হতাশা পেয়ে বসেছে মরিনহোকে
কোচ মরিনহোর জাদুকরি দক্ষতা সর্বজনবিদিত। পোর্তো, চেলসি, ইন্টার—যেখানেই গেছেন সাফল্যের সোনা ফলিয়েছেন। আর এ জন্যই তিনি ‘স্পেশাল ওয়ান’। অন্যে তো বটেই; মরিনহো নিজেও নিজেকে বিশ্বের অন্যতম সেরা কোচ মনে করেন।
গত মৌসুমে ইন্টারকে প্রথম ‘ট্রেবল’ উপহার দিয়েছেন। তারপরই সাফল্যতৃষ্ণা নিয়ে চলে এসেছেন রিয়াল মাদ্রিদে। উদ্দেশ্য, ট্রফির পর ট্রফি জিতিয়ে রিয়ালকে ফেরাবেন সুদিনে! খুব আগ্রহ নিয়েই কাজ শুরু করেছিলেন মরিনহো। কিন্তু মাত্র দুই মাস পরও যেন অস্বস্তি ঝেড়ে ফেলতে পারছেন না। মরিনহো কি তাহলে বুঝতে শুরু করেছেন রিয়াল মাদ্রিদ সত্যিই এক কঠিন জায়গা!
মরিনহোর নেতৃত্বে নতুন মৌসুমে ইতিবাচক শুরুই হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের। তাদের চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু আয়াক্সের বিপক্ষে জয় দিয়ে। তিন ম্যাচে দুই জয়, এক ড্র, হার নেই—লা লিগার শুরুটাকেও বাঁকা চোখে দেখার উপায় নেই। এমন শুরুতে তৃপ্তি খোঁজাটা সাধারণ ব্যাপার। তবে ‘স্পেশাল ওয়ান’ রিয়ালের পারফরম্যান্সে হতাশ!
শনিবার রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে রিয়াল জিতেছে ২-১ গোলে। জয়ে খুশি। কিন্তু দলের পারফরম্যান্স হতাশ করেছে মরিনহোকে। সোসিয়েদাদ দ্বিতীয় গোল শোধ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছিল, এটা দেখে ডাগ-আউটে দাঁড়িয়ে হতাশায় পানির বোতল ছুড়ে ফেলেছেন মাটিতে। ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘প্রথমার্ধে সোসিয়েদাদ ছিল দুর্দান্ত। দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াল মাদ্রিদ। কাজেই আমি বলব, ম্যাচে ড্রই হতো ন্যায্য ফল।’ তিন ম্যাচে পয়েন্ট হতে পারত ৯। কিন্তু প্রথম ম্যাচের ড্রতে ২ পয়েন্ট ছুটে যাওয়ায় রিয়ালের সংগ্রহ ৭, এটাও মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে মরিনহোর।
দলের পারফরম্যান্সে হতাশ। ক্ষুব্ধ লিগের সূচি নিয়ে। বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার পর শনিবারই কেন রিয়ালকে লিগ ম্যাচ খেলতে হবে? ‘বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলা দল লিগ ম্যাচ খেলবে রোববারে। কিছুতেই শনিবার নয়’—এটুকু বলেই শেষ করেননি মরিনহো। লিগ কর্তৃপক্ষের দিকে ছুড়ে দিয়েছেন পক্ষপাতের প্রশ্নও, ‘কেন হারকিউলিস-ভ্যালেন্সিয়ার ম্যাচ শনিবারে হলো না?’ বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলা বার্সেলোনাও লিগ ম্যাচ খেলেছে রোববার।
দল প্রত্যাশামতো খেলতে পারছে না এটা একটা কারণ। রিয়ালের ওপর মরিনহোর চটে যাওয়ার আরেক কারণ, সুযোগ থাকা সত্ত্বেও মরিনহোকে পর্তুগালের খণ্ডকালীন দায়িত্ব নিতে অনুমতি দেয়নি রিয়াল। অক্টোবরের যে সময়টার জন্য মরিনহোকে চেয়েছিল পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশন, তখন লিগ সাময়িক বন্ধ থাকায় রিয়ালে কোনো কাজ থাকবে না, মরিনহো থাকবেন ছুটিতে। রিয়ালের প্রতি মরিনহো ক্ষুব্ধ এ কারণেই, ‘আমি বুঝতেই পারছি না, রিয়াল কেন আমাকে পর্তুগালের কোচ হতে দিল না। যেহেতু ওই সময়টায় রিয়ালে আমার কিছুই করার থাকবে না। আমি মাদ্রিদ থেকে নয় দিনের ছুটি কাটাব, তখনই আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো হবে।’
তবে মরিনহো এই বিষয়টি এখন ভুলে যেতে পারেন। কারণ চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করে গতকালই হয়তো পর্তুগালের কোচ শূন্যতা ঘুচিয়ে ফেলেছেন স্পোর্টিং লিসবনের সাবেক কোচ পাওলো বেন্তো। ক্ষোভ-হতাশা যা-ই থাক, এরই মধ্যে মরিনহোকে নিতে হচ্ছে প্রস্তুতি। আজ মঙ্গলবারই যে এসপানিওলের বিপক্ষে রিয়ালের ম্যাচ।
গত মৌসুমে ইন্টারকে প্রথম ‘ট্রেবল’ উপহার দিয়েছেন। তারপরই সাফল্যতৃষ্ণা নিয়ে চলে এসেছেন রিয়াল মাদ্রিদে। উদ্দেশ্য, ট্রফির পর ট্রফি জিতিয়ে রিয়ালকে ফেরাবেন সুদিনে! খুব আগ্রহ নিয়েই কাজ শুরু করেছিলেন মরিনহো। কিন্তু মাত্র দুই মাস পরও যেন অস্বস্তি ঝেড়ে ফেলতে পারছেন না। মরিনহো কি তাহলে বুঝতে শুরু করেছেন রিয়াল মাদ্রিদ সত্যিই এক কঠিন জায়গা!
মরিনহোর নেতৃত্বে নতুন মৌসুমে ইতিবাচক শুরুই হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের। তাদের চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু আয়াক্সের বিপক্ষে জয় দিয়ে। তিন ম্যাচে দুই জয়, এক ড্র, হার নেই—লা লিগার শুরুটাকেও বাঁকা চোখে দেখার উপায় নেই। এমন শুরুতে তৃপ্তি খোঁজাটা সাধারণ ব্যাপার। তবে ‘স্পেশাল ওয়ান’ রিয়ালের পারফরম্যান্সে হতাশ!
শনিবার রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে রিয়াল জিতেছে ২-১ গোলে। জয়ে খুশি। কিন্তু দলের পারফরম্যান্স হতাশ করেছে মরিনহোকে। সোসিয়েদাদ দ্বিতীয় গোল শোধ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছিল, এটা দেখে ডাগ-আউটে দাঁড়িয়ে হতাশায় পানির বোতল ছুড়ে ফেলেছেন মাটিতে। ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘প্রথমার্ধে সোসিয়েদাদ ছিল দুর্দান্ত। দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াল মাদ্রিদ। কাজেই আমি বলব, ম্যাচে ড্রই হতো ন্যায্য ফল।’ তিন ম্যাচে পয়েন্ট হতে পারত ৯। কিন্তু প্রথম ম্যাচের ড্রতে ২ পয়েন্ট ছুটে যাওয়ায় রিয়ালের সংগ্রহ ৭, এটাও মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে মরিনহোর।
দলের পারফরম্যান্সে হতাশ। ক্ষুব্ধ লিগের সূচি নিয়ে। বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার পর শনিবারই কেন রিয়ালকে লিগ ম্যাচ খেলতে হবে? ‘বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলা দল লিগ ম্যাচ খেলবে রোববারে। কিছুতেই শনিবার নয়’—এটুকু বলেই শেষ করেননি মরিনহো। লিগ কর্তৃপক্ষের দিকে ছুড়ে দিয়েছেন পক্ষপাতের প্রশ্নও, ‘কেন হারকিউলিস-ভ্যালেন্সিয়ার ম্যাচ শনিবারে হলো না?’ বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলা বার্সেলোনাও লিগ ম্যাচ খেলেছে রোববার।
দল প্রত্যাশামতো খেলতে পারছে না এটা একটা কারণ। রিয়ালের ওপর মরিনহোর চটে যাওয়ার আরেক কারণ, সুযোগ থাকা সত্ত্বেও মরিনহোকে পর্তুগালের খণ্ডকালীন দায়িত্ব নিতে অনুমতি দেয়নি রিয়াল। অক্টোবরের যে সময়টার জন্য মরিনহোকে চেয়েছিল পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশন, তখন লিগ সাময়িক বন্ধ থাকায় রিয়ালে কোনো কাজ থাকবে না, মরিনহো থাকবেন ছুটিতে। রিয়ালের প্রতি মরিনহো ক্ষুব্ধ এ কারণেই, ‘আমি বুঝতেই পারছি না, রিয়াল কেন আমাকে পর্তুগালের কোচ হতে দিল না। যেহেতু ওই সময়টায় রিয়ালে আমার কিছুই করার থাকবে না। আমি মাদ্রিদ থেকে নয় দিনের ছুটি কাটাব, তখনই আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো হবে।’
তবে মরিনহো এই বিষয়টি এখন ভুলে যেতে পারেন। কারণ চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করে গতকালই হয়তো পর্তুগালের কোচ শূন্যতা ঘুচিয়ে ফেলেছেন স্পোর্টিং লিসবনের সাবেক কোচ পাওলো বেন্তো। ক্ষোভ-হতাশা যা-ই থাক, এরই মধ্যে মরিনহোকে নিতে হচ্ছে প্রস্তুতি। আজ মঙ্গলবারই যে এসপানিওলের বিপক্ষে রিয়ালের ম্যাচ।
No comments