গণবিক্ষোভের ধাক্কা আরব বিশ্বের অন্যত্রও ছড়িয়ে পড়তে পারে
তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট জয়নুল আবেদিন বেন আলীর ক্ষমতাচ্যুতির পর আরববিশ্বের সরকারগুলো উদ্বিগ্নভাবে সেখানকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। আরববিশ্বে এই আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে যে গণবিক্ষোভের ধাক্কা শেষ পর্যন্ত আরববিশ্বের অন্যান্য দেশেও লাগতে পারে।
দীর্ঘ ২৩ বছর লৌহকঠিন হাতে দেশ শাসনের পর গত শুক্রবার গণবিক্ষোভের কাছে নতি স্বীকার করে সৌদি আরবে পালিয়ে যান বেন আলী। এই প্রথম কোনো আরব নেতা গণবিক্ষোভের কাছে হার মেনে দেশ ছাড়লেন।
বেন আলীর ক্ষমতাচ্যুতি সম্পর্কে মন্তব্য করার ব্যাপারে সতর্ক মধ্যপ্রাচ্যের প্রশাসনগুলো। উত্তর আফ্রিকার ওই দেশটিতে গণ-অভ্যুত্থানের সুবিধা নিতে চাইছে বিরোধী পক্ষগুলো। এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ক্রমবর্ধমান অস্বস্তিতে ভুগছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
আরববিশ্বের ঘটনাবলি থেকে দূরে থাকতে পশ্চিমাবিশ্বকে সতর্ক করে দিয়েছেন মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ আবুল ঘেইত। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন চলতি সপ্তাহে সংস্কারের জন্য জনগণের সঙ্গে কাজ করতে আরব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানোর পর তিনি এই সতর্কবাণী উচ্চারণ করলেন।
এদিকে তিউনিসিয়ার মতো গণ-অভ্যুত্থান অন্যান্য আরব দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে—এই আশঙ্কাকে ‘অর্থহীন’ বলে বর্ণনা করেছেন মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অর্গানাইজেশন অব দ্য ইসলামিক কনফারেন্স (ওআইসি) তিউনিসিয়ার ঘটনাবলিকে ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে ও দেশের ভিত্তি দুর্বল করার যেকোনো অপচেষ্টা রুখে দেওয়ার জন্য তিউনিসীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
এদিকে বেন আলীর পতন ইয়েমেনি তরুণদের মনে সাহসের সঞ্চার করেছে বলেই মনে হচ্ছে। দেশটির প্রায় এক হাজার তরুণ নেমে আসেন রাজধানী সানার রাজপথে। নিজ নিজ নেতাদের বিরুদ্ধে জেগে ওঠার জন্য আরবদের প্রতি তাঁরা আহ্বান জানান।
সানা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীদের একটি শোভাযাত্রা তিউনিসিয়া দূতাবাস অভিমুখে যায়। নিজ নিজ ‘সন্ত্রস্ত ও কপট নেতাদের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের জন্য’ তাঁরা আরব জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
শোভাযাত্রায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের ব্যানার বহন করেন। একটি ব্যানারে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহর নাম উল্লেখ না করে বলা হয়, ‘ক্ষমতাচ্যুত করার আগেই ক্ষমতা ত্যাগ করুন।’ সিরিয়ার সরকারপন্থী দৈনিক আল-ওয়াতান-এ বলা হয়, তিউনিসিয়ার ঘটনাবলি এমন একটি শিক্ষা, যা কোনো আরব সরকারেরই উপেক্ষা করা ঠিক হবে না।
জর্ডানের শক্তিশালী ইসলামি সংগঠন সত্যিকারের সংস্কার সাধনের জন্য আরব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সরকারের অর্থনৈতিক নীতির প্রতিবাদে পার্লামেন্টের বাইরে আয়োজিত এক সমাবেশে ব্রাদারহুডের প্রধান হাম্মাম বলেন, ‘তিউনিসিয়ার জনগণ যেভাবে ভুগেছিল, জর্ডানে আমরাও একইভাবে ভুগছি।’
দীর্ঘ ২৩ বছর লৌহকঠিন হাতে দেশ শাসনের পর গত শুক্রবার গণবিক্ষোভের কাছে নতি স্বীকার করে সৌদি আরবে পালিয়ে যান বেন আলী। এই প্রথম কোনো আরব নেতা গণবিক্ষোভের কাছে হার মেনে দেশ ছাড়লেন।
বেন আলীর ক্ষমতাচ্যুতি সম্পর্কে মন্তব্য করার ব্যাপারে সতর্ক মধ্যপ্রাচ্যের প্রশাসনগুলো। উত্তর আফ্রিকার ওই দেশটিতে গণ-অভ্যুত্থানের সুবিধা নিতে চাইছে বিরোধী পক্ষগুলো। এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ক্রমবর্ধমান অস্বস্তিতে ভুগছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
আরববিশ্বের ঘটনাবলি থেকে দূরে থাকতে পশ্চিমাবিশ্বকে সতর্ক করে দিয়েছেন মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ আবুল ঘেইত। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন চলতি সপ্তাহে সংস্কারের জন্য জনগণের সঙ্গে কাজ করতে আরব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানোর পর তিনি এই সতর্কবাণী উচ্চারণ করলেন।
এদিকে তিউনিসিয়ার মতো গণ-অভ্যুত্থান অন্যান্য আরব দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে—এই আশঙ্কাকে ‘অর্থহীন’ বলে বর্ণনা করেছেন মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অর্গানাইজেশন অব দ্য ইসলামিক কনফারেন্স (ওআইসি) তিউনিসিয়ার ঘটনাবলিকে ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে ও দেশের ভিত্তি দুর্বল করার যেকোনো অপচেষ্টা রুখে দেওয়ার জন্য তিউনিসীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
এদিকে বেন আলীর পতন ইয়েমেনি তরুণদের মনে সাহসের সঞ্চার করেছে বলেই মনে হচ্ছে। দেশটির প্রায় এক হাজার তরুণ নেমে আসেন রাজধানী সানার রাজপথে। নিজ নিজ নেতাদের বিরুদ্ধে জেগে ওঠার জন্য আরবদের প্রতি তাঁরা আহ্বান জানান।
সানা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীদের একটি শোভাযাত্রা তিউনিসিয়া দূতাবাস অভিমুখে যায়। নিজ নিজ ‘সন্ত্রস্ত ও কপট নেতাদের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের জন্য’ তাঁরা আরব জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
শোভাযাত্রায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের ব্যানার বহন করেন। একটি ব্যানারে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহর নাম উল্লেখ না করে বলা হয়, ‘ক্ষমতাচ্যুত করার আগেই ক্ষমতা ত্যাগ করুন।’ সিরিয়ার সরকারপন্থী দৈনিক আল-ওয়াতান-এ বলা হয়, তিউনিসিয়ার ঘটনাবলি এমন একটি শিক্ষা, যা কোনো আরব সরকারেরই উপেক্ষা করা ঠিক হবে না।
জর্ডানের শক্তিশালী ইসলামি সংগঠন সত্যিকারের সংস্কার সাধনের জন্য আরব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সরকারের অর্থনৈতিক নীতির প্রতিবাদে পার্লামেন্টের বাইরে আয়োজিত এক সমাবেশে ব্রাদারহুডের প্রধান হাম্মাম বলেন, ‘তিউনিসিয়ার জনগণ যেভাবে ভুগেছিল, জর্ডানে আমরাও একইভাবে ভুগছি।’
No comments