চেলসির জাঁকালো বিয়ে
কঠোর নিরাপত্তা আর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হলো চেলসি ক্লিনটন ও মার্ক মেজভিনস্কির বিয়ে। গত শনিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক শহরের বাইরে রাইনবেক গ্রামে জাঁকালো এ বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। বহুল আলোচিত এ বিয়েতে ক্লিনটন দম্পতি ও নবদম্পতির বন্ধুবান্ধব ও তাঁদের কাছের মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।
একমাত্র মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর এক বিবৃতিতে ক্লিনটন দম্পতি বলেছেন, ‘পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের উপস্থিতিতে চমৎকার পরিবেশে চেলসি ও মেজভিনস্কির বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। আমরা খুবই গর্বিত ও আবেগাপ্লুত।’ তাঁরা আরও বলেন, ‘আমরা চেলসি ও মেজভিনস্কির সুখী ও সমৃদ্ধ দাম্পত্য জীবন কামনা করছি। মেজভিনস্কিকে আমাদের পরিবারে স্বাগত জানিয়ে আমরা আনন্দিত। নবদম্পতির সূচনা উদ্যাপনে আমরা এর চেয়ে বেশি আনন্দময় দিনের প্রত্যাশা করতে পারি না।’
বিবৃতিতে ক্লিনটন দম্পতি হাডসন নদী তীরের গ্রাম রাইনবেকের জনগণের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের স্বাগত জানানোর জন্য এবং মঙ্গল কামনা করায় নবদম্পতির পক্ষ থেকে আমরা রাইনবেকের বাসিন্দাদের জানাই ধন্যবাদ।’
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের মেয়ের এই বিয়ের অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাডেলিন অলব্রাইট, জনপ্রিয় টেলিভিশন উপস্থাপিকা অপরাহ উইনফ্রে, হলিউড পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ, অভিনেতা টম হ্যাঙ্কস, কণ্ঠশিল্পী বারবারা স্ট্রেইস্যান্ড ও ফ্যাশন ডিজাইনার ভেরা ওয়াং উপস্থিত ছিলেন বলে খবর বেরিয়েছে। তবে এতে উপস্থিত ছিলেন না যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। মোট প্রায় ৫০০ নিমন্ত্রিত অতিথি বিয়েতে যোগ দেন।
বর মেজভিনস্কি ইহুদি ও কনে খ্রিষ্টান হওয়ায় বিয়েতে উভয় ধর্মেরই প্রথা অনুসরণ করা হয়। মন্ত্র পাঠের সময় উভয় ধর্মেরই পুরোহিত উপস্থিত ছিলেন।
বিয়ের মূল অনুষ্ঠানের সময় চেলসি পরেছিলেন ভেরা ওয়াংয়ের নকশা করা সাদা গাউন। আর মেজভিনস্কি কালো স্যুট। মন্ত্র পাঠের পর আংটি বিনিময় করে তাঁরা পবিত্র চুম্বন করেন। এ সময় ইহুদি ধর্মের প্রথা অনুযায়ী নবদম্পতিকে ‘ধর্মীয় বাণী’ পড়ে শোনানো হয়। মেজভিনস্কির বন্ধু ও পরিবারের সদস্যরা এ পাঠে যোগ দেন। এ ছাড়া নবদম্পতির ঘনিষ্ঠ বন্ধু লিও মার্কের লেখা ‘দ্য লাইফ দ্যাট আই হ্যাভ’ কবিতাটি আবৃত্তি করা হয়।
কড়া নিরাপত্তা আর গোপনীয়তার কারণে বিয়েতে কে কে গিয়েছিলেন, তা যেমন স্পষ্ট করে জানা যায়নি তেমনি অতিথিদের কী দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়েছে, তাও জানা যায়নি। বিয়ের আগেই খাবার সরবরাহ থেকে শুরু করে অনুষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে গোপনীয়তা রক্ষায় শপথ নিতে হয়েছে। অতিথিদের মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা ব্যবহার ছিল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
নিরাপত্তাব্যবস্থা এতটাই জোরদার ছিল যে দুই দিন আগে থেকেই অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশে কাউকে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। তার পরও শত শত সাংবাদিক ও উৎসুক লোকজন অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে ভিড় করেন। তবে সেখানে কোনো গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রাইনবেকের আকাশে বিমান ও হেলিকপ্টার চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আলোচিত এ বিয়ে উপলক্ষে রাইনবেক সেজেছিল নতুন সাজে। পুরো গ্রাম হয়ে ওঠে চেলসিময়। দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িগুলো চেলসির ছবিসংবলিত পোস্টারে ছেয়ে যায়। কিছু কিছু পোস্টারে চেলসির পাশাপাশি মেজভিনস্কির ছবিও দেখা যায়। এসব পোস্টারে নবদম্পতিকে শুভকামনা জানানো হয়।
নিরাপত্তার কারণে ক্লিনটন পরিবারকে দেখতে না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেকে। তাঁদেরই একজন হলেন স্থানীয় বাসিন্দা অ্যানি ম্যাককনেল। ক্লিনটন পরিবারকে দেখার জন্য তাঁরা যে হোটেলে উঠেছেন, সেই হোটেলের পাশে ‘কায়দামতো’ জায়গায় অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার পরও কাউকে দেখতে পারেননি।
হতাশ ম্যাককনেল বলেন, ‘টেলিভিশনে এই বিয়ের অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে না, এটা লজ্জার বিষয়। প্রিন্সেস ডায়ানার বিয়ে যেমন টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছিল, তেমনি চেলসির বিয়েও সম্প্রচার করা উচিত ছিল।’
বিয়েতে সর্বমোট কত খরচ হয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে অন্তত ৩০ লাখ মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে বলে গণমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে।
একমাত্র মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর এক বিবৃতিতে ক্লিনটন দম্পতি বলেছেন, ‘পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের উপস্থিতিতে চমৎকার পরিবেশে চেলসি ও মেজভিনস্কির বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। আমরা খুবই গর্বিত ও আবেগাপ্লুত।’ তাঁরা আরও বলেন, ‘আমরা চেলসি ও মেজভিনস্কির সুখী ও সমৃদ্ধ দাম্পত্য জীবন কামনা করছি। মেজভিনস্কিকে আমাদের পরিবারে স্বাগত জানিয়ে আমরা আনন্দিত। নবদম্পতির সূচনা উদ্যাপনে আমরা এর চেয়ে বেশি আনন্দময় দিনের প্রত্যাশা করতে পারি না।’
বিবৃতিতে ক্লিনটন দম্পতি হাডসন নদী তীরের গ্রাম রাইনবেকের জনগণের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের স্বাগত জানানোর জন্য এবং মঙ্গল কামনা করায় নবদম্পতির পক্ষ থেকে আমরা রাইনবেকের বাসিন্দাদের জানাই ধন্যবাদ।’
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের মেয়ের এই বিয়ের অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাডেলিন অলব্রাইট, জনপ্রিয় টেলিভিশন উপস্থাপিকা অপরাহ উইনফ্রে, হলিউড পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ, অভিনেতা টম হ্যাঙ্কস, কণ্ঠশিল্পী বারবারা স্ট্রেইস্যান্ড ও ফ্যাশন ডিজাইনার ভেরা ওয়াং উপস্থিত ছিলেন বলে খবর বেরিয়েছে। তবে এতে উপস্থিত ছিলেন না যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। মোট প্রায় ৫০০ নিমন্ত্রিত অতিথি বিয়েতে যোগ দেন।
বর মেজভিনস্কি ইহুদি ও কনে খ্রিষ্টান হওয়ায় বিয়েতে উভয় ধর্মেরই প্রথা অনুসরণ করা হয়। মন্ত্র পাঠের সময় উভয় ধর্মেরই পুরোহিত উপস্থিত ছিলেন।
বিয়ের মূল অনুষ্ঠানের সময় চেলসি পরেছিলেন ভেরা ওয়াংয়ের নকশা করা সাদা গাউন। আর মেজভিনস্কি কালো স্যুট। মন্ত্র পাঠের পর আংটি বিনিময় করে তাঁরা পবিত্র চুম্বন করেন। এ সময় ইহুদি ধর্মের প্রথা অনুযায়ী নবদম্পতিকে ‘ধর্মীয় বাণী’ পড়ে শোনানো হয়। মেজভিনস্কির বন্ধু ও পরিবারের সদস্যরা এ পাঠে যোগ দেন। এ ছাড়া নবদম্পতির ঘনিষ্ঠ বন্ধু লিও মার্কের লেখা ‘দ্য লাইফ দ্যাট আই হ্যাভ’ কবিতাটি আবৃত্তি করা হয়।
কড়া নিরাপত্তা আর গোপনীয়তার কারণে বিয়েতে কে কে গিয়েছিলেন, তা যেমন স্পষ্ট করে জানা যায়নি তেমনি অতিথিদের কী দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়েছে, তাও জানা যায়নি। বিয়ের আগেই খাবার সরবরাহ থেকে শুরু করে অনুষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে গোপনীয়তা রক্ষায় শপথ নিতে হয়েছে। অতিথিদের মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা ব্যবহার ছিল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
নিরাপত্তাব্যবস্থা এতটাই জোরদার ছিল যে দুই দিন আগে থেকেই অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশে কাউকে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। তার পরও শত শত সাংবাদিক ও উৎসুক লোকজন অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে ভিড় করেন। তবে সেখানে কোনো গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রাইনবেকের আকাশে বিমান ও হেলিকপ্টার চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আলোচিত এ বিয়ে উপলক্ষে রাইনবেক সেজেছিল নতুন সাজে। পুরো গ্রাম হয়ে ওঠে চেলসিময়। দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িগুলো চেলসির ছবিসংবলিত পোস্টারে ছেয়ে যায়। কিছু কিছু পোস্টারে চেলসির পাশাপাশি মেজভিনস্কির ছবিও দেখা যায়। এসব পোস্টারে নবদম্পতিকে শুভকামনা জানানো হয়।
নিরাপত্তার কারণে ক্লিনটন পরিবারকে দেখতে না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেকে। তাঁদেরই একজন হলেন স্থানীয় বাসিন্দা অ্যানি ম্যাককনেল। ক্লিনটন পরিবারকে দেখার জন্য তাঁরা যে হোটেলে উঠেছেন, সেই হোটেলের পাশে ‘কায়দামতো’ জায়গায় অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার পরও কাউকে দেখতে পারেননি।
হতাশ ম্যাককনেল বলেন, ‘টেলিভিশনে এই বিয়ের অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে না, এটা লজ্জার বিষয়। প্রিন্সেস ডায়ানার বিয়ে যেমন টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছিল, তেমনি চেলসির বিয়েও সম্প্রচার করা উচিত ছিল।’
বিয়েতে সর্বমোট কত খরচ হয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে অন্তত ৩০ লাখ মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে বলে গণমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে।
No comments