ভাড়াটে সন্ত্রাসী - যারা তাদের ব্যবহার করে, তাদেরও পাকড়াও করুন
সব দোষ ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পুলিশ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে একমত। গত সোমবারের প্রথম আলোর খবর: গত ছয় মাসে এক হাজারেরও বেশি খুন-ডাকাতির আসামি ছাড়া পেয়েছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার করা হয়েছে অনেক মামলা। সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পেছনে এসব কারণ নিয়ে কারও দ্বিমত নেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কোন অদৃশ্য হাত সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে, কারা তাদের জামিনের ব্যবস্থা করে, কাদের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা রেহাই পায়? অপরাধীরা আসলে কাদের কাদের স্বার্থে ভাড়া খাটে? এসব খুঁজে বের করতে হবে।
প্রথম আলোর অনুসন্ধান বলছে, চলমান পৌরসভা নির্বাচন এবং আসন্ন ইউপি ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাজে লাগানোর জন্য মুখচেনা অপরাধীদের কারাগার থেকে বের করে আনার রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, একশ্রেণীর অপরাধী রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘নেতা’ সেজে বসেছে এবং তাদের অধীনে কাজ করছে আরেক দল সন্ত্রাসী। ব্যবসা-বাণিজ্যের আধিপত্য নিয়েও সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটে, সেখানেও সন্ত্রাসীদের ভাড়া খাটানো হয়ে থাকে। দৃশ্যত, সন্ত্রাসীদের হাতে অপরাধ ঘটলেও, তারা যাদের হয়ে কাজ করে, তারা আড়ালেই থেকে যায়। পুলিশ বেশি বড় জোর এসব ভাড়াটে অপরাধীকে আইনের হাতে সোপর্দ করতে পারে। কিন্তু তাদের পৃষ্ঠপোষকেরা আইনের আওতার বাইরে রয়ে গেলে, কিংবা আইনের ফাঁকফোকরে অপরাধীদের রক্ষা করে গেলে অপরাধের উৎসগুলো টিকেই থাকে। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর কার্যক্রম সেই উৎস পর্যন্ত যেতে পারে না। খুব কম ক্ষেত্রেই যাদের নির্দেশ, পৃষ্ঠপোষকতা ও অর্থে অপরাধ সংঘটিত হয়, তারা শাস্তি পায়। এই ‘তারা’ যখন রাজনৈতিক দলের অংশ, তখন রাজনীতির কর্ণধারদেরও দায় রয়ে যায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিংবা পুলিশ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে অপরাধের এই প্রকৃত কারণটি না আসা দুঃখজনক। সন্ত্রাসের বিষবৃক্ষের আগা কেটে গোড়ায় পানি ঢাললে অপরাধ কোনো দিনও কমবে না।
এ মাসের প্রথম ১৫ দিনে রাজধানীতে যে ২২টি খুনের ঘটনা ঘটেছে, এর বেশির ভাগই ঘটেছে রাজনীতি, স্বার্থ ও সম্পদ নিয়ে দ্বন্দ্বের জের হিসেবে। কোনো ব্যক্তিগত পরিসরে তথা হোটেলে, ঘরের ভেতর কোনো অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, কিংবা পরিকল্পনা করা হচ্ছে কোনো গুরুতর অপরাধের, তা পুলিশের পক্ষে কি আগাম জানা সম্ভব? সম্ভব তা ঠেকানো? একমাত্র তখনই এসবের বেশির ভাগ ঠেকানো সম্ভব, যখন অপরাধী চক্র সম্পর্কে, অপরাধীদের পৃষ্ঠপোষক সম্পর্কে পুলিশের স্পষ্ট ধারণা থাকে এবং সমস্যার গোড়ায় হাত দেওয়ার সদিচ্ছা ও স্বাধীনতা তারা অর্জন করে। কিন্তু দুর্নীতিগ্রস্ত ও রাজনীতিতাড়িত পুলিশ সদস্যদের পক্ষে সম্ভব নয় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। সরকার তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যতক্ষণ না অপরাধের হোতাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেবে, ততক্ষণ বাঁদরের তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে ওঠার কাহিনির মতোই জনজীবনে শান্তি ও নিরাপত্তার সূচক কেবল ওঠানামা করবে, স্থায়ী শান্তি আসবে না।
প্রথম আলোর অনুসন্ধান বলছে, চলমান পৌরসভা নির্বাচন এবং আসন্ন ইউপি ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাজে লাগানোর জন্য মুখচেনা অপরাধীদের কারাগার থেকে বের করে আনার রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, একশ্রেণীর অপরাধী রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘নেতা’ সেজে বসেছে এবং তাদের অধীনে কাজ করছে আরেক দল সন্ত্রাসী। ব্যবসা-বাণিজ্যের আধিপত্য নিয়েও সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটে, সেখানেও সন্ত্রাসীদের ভাড়া খাটানো হয়ে থাকে। দৃশ্যত, সন্ত্রাসীদের হাতে অপরাধ ঘটলেও, তারা যাদের হয়ে কাজ করে, তারা আড়ালেই থেকে যায়। পুলিশ বেশি বড় জোর এসব ভাড়াটে অপরাধীকে আইনের হাতে সোপর্দ করতে পারে। কিন্তু তাদের পৃষ্ঠপোষকেরা আইনের আওতার বাইরে রয়ে গেলে, কিংবা আইনের ফাঁকফোকরে অপরাধীদের রক্ষা করে গেলে অপরাধের উৎসগুলো টিকেই থাকে। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর কার্যক্রম সেই উৎস পর্যন্ত যেতে পারে না। খুব কম ক্ষেত্রেই যাদের নির্দেশ, পৃষ্ঠপোষকতা ও অর্থে অপরাধ সংঘটিত হয়, তারা শাস্তি পায়। এই ‘তারা’ যখন রাজনৈতিক দলের অংশ, তখন রাজনীতির কর্ণধারদেরও দায় রয়ে যায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিংবা পুলিশ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে অপরাধের এই প্রকৃত কারণটি না আসা দুঃখজনক। সন্ত্রাসের বিষবৃক্ষের আগা কেটে গোড়ায় পানি ঢাললে অপরাধ কোনো দিনও কমবে না।
এ মাসের প্রথম ১৫ দিনে রাজধানীতে যে ২২টি খুনের ঘটনা ঘটেছে, এর বেশির ভাগই ঘটেছে রাজনীতি, স্বার্থ ও সম্পদ নিয়ে দ্বন্দ্বের জের হিসেবে। কোনো ব্যক্তিগত পরিসরে তথা হোটেলে, ঘরের ভেতর কোনো অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, কিংবা পরিকল্পনা করা হচ্ছে কোনো গুরুতর অপরাধের, তা পুলিশের পক্ষে কি আগাম জানা সম্ভব? সম্ভব তা ঠেকানো? একমাত্র তখনই এসবের বেশির ভাগ ঠেকানো সম্ভব, যখন অপরাধী চক্র সম্পর্কে, অপরাধীদের পৃষ্ঠপোষক সম্পর্কে পুলিশের স্পষ্ট ধারণা থাকে এবং সমস্যার গোড়ায় হাত দেওয়ার সদিচ্ছা ও স্বাধীনতা তারা অর্জন করে। কিন্তু দুর্নীতিগ্রস্ত ও রাজনীতিতাড়িত পুলিশ সদস্যদের পক্ষে সম্ভব নয় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। সরকার তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যতক্ষণ না অপরাধের হোতাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেবে, ততক্ষণ বাঁদরের তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে ওঠার কাহিনির মতোই জনজীবনে শান্তি ও নিরাপত্তার সূচক কেবল ওঠানামা করবে, স্থায়ী শান্তি আসবে না।
No comments