পাকিস্তানের ইট, ইংল্যান্ডের পাটকেল
ইটের জবাব পাটকেলে নয়, রীতিমতো কামানের গোলা ছুড়ে দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ওভাল ওয়ানডে নিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ফিক্সিংয়ের নতুন অভিযোগ ওঠার পর পিসিবি প্রধান ইজাজ বাট উল্টো ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ তুলেছেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে! বাটের দাবি, বিপুল অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ওই ম্যাচ হেরেছে ইংল্যান্ড। পাকিস্তান ও পাকিস্তান ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন যাঁরা, তাঁদের মুখোশ উন্মোচন করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন পিসিবির প্রধান। অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা জবাবে ইসিবি বাটের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
দিল্লিতে আইসিসি প্রধান শারদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করে গত শনিবার দুবাই গেছেন বাট। সেখান থেকেই ক্রিকইনফো ও পাকিস্তানের টিভি চ্যানেলগুলোয় পাঠানো এক বিবৃতিতে বাট বলেছেন, ‘বাজিকরদের চক্রে পরিষ্কার শোনা যাচ্ছে, বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়ে তৃতীয় ওয়ানডেতে ইচ্ছে করেই হেরেছে ইংল্যান্ড। সেদিন ইংল্যান্ডের ইনিংসটা যে হঠাৎ করেই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল, এতে তাই অবাক হওয়ার কিছু নেই।’ ২৪১ রান তাড়া করতে গিয়ে একসময় ইংল্যান্ডের রান ছিল ৫ উইকেটে ২০১। সেখান থেকে অলআউট হয়ে যায় তারা ২১৮ রানে। বাটের ইঙ্গিত সেদিকেই।
বাটের এই পাল্টা-আক্রমণ বিশ্ব মিডিয়ায় একটা বড় চমক। সংকটে পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য জোরালো ভূমিকা রাখতে না পারায় বাটের সমালোচনাই শুধু হচ্ছে কিছুদিন ধরে। সাবেকেরা তো বটেই, দুই দিন আগে পাকিস্তানের ক্রীড়ামন্ত্রীও ধুয়ে দিয়েছেন তাঁকে। সমালোচনায় ক্ষতবিক্ষত বাট এবার চরিত্রের উল্টো দিকও দেখালেন। শুধু ইংলিশ ক্রিকেটকে নয়, বাট তোপ দেগেছেন ব্রিটিশ মিডিয়ার দিকেও, ‘আমাদের বিশ্বাস, কোনো কোনো দেশের মিডিয়া ভীষণ পক্ষপাতদুষ্ট। তারা মোটেও ঠিক কাজটা করছে না।’
‘ইংলিশ ক্রিকেটারদের জড়িত থাকার প্রমাণ কী প্রমাণ তাঁর কাছে আছে’—সাংবাদিকদের এমন বাউন্সারের জবাবেও সপাটে হুক করেছেন বাট, ‘যারা আমার ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে, আপনারা কি তাদের কাছে প্রমাণ চেয়েছিলেন? কী বলেছে তারা? প্রমাণ দিয়েছে? তারা যেমন বলেছে, তেমনি আমরাও বলছি, আমাদের কাছে ইতিবাচক প্রমাণ আছে।’ পাকিস্তানকে নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের হুমকিও দিয়েছেন বাট, ‘বাজিকর বা জুয়াড়িদের মুছে ফেলার জন্য যে, এখন যা হচ্ছে সবকিছুই পাকিস্তান ও পাকিস্তানের ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ব্যাপারটা নিয়ে নিজেরাই তদন্ত করব। শিগগিরই ষড়যন্ত্রকারীদের নাম-পরিচয় ফাঁস করে দেব। আমাদের অধিকার আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার।’
বাটের আকস্মিক আক্রমণে হকচকিত ইংল্যান্ড আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে সময় নিয়েছে প্রায় ২৪ ঘণ্টা। বাটের বক্তব্যের পর রোববার রাতেই সভায় বসেন ইসিবি চেয়ারম্যান জাইলস ক্লার্ক, প্রধান নির্বাহী ডেভিড কোলিয়ার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিউ মরিস, কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ও অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস। দলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘কোনো ইংলিশ ক্রিকেটার ম্যাচ পাতানোয় জড়িত, এমন অভিযোগ দল প্রত্যাখ্যান করছে এবং দ্ব্যর্থহীন ভাষায় নিন্দা করছে। দেশের প্রতিনিধি হিসেবে ক্রিকেটাররা তাদের দায়িত্বের প্রতি সচেতন এবং কোনো ম্যাচেই শতভাগের কম দেয় না ও দেবে না।’ স্ট্রাউসের প্রতিক্রিয়া ছিল আরও কড়া, ‘বাটের বক্তব্যে আমরা বিস্মিত, হতাশ ও মর্মাহত। ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের সততা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় আমরা হতাশ। এমন ভ্রান্ত অভিযোগ আমরা প্রত্যাখ্যান করছি এবং আইনি ব্যবস্থা নিতে ইসিবির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব।’
ক্ষুব্ধ ইংলিশ ক্রিকেটাররা সিরিজটা আর খেলতেই চাননি। কিন্তু ‘ক্রিকেটের বৃহত্তর স্বার্থে’ খেলতে রাজি হয়েছেন। তবে দুই দলের সম্পর্কের চরম অবনতি হয়েছে। পাকিস্তানকে ‘হোম’ ভেন্যু সুবিধা দেওয়া ইসিবি এখন মুখোমুখি পিসিবির। পাকিস্তান-ইংল্যান্ড মাঠের লড়াই শেষ হওয়ার পথে, কিন্তু মাঠের বাইরের লড়াই বুঝি এই শুরু হলো!
দিল্লিতে আইসিসি প্রধান শারদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করে গত শনিবার দুবাই গেছেন বাট। সেখান থেকেই ক্রিকইনফো ও পাকিস্তানের টিভি চ্যানেলগুলোয় পাঠানো এক বিবৃতিতে বাট বলেছেন, ‘বাজিকরদের চক্রে পরিষ্কার শোনা যাচ্ছে, বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়ে তৃতীয় ওয়ানডেতে ইচ্ছে করেই হেরেছে ইংল্যান্ড। সেদিন ইংল্যান্ডের ইনিংসটা যে হঠাৎ করেই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল, এতে তাই অবাক হওয়ার কিছু নেই।’ ২৪১ রান তাড়া করতে গিয়ে একসময় ইংল্যান্ডের রান ছিল ৫ উইকেটে ২০১। সেখান থেকে অলআউট হয়ে যায় তারা ২১৮ রানে। বাটের ইঙ্গিত সেদিকেই।
বাটের এই পাল্টা-আক্রমণ বিশ্ব মিডিয়ায় একটা বড় চমক। সংকটে পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য জোরালো ভূমিকা রাখতে না পারায় বাটের সমালোচনাই শুধু হচ্ছে কিছুদিন ধরে। সাবেকেরা তো বটেই, দুই দিন আগে পাকিস্তানের ক্রীড়ামন্ত্রীও ধুয়ে দিয়েছেন তাঁকে। সমালোচনায় ক্ষতবিক্ষত বাট এবার চরিত্রের উল্টো দিকও দেখালেন। শুধু ইংলিশ ক্রিকেটকে নয়, বাট তোপ দেগেছেন ব্রিটিশ মিডিয়ার দিকেও, ‘আমাদের বিশ্বাস, কোনো কোনো দেশের মিডিয়া ভীষণ পক্ষপাতদুষ্ট। তারা মোটেও ঠিক কাজটা করছে না।’
‘ইংলিশ ক্রিকেটারদের জড়িত থাকার প্রমাণ কী প্রমাণ তাঁর কাছে আছে’—সাংবাদিকদের এমন বাউন্সারের জবাবেও সপাটে হুক করেছেন বাট, ‘যারা আমার ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে, আপনারা কি তাদের কাছে প্রমাণ চেয়েছিলেন? কী বলেছে তারা? প্রমাণ দিয়েছে? তারা যেমন বলেছে, তেমনি আমরাও বলছি, আমাদের কাছে ইতিবাচক প্রমাণ আছে।’ পাকিস্তানকে নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের হুমকিও দিয়েছেন বাট, ‘বাজিকর বা জুয়াড়িদের মুছে ফেলার জন্য যে, এখন যা হচ্ছে সবকিছুই পাকিস্তান ও পাকিস্তানের ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ব্যাপারটা নিয়ে নিজেরাই তদন্ত করব। শিগগিরই ষড়যন্ত্রকারীদের নাম-পরিচয় ফাঁস করে দেব। আমাদের অধিকার আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার।’
বাটের আকস্মিক আক্রমণে হকচকিত ইংল্যান্ড আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে সময় নিয়েছে প্রায় ২৪ ঘণ্টা। বাটের বক্তব্যের পর রোববার রাতেই সভায় বসেন ইসিবি চেয়ারম্যান জাইলস ক্লার্ক, প্রধান নির্বাহী ডেভিড কোলিয়ার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিউ মরিস, কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ও অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস। দলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘কোনো ইংলিশ ক্রিকেটার ম্যাচ পাতানোয় জড়িত, এমন অভিযোগ দল প্রত্যাখ্যান করছে এবং দ্ব্যর্থহীন ভাষায় নিন্দা করছে। দেশের প্রতিনিধি হিসেবে ক্রিকেটাররা তাদের দায়িত্বের প্রতি সচেতন এবং কোনো ম্যাচেই শতভাগের কম দেয় না ও দেবে না।’ স্ট্রাউসের প্রতিক্রিয়া ছিল আরও কড়া, ‘বাটের বক্তব্যে আমরা বিস্মিত, হতাশ ও মর্মাহত। ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের সততা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় আমরা হতাশ। এমন ভ্রান্ত অভিযোগ আমরা প্রত্যাখ্যান করছি এবং আইনি ব্যবস্থা নিতে ইসিবির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব।’
ক্ষুব্ধ ইংলিশ ক্রিকেটাররা সিরিজটা আর খেলতেই চাননি। কিন্তু ‘ক্রিকেটের বৃহত্তর স্বার্থে’ খেলতে রাজি হয়েছেন। তবে দুই দলের সম্পর্কের চরম অবনতি হয়েছে। পাকিস্তানকে ‘হোম’ ভেন্যু সুবিধা দেওয়া ইসিবি এখন মুখোমুখি পিসিবির। পাকিস্তান-ইংল্যান্ড মাঠের লড়াই শেষ হওয়ার পথে, কিন্তু মাঠের বাইরের লড়াই বুঝি এই শুরু হলো!
No comments