আইন কানুন- 'বাহাত্তরের সংবিধান ফিরছে না' by আহমেদ দীপু
উচ্চ আদালতের নির্দেশে সংবিধান পুনর্মুদ্রণের পরও ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফেরা হচ্ছে না। বাহাত্তরের সংবিধানের মূল চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিছু বিষয় ও পাঁচটি সামরিক ফরমান বহাল থাকায় এবং পঞ্চম সংশোধনী ছাড়া অন্য সংশোধনীগুলো অবিকৃত থাকায় পুনর্মুদ্রণের পর সংবিধান নতুন রূপ লাভ করবে। আগামী সপ্তাহেই সংবিধান পুনর্মুদ্রণের জন্য সরকারি ছাপাখানায় পাঠানো হবে। সংবিধান পুনর্মুদ্রণের পর প্রস্তাবনার কিছু অংশসহ ১৯ অনুচ্ছেদ, এসব অনুচ্ছেদের দফা এবং উপদফা পুনর্বহাল হচ্ছে।
দুটি তফসিলের কিছু অংশ পুনর্বহাল হচ্ছে। পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে প্রতিস্থাপিত পাঁচটি সামরিক ফরমানকে আদালত ক্ষমা করায় পুনর্মুদ্রণের পরও এগুলো সংবিধানে থেকে যাবে। এ ছাড়া পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে প্রতিস্থাপিত অন্য বিষয়গুলো আদালত বাতিল করায় এগুলো পুনর্মুদ্রণের পর সংবিধানে পাওয়া যাবে না। বিসমিল্লাহির-রহমানির রহিম শব্দগুলো পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমেই সংবিধানে সংযোজন করা হয়েছিল। কিন্তু আপিল বিভাগের রায়ে বলা হয়েছে, সংবিধান শুরু হয় প্রস্তাবনা থেকে। কাজেই সংবিধান পুনর্মুদ্রণের পরও বিসমিল্লাহির-রহমানির রহিম শব্দগুলো অবিকৃত অবস্থায় থেকে যাবে। পুনর্মুদ্রণের পর সংবিধানে বিসমিল্লাহির-রহমানির রহিম, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার বিধান সবই একসঙ্গে দেখা যাবে। বাহাত্তরের সংবিধানের মূল চেতনা হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতা। এই চেতনাসংক্রান্ত অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল হচ্ছে কিন্তু একই সঙ্গে এই চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিষয়গুলোও থেকে যাচ্ছে।
দুটি তফসিলের কিছু অংশ পুনর্বহাল হচ্ছে। পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে প্রতিস্থাপিত পাঁচটি সামরিক ফরমানকে আদালত ক্ষমা করায় পুনর্মুদ্রণের পরও এগুলো সংবিধানে থেকে যাবে। এ ছাড়া পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে প্রতিস্থাপিত অন্য বিষয়গুলো আদালত বাতিল করায় এগুলো পুনর্মুদ্রণের পর সংবিধানে পাওয়া যাবে না। বিসমিল্লাহির-রহমানির রহিম শব্দগুলো পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমেই সংবিধানে সংযোজন করা হয়েছিল। কিন্তু আপিল বিভাগের রায়ে বলা হয়েছে, সংবিধান শুরু হয় প্রস্তাবনা থেকে। কাজেই সংবিধান পুনর্মুদ্রণের পরও বিসমিল্লাহির-রহমানির রহিম শব্দগুলো অবিকৃত অবস্থায় থেকে যাবে। পুনর্মুদ্রণের পর সংবিধানে বিসমিল্লাহির-রহমানির রহিম, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার বিধান সবই একসঙ্গে দেখা যাবে। বাহাত্তরের সংবিধানের মূল চেতনা হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতা। এই চেতনাসংক্রান্ত অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল হচ্ছে কিন্তু একই সঙ্গে এই চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিষয়গুলোও থেকে যাচ্ছে।
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সংবিধান পুনর্মুদ্রণের জন্য ছাপাখানায় পাঠানো যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ-সংক্রান্ত হাইকোর্ট বিভাগ যে রায় দিয়েছিলেন তা আপিল বিভাগ বহাল রাখলেও তাঁরা কিছু পর্যবেক্ষণ দেন। সে বিষয়টি উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী কালের কণ্ঠকে বলেন, রায়ের বিষয়গুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কারণে সংবিধান পুনর্মুদ্রণের জন্য ছাপাখানায় পাঠাতে বিলম্ব হচ্ছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দ্বারা সংবিধান সংশোধন করা হয়নি। সামরিক ফরমান দিয়ে যেসব বিষয় সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, রায়ের আলোকে পুনর্মুদ্রিত সংবিধানে সেগুলো বিয়োজন ও সংযোজন করা হবে। অন্য সংশোধনীগুলো অবিকৃত থাকায় সংবিধান বাহাত্তরে ফিরে যাবে না।
পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে সামরিক শাসক নিজেদের কাজের সুবিধার্থে সংবিধানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাপক আকারে কাটছাঁট করে, যা সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী নামে পরিচিত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আপিল বিভাগ পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন। আদালত একই বিষয়ে কিছু পর্যবেক্ষণও দিয়েছেন। রায় এবং পর্যবেক্ষণের আলোকেই সরকার সংবিধান পুনর্মুদ্রণ করতে যাচ্ছে। আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী বিসমিল্লাহির-রহমানির রহিম বহাল রেখে সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকেই সংযোজন-বিয়োজন শুরু হয়েছে।
যেসব অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল হচ্ছে: আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবনার ওপরে বিসমিল্লাহ্ রেখে পুনর্মুদ্রণ হতে যাওয়া সংবিধানের প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত হবে 'জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামের' অংশটুকু এবং দ্বিতীয় প্যারা থেকে 'আমরা অঙ্গীকার করিতেছি যে, যে সকল মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগণকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে আত্মনিয়োগ ও বীর শহীদদিগকে প্রাণোৎসর্গ করিতে উদ্বুদ্ধ করিয়াছিল_জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার সেই সকল আদর্শ এই সংবিধানের মূলনীতি হইবে।' প্রস্তাবনায় দুটি অংশ পৃথক দুটি স্থানে অন্তর্ভুক্ত হওয়া ছাড়া বর্তমান সংবিধানের বাকি অংশ বহাল থাকবে।
অষ্টম অনুচ্ছেদে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির কথা বলা হয়েছিল। এতে 'জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা_এই নীতিসমূহ এবং তৎসহ এই নীতিসমূহ হইতে উদ্ভূত এই ভাগে বর্ণিত অন্য সকল নীতি রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বলিয়া পরিগণিত হইবে'_এ অংশটুকু অনুচ্ছেদ ৮-এর দফা ১-এর মাধ্যমে পুনর্বহাল করা হচ্ছে।
নবম অনুচ্ছেদে হবে_'ভাষা ও সংস্কৃতিগতভাবে একক সত্তা বিশিষ্ট যে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ ও সংকল্পবদ্ধ সংগ্রাম করিয়া জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করিয়াছেন, সেই বাঙালি জাতির ঐক্য ও সংহতি হইবে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি।' বর্তমানের নবম অনুচ্ছেদে যা আছে তা বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
দশম অনুচ্ছেদে হবে_'মানুষের উপর মানুষের শোষণ হইতে মুক্ত ন্যায়ানুগ ও সাম্যবাদী সমাজলাভ নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হইবে।'
১২তম অনুচ্ছেদে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি বাস্তবায়নের জন্য চারটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছিল। এগুলো হচ্ছে : 'ক. সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িকতা, খ. রাষ্ট্র কর্তৃক কোন ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদাদান, গ. রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের অপব্যবহার এবং ঘ. কোন বিশেষ ধর্ম পালনকারী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য বা তাঁহার উপর নিপীড়ন বিলোপ করা হইবে।' এ অনুচ্ছেদে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে বলা হয়েছিল। এ অনুচ্ছেদটি '৭২-এর সংবিধানের মূল চেতনার সঙ্গে সম্পৃক্ত। পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে এটি বিলুপ্ত করা হয়েছিল। এটিও পুনর্বহাল হচ্ছে।
সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদের শর্তাংশটি পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বাতিল করা হয়েছিল। এই শর্তাংশটি পুনর্বহাল হচ্ছে। শর্তাংশটি হচ্ছে : 'তবে শর্ত থাকে যে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সম্পন্ন বা লক্ষ্যানুসারী কোন সাম্প্রদায়িক সমিতি বা সংঘ অনুরূপ উদ্দেশ্যসম্পন্ন বা লক্ষ্যানুসারী ধর্মীয় নামযুক্ত বা ধর্মভিত্তিক অন্য কোন সমিতি বা সংঘ গঠন করিবার বা তাহার সদস্য হইবার বা অন্য কোন প্রকারে তাহার তৎপরতায় অংশগ্রহণ করিবার অধিকার কোন ব্যক্তির থাকিবে না।'
পুনর্মুদ্রণ হতে যাওয়া সংবিধানের পাণ্ডলিপি ঘেঁটে দেখা গেছে, ৪২ অনুচ্ছেদের দফা ২ পুনর্বহাল হচ্ছে। ৪২ অনুচ্ছেদে সম্পত্তির অধিকার বিষয়ে দফা ২-এ বলা হয়েছে, 'এই অনুচ্ছেদের (১) দফার অধীন প্রণীত আইনে ক্ষতিপূরণসহ বা বিনা ক্ষতিপূরণে বাধ্যতামূলকভাবে গ্রহণ, রাষ্ট্রায়ত্তকরণ বা দখলের বিধান করা হইবে এবং কোন ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের বিধান করা হইলে তাহার পরিমাণ নির্ধারণ কিংবা অনুরূপ ক্ষতিপূরণ নির্ণয়, প্রদানের নীতি ও পদ্ধতি নির্দিষ্ট করা হইবে; তবে অনুরূপ কোন আইনে ক্ষতিপূরণের বিধান করা হয় নাই বলিয়া কিংবা ক্ষতিপূরণের বিধান অপর্যাপ্ত হইয়াছে বলিয়া সেই আইন সম্পর্কে কোন আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।'
অনুচ্ছেদ ৪৭-এ মূল শর্তাংশটি (২) দফার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। কিছু আইনের হেফাজতের বিষয়টি অনুচ্ছেদ ৪৭-এ বলা হয়েছে। (২) দফার সঙ্গে যুক্ত শর্তাংশটি হচ্ছে, 'তবে শর্ত থাকে যে, এই অনুচ্ছেদের কোন কিছুই অনুরূপ কোন আইন বা বিধানকে সংসদের আইন দ্বারা পরিবর্তন বা বাতিল করা হইতে নিবৃত্ত করিবে না, তবে সংসদের সেইরূপ আইনের জন্য আনীত কোন বিলে যদি এমন কোন বিধান থাকে কিংবা তাহার এমন কোন কার্যকারিতা থাকে, যাহার ফলে কোন সম্পত্তি হইতে রাষ্ট্র বঞ্চিত হয়, কিংবা রাষ্ট্র কর্তৃক দেয় কোন ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়, তাহা হইলে অনুরূপ বিল সংসদের মোট সদস্য-সংখ্যার অনূ্যন দুই-তৃতীয়াংশের ভোটে গৃহীত না হইলে সম্মতির জন্য তাহা রাষ্ট্রপতির নিকট উপস্থাপিত হইবে।'
অনুচ্ছেদ ৬৬-এর দফা ২(ঙ) পুনর্বহাল হচ্ছে। এতে বলা হয়েছে, 'তিনি ১৯৭২ সালের যোগসাজশকারী (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশের অধীন কোন অপরাধের জন্য দণ্ডিত হইয়া থাকেন।' অনুচ্ছেদ ৬৬-তে সংসদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা সম্পর্কে বলা হয়েছে।
অনুচ্ছেদ ৮০-এর দফা (৩)-এ কিছু শব্দ পুনর্বহাল হচ্ছে। শব্দগুলো হচ্ছে, 'কিংবা তাহাতে সম্মতিদানে বিরত রহিলেন বলিয়া ঘোষণা করিবেন'। আইন প্রণয়ন পদ্ধতি সম্পর্কে এ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে।
অনুচ্ছেদ ৯৩-এর দফা (১)-এ 'সংসদের অধিবেশনকাল ব্যতীত' শব্দগুলো পুনর্বহাল হচ্ছে। এতে অধ্যাদেশ প্রণয়ন-ক্ষমতার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
অনুচ্ছেদ ৯৫-এর দফা (২) এবং (৩) পুনর্বহাল হচ্ছে। দফা (২)-এ বলা হয়েছে, 'কোন ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক না হইলে এবং (ক) সুপ্রিম কোর্টে অনূ্যন দশ বৎসরকাল অ্যাডভোকেট না থাকিয়া থাকিলে; অথবা (খ) বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সীমানার মধ্যে অনূ্যন দশ বৎসরকাল কোন বিচার বিভাগীয় পদে অধিষ্ঠান না করিয়া থাকিলে কিংবা অনূ্যন দশ বৎসরকাল অ্যাডভোকেট না থাকিয়া থাকিলে এবং অনূ্যন তিন বৎসরকাল জেলা বিচারকের ক্ষমতা নির্বাহ করিয়া থাকিলে তিনি বিচারক পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবেন না।' (৩)-এ বলা হয়েছে, "এই অনুচ্ছেদে 'সুপ্রিম কোর্ট' বলিতে এই সংবিধান প্রবর্তনের পূর্বে যে কোন সময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সীমানার মধ্যে যে আদালত হাইকোর্ট হিসেবে এখতিয়ার প্রয়োগ করিয়াছে, সেই আদালত অন্তর্ভুক্ত হইবে।"
একইভাবে অনুচ্ছেদ ৯৮, ৯৯, ১০১ পুনর্বহাল হচ্ছে। এ ছাড়া অনুচ্ছেদ ১০২-এর মূল অংশটুকু আদালত মার্জনা করায় বর্তমান সংবিধানে যা আছে তা-ই পুনর্মুদ্রণ হচ্ছে। তবে অনুচ্ছেদ ১০২-এর দফা (১), (২), (৩) পুনর্বহাল হচ্ছে। অনুচ্ছেদ ১০৩-এর উপদফা 'খ' ১০৭-এর মূল দফা (২), ১১৭ অনুচ্ছেদের 'গ' উপদফায় প্রথম ও তৃতীয় বন্ধনী এবং ইনভার্টেড কমাসহ পুনর্বহাল হচ্ছে।
অনুচ্ছেদ ১২২-এর দফা (২)-এর উপদফা 'গ' এবং 'ঘ'-এর মাঝে 'এবং' সংযোজিত হয়েছিল, পুনর্মুদ্রণের সময় 'এবং' থাকছে না। উপদফা 'ঘ'-এর পর এবং সেমিকোলনের পরিবর্তে দাঁড়ি '।' পুনঃস্থাপিত হয়েছিল। পুনর্মুদ্রণের সময় 'এবং' ও দাঁড়ি '।' বাদ যাবে তবে সেমিকোলন পুনর্বহাল হচ্ছে। একই অনুচ্ছেদের উপদফা 'ঙ' পুনর্বহাল হচ্ছে।
সংবিধানের প্রথম তফসিল ৪৭ অনুচ্ছেদে ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ যোগসাজশকারী (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশ শীর্ষক আইনটি তফসিলে পুনর্বহাল হচ্ছে। তৃতীয় তফসিল ১৪৮ অনুচ্ছেদে প্রধান বিচারপতি শব্দগুলোর পরিবর্তে স্পিকার শব্দটি পুনর্বহাল হচ্ছে। একই তফসিলে (খ) গোপনতার শপথ (বা ঘোষণা) অংশে প্রধানমন্ত্রী, উপপ্রধানমন্ত্রী শব্দগুলোর পরিবর্তে মূল শব্দ 'প্রধানমন্ত্রী' পুনর্বহাল হচ্ছে।
যে ফরমানগুলো আগের মতোই থাকছে: আদালত বলেছেন, জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের কথা বিবেচনা করে আদালত সংবিধানের ৬ অনুচ্ছেদে প্রতিস্থাপিত বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, অনুচ্ছেদ ৯৫-এ প্রতিস্থাপিত বিচারপতি নিয়োগের বিধান, অনুচ্ছেদ ৯৬ (২), (৩), (৪), (৫), (৬) ও (৭)-এ প্রতিস্থাপিত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনসংক্রান্ত বিধান, অনুচ্ছেদ ১০২ (১)-এ জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষায় কিছু আদেশ ও নির্দেশ দিতে হাইকোর্টকে দেওয়া ক্ষমতা, জনগণের মৌলিক অধিকার বলবৎ করতে হাইকোর্টে মামলা করার অধিকারের নিশ্চয়তা (অনুচ্ছেদ ৪৪) এবং ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলিসংক্রান্ত বিষয়ে ১৫০ নম্বর অনুচ্ছেদ ও চতুর্থ তফসিলে তা স্থাপনসংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনীকে ক্ষমা করে তা বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। পুনর্মুদ্রণ হতে যাওয়া সংবিধানে এগুলো আগের মতোই থাকছে।
===============================
আইরিন খান বললেন,'নারীর মানবাধিকার রক্ষায় আরও সক্রিয় হতে হবে' সুত্র প্রথম আলো আইন কানুন- চাই বিরোধের বিকল্প নিষ্পত্তি by রোমেল রহমান আইন কানুন- ভরণপোষণ একটি আইনি অধিকার by মাসূমা তাসনীম আইন কানুন- অর্থঋণ আদালত আইনে অনেক গলদ by এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম আইন কানুন- গাড়ি আটক হলে মালিকের করণীয় by মো. রাশেদ খান যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'আমাদের রাজনীতিতে বখাটেপনা' by সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্মরণ- 'আমরা তো কাঁদছিই' by নেয়ামতউল্যাহ চিত্রকলা- এক পরিবারের বৃক্ষ ও শেকড় সুত্র প্রথম আলো গল্পসল্প- 'ঢাকা নয়, অন্য কোথা অন্য কোনোখানে' by উম্মে মুসলিমা কৃষি আলোচনা- 'বরেন্দ্রভূমির কৃষকের বীজবিদ্রোহ' by পাভেল পার্থ খবর- ৩০ নভেম্বরের হরতালের আগেই মারমুখী পুলিশ খবর- চট্টগ্রামে ভাঙ্গা ভাঙ্গির রাজনীতি ফিচার খবর - নৈরাজ্য-বিশৃঙ্খলা’র বিরুদ্ধে রাজপথে আনসার-ভিডিপি! যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'প্রটোকল কার' : গরিবের ঘোড়ারোগ' by দেবব্রত চক্রবর্তী বিষ্ণু রাজনৈতিক আলোচনা- 'বিদ্যমান ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন ডা. মিলন' by সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী রাজনৈতিক আলোচনা- 'প্রয়োজন সরকার ও বিরোধী দলের সহাবস্থান' by ড. তারেক শামসুর রেহমান আলোচনা- 'উপকূলের মাটির মানুষের কান্না' by জয়নুল আবেদীন আগামী দিনের লক্ষ্য নির্ধারণে দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলন দারিদ্র্যমুক্ত পৃথিবী গড়ার স্বপ্নের নতুন পথ প্রকৃতি- বাংলাদেশের ঝুঁকি বাড়ছে কমেনি কার্বন নিঃসরণ by ইফতেখার মাহমুদ প্রথম আলোর সাথে সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূস 'সামাজিক ব্যবসা অনেক ক্ষেত্রেই বেশিকার্যকর
দৈনিক কালের কণ্ঠ এর সৌজন্যে
লেখকঃ আহমেদ দীপু
এই আলোচনা'টি পড়াহয়েছে...
আইরিন খান বললেন,'নারীর মানবাধিকার রক্ষায় আরও সক্রিয় হতে হবে' সুত্র প্রথম আলো আইন কানুন- চাই বিরোধের বিকল্প নিষ্পত্তি by রোমেল রহমান আইন কানুন- ভরণপোষণ একটি আইনি অধিকার by মাসূমা তাসনীম আইন কানুন- অর্থঋণ আদালত আইনে অনেক গলদ by এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম আইন কানুন- গাড়ি আটক হলে মালিকের করণীয় by মো. রাশেদ খান যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'আমাদের রাজনীতিতে বখাটেপনা' by সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্মরণ- 'আমরা তো কাঁদছিই' by নেয়ামতউল্যাহ চিত্রকলা- এক পরিবারের বৃক্ষ ও শেকড় সুত্র প্রথম আলো গল্পসল্প- 'ঢাকা নয়, অন্য কোথা অন্য কোনোখানে' by উম্মে মুসলিমা কৃষি আলোচনা- 'বরেন্দ্রভূমির কৃষকের বীজবিদ্রোহ' by পাভেল পার্থ খবর- ৩০ নভেম্বরের হরতালের আগেই মারমুখী পুলিশ খবর- চট্টগ্রামে ভাঙ্গা ভাঙ্গির রাজনীতি ফিচার খবর - নৈরাজ্য-বিশৃঙ্খলা’র বিরুদ্ধে রাজপথে আনসার-ভিডিপি! যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'প্রটোকল কার' : গরিবের ঘোড়ারোগ' by দেবব্রত চক্রবর্তী বিষ্ণু রাজনৈতিক আলোচনা- 'বিদ্যমান ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন ডা. মিলন' by সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী রাজনৈতিক আলোচনা- 'প্রয়োজন সরকার ও বিরোধী দলের সহাবস্থান' by ড. তারেক শামসুর রেহমান আলোচনা- 'উপকূলের মাটির মানুষের কান্না' by জয়নুল আবেদীন আগামী দিনের লক্ষ্য নির্ধারণে দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলন দারিদ্র্যমুক্ত পৃথিবী গড়ার স্বপ্নের নতুন পথ প্রকৃতি- বাংলাদেশের ঝুঁকি বাড়ছে কমেনি কার্বন নিঃসরণ by ইফতেখার মাহমুদ প্রথম আলোর সাথে সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূস 'সামাজিক ব্যবসা অনেক ক্ষেত্রেই বেশিকার্যকর
দৈনিক কালের কণ্ঠ এর সৌজন্যে
লেখকঃ আহমেদ দীপু
এই আলোচনা'টি পড়াহয়েছে...
No comments