দুই বছর সময় চাইলেন মরিনহো
শীর্ষ পর্যায়ের কোচ হিসেবে আট মৌসুম কাজ করেছেন। এই আট মৌসুমে লিগ শিরোপা জিতেছেন ছয়টি, একটি উয়েফা কাপ ও দুটি চ্যাম্পিয়নস লিগ। ২০০২ সালের পর থেকে প্রতিটি মৌসুম বা পঞ্জিকাবর্ষে অন্তত একটি শিরোপা জেতার কৃতিত্ব আছে তাঁর। হোসে মরিনহো মানেই যেন সাফল্যের নিশ্চয়তা। মরিনহো মানে যে ‘দ্য স্পেশাল ওয়ান’।
গুচ্ছের টাকা ঢেলে রিয়াল মাদ্রিদ যে এবার নিয়ে এল তাঁকে ইন্টার মিলান থেকে, সে তাঁর এমন শিরোপা-বিধৌত রেকর্ডের জন্যই। মরিনহো নিজেও সেটা ভালো করেই জানেন। প্রথম মৌসুম থেকেই চাপটা টের পেতে শুরুও করেছেন।
কথাবার্তায় সেটি স্পষ্ট। এই যেমন এই পর্তুগিজ কোচ এবার বলে বসলেন, এই মৌসুমে তাঁর দলের কাছ থেকে শিরোপার বন্যা আশা করা অন্যায়। ২০১২ মৌসুমের আগে রিয়াল নাকি তার সেরাটা খেলার জন্য প্রস্তুত হবে না।
‘খেলার ধরন আর দর্শন পুরোপুরি আত্মস্থ করে সঠিকভাবে কাজ করতে আসলে অন্তত দ্বিতীয় মৌসুম পর্যন্ত সময় লাগে। আমি সব সময়ই বলে এসেছে, আমার অধীনে কাজ করা দলগুলো তাদের খেলার শীর্ষে পৌঁছায় দ্বিতীয় মৌসুম থেকে’—বলেছেন ৪৭ বছর বয়সী পর্তুগিজ কোচ।
কথাটা শুনে রিয়াল সমর্থকদের হতাশ হওয়ারই কথা। বার্সেলোনাকে এবার পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি হয়ে আছে সবাই। অথচ এর মধ্যে মরিনহো এসব কী বলছেন! না, একেবারেই হতাশ হবে না। কারণ প্রথম মৌসুমে মরিনহো একেবারে খালি হাতে ফেরাতেও চান না। শিরোপাহীন হয়ে থাকাটা যে সহ্যই হয় না তাঁর! ‘অবশ্য আমার অধীনে খেলা দলগুলো প্রথম মৌসুমেই কোনো না-কোনো শিরোপা জেতে। আশা করি, রিয়ালের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটবে’—বলেছেন তিনি।
শিরোপা জেতার জন্য রিয়াল আসলে বুভুক্ষুর মতো তাকিয়ে আছে তাঁর দিকে। বিশেষ করে চ্যাম্পিয়ন লিগ শিরোপা। ইউরোপ-সেরার এই ট্রফিটি রেকর্ড নয়বার জিতেছে রিয়াল। কিন্তু এর কোনোটাই ২০০১-০২ মৌসুমের পরে নয়। অন্যান্য শিরোপাও যে দুহাত ভরে পেয়েছে এমনও নয়। ২০০৩ সাল থেকে এই সাত বছরে সব মিলে পাঁচটি শিরোপা জিতেছে রিয়াল। তিনটি লিগ, দুটি সুপার কোপা ডি স্পানা। এর সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগে গত আট বছরে শিরোপা জিততে না পারার হতাশা তো আছেই।
রেকর্ড দামে কেনা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, কাকাসহ আরও অনেক প্রতিভাবান তারকা ফুটবলার তো আছেই, বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াসই এবার তাদের নতুন অধিনায়ক। সাফল্য না আসাটা তো অবশ্যই হতাশার। তবে মরিনহো জানালেন, তিনি খেলোয়াড়ের নামের দিকে তাকান না। যুক্তরাষ্ট্রে পুরো দলকে নিয়ে প্রাক-মৌসুম সফর করে, একদম কাছে থেকে চেখে দেখার পর তাঁর উপলব্ধি, ‘এমন অনেক খেলোয়াড় এই দলে আছে যারা আমার প্রত্যাশার চেয়ে ভালো মানের। আবার কেউ কেউ আছে ঠিক এর উল্টো।’
তবে শেষ পর্যন্ত রিয়াল থেকেও সাফল্য নিয়েই ফিরবেন নিশ্চয়ই। না হলে তিনি মরিনহো কেন। কিন্তু এরপর তাঁর গন্তব্য কোথায়? ওয়েসলি স্নাইডারের ধারণা, মরিনহো ফিরবেন ইংল্যান্ডে। শুধু তা-ই নয়, ইংল্যান্ড দলের কোচ হওয়ার স্বপ্নও নাকি পুষে রেখেছেন তিনি!
গুচ্ছের টাকা ঢেলে রিয়াল মাদ্রিদ যে এবার নিয়ে এল তাঁকে ইন্টার মিলান থেকে, সে তাঁর এমন শিরোপা-বিধৌত রেকর্ডের জন্যই। মরিনহো নিজেও সেটা ভালো করেই জানেন। প্রথম মৌসুম থেকেই চাপটা টের পেতে শুরুও করেছেন।
কথাবার্তায় সেটি স্পষ্ট। এই যেমন এই পর্তুগিজ কোচ এবার বলে বসলেন, এই মৌসুমে তাঁর দলের কাছ থেকে শিরোপার বন্যা আশা করা অন্যায়। ২০১২ মৌসুমের আগে রিয়াল নাকি তার সেরাটা খেলার জন্য প্রস্তুত হবে না।
‘খেলার ধরন আর দর্শন পুরোপুরি আত্মস্থ করে সঠিকভাবে কাজ করতে আসলে অন্তত দ্বিতীয় মৌসুম পর্যন্ত সময় লাগে। আমি সব সময়ই বলে এসেছে, আমার অধীনে কাজ করা দলগুলো তাদের খেলার শীর্ষে পৌঁছায় দ্বিতীয় মৌসুম থেকে’—বলেছেন ৪৭ বছর বয়সী পর্তুগিজ কোচ।
কথাটা শুনে রিয়াল সমর্থকদের হতাশ হওয়ারই কথা। বার্সেলোনাকে এবার পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি হয়ে আছে সবাই। অথচ এর মধ্যে মরিনহো এসব কী বলছেন! না, একেবারেই হতাশ হবে না। কারণ প্রথম মৌসুমে মরিনহো একেবারে খালি হাতে ফেরাতেও চান না। শিরোপাহীন হয়ে থাকাটা যে সহ্যই হয় না তাঁর! ‘অবশ্য আমার অধীনে খেলা দলগুলো প্রথম মৌসুমেই কোনো না-কোনো শিরোপা জেতে। আশা করি, রিয়ালের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটবে’—বলেছেন তিনি।
শিরোপা জেতার জন্য রিয়াল আসলে বুভুক্ষুর মতো তাকিয়ে আছে তাঁর দিকে। বিশেষ করে চ্যাম্পিয়ন লিগ শিরোপা। ইউরোপ-সেরার এই ট্রফিটি রেকর্ড নয়বার জিতেছে রিয়াল। কিন্তু এর কোনোটাই ২০০১-০২ মৌসুমের পরে নয়। অন্যান্য শিরোপাও যে দুহাত ভরে পেয়েছে এমনও নয়। ২০০৩ সাল থেকে এই সাত বছরে সব মিলে পাঁচটি শিরোপা জিতেছে রিয়াল। তিনটি লিগ, দুটি সুপার কোপা ডি স্পানা। এর সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগে গত আট বছরে শিরোপা জিততে না পারার হতাশা তো আছেই।
রেকর্ড দামে কেনা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, কাকাসহ আরও অনেক প্রতিভাবান তারকা ফুটবলার তো আছেই, বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াসই এবার তাদের নতুন অধিনায়ক। সাফল্য না আসাটা তো অবশ্যই হতাশার। তবে মরিনহো জানালেন, তিনি খেলোয়াড়ের নামের দিকে তাকান না। যুক্তরাষ্ট্রে পুরো দলকে নিয়ে প্রাক-মৌসুম সফর করে, একদম কাছে থেকে চেখে দেখার পর তাঁর উপলব্ধি, ‘এমন অনেক খেলোয়াড় এই দলে আছে যারা আমার প্রত্যাশার চেয়ে ভালো মানের। আবার কেউ কেউ আছে ঠিক এর উল্টো।’
তবে শেষ পর্যন্ত রিয়াল থেকেও সাফল্য নিয়েই ফিরবেন নিশ্চয়ই। না হলে তিনি মরিনহো কেন। কিন্তু এরপর তাঁর গন্তব্য কোথায়? ওয়েসলি স্নাইডারের ধারণা, মরিনহো ফিরবেন ইংল্যান্ডে। শুধু তা-ই নয়, ইংল্যান্ড দলের কোচ হওয়ার স্বপ্নও নাকি পুষে রেখেছেন তিনি!
No comments