ফিরলেন শাহরিয়ার নাফীস
সর্বশেষ আন্তর্জাতিক এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন প্রায় সোয়া দুই বছর আগে। তারপর বুড়িগঙ্গায় অনেক জল গড়িয়েছে। আইসিএলে গিয়ে নিষিদ্ধ হয়েছেন, আইসিএল থেকে ফিরে ক্ষমাও পেয়েছেন, টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছেন; কিন্তু ওয়ানডে খেলার সুযোগ পাননি শাহরিয়ার নাফীস। অবশেষে পেতে যাচ্ছেন সেই সুযোগ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের বাংলাদেশ দলে ডাক পেয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
খবরটা পেয়ে পরপর কয়েকটা শব্দ উচ্চারণ করলেন শাহরিয়ার, ‘আনন্দিত, বিস্মিত, অভিভূত’। এর পরই একটু থমকে বললেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকও’! কেন? কারণ শাহরিয়ার নাফীসও জানেন, তিনি দলে এসেছেন হাতে অস্ত্রোপচার করিয়ে তামিম ইকবাল মাঠের বাইরে ছিটকে পড়ায়। নিজের আনন্দের পাশাপাশি তাই তামিমের জন্য সমবেদনাও জানালেন, ‘তামিম না থাকাটা দলের জন্য খুব দুর্ভাগ্যজনক, কারণ ও এখন দেশের সেরা ব্যাটসম্যান।’
অনুমিতভাবেই কাল ঘোষিত ১৪ সদস্যের দলের অধিনায়ক হিসেবে বহাল আছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তামিম নেই, নাফীস আছেন—এর বাইরে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, মোহাম্মদ আশরাফুলের আবার বাদ পড়া।
আশরাফুল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও ছিলেন না। তবে রকিবুল হাসান চোট পাওয়ার পর হঠাৎ ইংল্যান্ডে উড়ে যেতে হয়েছিল তাঁকে। যুক্তরাজ্য সফরেও বলার মতো কিছু করতে না পারায় এবারও দলে জায়গা হলো না।
আশরাফুলের দলে না থাকার বিষয়ে প্রধান নির্বাচক রফিকুল আলম ব্যাখ্যা দিলেন, ‘আশরাফুল আমাদের দেশের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। তাকে আমরা দলের সঙ্গে চাই। কিন্তু পারফরম্যান্সের কারণেই সে বাদ পড়েছে। আশা করি, সে পারফর্ম করেই দলে ফিরবে।’ মুখে অন্তত প্রধান নির্বাচকের সঙ্গে খুব দ্বিমত পোষণ করলেন না আশরাফুল, ‘আমি বছর দুয়েক ধরে মোটেও ভালো খেলতে পারছি না। সম্ভবত এটাই আমার প্রাপ্য ছিল।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন সৈয়দ রাসেল, ফয়সাল হোসেন ও নাজমুল হোসেন। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই প্রধান নির্বাচকের বক্তব্য, ‘পারফরম্যান্স ও টিম কম্বিনেশন’ মিলিয়ে দলে জায়গা হয়নি তাদের।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে এই সিরিজে তামিম ইকবালকে না পাওয়াটাই হয়ে উঠছে সবচেয়ে বড়। গত কিছু দিন বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের প্রাণভোমরা হয়ে আছেন তামিম। তাঁকে হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বড় কিছু করে ফেলার স্বপ্ন বড় একটা ধাক্কাই খেল। মাশরাফিও এটিকে বড় একটা দুঃসংবাদ হিসেবেই দেখছেন, ‘তামিম যে মাপের ব্যাটসম্যান, তাতে যেকোনো দলের অধিনায়কই ওর মতো ব্যাটসম্যান দলে না থাকলে আঁতকে উঠবে। ওর অভাব পূরণ করা সহজ নয়। তবে আমি আশাবাদী, শাহরিয়ার নাফীস তা করতে পারবে। সে এই যোগ্যতা আগেই প্রমাণ করেছে।’
কথাটা বলে মাশরাফি শাহরিয়ার নাফীসের যে সময়ের দিকে ইঙ্গিত করলেন, সেটি যেন এক দূর অতীতের গল্প। নাফীস এবারের পাওয়া সুযোগটাকে কাজে লাগাতে চান। সেই ২০০৬-০৭ সালের রানের ফোয়ারা ছোটানো নাফীসকে ফেরাতে চান, ‘সুযোগটা কোনোভাবেই নষ্ট করা চলবে না। নিজের জায়গাটা শক্ত করতে হবে, আমার ওপর দলের ভরসার প্রতিদান দিতে চাই।’
প্রধান নির্বাচক রফিকুল আলমের কথাও বুঝিয়ে দিল নাফীসের ওপর তাঁদের কতখানি ভরসা, ‘তামিমের অপারেশনের জন্যই ও সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু ওর নিজের পরিসংখ্যানও কিন্তু অসাধারণ। আশা করি, ও নিজেকে প্রমাণ করবে।’
শুধু নাফীস কেন, বাংলাদেশের সব ক্রিকেটারই এই সিরিজকে নিজেকে প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নেবেন। সামনেই যে বিশ্বকাপ!
খবরটা পেয়ে পরপর কয়েকটা শব্দ উচ্চারণ করলেন শাহরিয়ার, ‘আনন্দিত, বিস্মিত, অভিভূত’। এর পরই একটু থমকে বললেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকও’! কেন? কারণ শাহরিয়ার নাফীসও জানেন, তিনি দলে এসেছেন হাতে অস্ত্রোপচার করিয়ে তামিম ইকবাল মাঠের বাইরে ছিটকে পড়ায়। নিজের আনন্দের পাশাপাশি তাই তামিমের জন্য সমবেদনাও জানালেন, ‘তামিম না থাকাটা দলের জন্য খুব দুর্ভাগ্যজনক, কারণ ও এখন দেশের সেরা ব্যাটসম্যান।’
অনুমিতভাবেই কাল ঘোষিত ১৪ সদস্যের দলের অধিনায়ক হিসেবে বহাল আছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তামিম নেই, নাফীস আছেন—এর বাইরে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, মোহাম্মদ আশরাফুলের আবার বাদ পড়া।
আশরাফুল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও ছিলেন না। তবে রকিবুল হাসান চোট পাওয়ার পর হঠাৎ ইংল্যান্ডে উড়ে যেতে হয়েছিল তাঁকে। যুক্তরাজ্য সফরেও বলার মতো কিছু করতে না পারায় এবারও দলে জায়গা হলো না।
আশরাফুলের দলে না থাকার বিষয়ে প্রধান নির্বাচক রফিকুল আলম ব্যাখ্যা দিলেন, ‘আশরাফুল আমাদের দেশের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। তাকে আমরা দলের সঙ্গে চাই। কিন্তু পারফরম্যান্সের কারণেই সে বাদ পড়েছে। আশা করি, সে পারফর্ম করেই দলে ফিরবে।’ মুখে অন্তত প্রধান নির্বাচকের সঙ্গে খুব দ্বিমত পোষণ করলেন না আশরাফুল, ‘আমি বছর দুয়েক ধরে মোটেও ভালো খেলতে পারছি না। সম্ভবত এটাই আমার প্রাপ্য ছিল।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন সৈয়দ রাসেল, ফয়সাল হোসেন ও নাজমুল হোসেন। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই প্রধান নির্বাচকের বক্তব্য, ‘পারফরম্যান্স ও টিম কম্বিনেশন’ মিলিয়ে দলে জায়গা হয়নি তাদের।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে এই সিরিজে তামিম ইকবালকে না পাওয়াটাই হয়ে উঠছে সবচেয়ে বড়। গত কিছু দিন বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের প্রাণভোমরা হয়ে আছেন তামিম। তাঁকে হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বড় কিছু করে ফেলার স্বপ্ন বড় একটা ধাক্কাই খেল। মাশরাফিও এটিকে বড় একটা দুঃসংবাদ হিসেবেই দেখছেন, ‘তামিম যে মাপের ব্যাটসম্যান, তাতে যেকোনো দলের অধিনায়কই ওর মতো ব্যাটসম্যান দলে না থাকলে আঁতকে উঠবে। ওর অভাব পূরণ করা সহজ নয়। তবে আমি আশাবাদী, শাহরিয়ার নাফীস তা করতে পারবে। সে এই যোগ্যতা আগেই প্রমাণ করেছে।’
কথাটা বলে মাশরাফি শাহরিয়ার নাফীসের যে সময়ের দিকে ইঙ্গিত করলেন, সেটি যেন এক দূর অতীতের গল্প। নাফীস এবারের পাওয়া সুযোগটাকে কাজে লাগাতে চান। সেই ২০০৬-০৭ সালের রানের ফোয়ারা ছোটানো নাফীসকে ফেরাতে চান, ‘সুযোগটা কোনোভাবেই নষ্ট করা চলবে না। নিজের জায়গাটা শক্ত করতে হবে, আমার ওপর দলের ভরসার প্রতিদান দিতে চাই।’
প্রধান নির্বাচক রফিকুল আলমের কথাও বুঝিয়ে দিল নাফীসের ওপর তাঁদের কতখানি ভরসা, ‘তামিমের অপারেশনের জন্যই ও সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু ওর নিজের পরিসংখ্যানও কিন্তু অসাধারণ। আশা করি, ও নিজেকে প্রমাণ করবে।’
শুধু নাফীস কেন, বাংলাদেশের সব ক্রিকেটারই এই সিরিজকে নিজেকে প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নেবেন। সামনেই যে বিশ্বকাপ!
No comments