চিত্রকলা- এক পরিবারের বৃক্ষ ও শেকড় সুত্র প্রথম আলো
অনেক মাধ্যমের কাজ। তাতে যেমন আছে ক্যানভাসে-কাগজে আঁকা চিত্রকর্ম, তেমনই আছে আলোকচিত্র, স্থাপনা, চলচ্চিত্র ইত্যাদি। মাধ্যম ও বিষয়-বৈচিত্র্য যেমন বহুমাত্রিক, তেমনই প্রদর্শনীর অন্য বৈশিষ্ট্য হলো—যৌথ এই প্রদর্শনীর সব শিল্পীই এক পরিবারের। বাবা-মা আর তাদের দুই ছেলে-মেয়ে। প্রদর্শনীর নামটিও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে, ‘বৃক্ষ ও শেকড়’। (ছবিঃ ঢাকা আর্ট সেন্টারে আয়োজিত শিল্পী ও অন্যান্য অতিথি নিয়ে ‘বৃক্ষ ও শিকড়’ শিরোনামের প্রদর্শনী ঘুরে দেখছেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস)
বেশ জাঁকজমকের সঙ্গে ধানমন্ডির ঢাকা আর্ট সেন্টারে গতকাল শনিবার শুরু হলো প্রদর্শনী। বিকেলে শিল্পী দম্পতি খালিদ মাহমুদ ও কনকচাঁপা চাকমা এবং তাঁদের ছেলে আর্য শ্রেষ্ঠ ও মেয়ে শিরোপা পূর্ণার এই প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত স্টিফেন ফ্রোয়েইন। সভাপতিত্ব করেন আর্ট সেন্টারের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান রামেন্দু মজুমদার।
সাধারণত চিত্রকলা প্রদর্শনীগুলোতে কলারসিক দর্শকদের উপস্থিতিই প্রাধান্য পায়। কিন্তু ব্যতিক্রম এই প্রদর্শনীতে যেহেতু ছিল নানা মাধ্যমের কাজ, সে কারণে দর্শকসংখ্যাও ছিল প্রচুর। গ্যালারির নিচতলা ও দোতলার কক্ষগুলোর কোনোটিতে চিত্রকলা, কোনোটিতে আলোকচিত্র। একটি কক্ষজুড়ে সড়কের পিচ ঢালাই করার সরঞ্জাম নিয়ে বিরাট স্থাপনা। তৃতীয় তলায় প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী। দর্শকেরা তাদের পছন্দমাফিক কক্ষগুলোতে ভিড় জমিয়ে উপভোগ করেছে শিল্পকলার বৈচিত্র্যময় সম্ভারের এসব উপস্থাপনা।
কনকচাঁপা চাকমা মিশ্র মাধ্যম ও অ্যাক্রিলিকে দেশের আদিবাসীদের নিয়ে ছবি এঁকেছেন। ক্যানভাসে তুলে ধরেছেন আদিবাসীদের কঠোর জীবনযাপন, ধর্মীয় অনুষঙ্গ, পার্বত্য প্রকৃতির দৃশ্য। তাঁর কাজ ৩৬টি। খালিদ মাহমুদ মূলত অ্যাক্রিলিকে এঁকেছেন বিমূর্ত, আধাবিমূর্ত রীতিতে। তাঁর রয়েছে ১৬টি কাজ। ‘হার্ড লাইফ’ শিরোনামের একটি স্থাপনা ছাড়াও রয়েছে তাঁর পরিচালিত বিভিন্ন নাটক ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। শিরোপা পূর্ণা ও আর্য শ্রেষ্ঠ তুলেছে দেশের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের জীবনযাত্রার ছবি। ছয়টি প্রামাণ্য ভিডিওচিত্রও রয়েছে তাদের। শিল্পী কনকচাঁপা জানালেন, আজ থেকে প্রদর্শনীর চলচ্চিত্র, প্রামাণ্যচিত্র ও নাটকগুলো দেখানো হবে। প্রদর্শনী চলবে আগামী ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সম্মাননা ও স্মৃতিপদক প্রদান
এ বছর ‘মুনীর চৌধুরী সম্মাননা পদক’ পেলেন অধ্যাপক আব্দুস সেলিম। গতকাল মুনীর চৌধুরীর ৮৫তম জন্মবার্ষিকীতে নাট্যসংগঠন ‘থিয়েটার’ এ সম্মাননা দেয়। একই অনুষ্ঠানে ‘মোহাম্মদ জাকারিয়া স্মৃতিপদক’ দেওয়া হয় তরুণ নাট্যকর্মী অসীম দাসকে।
সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমীর পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষাবিদ মুস্তাফা নূরউল ইসলাম। অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন থিয়েটারের পরিচালক রামেন্দু মজুমদার।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল মুনীর চৌধুরীর নাটক একতলা দোতলার পাঠাভিনয়।
আসাদুজ্জামান নূর পেলেন নরেন বিশ্বাস পদক
মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি এবং বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনে অবদান রাখার জন্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূরকে ‘নরেন বিশ্বাস পদক ২০১০’-এ ভূষিত করা হয়েছে। অধ্যাপক নরেন বিশ্বাসের মৃত্যুবার্ষিকীতে ‘কণ্ঠশীলন’ এই পদক দিয়েছে। কণ্ঠশীলনের সভাপতি শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী তাঁর হাতে পদক তুলে দেন।
গতকাল ২৭ নভেম্বর ছিল নরেন বিশ্বাসের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে সন্ধ্যায় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নরেন বিশ্বাসের কর্মময় জীবন ও স্মৃতি নিয়ে আলোচনা করেন আশরাফুল আলম, গোলাম কুদ্দুছ, সৌরভ শিকদার ও মীর বরকত।
দ্বিতীয় পর্বে আবৃত্তি করেন আসাদুজ্জামান নূর, কাজী মদিনা, লায়লা আফরোজ, হাসান আরিফ, সাগর লোহানী, শিমুল মুস্তাফা, বেলায়েত হোসেন, রফিকুল ইসলাম, তামান্না তিথি, রেজীনা ওয়ালী, মাসকুর-এ-সাত্তার প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জহিরুল হক খান।
ভারতীয় সাংস্কৃতিক উৎসব
ভারতীয় সাংস্কৃতিক উৎসবের দ্বিতীয় দিন শনিবার শিল্পকলা একাডেমীর চিত্রশালায় শুরু হয়েছে প্রখ্যাত চার নারী চিত্রশিল্পীর আঁকা ভারতীয় সমকালীন চিত্রকলার প্রদর্শনী ‘হারমনি অ্যান্ড রিদম’। বিকেলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালায় ছিল সংগীতের আসর। এতে পণ্ডিত জয়ন্ত বোস, পণ্ডিত কুমার বোস ও পণ্ডিত দেবজ্যোতি বোস যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন।
================================
গল্পসল্প- 'ঢাকা নয়, অন্য কোথা অন্য কোনোখানে' by উম্মে মুসলিমা কৃষি আলোচনা- 'বরেন্দ্রভূমির কৃষকের বীজবিদ্রোহ' by পাভেল পার্থ খবর- ৩০ নভেম্বরের হরতালের আগেই মারমুখী পুলিশ খবর- চট্টগ্রামে ভাঙ্গা ভাঙ্গির রাজনীতি ফিচার খবর - নৈরাজ্য-বিশৃঙ্খলা’র বিরুদ্ধে রাজপথে আনসার-ভিডিপি! যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'প্রটোকল কার' : গরিবের ঘোড়ারোগ' by দেবব্রত চক্রবর্তী বিষ্ণু রাজনৈতিক আলোচনা- 'বিদ্যমান ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন ডা. মিলন' by সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী রাজনৈতিক আলোচনা- 'প্রয়োজন সরকার ও বিরোধী দলের সহাবস্থান' by ড. তারেক শামসুর রেহমান আলোচনা- 'উপকূলের মাটির মানুষের কান্না' by জয়নুল আবেদীন আগামী দিনের লক্ষ্য নির্ধারণে দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলন দারিদ্র্যমুক্ত পৃথিবী গড়ার স্বপ্নের নতুন পথ প্রকৃতি- বাংলাদেশের ঝুঁকি বাড়ছে কমেনি কার্বন নিঃসরণ by ইফতেখার মাহমুদ প্রথম আলোর সাথে সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূস 'সামাজিক ব্যবসা অনেক ক্ষেত্রেই বেশিকার্যকর' আলোচনা- 'তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে করণীয়' by by মোহাম্মদ জমির রাজনৈতিক আলোচনা- 'গণতন্ত্রের স্বার্থে পারস্পারিক সম্মানবোধ' by ড. আবু এন. এম. ওয়াহিদ শিল্প-অর্থনীতি 'চরম দরিদ্রদের তালিকা প্রণয়ন করা হবে' by জাহাঙ্গীর শাহ বিশেষ রচনা- মেডির মিরাকল by মাসুদ রহমান
দৈনিক প্রথম আলো এর সৌজন্যে
এই লেখা'টি পড়া হয়েছে...
গল্পসল্প- 'ঢাকা নয়, অন্য কোথা অন্য কোনোখানে' by উম্মে মুসলিমা কৃষি আলোচনা- 'বরেন্দ্রভূমির কৃষকের বীজবিদ্রোহ' by পাভেল পার্থ খবর- ৩০ নভেম্বরের হরতালের আগেই মারমুখী পুলিশ খবর- চট্টগ্রামে ভাঙ্গা ভাঙ্গির রাজনীতি ফিচার খবর - নৈরাজ্য-বিশৃঙ্খলা’র বিরুদ্ধে রাজপথে আনসার-ভিডিপি! যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'প্রটোকল কার' : গরিবের ঘোড়ারোগ' by দেবব্রত চক্রবর্তী বিষ্ণু রাজনৈতিক আলোচনা- 'বিদ্যমান ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন ডা. মিলন' by সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী রাজনৈতিক আলোচনা- 'প্রয়োজন সরকার ও বিরোধী দলের সহাবস্থান' by ড. তারেক শামসুর রেহমান আলোচনা- 'উপকূলের মাটির মানুষের কান্না' by জয়নুল আবেদীন আগামী দিনের লক্ষ্য নির্ধারণে দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলন দারিদ্র্যমুক্ত পৃথিবী গড়ার স্বপ্নের নতুন পথ প্রকৃতি- বাংলাদেশের ঝুঁকি বাড়ছে কমেনি কার্বন নিঃসরণ by ইফতেখার মাহমুদ প্রথম আলোর সাথে সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূস 'সামাজিক ব্যবসা অনেক ক্ষেত্রেই বেশিকার্যকর' আলোচনা- 'তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে করণীয়' by by মোহাম্মদ জমির রাজনৈতিক আলোচনা- 'গণতন্ত্রের স্বার্থে পারস্পারিক সম্মানবোধ' by ড. আবু এন. এম. ওয়াহিদ শিল্প-অর্থনীতি 'চরম দরিদ্রদের তালিকা প্রণয়ন করা হবে' by জাহাঙ্গীর শাহ বিশেষ রচনা- মেডির মিরাকল by মাসুদ রহমান
দৈনিক প্রথম আলো এর সৌজন্যে
এই লেখা'টি পড়া হয়েছে...
No comments