ডিএসই সভাপতির প্যাড ও স্বাক্ষর জাল করে সদস্যপদ বিক্রির চিঠি
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নতুন সদস্যপদ বিক্রির মিথ্যা প্রচারণায় নেমেছে একটি চক্র। সংস্থাটির সভাপতি শাকিল রিজভীর নাম ব্যবহার করেই এ প্রচারণা চালানো হচ্ছে। চক্রটি শাকিল রিজভীর প্যাড ও সই জাল করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে চিঠি দিয়ে সদস্যপদ কেনার আহ্বান জানাচ্ছে।
এসব চিঠিতে প্রতিটি সদস্যপদের দাম চাওয়া হয়েছে ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আর এসব টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রহণ ও বিতরণ শাখার একটি নম্বরে (১০৯০১০০০১২০৮১) জমা দিতে বলা হয়েছে।
তবে ডিএসই বলছে, সদস্যপদ বিক্রির কোনো সিদ্ধান্ত সংস্থাটি নেয়নি। সভাপতি হিসেবে শাকিল রিজভীও এ ধরনের কোনো চিঠি ছাড়েননি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শাকিল রিজভীর নাম ব্যবহার করে কোনো মহল এ চিঠির মাধ্যমে প্রতারণায় নেমেছে। তাই এ ধরনের চিঠির ভিত্তিতে কেউ যেন আর্থিক লেনদেনে জড়িয়ে না পড়েন সেই অনুরোধ জানিয়েছেন ডিএসই।
ডিএসই আরও জানায়, এ চিঠির ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে ইতিমধ্যেই পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে গত সোমবার মতিঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে।
জানা গেছে, একাধিক ব্যক্তির কাছে ডিএসই সভাপতির নামে বিতরণ করা চিঠিতে গত ২৫ আগস্ট অর্থমন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিএসইর সদস্যপদ বিক্রির বিষয়টি অনুমোদন করা হয়েছে।
একই সঙ্গে সদস্যপদ প্রাপ্তির শর্ত হিসাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে সম্পদের বৈধতার ছাড়পত্র ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনাপত্তিপত্র সংগ্রহের কথা বলা হয়েছে
পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার রশিদ ডিএসইর প্রশাসনিক শাখায় জমা দিয়ে সদস্যপদ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
তবে ডিএসই সূত্র বলছে, তারা নিশ্চিত হয়েছে যে অর্থমন্ত্রণালয়ে উল্লিখিত দিনে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তা ছাড়া একটি অলাভজনক পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে সদস্যপদ বিক্রির বিষয়টি সম্পূর্ণভাবেই ডিএসইর এখতিয়ারভুক্ত। এ ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ কোনো নির্দেশনা দেওয়ার সুযোগ নেই। তাই এ ধরনের চিঠির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্তক থাকার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
তবে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য ডিএসইর সভাপতি শাকিল রিজভীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ডিএসইতে বর্তমানে মোট সদস্যপদ রয়েছে ২৩৮টি। এর মধ্যে ২১২টির মতো সক্রিয় রয়েছে। ২০০৪ সালে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ৩৫টি নতুন সদস্যপদ বিক্রি করা হয়েছিল। ওই সময় প্রতিটি সদস্যপদের মূল্য রাখা হয়েছিল ৮০ লাখ টাকা। জানা গেছে, মাত্র ছয় বছরের ব্যবধানে একটি পুরোনো সদস্যপদ এখন ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকায় হাতবদল হচ্ছে।
তবে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ডিএসইর আওয়ামীপন্থী সদস্যরা নতুন সদস্যপদ ছাড়ার ব্যাপারে বিভিন্ন জায়গায় আলোচনা করেছে। যেহেতু বিএনপির সময় নতুন সদস্য বিক্রি করা হয়েছে, সেহেতু তাদের মধ্যেও এ ব্যাপারে জোর আগ্রহ রয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ারবাজার চাঙ্গা থাকায় সরকারের ভেতরে-বাইরে অনেকেই সদস্যপদ কেনার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠেছে বলে জানা গেছে। আর এ সুযোগেই একটি মহল মিথ্যা প্রচারণায় সক্রিয় হয়েছে বলে ডিএসইর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন।
এসব চিঠিতে প্রতিটি সদস্যপদের দাম চাওয়া হয়েছে ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আর এসব টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রহণ ও বিতরণ শাখার একটি নম্বরে (১০৯০১০০০১২০৮১) জমা দিতে বলা হয়েছে।
তবে ডিএসই বলছে, সদস্যপদ বিক্রির কোনো সিদ্ধান্ত সংস্থাটি নেয়নি। সভাপতি হিসেবে শাকিল রিজভীও এ ধরনের কোনো চিঠি ছাড়েননি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শাকিল রিজভীর নাম ব্যবহার করে কোনো মহল এ চিঠির মাধ্যমে প্রতারণায় নেমেছে। তাই এ ধরনের চিঠির ভিত্তিতে কেউ যেন আর্থিক লেনদেনে জড়িয়ে না পড়েন সেই অনুরোধ জানিয়েছেন ডিএসই।
ডিএসই আরও জানায়, এ চিঠির ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে ইতিমধ্যেই পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে গত সোমবার মতিঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে।
জানা গেছে, একাধিক ব্যক্তির কাছে ডিএসই সভাপতির নামে বিতরণ করা চিঠিতে গত ২৫ আগস্ট অর্থমন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিএসইর সদস্যপদ বিক্রির বিষয়টি অনুমোদন করা হয়েছে।
একই সঙ্গে সদস্যপদ প্রাপ্তির শর্ত হিসাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে সম্পদের বৈধতার ছাড়পত্র ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনাপত্তিপত্র সংগ্রহের কথা বলা হয়েছে
পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার রশিদ ডিএসইর প্রশাসনিক শাখায় জমা দিয়ে সদস্যপদ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
তবে ডিএসই সূত্র বলছে, তারা নিশ্চিত হয়েছে যে অর্থমন্ত্রণালয়ে উল্লিখিত দিনে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তা ছাড়া একটি অলাভজনক পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে সদস্যপদ বিক্রির বিষয়টি সম্পূর্ণভাবেই ডিএসইর এখতিয়ারভুক্ত। এ ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ কোনো নির্দেশনা দেওয়ার সুযোগ নেই। তাই এ ধরনের চিঠির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্তক থাকার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
তবে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য ডিএসইর সভাপতি শাকিল রিজভীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ডিএসইতে বর্তমানে মোট সদস্যপদ রয়েছে ২৩৮টি। এর মধ্যে ২১২টির মতো সক্রিয় রয়েছে। ২০০৪ সালে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ৩৫টি নতুন সদস্যপদ বিক্রি করা হয়েছিল। ওই সময় প্রতিটি সদস্যপদের মূল্য রাখা হয়েছিল ৮০ লাখ টাকা। জানা গেছে, মাত্র ছয় বছরের ব্যবধানে একটি পুরোনো সদস্যপদ এখন ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকায় হাতবদল হচ্ছে।
তবে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ডিএসইর আওয়ামীপন্থী সদস্যরা নতুন সদস্যপদ ছাড়ার ব্যাপারে বিভিন্ন জায়গায় আলোচনা করেছে। যেহেতু বিএনপির সময় নতুন সদস্য বিক্রি করা হয়েছে, সেহেতু তাদের মধ্যেও এ ব্যাপারে জোর আগ্রহ রয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ারবাজার চাঙ্গা থাকায় সরকারের ভেতরে-বাইরে অনেকেই সদস্যপদ কেনার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠেছে বলে জানা গেছে। আর এ সুযোগেই একটি মহল মিথ্যা প্রচারণায় সক্রিয় হয়েছে বলে ডিএসইর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন।
No comments