বার্সাকে জিতিয়ে বাইরে মেসি
দুই দিন আগে বার্সেলোনার সংসারে তাঁর ১০ বছর পূর্ণ হয়েছে। উপলক্ষটা স্মরণীয় করতে যা করার দরকার তা-ই করছিলেন লিওনেল মেসি। প্রথমার্ধটা জুড়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের রক্ষণভাগে ত্রাস ছড়িয়েছেন। চোখ জুড়ানো গোল করে ভিসেন্তে ক্যালদেরনে বার্সেলোনার দীর্ঘকালের খরা কাটানোর পথ তৈরি করে পরের গোলটি বানিয়ে দিয়েছেন। মেসি তো ম্যাচ শেষে করবেন উৎসব!
কিসের উৎসব! ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে শুয়ে কাতরাতে হলো আর্জেন্টাইন প্লে-মেকারকে। অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে মেসি ও পিকের গোলে ২-১-এ জেতা ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট খানেক আগে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হলো। অ্যাঙ্কেলে চোট পেয়ে মেসিকে এভাবে মাঠ ছাড়তে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন কোচ পেপ গার্দিওলাও, হাড়-টাড় ভেঙে যায়নি তো!
শেষ পর্যন্ত গার্দিওলাই নিশ্চিত করেছেন, মেসির অ্যাঙ্কেল ভাঙেনি। তবে ক্লাবের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের। এই চোট সামলে আবার মাঠে ফিরতে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ লাগবে। ফলে লিগে স্পোর্টিং গিজন, রিয়াল মায়োর্কা ও অ্যাথলেটিক বিলবাও এবং চ্যাম্পিয়নস লিগে রুবিন কাজানের বিপক্ষে ম্যাচে (অ্যাওয়ে) তাঁর খেলা হবে না। অবশ্য বার্সা চিকিৎসকেরা বলছেন, মেসির উন্নতি আশাতীতও হতে পারে।
এই মেসি-চোট পাওয়ার আগেই বার্সেলোনা অবশ্য মৌসুম শুরুর চোটটা ভালোমতোই সামলে উঠেছে। মৌসুমের শুরুতেই ফুটবল-বিশ্বকে হকচকিত করে দিয়ে ন্যু ক্যাম্পে হেরে বসেছিল নবাগত দল হারকিউলিসের বিপক্ষে। তারপর চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্রিক দল প্যানাথিনাইকসকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে ক্ষততে কিছুটা প্রলেপ দিতে পেরেছিল। আর কাল পেপ গার্দিওলা পেলেন কোচিং ক্যারিয়ারের অধরা এক জয়।
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মাঠ ভিসেন্তে ক্যালদেরনে সর্বশেষ দুই সফর থেকেই হেরে ফিরেছিল বার্সা। গার্দিওলা বার্সাকে নিয়ে এক মৌসুমেই ছয়টাসহ আটটি ট্রফি জিতেছেন। কিন্তু এই ক্যালদেরন থেকে ম্যাচ জিতে ফেরার অভিজ্ঞতা তাঁর ছিল না। সেই অভিজ্ঞতাটা কাল তাঁকে উপহার দিলেন মেসি-পিকে।
ম্যাচের ১৩ মিনিটে পেদ্রোর কাছ থেকে বল পেয়ে বুটের পেছন দিক দিয়ে আলতো টোকায় আড়াআড়ি করে মেসি বল ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন জালে। ২৫ মিনিটে রাউল গার্সিয়া ম্যাচে সমতা ফিরিয়েছিলেন। সাত মিনিট পরই মেসির কর্নার থেকে আবার বার্সাকে এগিয়ে দেন পিকে।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে অ্যাটলেটিকো খেলায় ফেরার চেষ্টা করেছিল, জাভি-পেদ্রোও বার দুয়েক গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন; কিন্তু ঘটনাবিহীনই কাটল দ্বিতীয়ার্ধ। ঘটনাবিহীন! যে এক ঘটনা ঘটল, তাতেই বিমূঢ় বার্সেলোনা।
ম্যাচের শুরু থেকে বিপজ্জনক সব ট্যাকলের শিকার হতে থাকা মেসিকে কড়া চ্যালেঞ্জ করে ফেলে দেন অ্যাটলেটিকোর চেক ডিফেন্ডার টমাস উফালুসি। সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে উফালুসিকে। আর স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়তে হয় মেসিকে।
মেসির এই ইনজুরি ছাপিয়ে গেছে ম্যাচের ফলাফলকেও। অ্যাটলেটিকো কোচ কিকে ফ্লোরেসও দেখতে গিয়েছিলেন মেসিকে, তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনাও করছেন। কিন্তু এসব ভদ্র কথায় মন ভিজছে না গার্দিওলার।
মেসি ধারাবাহিকভাবে আক্রমণের শিকার হতে থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন যে রেফারিরা তাঁকে ঠিকমতো সুরক্ষা দিচ্ছেন না, ‘টিভির ফুটেজেই সব বোঝা যাচ্ছে। দুনিয়ায় শুধু ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরই সুরক্ষার দরকার আছে, ব্যাপারটা তা নয়। সব খেলোয়াড়কেই রেফারির সুরক্ষা দেওয়া উচিত।’
মেসির ওপর অ্যাটলেটিকো খেলোয়াড়দের আক্রমণে সবচেয়ে বেশি চটেছেন বার্সা ডিফেন্ডার পিকে। তিনি বলছেন, মেসিকে রীতিমতো ধাওয়া করে মারা হয়েছে, ‘আমার দুঃখই লাগছে। এখন মনে হচ্ছে, বিশ্ব ফুটবলে সবকিছুই বৈধ! মেসিকে রীতিমতো ধাওয়া করে মারা হয়েছে। এই মাপের একজন খেলোয়াড়কে আটকাতে ওরা সবকিছুই করেছে।’
কিসের উৎসব! ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে শুয়ে কাতরাতে হলো আর্জেন্টাইন প্লে-মেকারকে। অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে মেসি ও পিকের গোলে ২-১-এ জেতা ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট খানেক আগে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হলো। অ্যাঙ্কেলে চোট পেয়ে মেসিকে এভাবে মাঠ ছাড়তে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন কোচ পেপ গার্দিওলাও, হাড়-টাড় ভেঙে যায়নি তো!
শেষ পর্যন্ত গার্দিওলাই নিশ্চিত করেছেন, মেসির অ্যাঙ্কেল ভাঙেনি। তবে ক্লাবের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের। এই চোট সামলে আবার মাঠে ফিরতে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ লাগবে। ফলে লিগে স্পোর্টিং গিজন, রিয়াল মায়োর্কা ও অ্যাথলেটিক বিলবাও এবং চ্যাম্পিয়নস লিগে রুবিন কাজানের বিপক্ষে ম্যাচে (অ্যাওয়ে) তাঁর খেলা হবে না। অবশ্য বার্সা চিকিৎসকেরা বলছেন, মেসির উন্নতি আশাতীতও হতে পারে।
এই মেসি-চোট পাওয়ার আগেই বার্সেলোনা অবশ্য মৌসুম শুরুর চোটটা ভালোমতোই সামলে উঠেছে। মৌসুমের শুরুতেই ফুটবল-বিশ্বকে হকচকিত করে দিয়ে ন্যু ক্যাম্পে হেরে বসেছিল নবাগত দল হারকিউলিসের বিপক্ষে। তারপর চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্রিক দল প্যানাথিনাইকসকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে ক্ষততে কিছুটা প্রলেপ দিতে পেরেছিল। আর কাল পেপ গার্দিওলা পেলেন কোচিং ক্যারিয়ারের অধরা এক জয়।
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মাঠ ভিসেন্তে ক্যালদেরনে সর্বশেষ দুই সফর থেকেই হেরে ফিরেছিল বার্সা। গার্দিওলা বার্সাকে নিয়ে এক মৌসুমেই ছয়টাসহ আটটি ট্রফি জিতেছেন। কিন্তু এই ক্যালদেরন থেকে ম্যাচ জিতে ফেরার অভিজ্ঞতা তাঁর ছিল না। সেই অভিজ্ঞতাটা কাল তাঁকে উপহার দিলেন মেসি-পিকে।
ম্যাচের ১৩ মিনিটে পেদ্রোর কাছ থেকে বল পেয়ে বুটের পেছন দিক দিয়ে আলতো টোকায় আড়াআড়ি করে মেসি বল ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন জালে। ২৫ মিনিটে রাউল গার্সিয়া ম্যাচে সমতা ফিরিয়েছিলেন। সাত মিনিট পরই মেসির কর্নার থেকে আবার বার্সাকে এগিয়ে দেন পিকে।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে অ্যাটলেটিকো খেলায় ফেরার চেষ্টা করেছিল, জাভি-পেদ্রোও বার দুয়েক গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন; কিন্তু ঘটনাবিহীনই কাটল দ্বিতীয়ার্ধ। ঘটনাবিহীন! যে এক ঘটনা ঘটল, তাতেই বিমূঢ় বার্সেলোনা।
ম্যাচের শুরু থেকে বিপজ্জনক সব ট্যাকলের শিকার হতে থাকা মেসিকে কড়া চ্যালেঞ্জ করে ফেলে দেন অ্যাটলেটিকোর চেক ডিফেন্ডার টমাস উফালুসি। সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে উফালুসিকে। আর স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়তে হয় মেসিকে।
মেসির এই ইনজুরি ছাপিয়ে গেছে ম্যাচের ফলাফলকেও। অ্যাটলেটিকো কোচ কিকে ফ্লোরেসও দেখতে গিয়েছিলেন মেসিকে, তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনাও করছেন। কিন্তু এসব ভদ্র কথায় মন ভিজছে না গার্দিওলার।
মেসি ধারাবাহিকভাবে আক্রমণের শিকার হতে থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন যে রেফারিরা তাঁকে ঠিকমতো সুরক্ষা দিচ্ছেন না, ‘টিভির ফুটেজেই সব বোঝা যাচ্ছে। দুনিয়ায় শুধু ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরই সুরক্ষার দরকার আছে, ব্যাপারটা তা নয়। সব খেলোয়াড়কেই রেফারির সুরক্ষা দেওয়া উচিত।’
মেসির ওপর অ্যাটলেটিকো খেলোয়াড়দের আক্রমণে সবচেয়ে বেশি চটেছেন বার্সা ডিফেন্ডার পিকে। তিনি বলছেন, মেসিকে রীতিমতো ধাওয়া করে মারা হয়েছে, ‘আমার দুঃখই লাগছে। এখন মনে হচ্ছে, বিশ্ব ফুটবলে সবকিছুই বৈধ! মেসিকে রীতিমতো ধাওয়া করে মারা হয়েছে। এই মাপের একজন খেলোয়াড়কে আটকাতে ওরা সবকিছুই করেছে।’
No comments