যানজট কমাতে স্কুলবাস - উন্নত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে
গত রোববার থেকে স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য বিআরটিসির তত্ত্বাবধানে রাজধানীর রাস্তায় নেমেছে স্কুলবাস। শুরুতে পরীক্ষামূলকভাবে মিরপুর-আজিমপুর রুটে ১৪টি বাস নিয়ে শুরু হয়েছে এই বিশেষ সেবা। জনবহুল এই মহানগরে স্কুলকেন্দ্রিক যানজটের দুঃসহ অভিজ্ঞতা কমবেশি সব নাগরিকেরই আছে। কার্যকরভাবে স্কুলবাস চালু রাখা গেলে যানজট পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুর্ভোগও কমবে। সেই বিবেচনায় স্কুলবাস চালুর উদ্যোগ একটি যৌক্তিক পদক্ষেপ। আমরা একে স্বাগত জানাই।
রাজধানীর শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ নিজস্ব গাড়িতে, কেউ ভাড়া বাসে, কেউ বা স্কুলের মাইক্রোবাস বা ভ্যানগাড়িতে কিংবা রিকশায় বা হেঁটে স্কুলে আসা-যাওয়া করে। এতে যেমন যানজট বাড়ে, তেমনই শিক্ষার্থী-অভিভাবকের যাত্রাও হয় ঝুঁকিপূর্ণ। স্কুলবাস চালু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের সাধারণ বাসে চড়ার ঝক্কি-ঝামেলা লাঘব হবে। অভিভাবকদেরও দুশ্চিন্তা কমবে। চলাচল সহজ হবে।
তবে এই সেবা সফল করতে হলে সুশৃঙ্খলভাবে, সময়মতো ও নিরাপদে শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়া আবশ্যক। উদ্যোগটির সফলতাও এর ওপর নির্ভরশীল। স্কুলবাস চালুর প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা বিশেষ সুখকর হয়নি। অনেকে স্বস্তি নিয়ে আসা-যাওয়া করতে পারলেও ব্যক্তিগত গাড়িতে আসা-যাওয়া করা শিক্ষার্থীদের স্কুলবাস ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। সময়মতো স্কুলে শিক্ষার্থীদের পৌঁছে না দিতে পারলে এই বিশেষ সেবার সুফল পাওয়া যাবে না।
ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকেরা তাঁদের সন্তানদের বাসে পাঠাতে চান না। কারণ সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা। ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারকারীদের এই সেবা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা না গেলে স্কুলকেন্দ্রিক যানজট পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। সেবার মানের ব্যাপারে যে সংশয় আছে, তা দূর করা গেলে ধীরে ধীরে সেসব অভিভাবকের মানসিকতা বদলাবে। অভিভাবকদেরও ভেবে দেখা উচিত, শিক্ষার্থীরা এ ধরনের সেবা ব্যবহার করলে তা তাদের মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতিও গড়ে উঠবে, স্বাধীন ব্যক্তিত্ব বিকাশেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্ব-উদ্যোগে নিজস্ব শিক্ষার্থীদের জন্য এ ধরনের সেবা চালু করলে তাতে সরকারের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া উচিত। রাজধানীর অন্যান্য রুটেও শিগগিরই স্কুলবাস চালু করা দরকার। কেননা একটি রুটে স্কুলবাস চালু করে যানজট কমানো যাবে না।
নগর পরিবহনব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনার জন্য অতীতে নানা উদ্যোগ দেখা গেছে। কিন্তু সেগুলো কিছুদিন পরই মুখ থুবড়ে পড়ে। স্কুলবাসের ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটতে দেওয়া যাবে না। এর কার্যকারিতা ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।
রাজধানীর শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ নিজস্ব গাড়িতে, কেউ ভাড়া বাসে, কেউ বা স্কুলের মাইক্রোবাস বা ভ্যানগাড়িতে কিংবা রিকশায় বা হেঁটে স্কুলে আসা-যাওয়া করে। এতে যেমন যানজট বাড়ে, তেমনই শিক্ষার্থী-অভিভাবকের যাত্রাও হয় ঝুঁকিপূর্ণ। স্কুলবাস চালু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের সাধারণ বাসে চড়ার ঝক্কি-ঝামেলা লাঘব হবে। অভিভাবকদেরও দুশ্চিন্তা কমবে। চলাচল সহজ হবে।
তবে এই সেবা সফল করতে হলে সুশৃঙ্খলভাবে, সময়মতো ও নিরাপদে শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়া আবশ্যক। উদ্যোগটির সফলতাও এর ওপর নির্ভরশীল। স্কুলবাস চালুর প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা বিশেষ সুখকর হয়নি। অনেকে স্বস্তি নিয়ে আসা-যাওয়া করতে পারলেও ব্যক্তিগত গাড়িতে আসা-যাওয়া করা শিক্ষার্থীদের স্কুলবাস ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। সময়মতো স্কুলে শিক্ষার্থীদের পৌঁছে না দিতে পারলে এই বিশেষ সেবার সুফল পাওয়া যাবে না।
ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকেরা তাঁদের সন্তানদের বাসে পাঠাতে চান না। কারণ সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা। ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারকারীদের এই সেবা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা না গেলে স্কুলকেন্দ্রিক যানজট পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। সেবার মানের ব্যাপারে যে সংশয় আছে, তা দূর করা গেলে ধীরে ধীরে সেসব অভিভাবকের মানসিকতা বদলাবে। অভিভাবকদেরও ভেবে দেখা উচিত, শিক্ষার্থীরা এ ধরনের সেবা ব্যবহার করলে তা তাদের মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতিও গড়ে উঠবে, স্বাধীন ব্যক্তিত্ব বিকাশেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্ব-উদ্যোগে নিজস্ব শিক্ষার্থীদের জন্য এ ধরনের সেবা চালু করলে তাতে সরকারের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া উচিত। রাজধানীর অন্যান্য রুটেও শিগগিরই স্কুলবাস চালু করা দরকার। কেননা একটি রুটে স্কুলবাস চালু করে যানজট কমানো যাবে না।
নগর পরিবহনব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনার জন্য অতীতে নানা উদ্যোগ দেখা গেছে। কিন্তু সেগুলো কিছুদিন পরই মুখ থুবড়ে পড়ে। স্কুলবাসের ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটতে দেওয়া যাবে না। এর কার্যকারিতা ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।
No comments