ইরাকি কারাগারে নির্বিচারে নির্যাতন চলছে
ইরাকি কারাগারগুলোতে বিনাবিচারে হাজার হাজার মানুষ আটক রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থার নতুন একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সেখানে শারীরিক ও মানসিকসহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন চালানো হচ্ছে বন্দিদের ওপর।
গতকাল সোমবার অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, তাদের হিসাব অনুযায়ী প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বন্দী আছে ইরাকি কারাগারে। কারাগারেই নির্যাতনের শিকার হয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে।
অ্যামনেস্টির মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা শাখার পরিচালক ম্যালকম স্মার্ট বলেন, ‘ইরাকি নিরাপত্তাবাহিনী বন্দিদের অধিকার লঙ্ঘন করছে এবং দায়মুক্তির কারণে তাঁরা যা খুশি তাই করতে পারছে।’
ম্যালকম স্মার্ট আরও বলেন, মার্কিন বাহিনী তাদের হাতে বন্দী হাজার হাজার মানুষকে এখন ইরাকি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায় থেকে মুক্তি পেতে চাইছে। আর এসব বন্দি নতুন করে ইরাকি বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে অন্য অনেক বিষয়ের সঙ্গে এ কথাও বলা হয়েছে যে স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য অনেক বন্দিকে নির্যাতন করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইরাকি কর্তৃপক্ষকে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে...। তাদের এটা দেখাতে হবে যে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে সব ইরাকি নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষার রাজনৈতিক সদিচ্ছা তাদের আছে এবং কারাবন্দিদের ওপর নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে হবে।’
কারাগারে নির্যাতন এবং মৃত্যুর অনেকগুলো দৃষ্টান্ত উল্লেখ করা হয়েছে অ্যামনেস্টির ৫৯ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে।
রিয়াদ মোহাম্মদ সালেহ আল-ওকায়বিকে আটক করা হয় গত বছরের সেপ্টেম্বরে। এরপর প্রথমে তাঁকে রাখা হয় বাগদাদের সুরক্ষিত গ্রিন জোনের একটি কারাগারে। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় বাগদাদেরই গোপন একটি কারাগারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘জিজ্ঞাসাবাদের সময় সালেহ আল-ওকায়বিকে এমনভাবে পেটানো হয় যে তাঁর পাঁজরের হাড় ভেঙে যায় এবং যকৃত নষ্ট হয়ে যায়। রক্তক্ষরণে ১২ অথবা ১৩ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান।’
অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, মোটা তার ও লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে হাড়গোড় ভেঙে দেওয়া, ড্রিলমেশিন দিয়ে শরীরে ছিদ্র করা এবং ধর্ষণের হুমকিসহ বিভিন্নভাবে বন্দিদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে।
ইরাকের বিচার, স্বরাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিজেদের আলাদা আলাদা বন্দিশালা আছে এবং সব জায়গাতেই বন্দিদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ গত এপ্রিলে জানায়, বাগদাদে গোপন কারাগারে বন্দিদের ধর্ষণ, বৈদ্যুতিক শক এবং পেটানোসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে।
গত জুলাইতে মার্কিন বাহিনীর কাছ থেকে সব কারাগার এবং বন্দিশালার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেয় ইরাকি কর্তৃপক্ষ। ১৫ জুলাই সর্বশেষ কারাগারটির দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ইরাকের বিচারমন্ত্রী দারা নূরেদ্দিন দারা বলেছিলেন, ‘কারাগারে বন্দিদের ওপর অত্যাচার নির্যাতনের দিন শেষ। কারও বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে তাকে শাস্তি দেব।’
গতকাল সোমবার অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, তাদের হিসাব অনুযায়ী প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বন্দী আছে ইরাকি কারাগারে। কারাগারেই নির্যাতনের শিকার হয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে।
অ্যামনেস্টির মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা শাখার পরিচালক ম্যালকম স্মার্ট বলেন, ‘ইরাকি নিরাপত্তাবাহিনী বন্দিদের অধিকার লঙ্ঘন করছে এবং দায়মুক্তির কারণে তাঁরা যা খুশি তাই করতে পারছে।’
ম্যালকম স্মার্ট আরও বলেন, মার্কিন বাহিনী তাদের হাতে বন্দী হাজার হাজার মানুষকে এখন ইরাকি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায় থেকে মুক্তি পেতে চাইছে। আর এসব বন্দি নতুন করে ইরাকি বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে অন্য অনেক বিষয়ের সঙ্গে এ কথাও বলা হয়েছে যে স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য অনেক বন্দিকে নির্যাতন করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইরাকি কর্তৃপক্ষকে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে...। তাদের এটা দেখাতে হবে যে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে সব ইরাকি নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষার রাজনৈতিক সদিচ্ছা তাদের আছে এবং কারাবন্দিদের ওপর নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে হবে।’
কারাগারে নির্যাতন এবং মৃত্যুর অনেকগুলো দৃষ্টান্ত উল্লেখ করা হয়েছে অ্যামনেস্টির ৫৯ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে।
রিয়াদ মোহাম্মদ সালেহ আল-ওকায়বিকে আটক করা হয় গত বছরের সেপ্টেম্বরে। এরপর প্রথমে তাঁকে রাখা হয় বাগদাদের সুরক্ষিত গ্রিন জোনের একটি কারাগারে। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় বাগদাদেরই গোপন একটি কারাগারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘জিজ্ঞাসাবাদের সময় সালেহ আল-ওকায়বিকে এমনভাবে পেটানো হয় যে তাঁর পাঁজরের হাড় ভেঙে যায় এবং যকৃত নষ্ট হয়ে যায়। রক্তক্ষরণে ১২ অথবা ১৩ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান।’
অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, মোটা তার ও লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে হাড়গোড় ভেঙে দেওয়া, ড্রিলমেশিন দিয়ে শরীরে ছিদ্র করা এবং ধর্ষণের হুমকিসহ বিভিন্নভাবে বন্দিদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে।
ইরাকের বিচার, স্বরাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিজেদের আলাদা আলাদা বন্দিশালা আছে এবং সব জায়গাতেই বন্দিদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ গত এপ্রিলে জানায়, বাগদাদে গোপন কারাগারে বন্দিদের ধর্ষণ, বৈদ্যুতিক শক এবং পেটানোসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে।
গত জুলাইতে মার্কিন বাহিনীর কাছ থেকে সব কারাগার এবং বন্দিশালার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেয় ইরাকি কর্তৃপক্ষ। ১৫ জুলাই সর্বশেষ কারাগারটির দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ইরাকের বিচারমন্ত্রী দারা নূরেদ্দিন দারা বলেছিলেন, ‘কারাগারে বন্দিদের ওপর অত্যাচার নির্যাতনের দিন শেষ। কারও বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে তাকে শাস্তি দেব।’
No comments