হাসি-হাডিনে পিষ্ট ইংল্যান্ড
বল ডাইভ দেওয়া মিডঅফ ফিল্ডারকে ছাড়িয়ে যেতেই মুষ্টিবদ্ধ হাত ছুড়লেন বাতাসে। গ্যালারি-ভর্তি দর্শকের হর্ষধ্বনির মধ্যেও শোনা যাচ্ছিল তাঁর চিৎকার। সঙ্গী ব্র্যাড হাডিনকে জড়িয়ে ধরে কানে কানে ঝিঁঝি ধরা চিৎকার করলেন।
আনন্দ, আবেগ, স্বস্তি—সব মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল মাইক হাসির সেঞ্চুরি উদ্যাপনে। গ্যালারি থেকে হাসিকে অভিনন্দন জানালেন স্ত্রী অ্যামি, মায়ের কোলে হাসছে তিন বছরের মেয়ে মলিও! পাশে সমানে লাফিয়ে যাচ্ছে সাড়ে চার বছরের ছেলে উইলিয়াম। মাঠের ভেতরে-বাইরের এই উদ্যাপনই বলে দিচ্ছিল, হাসি পরিবারের কাছে এই সেঞ্চুরি কতটা মূল্যবান।
হাসির মতো দলে জায়গা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি। তবে চাপ ছিল হাডিনের ওপরও। কনুইয়ের চোটের কারণে গত মার্চ থেকে দলের বাইরে। সুযোগ পেয়ে দলে জায়গা পাকা করার মতোই খেলেছেন টিম পেইন। তবু চোট কাটানোর পর হাডিনকে সরাসরি দলে নিতে দ্বিধা করেননি নির্বাচকেরা। এই আস্থার প্রতিদান দেওয়াটাও তো একটা বড় চাপ! ১৩৬ রানের এই ইনিংসটার চেয়েও বড় ইনিংস আছে হাডিনের। কিন্তু কালকের ইনিংসটার মাহাত্ম্য এমনই যে, সাবেক অধিনায়ক ও বর্ষীয়ান ধারাভাষ্যকার রিচি বেনো বললেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে হাডিনের সেরা অবদান!’
দুজনের এই অবিস্মরণীয় ব্যাটিং গড়েছে ইতিহাস গড়া জুটি। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ৫ উইকেট পড়েছে ১৪৩ রানে, শেষ পাঁচটি ৩১ রানে। কিন্তু মাঝে এই দুজনের ৩০৭ রানের জুটিটা এমন ব্যবধান গড়ে দিয়েছে যে, ম্যাচ বাঁচাতে ইংল্যান্ডকে করতে হবে দারুণ কিছু। ব্র্যাডম্যান-হ্যাসেটের ২৭৬ রানের জুটিকে পেছনে ফেলে গ্যাবায় এটাই এখন যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি, ষষ্ঠ উইকেটে টেস্ট ইতিহাসের পঞ্চম সর্বোচ্চ। দাঁতে দাঁত চেপে ১৫টি ওভার কাটিয়ে দিয়েছেন ইংলিশ ওপেনাররা। প্রথম বলেই অবশ্য জোরালো এলবিডব্লুর আবেদন থেকে বেঁচে যান স্ট্রাউস। ইংলিশদের জন্য দুঃসহ দিনেও স্টিভেন ফিনের আছে দারুণ প্রাপ্তি। অ্যাশেজ অভিষেকে ক্যারিয়ার-সেরা বোলিংয়ে নিয়েছেন ৬ উইকেট।
উইকেট ফিন বেশি পেলেও ইংল্যান্ডের সেরা বোলার ছিলেন নিঃসন্দেহে জেমস অ্যান্ডারসন। দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলে নতুন বলটা হাতে পেলেও বোলিং করতে পারেননি আলোকস্বল্পতায়। কাল সকালে সেই বল হাতে তাঁর প্রথম স্পেল ৮-২-১৪-০, ভাগ্য সামান্য সহায়তা করলেও ২ বা ৩ উইকেট পেতে পারতেন। এ সময়ই একবার ভাগ্য আর একবার প্রযুক্তি বাঁচিয়েছে হাসিকে। ৮২ রানে তাঁকে এলবিডব্লু দিয়েছিলেন আলিম দার, বেঁচে যান রেফারেল নিয়ে। ৮৫ রানে নিশ্চিত এলবিডব্লু দেননি দার, দুটি রেফারেল শেষ হয়ে যাওয়ায় কিছু করার ছিল না ইংলিশদের।
হাসি-হাডিনের কৃতিত্ব, এই সময়টায় মুখ গুঁজে পড়ে ছিলেন উইকেটে। দিনের প্রথম ১০ ওভারে রান এসেছে ১৪, প্রথম বাউন্ডারি এসেছে ৫০ মিনিট পর! সময়মতো অবশ্য হাত খুলেছেন দুজনেই। ব্রডকে চার মেরে হাসির ১২তম সেঞ্চুরি এসেছে ১৯৭ বলে। হাডিনের প্রথম ফিফটি ছিল তাঁর ক্যারিয়ারে শ্লথতম, ১৩৪ বলে। ৯৪ থেকে সোয়ানকে গ্যালারিতে পাঠিয়ে তৃতীয় সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ২২২ বলে। ৬৩ ও ১১৩ রানে বেঁচে যান কঠিন দুটি ক্যাচ দিয়ে। সোয়ানের বলে স্লিপে কলিংউডের দুর্দান্ত ক্যাচে শেষ হয়েছে হাডিনের ইনিংস। পুরো ইনিংসে দুর্দান্ত সব পুল খেলা হাসি আউট হয়েছেন পুল করতে গিয়েই, টেস্টে আগের সর্বোচ্চ ১৮২ ছাড়িয়ে গেলেও ৫ রানের জন্য হয়নি দ্বিশতক। ৯.৪ ওভারের টানা স্পেলে হাসিরটিসহ শেষ চার উইকেট নিয়েছেন ফিন।
আনন্দ, আবেগ, স্বস্তি—সব মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল মাইক হাসির সেঞ্চুরি উদ্যাপনে। গ্যালারি থেকে হাসিকে অভিনন্দন জানালেন স্ত্রী অ্যামি, মায়ের কোলে হাসছে তিন বছরের মেয়ে মলিও! পাশে সমানে লাফিয়ে যাচ্ছে সাড়ে চার বছরের ছেলে উইলিয়াম। মাঠের ভেতরে-বাইরের এই উদ্যাপনই বলে দিচ্ছিল, হাসি পরিবারের কাছে এই সেঞ্চুরি কতটা মূল্যবান।
হাসির মতো দলে জায়গা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি। তবে চাপ ছিল হাডিনের ওপরও। কনুইয়ের চোটের কারণে গত মার্চ থেকে দলের বাইরে। সুযোগ পেয়ে দলে জায়গা পাকা করার মতোই খেলেছেন টিম পেইন। তবু চোট কাটানোর পর হাডিনকে সরাসরি দলে নিতে দ্বিধা করেননি নির্বাচকেরা। এই আস্থার প্রতিদান দেওয়াটাও তো একটা বড় চাপ! ১৩৬ রানের এই ইনিংসটার চেয়েও বড় ইনিংস আছে হাডিনের। কিন্তু কালকের ইনিংসটার মাহাত্ম্য এমনই যে, সাবেক অধিনায়ক ও বর্ষীয়ান ধারাভাষ্যকার রিচি বেনো বললেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে হাডিনের সেরা অবদান!’
দুজনের এই অবিস্মরণীয় ব্যাটিং গড়েছে ইতিহাস গড়া জুটি। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ৫ উইকেট পড়েছে ১৪৩ রানে, শেষ পাঁচটি ৩১ রানে। কিন্তু মাঝে এই দুজনের ৩০৭ রানের জুটিটা এমন ব্যবধান গড়ে দিয়েছে যে, ম্যাচ বাঁচাতে ইংল্যান্ডকে করতে হবে দারুণ কিছু। ব্র্যাডম্যান-হ্যাসেটের ২৭৬ রানের জুটিকে পেছনে ফেলে গ্যাবায় এটাই এখন যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি, ষষ্ঠ উইকেটে টেস্ট ইতিহাসের পঞ্চম সর্বোচ্চ। দাঁতে দাঁত চেপে ১৫টি ওভার কাটিয়ে দিয়েছেন ইংলিশ ওপেনাররা। প্রথম বলেই অবশ্য জোরালো এলবিডব্লুর আবেদন থেকে বেঁচে যান স্ট্রাউস। ইংলিশদের জন্য দুঃসহ দিনেও স্টিভেন ফিনের আছে দারুণ প্রাপ্তি। অ্যাশেজ অভিষেকে ক্যারিয়ার-সেরা বোলিংয়ে নিয়েছেন ৬ উইকেট।
উইকেট ফিন বেশি পেলেও ইংল্যান্ডের সেরা বোলার ছিলেন নিঃসন্দেহে জেমস অ্যান্ডারসন। দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলে নতুন বলটা হাতে পেলেও বোলিং করতে পারেননি আলোকস্বল্পতায়। কাল সকালে সেই বল হাতে তাঁর প্রথম স্পেল ৮-২-১৪-০, ভাগ্য সামান্য সহায়তা করলেও ২ বা ৩ উইকেট পেতে পারতেন। এ সময়ই একবার ভাগ্য আর একবার প্রযুক্তি বাঁচিয়েছে হাসিকে। ৮২ রানে তাঁকে এলবিডব্লু দিয়েছিলেন আলিম দার, বেঁচে যান রেফারেল নিয়ে। ৮৫ রানে নিশ্চিত এলবিডব্লু দেননি দার, দুটি রেফারেল শেষ হয়ে যাওয়ায় কিছু করার ছিল না ইংলিশদের।
হাসি-হাডিনের কৃতিত্ব, এই সময়টায় মুখ গুঁজে পড়ে ছিলেন উইকেটে। দিনের প্রথম ১০ ওভারে রান এসেছে ১৪, প্রথম বাউন্ডারি এসেছে ৫০ মিনিট পর! সময়মতো অবশ্য হাত খুলেছেন দুজনেই। ব্রডকে চার মেরে হাসির ১২তম সেঞ্চুরি এসেছে ১৯৭ বলে। হাডিনের প্রথম ফিফটি ছিল তাঁর ক্যারিয়ারে শ্লথতম, ১৩৪ বলে। ৯৪ থেকে সোয়ানকে গ্যালারিতে পাঠিয়ে তৃতীয় সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ২২২ বলে। ৬৩ ও ১১৩ রানে বেঁচে যান কঠিন দুটি ক্যাচ দিয়ে। সোয়ানের বলে স্লিপে কলিংউডের দুর্দান্ত ক্যাচে শেষ হয়েছে হাডিনের ইনিংস। পুরো ইনিংসে দুর্দান্ত সব পুল খেলা হাসি আউট হয়েছেন পুল করতে গিয়েই, টেস্টে আগের সর্বোচ্চ ১৮২ ছাড়িয়ে গেলেও ৫ রানের জন্য হয়নি দ্বিশতক। ৯.৪ ওভারের টানা স্পেলে হাসিরটিসহ শেষ চার উইকেট নিয়েছেন ফিন।
No comments