‘উ. কোরিয়ার হামলার পাল্টা জবাব দিতে হবে’
উত্তর কোরিয়ার হামলার বিরুদ্ধে পাল্টা জবাব দিতে হবে বলে মন্তব্যকরেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল কিম কোয়ান জিন। দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যমে এই খবর প্রকাশ করা হয়। দেশটির সরকার আগামী দিনগুলোয় প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে বলেও গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে দুই কোরিয়ার গোলাবিনিময়ে নিহত দক্ষিণ কোরিয়ার দুই মেরিন সেনার শেষকৃত্য গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশটির বিশিষ্টজনেরা দুই সেনার মরদেহ রাখা বেদিতে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে হামলা না চালাতে পিয়ং ইয়ংয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখাকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে চীন। দেশটি উত্তেজনা কমাতে ওয়াশিংটন, সিউল ও পিয়ং ইয়ংয়ের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। উত্তর কোরিয়ার মিত্র বলে পরিচিত চীন অবশ্য সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, নিজেদের উপকূলে তারা যেকোনো ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধ করবে।
আজ রোববার থেকে পীতসাগরে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ সামরিক মহড়া শুরু হওয়ার কথা। ওই মহড়ায় পরমাণু শক্তিসমৃদ্ধ মার্কিন বিমানবাহী জাহাজ ইউএসএস জর্জ ওয়াশিংটনের অংশ নেওয়ার কথা। ওই জাহাজে ৭৫টি যুদ্ধবিমান ও ছয় হাজারেরও বেশি ক্রু রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়, পীতসাগরে যৌথ মহড়ার পরিণতি কী হবে—তা কেউ চিন্তাও করতে পারবে না।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল কিম বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার হামলার জবাব দিতে আমাদের কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। উত্তরের অনেক আঘাত আমরা সহ্য করেছি। এবার এসবের পাল্টা জবাব দেওয়া প্রয়োজন।’ চসুন ইলবো পত্রিকায় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
দ্য কোরিয়া ইকোনমিক ডেইলির প্রতিবেদনে আগামী বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে স্বয়ংক্রিয় কামান ও জঙ্গি বিমান কেনার জন্য গতবারের চেয়ে দুই হাজার ৭০০ কোটির বেশি মার্কিন ডলার বরাদ্দ বাড়ানোর কথা বলা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রয়োজন হলে পার্লামেন্ট এর চেয়ে বেশি অর্থ বরাদ্দ দিতে পারে।
গত সপ্তাহে দুই কোরিয়ার গোলাবিনিময়ের ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার দুই মেরিন সেনাসহ অন্তত চারজন নিহত হন। এর বিপরীতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিয়ুং বাক শক্ত অবস্থান নেননি—এই অভিযোগে দেশটির আইনপ্রণেতারা প্রেসিডেন্টের কঠোর সমালোচনা করেন। এ ঘটনায় দায় নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম তায়ে ইয়ং পদত্যাগ করেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের কাছে সিয়ংনাম সামরিক হাসপাতালে দুই সেনা সিও জেওং উ ও মুন কং উকের শেষকৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী কিম হং সিক, বেসামরিক ও সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদসহ শত শত মানুষ এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ নৌ-মহড়ার কঠোর সমালোচনা করে উত্তর কোরিয়া বলেছে, যৌথ মহড়া এই অঞ্চলকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, গত সপ্তাহে দুই কোরিয়ার গোলাবিনিময়ের আগে থেকেই এই মহড়ার সময় নির্ধারিত ছিল। আর এটা উত্তর কোরিয়ার জন্য জবাব।
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়, আঞ্চলিক উত্তেজনা কমাতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং জিয়েচি দেশটিতে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গেও টেলিফোনে কথা বলেছেন তিনি।
এদিকে দুই কোরিয়ার গোলাবিনিময়ে নিহত দক্ষিণ কোরিয়ার দুই মেরিন সেনার শেষকৃত্য গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশটির বিশিষ্টজনেরা দুই সেনার মরদেহ রাখা বেদিতে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে হামলা না চালাতে পিয়ং ইয়ংয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখাকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে চীন। দেশটি উত্তেজনা কমাতে ওয়াশিংটন, সিউল ও পিয়ং ইয়ংয়ের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। উত্তর কোরিয়ার মিত্র বলে পরিচিত চীন অবশ্য সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, নিজেদের উপকূলে তারা যেকোনো ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধ করবে।
আজ রোববার থেকে পীতসাগরে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ সামরিক মহড়া শুরু হওয়ার কথা। ওই মহড়ায় পরমাণু শক্তিসমৃদ্ধ মার্কিন বিমানবাহী জাহাজ ইউএসএস জর্জ ওয়াশিংটনের অংশ নেওয়ার কথা। ওই জাহাজে ৭৫টি যুদ্ধবিমান ও ছয় হাজারেরও বেশি ক্রু রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়, পীতসাগরে যৌথ মহড়ার পরিণতি কী হবে—তা কেউ চিন্তাও করতে পারবে না।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল কিম বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার হামলার জবাব দিতে আমাদের কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। উত্তরের অনেক আঘাত আমরা সহ্য করেছি। এবার এসবের পাল্টা জবাব দেওয়া প্রয়োজন।’ চসুন ইলবো পত্রিকায় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
দ্য কোরিয়া ইকোনমিক ডেইলির প্রতিবেদনে আগামী বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে স্বয়ংক্রিয় কামান ও জঙ্গি বিমান কেনার জন্য গতবারের চেয়ে দুই হাজার ৭০০ কোটির বেশি মার্কিন ডলার বরাদ্দ বাড়ানোর কথা বলা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রয়োজন হলে পার্লামেন্ট এর চেয়ে বেশি অর্থ বরাদ্দ দিতে পারে।
গত সপ্তাহে দুই কোরিয়ার গোলাবিনিময়ের ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার দুই মেরিন সেনাসহ অন্তত চারজন নিহত হন। এর বিপরীতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিয়ুং বাক শক্ত অবস্থান নেননি—এই অভিযোগে দেশটির আইনপ্রণেতারা প্রেসিডেন্টের কঠোর সমালোচনা করেন। এ ঘটনায় দায় নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম তায়ে ইয়ং পদত্যাগ করেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের কাছে সিয়ংনাম সামরিক হাসপাতালে দুই সেনা সিও জেওং উ ও মুন কং উকের শেষকৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী কিম হং সিক, বেসামরিক ও সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদসহ শত শত মানুষ এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ নৌ-মহড়ার কঠোর সমালোচনা করে উত্তর কোরিয়া বলেছে, যৌথ মহড়া এই অঞ্চলকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, গত সপ্তাহে দুই কোরিয়ার গোলাবিনিময়ের আগে থেকেই এই মহড়ার সময় নির্ধারিত ছিল। আর এটা উত্তর কোরিয়ার জন্য জবাব।
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়, আঞ্চলিক উত্তেজনা কমাতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং জিয়েচি দেশটিতে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গেও টেলিফোনে কথা বলেছেন তিনি।
No comments