বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন খাদ্যনিরাপত্তার জন্য হুমকি
রাশিয়ায় খরা ও পাকিস্তানে বন্যা বৈশিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফল। এই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেখা দিচ্ছে আকস্মিক বন্যা ও খরা। এ কারণে বিশ্বের খাদ্যনিরাপত্তা এখন হুমকির মুখে। সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে সমবেত এক সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলেন।
২০তম ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াটার উইক’ উপলক্ষে গত রোববার শুরু হওয়া ওই সম্মেলনে ১৩০টি দেশের প্রায় আড়াই হাজার প্রতিনিধি অংশ নেন। সম্মেলন শেষ হবে আগামী শনিবার।
সম্মেলনে ভারতের বিজ্ঞান ও পরিবেশ কেন্দ্রের প্রধান সুনিতা নারায়ণ বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টিপাতের ধরনেও পরিবর্তন এসেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আরও পানি ও বৃষ্টিমুখর দিন চাই, যেন তা খরা মোকাবিলায় সহায়ক হয়। আবার বন্যা হওয়ার মতো অত বেশি বর্ষণও চাই না।’
সুনিতা নারায়ণ এমন সময় এসব কথা বললেন, যখন পাকিস্তানে স্মরণকালের ভয়াবহতম বন্যার পর ৮০ লাখ মানুষ এখন বেঁচে থাকার জন্য ত্রাণ সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।
ওদিকে রাশিয়া এখনো স্মরণকালের ভয়াবহ খরা ও দাবদাহ মোকাবিলা করছে। খরা ও দাবানলে দেশটির এক-চতুর্থাংশ ফসল ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে দেশটির অভ্যন্তরীণ সংকট মেটাতে সরকার খাদ্য রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে বাধ্য হয়েছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে গমসহ অন্যান্য খাদ্য-মূল্য ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক খাদ্য-সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শ্রীলঙ্কাভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের প্রধান কোলিন চারট্রেস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বৃষ্টিনির্ভর ফসলের ওপর নির্ভরশীল হাজার হাজার কৃষকের জীবিকা বৃষ্টিপাতের ক্রমবর্ধমান হ্রাসের কারণে ঝুঁকির মুখে পড়েছে।’
ওয়ার্ল্ড ওয়াটার উইকের পরিচালক জ্যাঁ বারগ্রেন স্বীকার করেন, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত কৃষির ব্যাপক ক্ষতি করছে।
২০তম ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াটার উইক’ উপলক্ষে গত রোববার শুরু হওয়া ওই সম্মেলনে ১৩০টি দেশের প্রায় আড়াই হাজার প্রতিনিধি অংশ নেন। সম্মেলন শেষ হবে আগামী শনিবার।
সম্মেলনে ভারতের বিজ্ঞান ও পরিবেশ কেন্দ্রের প্রধান সুনিতা নারায়ণ বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টিপাতের ধরনেও পরিবর্তন এসেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আরও পানি ও বৃষ্টিমুখর দিন চাই, যেন তা খরা মোকাবিলায় সহায়ক হয়। আবার বন্যা হওয়ার মতো অত বেশি বর্ষণও চাই না।’
সুনিতা নারায়ণ এমন সময় এসব কথা বললেন, যখন পাকিস্তানে স্মরণকালের ভয়াবহতম বন্যার পর ৮০ লাখ মানুষ এখন বেঁচে থাকার জন্য ত্রাণ সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।
ওদিকে রাশিয়া এখনো স্মরণকালের ভয়াবহ খরা ও দাবদাহ মোকাবিলা করছে। খরা ও দাবানলে দেশটির এক-চতুর্থাংশ ফসল ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে দেশটির অভ্যন্তরীণ সংকট মেটাতে সরকার খাদ্য রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে বাধ্য হয়েছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে গমসহ অন্যান্য খাদ্য-মূল্য ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক খাদ্য-সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শ্রীলঙ্কাভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের প্রধান কোলিন চারট্রেস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বৃষ্টিনির্ভর ফসলের ওপর নির্ভরশীল হাজার হাজার কৃষকের জীবিকা বৃষ্টিপাতের ক্রমবর্ধমান হ্রাসের কারণে ঝুঁকির মুখে পড়েছে।’
ওয়ার্ল্ড ওয়াটার উইকের পরিচালক জ্যাঁ বারগ্রেন স্বীকার করেন, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত কৃষির ব্যাপক ক্ষতি করছে।
No comments