ব্লেয়ারের ওপর ক্ষুব্ধ ম্যান্ডেলা বললেন, ‘এটা মস্ত বড় ভুল’
ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার ইরাক অভিযানে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় নেলসন ম্যান্ডেলা এতটাই রেগে গিয়েছিলেন যে ব্রিটিশ এক মন্ত্রীকে ফোন করে তিনি কড়া ভাষায় এর প্রতিবাদ জানান।
গতকাল সোমবার প্রকাশিত ব্রিটিশ লেবার দলের সাংসদ পিটার হেইনের লেখা দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বর্ণবাদবিরোধী নেতা ম্যান্ডেলার জীবনী গ্রন্থে এ কথা বলা হয়েছে।
পিটার হেইন লিখেছেন, ২০০৩ সালে ইরাক অভিযানের পর ম্যান্ডেলা তাঁকে ফোন করেন। পিটার তখন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ছিলেন। পিটার হেইনের ভাষায়, ‘তিনি (ম্যান্ডেলা) আমাকে বলেন, পিটার এটা বড় ভুল, মস্ত বড় ভুল। এটা ঠিক নয়। টনি ব্লেয়ার আফ্রিকাকে কত সাহায্য-সহযোগিতা করছেন আর তিনিই এমন কেন করছেন। আন্তর্জাতিকভাবে এতে করে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।’
পিটার হেইন আরও লিখেছেন, ‘ম্যান্ডেলার কণ্ঠে এতটা ক্ষোভ ও হতাশা আমি কখনো শুনিনি। তিনি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলেন, প্রধানমন্ত্রী ব্লেয়ার এবং মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হিসেবে আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তা চরম ভুল। তিনি আমাকে বললেন, টনি ব্লেয়ার এবং আমাদের সরকার বিশ্বজুড়ে যত ভালো কাজ করেছি, তা সব ধ্বংস হয়ে যাবে এই সিদ্ধান্তে।’
পিটার হেইন লিখেছেন, ‘আফ্রিকার জন্য সাহায্য ও উন্নয়ন-সহযোগিতার জন্য তিনি সব সময় আমাদের সরকারের প্রশংসা করে এসেছেন। সেই তিনি স্পষ্টভাবে বলে দিলেন, ইরাক অভিযানের ফলে আমাদের সব অবদান জলে ধুয়ে যাবে।’
‘নেলসন ম্যান্ডেলাকে আমি ভালোভাবেই চিনি। ফোন ধরার পর থেকে আমার মনে হয়েছে, তাঁর নিঃশ্বাসে আগুন ঝরছে এবং তিনি প্রতারিত বোধ করছেন। এটা খুবই পীড়াদায়ক।’ লিখেছেন পিটার হেইন।
তৎকালীন লেবার মন্ত্রী জানান, ম্যান্ডেলাকে তিনি বলেছিলেন তাঁর এই অনুভূতিকে তিনি সম্মান জানান, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ব্লেয়ার নিজের মর্জিমাফিক সবকিছু করছেন।
পিটার হেইন লিখেছেন, ‘আমার মনে হয়, আমি তাঁকে বলেছিলাম, সিদ্ধান্তটা ভুল না ঠিক, ইতিহাসই এর বিচার করবে। তবে তিনি জোরালো কণ্ঠে জানিয়ে দেন, ইতিহাসের জন্য আমাদের অপেক্ষা করার প্রয়োজন হবে না।’
পিটার হেইন বড় হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়ই। তাঁর মা-বাবা ছিলেন বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের কর্মী।
গতকাল সোমবার প্রকাশিত ব্রিটিশ লেবার দলের সাংসদ পিটার হেইনের লেখা দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বর্ণবাদবিরোধী নেতা ম্যান্ডেলার জীবনী গ্রন্থে এ কথা বলা হয়েছে।
পিটার হেইন লিখেছেন, ২০০৩ সালে ইরাক অভিযানের পর ম্যান্ডেলা তাঁকে ফোন করেন। পিটার তখন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ছিলেন। পিটার হেইনের ভাষায়, ‘তিনি (ম্যান্ডেলা) আমাকে বলেন, পিটার এটা বড় ভুল, মস্ত বড় ভুল। এটা ঠিক নয়। টনি ব্লেয়ার আফ্রিকাকে কত সাহায্য-সহযোগিতা করছেন আর তিনিই এমন কেন করছেন। আন্তর্জাতিকভাবে এতে করে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।’
পিটার হেইন আরও লিখেছেন, ‘ম্যান্ডেলার কণ্ঠে এতটা ক্ষোভ ও হতাশা আমি কখনো শুনিনি। তিনি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলেন, প্রধানমন্ত্রী ব্লেয়ার এবং মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হিসেবে আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তা চরম ভুল। তিনি আমাকে বললেন, টনি ব্লেয়ার এবং আমাদের সরকার বিশ্বজুড়ে যত ভালো কাজ করেছি, তা সব ধ্বংস হয়ে যাবে এই সিদ্ধান্তে।’
পিটার হেইন লিখেছেন, ‘আফ্রিকার জন্য সাহায্য ও উন্নয়ন-সহযোগিতার জন্য তিনি সব সময় আমাদের সরকারের প্রশংসা করে এসেছেন। সেই তিনি স্পষ্টভাবে বলে দিলেন, ইরাক অভিযানের ফলে আমাদের সব অবদান জলে ধুয়ে যাবে।’
‘নেলসন ম্যান্ডেলাকে আমি ভালোভাবেই চিনি। ফোন ধরার পর থেকে আমার মনে হয়েছে, তাঁর নিঃশ্বাসে আগুন ঝরছে এবং তিনি প্রতারিত বোধ করছেন। এটা খুবই পীড়াদায়ক।’ লিখেছেন পিটার হেইন।
তৎকালীন লেবার মন্ত্রী জানান, ম্যান্ডেলাকে তিনি বলেছিলেন তাঁর এই অনুভূতিকে তিনি সম্মান জানান, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ব্লেয়ার নিজের মর্জিমাফিক সবকিছু করছেন।
পিটার হেইন লিখেছেন, ‘আমার মনে হয়, আমি তাঁকে বলেছিলাম, সিদ্ধান্তটা ভুল না ঠিক, ইতিহাসই এর বিচার করবে। তবে তিনি জোরালো কণ্ঠে জানিয়ে দেন, ইতিহাসের জন্য আমাদের অপেক্ষা করার প্রয়োজন হবে না।’
পিটার হেইন বড় হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়ই। তাঁর মা-বাবা ছিলেন বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের কর্মী।
No comments