শর্তমুক্ত বিদেশি সাহায্যের জন্য কার্যকর উদ্যোগ দাবি
‘প্যারিস ঘোষণা’ ও ‘আক্রা কর্মপরিকল্পনা’র প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের যৌথ সহায়তা কৌশল (জেসিএস) প্রণীত হলেও এতে ঘোষণার মূলনীতি ও কর্মপরিকল্পনার দিকনির্দেশনা কার্যকরভাবে প্রতিফলিত হয়নি।
আর তাই নাগরিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৃহত্তর আলোচনার ভিত্তিতে জেসিএসের ব্যাপক সংশোধন প্রয়োজন। শর্তমুক্ত বিদেশি সাহায্যের জন্য এটি হবে অন্যতম কার্যকর উদ্যোগ।
জাতিসংঘ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) ঘোষণার ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বিশ্বনেতাদের শীর্ষ বৈঠক উপলক্ষে গতকাল সোমবার ঢাকায় এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলা হয়। শীর্ষ বৈঠকটি২০-২২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এইড অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি গ্রুপ (এএজি) এবং দ্য রিয়েলিটি অব এইডের যৌথ উদ্যোগে ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে ‘যৌথ সহায়তা কৌশলের আলোকে বৈদেশিক সাহায্য ও উন্নয়ন কার্যকারিতা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এএজির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।
আলোচনা সভায় বক্তারা আরও বলেন, শুধু দাতা ও সরকারের মধ্যকার সমঝোতা নয়, বরং সরকার ও দাতাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অংশ নেন সাবেক অর্থ উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের যুগ্ম সচিব বিজন কুমার বৈশ্য, সাংসদ আনিসুল ইসলাম মণ্ডল, ডিএফআইডির ডেপুটি কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ডায়ানা ডালটন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাহায্য কার্যকারিতা-বিষয়ক অ্যাটাশে জুলিয়া জ্যাকবি, সাবেক অর্থসচিব সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী, নারীনেত্রী খুশী কবির, ডিএফআইডির সাহায্য কার্যকারিতা-বিষয়ক উপদেষ্টা বো সান্ডস্ট্রোম প্রমুখ।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন এএজির আহ্বায়ক আহমেদ স্বপন মাহমুদ ও কার্যকরী পরিষদের সদস্য অরূপ রাহী, সুপ্রর চেয়ারপারসন আবদুল আউয়াল ও পরিচালক উমা চৌধুরী, রিয়েলিটি অব এইডের প্রতিনিধি আভা ড্যানলগ প্রমুখ।
অংশগ্রহণকারীরা আলোচনায় বলেন, এক দশক আগেও বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের ৫০ শতাংশেরও বেশি আসত বৈদেশিক সাহায্য থেকে। বর্তমানে এটি জাতীয় আয়ের ২ শতাংশেরও কম। অথচ বৈদেশিক সাহায্যের শর্তের কারণে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অনেক ক্ষেত্রেই বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
বক্তারা নাগরিক সংগঠনগুলোর নিজেদের দক্ষতা বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন। কারণ, নিজেদের মধ্যে জবাবদিহি এবং সাহায্য পর্যবেক্ষণে পর্যাপ্ত দক্ষতা না থাকায় বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ উন্নয়ন ও সাহায্যের কার্যকারিতা বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারে না।
সভায় ডিএফআইডির প্রতিনিধিরা বলেন, বাংলাদেশের দারিদ্র্য হ্রাসকরণের লক্ষ্যে সরকার ও উন্নয়ন অংশীদারিদের মধ্যকার সম্পর্ক বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যেই যৌথ সহায়তা কৌশল প্রণয়ন করা হয়েছে। এটিকে যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য সরকার, দাতাগোষ্ঠী এবং নাগরিক সমাজের মধ্যে ব্যাপক সংলাপের প্রয়োজন।
বক্তাদের কেউ কেউ অভিযোগ করে বলেন, ভূমি সংস্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দাতা কিংবা সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। দাতাদের প্রধান লক্ষ্য হলো, বাণিজ্যিক স্বার্থে কাজ করা। জাতীয় সংসদে ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য থাকায় তাঁরা ব্যবসায়ীদের স্বার্থই দেখেন বলে মন্তব্য করেন অনেকে।
আর তাই নাগরিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৃহত্তর আলোচনার ভিত্তিতে জেসিএসের ব্যাপক সংশোধন প্রয়োজন। শর্তমুক্ত বিদেশি সাহায্যের জন্য এটি হবে অন্যতম কার্যকর উদ্যোগ।
জাতিসংঘ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) ঘোষণার ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বিশ্বনেতাদের শীর্ষ বৈঠক উপলক্ষে গতকাল সোমবার ঢাকায় এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলা হয়। শীর্ষ বৈঠকটি২০-২২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এইড অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি গ্রুপ (এএজি) এবং দ্য রিয়েলিটি অব এইডের যৌথ উদ্যোগে ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে ‘যৌথ সহায়তা কৌশলের আলোকে বৈদেশিক সাহায্য ও উন্নয়ন কার্যকারিতা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এএজির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।
আলোচনা সভায় বক্তারা আরও বলেন, শুধু দাতা ও সরকারের মধ্যকার সমঝোতা নয়, বরং সরকার ও দাতাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অংশ নেন সাবেক অর্থ উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের যুগ্ম সচিব বিজন কুমার বৈশ্য, সাংসদ আনিসুল ইসলাম মণ্ডল, ডিএফআইডির ডেপুটি কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ডায়ানা ডালটন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাহায্য কার্যকারিতা-বিষয়ক অ্যাটাশে জুলিয়া জ্যাকবি, সাবেক অর্থসচিব সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী, নারীনেত্রী খুশী কবির, ডিএফআইডির সাহায্য কার্যকারিতা-বিষয়ক উপদেষ্টা বো সান্ডস্ট্রোম প্রমুখ।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন এএজির আহ্বায়ক আহমেদ স্বপন মাহমুদ ও কার্যকরী পরিষদের সদস্য অরূপ রাহী, সুপ্রর চেয়ারপারসন আবদুল আউয়াল ও পরিচালক উমা চৌধুরী, রিয়েলিটি অব এইডের প্রতিনিধি আভা ড্যানলগ প্রমুখ।
অংশগ্রহণকারীরা আলোচনায় বলেন, এক দশক আগেও বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের ৫০ শতাংশেরও বেশি আসত বৈদেশিক সাহায্য থেকে। বর্তমানে এটি জাতীয় আয়ের ২ শতাংশেরও কম। অথচ বৈদেশিক সাহায্যের শর্তের কারণে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অনেক ক্ষেত্রেই বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
বক্তারা নাগরিক সংগঠনগুলোর নিজেদের দক্ষতা বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন। কারণ, নিজেদের মধ্যে জবাবদিহি এবং সাহায্য পর্যবেক্ষণে পর্যাপ্ত দক্ষতা না থাকায় বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ উন্নয়ন ও সাহায্যের কার্যকারিতা বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারে না।
সভায় ডিএফআইডির প্রতিনিধিরা বলেন, বাংলাদেশের দারিদ্র্য হ্রাসকরণের লক্ষ্যে সরকার ও উন্নয়ন অংশীদারিদের মধ্যকার সম্পর্ক বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যেই যৌথ সহায়তা কৌশল প্রণয়ন করা হয়েছে। এটিকে যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য সরকার, দাতাগোষ্ঠী এবং নাগরিক সমাজের মধ্যে ব্যাপক সংলাপের প্রয়োজন।
বক্তাদের কেউ কেউ অভিযোগ করে বলেন, ভূমি সংস্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দাতা কিংবা সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। দাতাদের প্রধান লক্ষ্য হলো, বাণিজ্যিক স্বার্থে কাজ করা। জাতীয় সংসদে ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য থাকায় তাঁরা ব্যবসায়ীদের স্বার্থই দেখেন বলে মন্তব্য করেন অনেকে।
No comments