ইরফানের ওপর চটেছেন আফ্রিদি
পাঁচ ম্যাচের সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচেই ইংল্যান্ডের জয়। সিরিজ তো তা হলে শেষই! তবে শহীদ আফ্রিদি আগেই পরাজয় মেনে নেওয়ার লোক নন। বিতর্কে জেরবার দলকে উজ্জীবিত করতে পাকিস্তান-অধিনায়ক বলতে পারেন, ‘হারলেই কী, আমরা তো ক্রমেই উন্নতি করছি।’
তা অবশ্য করছে পাকিস্তান। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে লজ্জাজনক পরাজয়ের পর ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে একটু ভালো করেছে, দ্বিতীয় ম্যাচে আরও ভালো। গত শুক্রবার চেস্টার লি স্ট্রিটে প্রথম ওয়ানডেতে বৃষ্টির কারণে ৪১ ওভারে কমে আসা ম্যাচে ইংল্যান্ডের ২৭৪ রান তাড়া করতে নেমে ২৪ রানে হেরেছিল পাকিস্তান। ওপেনিংয়ে নেমে স্টিভ ডেভিসের ৬৭ বলে ৮৭ রানের ইনিংসটিই বড় ভূমিকা রেখেছে ইংল্যান্ডের জয়ে।
রোববার লিডসে দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তান হেরেছে ৪ উইকেটে। তবে এটি যা বোঝাচ্ছে, ম্যাচটি ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। কিছু ব্যাপার একটু এদিক-ওদিক হলে তিন বল বাকি থাকতে শেষ হওয়া ম্যাচটিতে পাকিস্তান এমনকি জিতেও যেতে পারত। কামরান আকমল (৭২ বলে ৭৪) ও মোহাম্মদ হাফিজের (৬৮ বলে ৪৩) ১২২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ভর করে ২৯৪ রান করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু এটিও জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের সেঞ্চুরির কারণে। ১৩৪ বলে ১২৬ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন স্ট্রাউস। জোনাথন ট্রটের (৫৩) সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে তাঁর ১৪৬ রানের জুটিটিই গড়ে দিয়েছে ইংল্যান্ডের জয়ের ভিত্তি।
তবে ওই যে একটু এদিক-ওদিক হওয়ার কথা বলা হলো, সেটি মূলত স্ট্রাউসের ইনিংস সম্পর্কেই। ৩৮ রানে শোয়েব আখতারের বলে কট বিহাইন্ড হয়েও বেঁচে গেছেন আম্পায়ার বিলি ডকট্রোভের ভুলের কারণে। ম্যাচের পর যেটি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ওয়ানডেতেও রিভিউ পদ্ধতি প্রবর্তনের দাবি তুলেছেন আফ্রিদি। ‘ক্রিকেটে এখন এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি জানি, টি-টোয়েন্টিতে যথেষ্ট সময় নেই, কিন্তু ওয়ানডেতে তো সেই সমস্যা নেই।’ স্ট্রাউসের প্রতিক্রিয়া অবশ্য অনুমিতই, ‘বলটা আমার গ্লাভসে লেগেছে কি না, আমি নিশ্চিত নই। তা ছাড়া সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তো আম্পায়ার আছেন।’
এসব কথা অবশ্য উঠতই না, যদি মোহাম্মদ ইরফান শর্ট ফাইন লেগে স্ট্রাউসের সহজ ক্যাচটা ফেলে না দিতেন। স্ট্রাউসের রান তখন মাত্র ২৩। পাকিস্তানের বহুল আলোচিত সাত ফুটি পেসারের অভিষেক হয়েছে সিরিজের প্রথম ম্যাচে। ষষ্ঠ ওভার বোলিং করার সময় পেশিতে টান পড়ায় বেরিয়ে গেছেন মাঠ থেকে। এর আগে ৩৭ রান দিয়ে কোনো উইকেট নেই। দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ ওভারে ৪০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য, ওই ক্যাচ ফেলার পর এ দিনও খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছেড়েছেন। শহীদ আফ্রিদির মেজাজটা রীতিমতো সপ্তমে উঠে গেছে এতেই। কোনো কূটনীতির ধার না ধেরে ম্যাচ-উত্তর সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমি ওর ব্যাপারে সত্যিই খুব হতাশ। ক্রিকেটে শুধু ব্যাটিং আর বোলিং নয়, এখন ফিল্ডিংও খুব গুরুত্বপূর্ণ।’ ফিল্ডিংয়ে উন্নতি না করলে ইরফানকে আর না খেলানোর ঘোষণাও একরকম দিয়ে দিয়েছেন এরপর।
সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি হবে আগামী শুক্রবার। এএফপি।
প্রথম ওয়ানডে
ইংল্যান্ড: ৪১ ওভারে ২৭৪/৬ (ডেভিস ৮৭, ট্রট ৬৯, স্ট্রাউস ৪১, বোপারা ৩৫*; আজমল ৪/৫৮, আফ্রিদি ১/৫২)
পাকিস্তান: ৪১ ওভারে ২৫০/৯ (কামরান ৫৩, উমর ৪৩, ফাওয়াদ ৩৯, হাফিজ ৩০; অ্যান্ডারসন ২/৩৫, ইয়ার্ডি ২/৪৯, সোয়ান ২/৫০, ব্রেসনান ২/৬১, ব্রড ১/৫৪)
ফল: ইংল্যান্ড ২৪ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: স্টিভ ডেভিস
দ্বিতীয় ওয়ানডে
পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ২৯৪/৮ (কামরান ৭৪, আসাদ ৫০, ইউসুফ ৪৬, হাফিজ ৪৩; ব্রড ৪/৮১, ব্রেসনান ১/৫৩, অ্যান্ডারসন ১/৩৬, সোয়ান ১/৪৩, কলিংউড ১/২৬)।
ইংল্যান্ড: ৪৯.৩ ওভারে ২৯৫/৬ (স্ট্রাউস ১২৬, ট্রট ৫৩; আজমল ২/৫২, শোয়েব ১/৪৯, গুল ১/৫৯, আফ্রিদি ১/৫৯, ইরফান ০/৪০, হাফিজ ০/৩৩)।
ফল: ইংল্যান্ড ৪ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস
তা অবশ্য করছে পাকিস্তান। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে লজ্জাজনক পরাজয়ের পর ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে একটু ভালো করেছে, দ্বিতীয় ম্যাচে আরও ভালো। গত শুক্রবার চেস্টার লি স্ট্রিটে প্রথম ওয়ানডেতে বৃষ্টির কারণে ৪১ ওভারে কমে আসা ম্যাচে ইংল্যান্ডের ২৭৪ রান তাড়া করতে নেমে ২৪ রানে হেরেছিল পাকিস্তান। ওপেনিংয়ে নেমে স্টিভ ডেভিসের ৬৭ বলে ৮৭ রানের ইনিংসটিই বড় ভূমিকা রেখেছে ইংল্যান্ডের জয়ে।
রোববার লিডসে দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তান হেরেছে ৪ উইকেটে। তবে এটি যা বোঝাচ্ছে, ম্যাচটি ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। কিছু ব্যাপার একটু এদিক-ওদিক হলে তিন বল বাকি থাকতে শেষ হওয়া ম্যাচটিতে পাকিস্তান এমনকি জিতেও যেতে পারত। কামরান আকমল (৭২ বলে ৭৪) ও মোহাম্মদ হাফিজের (৬৮ বলে ৪৩) ১২২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ভর করে ২৯৪ রান করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু এটিও জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের সেঞ্চুরির কারণে। ১৩৪ বলে ১২৬ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন স্ট্রাউস। জোনাথন ট্রটের (৫৩) সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে তাঁর ১৪৬ রানের জুটিটিই গড়ে দিয়েছে ইংল্যান্ডের জয়ের ভিত্তি।
তবে ওই যে একটু এদিক-ওদিক হওয়ার কথা বলা হলো, সেটি মূলত স্ট্রাউসের ইনিংস সম্পর্কেই। ৩৮ রানে শোয়েব আখতারের বলে কট বিহাইন্ড হয়েও বেঁচে গেছেন আম্পায়ার বিলি ডকট্রোভের ভুলের কারণে। ম্যাচের পর যেটি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ওয়ানডেতেও রিভিউ পদ্ধতি প্রবর্তনের দাবি তুলেছেন আফ্রিদি। ‘ক্রিকেটে এখন এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি জানি, টি-টোয়েন্টিতে যথেষ্ট সময় নেই, কিন্তু ওয়ানডেতে তো সেই সমস্যা নেই।’ স্ট্রাউসের প্রতিক্রিয়া অবশ্য অনুমিতই, ‘বলটা আমার গ্লাভসে লেগেছে কি না, আমি নিশ্চিত নই। তা ছাড়া সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তো আম্পায়ার আছেন।’
এসব কথা অবশ্য উঠতই না, যদি মোহাম্মদ ইরফান শর্ট ফাইন লেগে স্ট্রাউসের সহজ ক্যাচটা ফেলে না দিতেন। স্ট্রাউসের রান তখন মাত্র ২৩। পাকিস্তানের বহুল আলোচিত সাত ফুটি পেসারের অভিষেক হয়েছে সিরিজের প্রথম ম্যাচে। ষষ্ঠ ওভার বোলিং করার সময় পেশিতে টান পড়ায় বেরিয়ে গেছেন মাঠ থেকে। এর আগে ৩৭ রান দিয়ে কোনো উইকেট নেই। দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ ওভারে ৪০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য, ওই ক্যাচ ফেলার পর এ দিনও খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছেড়েছেন। শহীদ আফ্রিদির মেজাজটা রীতিমতো সপ্তমে উঠে গেছে এতেই। কোনো কূটনীতির ধার না ধেরে ম্যাচ-উত্তর সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমি ওর ব্যাপারে সত্যিই খুব হতাশ। ক্রিকেটে শুধু ব্যাটিং আর বোলিং নয়, এখন ফিল্ডিংও খুব গুরুত্বপূর্ণ।’ ফিল্ডিংয়ে উন্নতি না করলে ইরফানকে আর না খেলানোর ঘোষণাও একরকম দিয়ে দিয়েছেন এরপর।
সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি হবে আগামী শুক্রবার। এএফপি।
প্রথম ওয়ানডে
ইংল্যান্ড: ৪১ ওভারে ২৭৪/৬ (ডেভিস ৮৭, ট্রট ৬৯, স্ট্রাউস ৪১, বোপারা ৩৫*; আজমল ৪/৫৮, আফ্রিদি ১/৫২)
পাকিস্তান: ৪১ ওভারে ২৫০/৯ (কামরান ৫৩, উমর ৪৩, ফাওয়াদ ৩৯, হাফিজ ৩০; অ্যান্ডারসন ২/৩৫, ইয়ার্ডি ২/৪৯, সোয়ান ২/৫০, ব্রেসনান ২/৬১, ব্রড ১/৫৪)
ফল: ইংল্যান্ড ২৪ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: স্টিভ ডেভিস
দ্বিতীয় ওয়ানডে
পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ২৯৪/৮ (কামরান ৭৪, আসাদ ৫০, ইউসুফ ৪৬, হাফিজ ৪৩; ব্রড ৪/৮১, ব্রেসনান ১/৫৩, অ্যান্ডারসন ১/৩৬, সোয়ান ১/৪৩, কলিংউড ১/২৬)।
ইংল্যান্ড: ৪৯.৩ ওভারে ২৯৫/৬ (স্ট্রাউস ১২৬, ট্রট ৫৩; আজমল ২/৫২, শোয়েব ১/৪৯, গুল ১/৫৯, আফ্রিদি ১/৫৯, ইরফান ০/৪০, হাফিজ ০/৩৩)।
ফল: ইংল্যান্ড ৪ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস
No comments