ৯৬ কোটি টাকার শেয়ার। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংক ৬০, অগ্রণী ব্যাংক ১৭ ও জনতা ব্যাংক ১৯ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে।
যোগাযোগ করা হলে আইসিবির মহাব্যবস্থাপক ইফতেখার-উজ-জামান জানান, বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজন অনুযায়ী সমর্থন দিয়ে যাবেন তাঁরা।
বাজারসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগের দিনের মতো গতকালও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) থেকে বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসে ফোন করে বিক্রির চাপ না বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার শেয়ারবাজারে লেনদেনের পরিমাণ নয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে ৮৪৮ কোটি টাকা। এর আগে গত বছরের ১৫ এপ্রিলে লেনদেন ৭৭২ কোটি টাকায় নেমে গিয়েছিল। এভাবে লেনদেন কমার জন্য তারল্য পরিস্থিতিকেই দায়ী করছেন বাজার বিশ্লেষকেরা।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ও ডিএসইর সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন আহমেদ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাজারে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। বড় কথা, বিনিয়োগকারীরা একটা স্নায়ুচাপে রয়েছেন। পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু যেসব প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক ভিত্তি বড়, তারল্য-সংকটের কারণে তারা তেমন কোনো ভূমিকায় যেতে পারছে না। বাজারকে ইতিবাচক ধারায় ফেরাতে এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে তারল্য আসতে হবে।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ অবশ্য এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত না হয়ে বিনিয়োগকারীদের অপেক্ষাকৃত কম মূল্যের শেয়ারে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেন।
বাজার পরিস্থিতি: ডিএসইতে গতকাল লেনদেন চালু হওয়ার প্রথম ১৫ মিনিটে মূল্যসূচক ৫০ পয়েন্টের বেশি বাড়ে। এর পরের মিনিটে ১৩৫ পয়েন্ট কমে যায়। এরপর সূচক ৮০ পয়েন্ট বাড়লেও পরক্ষণেই আবার কমতে শুরু করে। এভাবে দিনভর ওঠা-নামার মধ্যে থাকায় মূল্যসূচক শেষ পর্যন্ত আগের দিনের চেয়ে ৫৭ পয়েন্ট কমে সাত হাজার ৩৭৮ পয়েন্টে নেমে আসে।
বাজারের দরপতন ঠেকাতে ১০ জানুয়ারি সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের পর দুই দিনে সূচক এক হাজার ১৯০ পয়েন্ট বেড়েছিল। কিন্তু টানা তিন দিনের দরপতনে তা আবার ৩১৩ পয়েন্ট কমে গেছে।
বাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের অনেকে বাজারের স্থিতিশীলতার জন্য অপেক্ষা করছেন। অনেক বিনিয়োগকারীর ক্রয়ক্ষমতা থাকলেও তাঁরা বাজারের গতিবিধি সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে নতুন করে বিনিয়োগে যাচ্ছেন না। আবার অনেক বিনিয়োগকারী আরও দরপতনের আশঙ্কায় ক্ষতি কমাতে লোকসানেই শেয়ার বিক্রি করছেন। এসব কারণে শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ছে, যা সার্বিক মূল্যসূচকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
এদিকে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে আগের দিনের মতো গতকালও রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি), সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও জনতা ব্যাংক পৃথকভাবে মোট ২১১ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে।
এর মধ্যে আইসিবি নিজস্ব পত্রকোষ বা পোর্টফোলিওতে কিনেছে ৮১ কোটি টাকার শেয়ার। আর প্রতিষ্ঠানটির তিনটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ও গ্রাহকেরা মিলে কিনেছেন ৩৪ কোটি টাকার।
গতকাল তিন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক মিলে কিনেছে ৯৬ কোটি টাকার শেয়ার। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংক ৬০, অগ্রণী ব্যাংক ১৭ ও জনতা ব্যাংক ১৯ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে।
যোগাযোগ করা হলে আইসিবির মহাব্যবস্থাপক ইফতেখার-উজ-জামান জানান, বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজন অনুযায়ী সমর্থন দিয়ে যাবেন তাঁরা।
বাজারসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগের দিনের মতো গতকালও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) থেকে বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসে ফোন করে বিক্রির চাপ না বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
No comments