তাঁর ব্রাজিল-আক্ষেপ
সেই ১৯৯৯ সালের কথা। ইকার ক্যাসিয়াস, কার্লোস পুয়োল, জাভিদের তখনো জাতীয় দলে অভিষেক হয়নি। আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ক্লাবের মূল দলেই সুযোগ পাননি তখনো। বর্তমান স্পেন দলের কাছে সে এক সুদূর অতীতের গল্প।
সেই সুদূর অতীতেই স্পেন সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিলের। তারপর ফুটবল-নদীতে অপরিমেয় জল গড়িয়েছে। ব্রাজিল এরপর আরও একটি বিশ্বকাপ জিতেছে। ক্রমেই আধুনিক ফুটবলের শ্রেষ্ঠতম দলে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়েছে স্পেন; জিতেছে সর্বশেষ ইউরো ও বিশ্বকাপ। কিন্তু সর্বকালের সফলতম ফুটবল দল ব্রাজিলের মুখোমুখি আর হওয়া হয়নি স্পেনের।
বছর না ঘুরতেই আবার আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলতে গিয়ে বুয়েনস এইরেসে এই দুঃখের কথা বললেন বিশ্বসেরা দলের অধিনায়ক ক্যাসিয়াস। ক্যারিয়ারটা শেষ হতে চলল, কিন্তু ফুটবল সৌন্দর্যের দেশ ব্রাজিলের সঙ্গে তাঁর খেলা হলো না!
ব্রাজিলের পাশের দেশে বসে ক্যাসিয়াস বললেন, ‘এই দলটার সঙ্গে আমার কখনো খেলার সুযোগ হলো না। আমি ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলতে চাই। আমরা সবাই ব্রাজিলের বিপক্ষে একবার খেলতে চাই। আমার মনে হয়, আমরা সর্বশেষ বছর বারো আগে একবার মুখোমুখি হয়েছিলাম।’
ক্যাসিয়াসের এই চাওয়ার ভেতর কোনো দম্ভ খুঁজতে যাবেন না। ব্রাজিলকে ‘দেখিয়ে দেওয়া’ বা এমন কোনো উদ্দেশ্য তাঁর নেই। আসলে দম্ভ বা অহংকার ব্যাপারটাকেই যতদূর সম্ভব ঠেলে রাখতে চাইছেন ক্যাসিয়াসরা।
বিশ্বকাপ জয়ের আত্মতৃপ্তিতে নিজেরা যেন ভেসে না যান, সে নিয়ে সাবধানতার শেষ নেই। ক্যাসিয়াস তাই নিজেকে এবং একই সঙ্গে সতীর্থদের সতর্ক করে দিলেন সাফল্যে ভেসে যাওয়ার বিপদ সম্পর্কে।
এই কথাটাই বিশ্বকাপের পর থেকে বারবার বলছেন কোচ ভিনসেন্তে দেল বস্ক। বিশ্বকাপ জয়ে স্পেন এমন কিছু ‘রাজা’ হয়ে যায়নি। দেল বস্কের ভয়, এই দলের খেলোয়াড়েরা না নিজেদের সেই রাজা ভাবা শুরু করে, ‘এই দলটার সবচেয়ে খারাপ যেটা হতে পারে তা হলো, তারা হয়তো নিজেদের দুনিয়ার সম্রাট ভাবা শুরু করল। আমরা স্রেফ অন্য সব দলের মতো একদল খেলোয়াড় এবং একজন কোচ; একটা বিশ্বকাপ জিতেছি, এই যা। এতে নিজেদের আরও ওপরে তুলে ধরার দায়িত্বও বর্তেছে আমাদের ওপর।’
জাভি-ইনিয়েস্তাদের সম্পর্কে লোকেরা যে ‘সোনালি প্রজন্ম-ট্রজন্ম’ বলছে, এটাও শুনতে রাজি নন দেল বস্ক। তিনি বলছেন, অনেক পরিশ্রমে তৈরি করা এক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে স্পেনের সাফল্য, এটা বিশেষ কোনো প্রজন্মের ব্যাপার নয়, ‘আমার ধারণা, আমাদের সাফল্যের কারণ আমাদের সুদৃঢ় ভিত্তি; শুধু একটা ভালো প্রজন্ম নয়। আমরা বিশ্বকাপের পর খুব একটা বদলাইনি। আর বিশ্বকাপ জিতেছি কৌশলগত কারণে এবং আমাদের সবার চেষ্টায়।’
সেই সুদূর অতীতেই স্পেন সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিলের। তারপর ফুটবল-নদীতে অপরিমেয় জল গড়িয়েছে। ব্রাজিল এরপর আরও একটি বিশ্বকাপ জিতেছে। ক্রমেই আধুনিক ফুটবলের শ্রেষ্ঠতম দলে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়েছে স্পেন; জিতেছে সর্বশেষ ইউরো ও বিশ্বকাপ। কিন্তু সর্বকালের সফলতম ফুটবল দল ব্রাজিলের মুখোমুখি আর হওয়া হয়নি স্পেনের।
বছর না ঘুরতেই আবার আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলতে গিয়ে বুয়েনস এইরেসে এই দুঃখের কথা বললেন বিশ্বসেরা দলের অধিনায়ক ক্যাসিয়াস। ক্যারিয়ারটা শেষ হতে চলল, কিন্তু ফুটবল সৌন্দর্যের দেশ ব্রাজিলের সঙ্গে তাঁর খেলা হলো না!
ব্রাজিলের পাশের দেশে বসে ক্যাসিয়াস বললেন, ‘এই দলটার সঙ্গে আমার কখনো খেলার সুযোগ হলো না। আমি ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলতে চাই। আমরা সবাই ব্রাজিলের বিপক্ষে একবার খেলতে চাই। আমার মনে হয়, আমরা সর্বশেষ বছর বারো আগে একবার মুখোমুখি হয়েছিলাম।’
ক্যাসিয়াসের এই চাওয়ার ভেতর কোনো দম্ভ খুঁজতে যাবেন না। ব্রাজিলকে ‘দেখিয়ে দেওয়া’ বা এমন কোনো উদ্দেশ্য তাঁর নেই। আসলে দম্ভ বা অহংকার ব্যাপারটাকেই যতদূর সম্ভব ঠেলে রাখতে চাইছেন ক্যাসিয়াসরা।
বিশ্বকাপ জয়ের আত্মতৃপ্তিতে নিজেরা যেন ভেসে না যান, সে নিয়ে সাবধানতার শেষ নেই। ক্যাসিয়াস তাই নিজেকে এবং একই সঙ্গে সতীর্থদের সতর্ক করে দিলেন সাফল্যে ভেসে যাওয়ার বিপদ সম্পর্কে।
এই কথাটাই বিশ্বকাপের পর থেকে বারবার বলছেন কোচ ভিনসেন্তে দেল বস্ক। বিশ্বকাপ জয়ে স্পেন এমন কিছু ‘রাজা’ হয়ে যায়নি। দেল বস্কের ভয়, এই দলের খেলোয়াড়েরা না নিজেদের সেই রাজা ভাবা শুরু করে, ‘এই দলটার সবচেয়ে খারাপ যেটা হতে পারে তা হলো, তারা হয়তো নিজেদের দুনিয়ার সম্রাট ভাবা শুরু করল। আমরা স্রেফ অন্য সব দলের মতো একদল খেলোয়াড় এবং একজন কোচ; একটা বিশ্বকাপ জিতেছি, এই যা। এতে নিজেদের আরও ওপরে তুলে ধরার দায়িত্বও বর্তেছে আমাদের ওপর।’
জাভি-ইনিয়েস্তাদের সম্পর্কে লোকেরা যে ‘সোনালি প্রজন্ম-ট্রজন্ম’ বলছে, এটাও শুনতে রাজি নন দেল বস্ক। তিনি বলছেন, অনেক পরিশ্রমে তৈরি করা এক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে স্পেনের সাফল্য, এটা বিশেষ কোনো প্রজন্মের ব্যাপার নয়, ‘আমার ধারণা, আমাদের সাফল্যের কারণ আমাদের সুদৃঢ় ভিত্তি; শুধু একটা ভালো প্রজন্ম নয়। আমরা বিশ্বকাপের পর খুব একটা বদলাইনি। আর বিশ্বকাপ জিতেছি কৌশলগত কারণে এবং আমাদের সবার চেষ্টায়।’
No comments