নানা রঙের ফুটবল
ইউরোপের লিগগুলো জমে উঠেছে বেশ। কয়েকটি লিগে শিরোপার দাবিদার দলগুলো পরস্পরের গরম নিঃশ্বাস অনুভব করছে। কোথাও ‘ডেভিড’ আটকে দিচ্ছে ‘গোলিয়াথ’কে। কোথাও আবার বিশেষ কোনো খেলোয়াড়ে সওয়ার হয়ে কেউ উতরে যাচ্ছে অঘটন। ইউরোপিয়ান ফুটবলের পরশু রাতটি সাজানো ছিল এমন সব ঘটনায়
ইব্রার বিস্ময়-গোল
এসি মিলানের জয়েও ইব্রাহিমোভিচ, ড্রয়েও ইব্রাহিমোভিচ। এই সুইডিশ স্ট্রাইকারই যেন এসি মিলানের ত্রাতা। এসি মিলানে যোগ দিয়েই টানা চারটি ম্যাচ জিতিয়েছেন দলকে। আর বড়দিনের ছুটি কাটিয়ে এসে মিলান যখন জয়ের রাস্তা হারিয়ে ফেলছে তখন এই ইব্রাই ড্র দেখাচ্ছেন মিলানকে। পরশু লেচ্চের সঙ্গে মিলান ১-১ গোলে ড্র করতে পারল ইব্রাহিমোভিচের বিস্ময়কর এক গোলেই। আগের সপ্তাহে উদিনেসের সঙ্গে মিলান ৪-৪ গোলে ড্রটাও পেয়েছে তাঁর শেষ মুহূর্তের গোলে।
রোনালদিনহোর চলে যাওয়া, রবিনহো ও পিরলোর খেলতে না-পারা মিলানের আক্রমণভাগকে একটু নড়বড়েই করে দিয়েছে। লেচ্চের মাঠে প্রথমার্ধে স্পষ্ট কোনো গোলের সুযোগও তৈরি করতে পারেনি তারা। তবে ৪৯ মিনিটে ২২ গজি এক শটে দুর্দান্ত গোল করে মিলানকে এগিয়ে দেন ইব্রাহিমোভিচ। মিলান কোচ মাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রির কাছে এটি বিস্ময়কর এক গোল। কিন্তু হলে কী হবে, শেষে তো ড্র করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে অ্যালেগ্রিকে, ‘ম্যাচটা আমাদের হাতের মুঠোয় চলে আসার পরও হারতে হওয়ায় আমি দুঃখিত।’
স্পার্সে আটকে গেল ম্যানইউ
টটেনহামের বিপক্ষে ম্যাচটি সহজ হবে না—আগেই বলে রেখেছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসন। ম্যানইউকে পরশু কঠিন এক ম্যাচই উপহার দিয়েছে স্বাগতিক স্পাররা। ম্যানইউর সঙ্গে লড়াই করে ড্র (০-০) তারা করেনি, একটি পয়েন্টের জন্য ম্যানইউকেই বরং করতে হয়েছে লড়াই। ম্যাচ শেষে তাই ম্যানইউ কোচ আরেকবার বললেন, ‘কঠিন ম্যাচ হয়েছে। টটেনহাম দুর্দান্ত ফর্মে আছে। ওরা অনেক সুযোগ তৈরি করেছে এবং আমরা মোটেই কৃতিত্ব নেওয়ার মতো খেলিনি।’
দুটি পয়েন্ট তো গেছেই, ম্যানইউর রাতটি খারাপ গেছে রাফায়েল ডা সিলভা দুটি হলুদ কার্ড দেখে ৭৪ মিনিটে মাঠ ছেড়ে যাওয়ায়। তবে পয়েন্ট হারিয়েও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেই আছে ম্যানইউ। যদিও তা নগর প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকার কারণে। দুই দলেরই পয়েন্ট ৪৫। তবে ম্যান সিটির চেয়ে দুটি ম্যাচ কম খেলেছে ম্যানইউ।
হায় লিভারপুল, হায় ডালগ্লিস!
খেলোয়াড় ডালগ্লিস লিভারপুলকে ৬টি লিগ জিতিয়েছেন। এফএ কাপ, লিগ কাপসহ জিতেছেন আরও অনেক ছোট-বড় শিরোপা। কোচ ডালগ্লিসও লিভারপুলকে লিগ জিতিয়েছেন তিনবার। দুর্দিনে তাই তাঁকেই আবার ডেকে এনেছে লিভারপুল। কিন্তু কেনি ডালগ্লিস কি ‘অল রেড’দের ত্রাতা হতে পারবেন?
রয় হজসনের বিদায়ের পর দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই এফএ কাপে ম্যানইউর কাছে হেরেছেন। পরশু অ্যানফিল্ডের ডাগ-আউটে তাঁর পুনরাভিষেকে লিভারপুল এভারটনের বিপক্ষে ড্র করেছে ২-২ গোলে। মেরিলেসের গোলে প্রথমে অবশ্য এগিয়ে গিয়েছিল লিভারপুল। ডিস্টিন ও বেকফোর্ডের গোলে ২-১ এগিয়ে যায় ওয়েইন রুনির সাবেক ক্লাব। পরে পেনাল্টি গোলে ম্যাচ ড্র করে ডালগ্লিসের পুনরাভিষেক লগ্নটা একেবারেই বিস্বাদ হতে দেননি ডির্ক কিউট। এএফপি।
পুরোনো চাল...
১৮ বছর ধরে জুভেন্টাসের আক্রমণভাগে বটগাছের ছায়া হয়ে রয়েছেন আলেসান্দ্রে দেল পিয়েরো। বয়স ৩৬, আগের মতো সেই ক্ষিপ্রতা থাকার কথা নয়। ‘বুড়ো’ অপবাদটা প্রায়ই তাঁকে শুনতে হচ্ছে। তবে পুরোনো চাল যে ভাতে বাড়ে, দেল পিয়েরো পরশু সেটা আবার মনে করিয়ে দিলেন! বারির বিপক্ষে ২-১ গোলে জেতা ম্যাচটি জুভরা প্রথমে এগিয়ে যায় তাঁর গোলেই। জুভেন্টাসের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল (২৮১) করা দেল পিয়েরোর মৌসুমের অষ্টম গোলে একটি প্রতিশোধও নেওয়া হলো তুরিনের ‘ওল্ড লেডি’দের। এই বারির কাছে হেরে গিয়েই যে এবারের লিগ অভিযান শুরু হয়েছিল তাদের।
ইব্রার বিস্ময়-গোল
এসি মিলানের জয়েও ইব্রাহিমোভিচ, ড্রয়েও ইব্রাহিমোভিচ। এই সুইডিশ স্ট্রাইকারই যেন এসি মিলানের ত্রাতা। এসি মিলানে যোগ দিয়েই টানা চারটি ম্যাচ জিতিয়েছেন দলকে। আর বড়দিনের ছুটি কাটিয়ে এসে মিলান যখন জয়ের রাস্তা হারিয়ে ফেলছে তখন এই ইব্রাই ড্র দেখাচ্ছেন মিলানকে। পরশু লেচ্চের সঙ্গে মিলান ১-১ গোলে ড্র করতে পারল ইব্রাহিমোভিচের বিস্ময়কর এক গোলেই। আগের সপ্তাহে উদিনেসের সঙ্গে মিলান ৪-৪ গোলে ড্রটাও পেয়েছে তাঁর শেষ মুহূর্তের গোলে।
রোনালদিনহোর চলে যাওয়া, রবিনহো ও পিরলোর খেলতে না-পারা মিলানের আক্রমণভাগকে একটু নড়বড়েই করে দিয়েছে। লেচ্চের মাঠে প্রথমার্ধে স্পষ্ট কোনো গোলের সুযোগও তৈরি করতে পারেনি তারা। তবে ৪৯ মিনিটে ২২ গজি এক শটে দুর্দান্ত গোল করে মিলানকে এগিয়ে দেন ইব্রাহিমোভিচ। মিলান কোচ মাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রির কাছে এটি বিস্ময়কর এক গোল। কিন্তু হলে কী হবে, শেষে তো ড্র করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে অ্যালেগ্রিকে, ‘ম্যাচটা আমাদের হাতের মুঠোয় চলে আসার পরও হারতে হওয়ায় আমি দুঃখিত।’
স্পার্সে আটকে গেল ম্যানইউ
টটেনহামের বিপক্ষে ম্যাচটি সহজ হবে না—আগেই বলে রেখেছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসন। ম্যানইউকে পরশু কঠিন এক ম্যাচই উপহার দিয়েছে স্বাগতিক স্পাররা। ম্যানইউর সঙ্গে লড়াই করে ড্র (০-০) তারা করেনি, একটি পয়েন্টের জন্য ম্যানইউকেই বরং করতে হয়েছে লড়াই। ম্যাচ শেষে তাই ম্যানইউ কোচ আরেকবার বললেন, ‘কঠিন ম্যাচ হয়েছে। টটেনহাম দুর্দান্ত ফর্মে আছে। ওরা অনেক সুযোগ তৈরি করেছে এবং আমরা মোটেই কৃতিত্ব নেওয়ার মতো খেলিনি।’
দুটি পয়েন্ট তো গেছেই, ম্যানইউর রাতটি খারাপ গেছে রাফায়েল ডা সিলভা দুটি হলুদ কার্ড দেখে ৭৪ মিনিটে মাঠ ছেড়ে যাওয়ায়। তবে পয়েন্ট হারিয়েও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেই আছে ম্যানইউ। যদিও তা নগর প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকার কারণে। দুই দলেরই পয়েন্ট ৪৫। তবে ম্যান সিটির চেয়ে দুটি ম্যাচ কম খেলেছে ম্যানইউ।
হায় লিভারপুল, হায় ডালগ্লিস!
খেলোয়াড় ডালগ্লিস লিভারপুলকে ৬টি লিগ জিতিয়েছেন। এফএ কাপ, লিগ কাপসহ জিতেছেন আরও অনেক ছোট-বড় শিরোপা। কোচ ডালগ্লিসও লিভারপুলকে লিগ জিতিয়েছেন তিনবার। দুর্দিনে তাই তাঁকেই আবার ডেকে এনেছে লিভারপুল। কিন্তু কেনি ডালগ্লিস কি ‘অল রেড’দের ত্রাতা হতে পারবেন?
রয় হজসনের বিদায়ের পর দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই এফএ কাপে ম্যানইউর কাছে হেরেছেন। পরশু অ্যানফিল্ডের ডাগ-আউটে তাঁর পুনরাভিষেকে লিভারপুল এভারটনের বিপক্ষে ড্র করেছে ২-২ গোলে। মেরিলেসের গোলে প্রথমে অবশ্য এগিয়ে গিয়েছিল লিভারপুল। ডিস্টিন ও বেকফোর্ডের গোলে ২-১ এগিয়ে যায় ওয়েইন রুনির সাবেক ক্লাব। পরে পেনাল্টি গোলে ম্যাচ ড্র করে ডালগ্লিসের পুনরাভিষেক লগ্নটা একেবারেই বিস্বাদ হতে দেননি ডির্ক কিউট। এএফপি।
পুরোনো চাল...
১৮ বছর ধরে জুভেন্টাসের আক্রমণভাগে বটগাছের ছায়া হয়ে রয়েছেন আলেসান্দ্রে দেল পিয়েরো। বয়স ৩৬, আগের মতো সেই ক্ষিপ্রতা থাকার কথা নয়। ‘বুড়ো’ অপবাদটা প্রায়ই তাঁকে শুনতে হচ্ছে। তবে পুরোনো চাল যে ভাতে বাড়ে, দেল পিয়েরো পরশু সেটা আবার মনে করিয়ে দিলেন! বারির বিপক্ষে ২-১ গোলে জেতা ম্যাচটি জুভরা প্রথমে এগিয়ে যায় তাঁর গোলেই। জুভেন্টাসের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল (২৮১) করা দেল পিয়েরোর মৌসুমের অষ্টম গোলে একটি প্রতিশোধও নেওয়া হলো তুরিনের ‘ওল্ড লেডি’দের। এই বারির কাছে হেরে গিয়েই যে এবারের লিগ অভিযান শুরু হয়েছিল তাদের।
No comments