অবশেষে গিলার্ডই অস্ট্রেলিয়ায় সরকার গঠন করছেন
শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র সাংসদের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় থাকছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড। গতকাল মঙ্গলবার দুইজন স্বতন্ত্র সাংসদ গিলার্ডের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টির প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন। এতে সরকার গঠন নিয়ে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান হলো।
প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশ পরিচালনার জন্য লেবার পার্টি প্রস্তুত।’ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁকে বেশ ক্লান্ত দেখাচ্ছিল।
২১ আগস্টের নির্বাচনে গিলার্ডের লেবার পার্টি কিংবা বিরোধী নেতা টনি অ্যাবটের নেতৃত্বাধীন লিবারেল-ন্যাশনাল জোট—কোনো পক্ষই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ৭৬টি আসন পেতে ব্যর্থ হয়। এতে স্বতন্ত্র সাংসদ বব কাটার, টনি উইন্ডসর ও রব ওয়াকেশট ‘কিংমেকার’ হয়ে ওঠেন।
সরকার গঠনের জন্য লেবার পার্টি ও বিরোধী জোটের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওই তিন সাংসদ। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে তাঁদের মধ্যে বিভক্তির সৃষ্টি হয়। বব কাটার অ্যাবটের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন। অন্যদিকে উইন্ডসর ও ওয়াকেশট সমর্থন জানান জুলিয়া গিলার্ডকে।
গতকাল মঙ্গলবার মধ্যাহ্নভোজের সামান্য পর নর্থ কুইন্সল্যান্ডের বব কাটার ক্যামেরার সামনে উপস্থিত হয়ে ঘোষণা করেন, তিনি লিবারেল-ন্যাশনাল জোটের পক্ষে রয়েছেন। তিনি বলেন, কুইন্সল্যান্ডের কেভিন রাডের প্রতি যেভাবে আচরণ করা হয়েছে, তাতে তিনি ক্ষুব্ধ।
কাটার বলেন, ‘কেভিনের ভাবনা ও আমার ভাবনা প্রায় একই রকম।’ তিনি আরও বলেন, কেভিনের সঙ্গে তাঁর ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে। উল্লেখ্য, গত জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাড ক্ষমতাচ্যুত হন।
কাটারের ঘোষণার এক ঘণ্টা পর উইন্ডসর গিলার্ডের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন।
শেষে ওয়াকেশটের ঘোষণার মাধ্যমে গিলার্ডের ক্ষমতায় থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। ওয়াকেশট বলেন, সরকারের প্রতি তিনি আস্থা প্রকাশ করছেন। তার মানে হলো জুলিয়া গিলার্ডের প্রতিও তাঁর আস্থা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার জনগণ আমার প্রতি, লেবার পার্টি ও পার্লামেন্টের প্রতি একটি বার্তা পাঠিয়েছেন...আমি সেই বার্তা জোরালো ও পরিষ্কারভাবে শুনতে পেরেছি।’
উইন্ডসর ও ওয়াকেশটের সমর্থনের পর সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ৭৬ আসন স্পর্শ করে লেবার পার্টি। অন্যদিকে শেষ পর্যন্ত অ্যাবটের জোট পেয়েছে ৭৪টি আসন।
প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশ পরিচালনার জন্য লেবার পার্টি প্রস্তুত।’ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁকে বেশ ক্লান্ত দেখাচ্ছিল।
২১ আগস্টের নির্বাচনে গিলার্ডের লেবার পার্টি কিংবা বিরোধী নেতা টনি অ্যাবটের নেতৃত্বাধীন লিবারেল-ন্যাশনাল জোট—কোনো পক্ষই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ৭৬টি আসন পেতে ব্যর্থ হয়। এতে স্বতন্ত্র সাংসদ বব কাটার, টনি উইন্ডসর ও রব ওয়াকেশট ‘কিংমেকার’ হয়ে ওঠেন।
সরকার গঠনের জন্য লেবার পার্টি ও বিরোধী জোটের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওই তিন সাংসদ। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে তাঁদের মধ্যে বিভক্তির সৃষ্টি হয়। বব কাটার অ্যাবটের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন। অন্যদিকে উইন্ডসর ও ওয়াকেশট সমর্থন জানান জুলিয়া গিলার্ডকে।
গতকাল মঙ্গলবার মধ্যাহ্নভোজের সামান্য পর নর্থ কুইন্সল্যান্ডের বব কাটার ক্যামেরার সামনে উপস্থিত হয়ে ঘোষণা করেন, তিনি লিবারেল-ন্যাশনাল জোটের পক্ষে রয়েছেন। তিনি বলেন, কুইন্সল্যান্ডের কেভিন রাডের প্রতি যেভাবে আচরণ করা হয়েছে, তাতে তিনি ক্ষুব্ধ।
কাটার বলেন, ‘কেভিনের ভাবনা ও আমার ভাবনা প্রায় একই রকম।’ তিনি আরও বলেন, কেভিনের সঙ্গে তাঁর ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে। উল্লেখ্য, গত জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাড ক্ষমতাচ্যুত হন।
কাটারের ঘোষণার এক ঘণ্টা পর উইন্ডসর গিলার্ডের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন।
শেষে ওয়াকেশটের ঘোষণার মাধ্যমে গিলার্ডের ক্ষমতায় থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। ওয়াকেশট বলেন, সরকারের প্রতি তিনি আস্থা প্রকাশ করছেন। তার মানে হলো জুলিয়া গিলার্ডের প্রতিও তাঁর আস্থা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার জনগণ আমার প্রতি, লেবার পার্টি ও পার্লামেন্টের প্রতি একটি বার্তা পাঠিয়েছেন...আমি সেই বার্তা জোরালো ও পরিষ্কারভাবে শুনতে পেরেছি।’
উইন্ডসর ও ওয়াকেশটের সমর্থনের পর সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ৭৬ আসন স্পর্শ করে লেবার পার্টি। অন্যদিকে শেষ পর্যন্ত অ্যাবটের জোট পেয়েছে ৭৪টি আসন।
No comments