পাকিস্তানে বন্যাদুর্গত এলাকায় খাদ্য ও পানীয়জলের তীব্র সংকট
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় গতকাল রোববার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বন্যায় আটকা পড়েছে ২৭ হাজার লোক। উদ্ধারকারীরা তাদের উদ্ধারের জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বন্যাকবলিত স্থানগুলোতে পানিবাহিত রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। খাদ্য ও খাওয়ার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা জরুরি ভিত্তিতে সাহায্য পাঠানো শুরু করেছে।
বেসরকারি সাহায্য সংস্থা ইদি ফাউন্ডেশনের প্রধান মুজাহিদ খান জানিয়েছেন, বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে গতকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এ প্রদেশের সোয়াত ও সাঙ্গালা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় এ দুই এলাকাতেই মারা গেছে ৪০০ জন। এখানে এক হাজার ৫০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় ৪৩টি সামরিক হেলিকপ্টার ও ১০০টি নৌযান নিয়োজিত করেছে। উদ্ধারকারীরা বন্যার পানিতে আটকে পড়া ২৭ হাজার ৭০০ জন লোককে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সোয়াত ও সাঙ্গালায় এখনো ১১৫ জন নিখোঁজ রয়েছে। এ প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র লতিফুর রহমান জানিয়েছেন, বন্যার পানিতে গ্রামের পর গ্রাম তলিয়ে গেছে। হাজার হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেক গবাদিপশু মারা গেছে। ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। স্থানীয় একটি টেলিভিশনকে তিনি বলেন, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার লোকজনকে উদ্ধার ও দুর্গতদের সহায়তায় সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে স্থানীয় লোকজন সরকারের উদ্ধার কার্যক্রমের সমালোচনা করেছে। চরসাদা এলাকার বাসিন্দা হাকিমুল্লাহ খান জানান, বন্যায় তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তান হারিয়ে গেছে। অথচ সরকারি লোকজন তাদের খুঁজে বের করতে কোনো সহযোগিতাই করছে না।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আতাহার আব্বাস জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজে সাহায্য করার জন্য এ প্রদেশে ৩০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। গত শনিবার রাত পর্যন্ত পানিবন্দী ১৯ হাজার লোককে সরিয়ে নিয়েছে তারা।
বন্যার কারণে এ প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় খাবার, ফলমূল ও শাকসবজির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। জ্বর, ডায়রিয়া, চর্মরোগসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র দুর্গত এলাকায় তিন লাখ ৮০ হাজার খাবার প্যাকেট বিতরণ করেছে। ইসলামাবাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া ১২টি সেতু স্টিল দিয়ে তৈরি করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন দুর্গতদের জন্য তিন কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
পাকিস্তানে নিয়োজিত জাতিসংঘ মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের প্রধান ম্যানুয়েল ব্যাসেলার জানিয়েছেন, তাঁদের হিসাব অনুসারে বন্যায় ১০ লাখ লোক সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ার কারণে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক হিসাব নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। এমনকি সোয়াতের নওশেয়ারে অবস্থিত তাঁদের কার্যালয়ে পর্যন্ত যেতে পারছেন না তাঁরা।
বেসরকারি সাহায্য সংস্থা ইদি ফাউন্ডেশনের প্রধান মুজাহিদ খান জানিয়েছেন, বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে গতকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এ প্রদেশের সোয়াত ও সাঙ্গালা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় এ দুই এলাকাতেই মারা গেছে ৪০০ জন। এখানে এক হাজার ৫০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় ৪৩টি সামরিক হেলিকপ্টার ও ১০০টি নৌযান নিয়োজিত করেছে। উদ্ধারকারীরা বন্যার পানিতে আটকে পড়া ২৭ হাজার ৭০০ জন লোককে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সোয়াত ও সাঙ্গালায় এখনো ১১৫ জন নিখোঁজ রয়েছে। এ প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র লতিফুর রহমান জানিয়েছেন, বন্যার পানিতে গ্রামের পর গ্রাম তলিয়ে গেছে। হাজার হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেক গবাদিপশু মারা গেছে। ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। স্থানীয় একটি টেলিভিশনকে তিনি বলেন, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার লোকজনকে উদ্ধার ও দুর্গতদের সহায়তায় সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে স্থানীয় লোকজন সরকারের উদ্ধার কার্যক্রমের সমালোচনা করেছে। চরসাদা এলাকার বাসিন্দা হাকিমুল্লাহ খান জানান, বন্যায় তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তান হারিয়ে গেছে। অথচ সরকারি লোকজন তাদের খুঁজে বের করতে কোনো সহযোগিতাই করছে না।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আতাহার আব্বাস জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজে সাহায্য করার জন্য এ প্রদেশে ৩০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। গত শনিবার রাত পর্যন্ত পানিবন্দী ১৯ হাজার লোককে সরিয়ে নিয়েছে তারা।
বন্যার কারণে এ প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় খাবার, ফলমূল ও শাকসবজির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। জ্বর, ডায়রিয়া, চর্মরোগসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র দুর্গত এলাকায় তিন লাখ ৮০ হাজার খাবার প্যাকেট বিতরণ করেছে। ইসলামাবাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া ১২টি সেতু স্টিল দিয়ে তৈরি করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন দুর্গতদের জন্য তিন কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
পাকিস্তানে নিয়োজিত জাতিসংঘ মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের প্রধান ম্যানুয়েল ব্যাসেলার জানিয়েছেন, তাঁদের হিসাব অনুসারে বন্যায় ১০ লাখ লোক সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ার কারণে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক হিসাব নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। এমনকি সোয়াতের নওশেয়ারে অবস্থিত তাঁদের কার্যালয়ে পর্যন্ত যেতে পারছেন না তাঁরা।
No comments