আমলাতন্ত্রের অযাচিত হস্তক্ষেপ -নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিন
সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনভাবেই কাজ করার কথা। কিন্তু বিধি প্রণয়ন থেকে শুরু করে ওয়ার্ডের সীমানা নির্ধারণ—সব ক্ষেত্রেই সরকার তথা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তাদের টক্কর লেগে আছে। অনেক সময় আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে কমিশনের কাজকর্ম চালানো দুরূহ হয়ে পড়ে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে যা যা প্রয়োজন, তা তাদেরই করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্ব তাদের সহায়তা করা; পদে পদে প্রতিবন্ধকতা তৈরি নয়।
রোববার এক সেমিনারে নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের কাজে যদি কেউ সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে তা হলো আমলাতন্ত্র; রাজনৈতিক দল নয়। উদাহরণ হিসেবে তিনি নির্বাচন কমিশনের সচিব নিয়োগ এবং সারা দেশে নির্বাচন কমিশনের সার্ভার স্টেশন তৈরির ক্ষেত্রে সৃষ্ট জটিলতাও তুলে ধরেন। রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহীর অনুমোদনের পরও সার্ভার স্টেশন তৈরি না হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে যাঁরা বাধা সৃষ্টি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
বেশ কিছুদিন ধরেই নির্বাচন কমিশনের সচিবের পদটি খালি আছে। কমিশনের সাবেক সচিব মুহম্মদ হুমায়ুন কবির গত জাতীয় নির্বাচন ছাড়াও কয়েকটি উপনির্বাচন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বিদেশে থাকাকালে সচিবকে সরিয়ে দেওয়া কেবল নজিরবিহীন নয়, কমিশনের কাজে অযাচিত হস্তক্ষেপও বটে। সিইসি কমিশনের সচিব পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য তিনজনের নাম পাঠালেও সংস্থাপন মন্ত্রণালয় অজ্ঞাত কারণে এখন পর্যন্ত কাউকে নিয়োগ দেয়নি। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কেবল সচিব নন, সব পর্যায়ের কর্মকর্তা বাছাইয়ের ক্ষমতাও কমিশনকে দিতে হবে। কমিশনকে না জানিয়ে সম্প্রতি দুই কমিশনারের বাসভবন থেকে নিরাপত্তা প্রহরী তুলে নেওয়াও সমীচীন হয়নি।
আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ ও মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভাগুলোর নির্বাচন হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কিন্তু আইনি জটিলতা ও আমলাতান্ত্রিক বাধার কারণে তাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে জানিয়েছে, বিধি পরিবর্তন না করা হলে নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। বর্তমান আইনে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ওয়ার্ডের সীমা পুনর্নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা যাবে না। গত সোমবার মন্ত্রিসভা বিধানটি বাতিল করে দেওয়ায় সেই অনিশ্চয়তা কেটে গেছে।
নির্বাচন কমিশন যাতে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে পারে, সেই নিশ্চয়তা সরকারকেই দিতে হবে। সব পর্যায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে এর বিকল্প নেই। অতএব, নির্বাচন কমিশন সব ধরনের হস্তক্ষেপমুক্ত থাকবে—সেটাই প্রত্যাশিত।
রোববার এক সেমিনারে নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের কাজে যদি কেউ সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে তা হলো আমলাতন্ত্র; রাজনৈতিক দল নয়। উদাহরণ হিসেবে তিনি নির্বাচন কমিশনের সচিব নিয়োগ এবং সারা দেশে নির্বাচন কমিশনের সার্ভার স্টেশন তৈরির ক্ষেত্রে সৃষ্ট জটিলতাও তুলে ধরেন। রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহীর অনুমোদনের পরও সার্ভার স্টেশন তৈরি না হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে যাঁরা বাধা সৃষ্টি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
বেশ কিছুদিন ধরেই নির্বাচন কমিশনের সচিবের পদটি খালি আছে। কমিশনের সাবেক সচিব মুহম্মদ হুমায়ুন কবির গত জাতীয় নির্বাচন ছাড়াও কয়েকটি উপনির্বাচন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বিদেশে থাকাকালে সচিবকে সরিয়ে দেওয়া কেবল নজিরবিহীন নয়, কমিশনের কাজে অযাচিত হস্তক্ষেপও বটে। সিইসি কমিশনের সচিব পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য তিনজনের নাম পাঠালেও সংস্থাপন মন্ত্রণালয় অজ্ঞাত কারণে এখন পর্যন্ত কাউকে নিয়োগ দেয়নি। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কেবল সচিব নন, সব পর্যায়ের কর্মকর্তা বাছাইয়ের ক্ষমতাও কমিশনকে দিতে হবে। কমিশনকে না জানিয়ে সম্প্রতি দুই কমিশনারের বাসভবন থেকে নিরাপত্তা প্রহরী তুলে নেওয়াও সমীচীন হয়নি।
আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ ও মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভাগুলোর নির্বাচন হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কিন্তু আইনি জটিলতা ও আমলাতান্ত্রিক বাধার কারণে তাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে জানিয়েছে, বিধি পরিবর্তন না করা হলে নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। বর্তমান আইনে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ওয়ার্ডের সীমা পুনর্নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা যাবে না। গত সোমবার মন্ত্রিসভা বিধানটি বাতিল করে দেওয়ায় সেই অনিশ্চয়তা কেটে গেছে।
নির্বাচন কমিশন যাতে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে পারে, সেই নিশ্চয়তা সরকারকেই দিতে হবে। সব পর্যায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে এর বিকল্প নেই। অতএব, নির্বাচন কমিশন সব ধরনের হস্তক্ষেপমুক্ত থাকবে—সেটাই প্রত্যাশিত।
No comments