গ্রাউন্ড জিরোতে মসজিদ নির্মাণের পক্ষে-বিপক্ষে সমাবেশ
নিউইয়র্কের গ্রাউন্ড জিরো এলাকায় গত রোববার মসজিদ নির্মাণের পক্ষে-বিপক্ষে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হয়েছে। মৌসুমী বৃষ্টি উপেক্ষা করে দুইপক্ষের প্রতিবাদকারীরা ওই এলাকায় উপস্থিত হন। একপক্ষ গ্রাউন্ড জিরোতে মসজিদ নির্মাণের দাবিতে স্লোগান দেয়। এ পক্ষে ছিলেন মুসলমান এবং উদারপন্থী মার্কিনিরা। এদের কয়েকশ গজ দূরে অন্যপক্ষ মসজিদ নির্মাণের বিপক্ষে স্লোগান দেয়।
দুইপক্ষের পূর্বঘোষিত পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে বেশ উৎকণ্ঠা ছিল। এ জন্য আগে থেকেই গ্রাউণ্ড জিরো এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং দুইপক্ষের সমাবেশের মাঝখানে ব্যারিকেড দেওয়া হয়। স্লোগান-পাল্টা স্লোগানের উত্তেজনা থাকলেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই দুইপক্ষের কর্মসূচি শেষ হয়।
মসজিদ নির্মাণের পক্ষের সমাবেশে মার্কিন নাগরিক ভিক্টর হার্নান্দেজ বলেন, মসজিদ স্থাপনের বিরোধীদের বোধোদয় হওয়া উচিত, মসজিদ নির্মাণের বিরোধিতার অর্থ বিদ্বেষ ও বৈষম্যকে উসকে দেওয়া। এর ফলে জঙ্গিরাই লাভবান হবে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলায় টুইন টাওয়ার থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া টিম ব্রাউন বলেন, ‘গ্রাউন্ড জিরো আমাদের শ্মশানের মতো। এখানে মসজিদ নির্মাণ হলে ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় নিহতদের প্রতি অবিচার করা হবে। ঘটনাটির সঙ্গে ধর্মীয় স্বাধীনতার কোনো যোগসূত্র নেই।
থেমে থেমে দুইপক্ষের স্লোগান-পাল্টা স্লোগানের মধ্যে মেডিকেল কলেজের ছাত্র মাইকেল রোজ (২৭) নাটকীয় উত্তেজনার জন্ম দেন। ‘ধর্মীয় সহিষ্ণুতাই যুক্তরাষ্ট্রকে বিশাল করেছে’— লিখা প্লেকার্ড নিয়ে তিনি এগিয়ে যান মসজিদ নির্মাণের বিরোধীদের সমাবেশের দিকে। এ সময় কয়েকজন বিক্ষোভকারী তাঁর ওপর হামলায় চালায়। অবশ্য কয়েক ডজন পুলিশ দ্রুত তাকে উদ্ধার করে। পরে অবশ্য হামলাকারীদের একজন মাইকেল রোজের কাছে ক্ষমা চায়। হামলাকারী রোজকে বলেন, ‘আমার ভুল হয়েছে, তোমার সঙ্গে আমার মতের মিল নেই। কিন্তু তোমারও নিজস্ব মত প্রকাশের অধিকার আছে।’
গ্রাউন্ড জিরোতে মসজিদ নির্মাণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এখন চলছে তুমুল বিতর্ক। টুইন টাওয়ার সংলগ্ন এলাকায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি ইসলামী কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রকল্প নিয়েছেন ইমাম রউফ খান। যুক্তরাষ্ট্রে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ইমাম রউফ খান বলেন, ‘মুসলমানদের সঙ্গে অন্যদের সম্পর্ক উন্নয়নে এ প্রকল্প সহায়ক হবে।’
নিউইয়র্ক নগরীর মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। রক্ষণশীলদের ব্যাপক বিরোধিতার মুখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও ঘোষণা দেন, ধর্মীয় স্বাধীনতার এ দেশে মসজিদ নির্মাণের বিরোধিতার কোনো সুযোগ নেই। রোববার মসজিদ নির্মাণের বিরোধীরা বারাক ওবামার বিরুদ্ধেও স্লোগান দেয়।
এদিকে নিউইয়র্কের গভর্নর ডেভিড পেটার্সন বলেছেন, প্রয়োজনে সরকারি জমি বরাদ্দ নিয়ে মসজিদ প্রকল্পকে স্থানান্তরিত করার চেষ্টা করবেন তিনি। উদ্যোক্তা ইমাম রউফ খানের স্ত্রী ডেইজি খান বলেন, প্রকল্পের স্থানান্তর নিয়ে তারা এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না, বা এ নিয়ে কোনো পক্ষের সঙ্গে তাদের আলোচনাও হয়নি।
মসজিদ প্রকল্প নিয়ে যখন বিতর্ক তুঙ্গে তখন প্রকল্পের উদ্যোক্তা ইমাম রউফ খান যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি উদ্যোগে মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন। মুসলিম দেশসমূহের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্ক উন্নয়নে তিনি দূত হিসেবে কাজ করছেন
দুইপক্ষের পূর্বঘোষিত পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে বেশ উৎকণ্ঠা ছিল। এ জন্য আগে থেকেই গ্রাউণ্ড জিরো এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং দুইপক্ষের সমাবেশের মাঝখানে ব্যারিকেড দেওয়া হয়। স্লোগান-পাল্টা স্লোগানের উত্তেজনা থাকলেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই দুইপক্ষের কর্মসূচি শেষ হয়।
মসজিদ নির্মাণের পক্ষের সমাবেশে মার্কিন নাগরিক ভিক্টর হার্নান্দেজ বলেন, মসজিদ স্থাপনের বিরোধীদের বোধোদয় হওয়া উচিত, মসজিদ নির্মাণের বিরোধিতার অর্থ বিদ্বেষ ও বৈষম্যকে উসকে দেওয়া। এর ফলে জঙ্গিরাই লাভবান হবে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলায় টুইন টাওয়ার থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া টিম ব্রাউন বলেন, ‘গ্রাউন্ড জিরো আমাদের শ্মশানের মতো। এখানে মসজিদ নির্মাণ হলে ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় নিহতদের প্রতি অবিচার করা হবে। ঘটনাটির সঙ্গে ধর্মীয় স্বাধীনতার কোনো যোগসূত্র নেই।
থেমে থেমে দুইপক্ষের স্লোগান-পাল্টা স্লোগানের মধ্যে মেডিকেল কলেজের ছাত্র মাইকেল রোজ (২৭) নাটকীয় উত্তেজনার জন্ম দেন। ‘ধর্মীয় সহিষ্ণুতাই যুক্তরাষ্ট্রকে বিশাল করেছে’— লিখা প্লেকার্ড নিয়ে তিনি এগিয়ে যান মসজিদ নির্মাণের বিরোধীদের সমাবেশের দিকে। এ সময় কয়েকজন বিক্ষোভকারী তাঁর ওপর হামলায় চালায়। অবশ্য কয়েক ডজন পুলিশ দ্রুত তাকে উদ্ধার করে। পরে অবশ্য হামলাকারীদের একজন মাইকেল রোজের কাছে ক্ষমা চায়। হামলাকারী রোজকে বলেন, ‘আমার ভুল হয়েছে, তোমার সঙ্গে আমার মতের মিল নেই। কিন্তু তোমারও নিজস্ব মত প্রকাশের অধিকার আছে।’
গ্রাউন্ড জিরোতে মসজিদ নির্মাণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এখন চলছে তুমুল বিতর্ক। টুইন টাওয়ার সংলগ্ন এলাকায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি ইসলামী কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রকল্প নিয়েছেন ইমাম রউফ খান। যুক্তরাষ্ট্রে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ইমাম রউফ খান বলেন, ‘মুসলমানদের সঙ্গে অন্যদের সম্পর্ক উন্নয়নে এ প্রকল্প সহায়ক হবে।’
নিউইয়র্ক নগরীর মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। রক্ষণশীলদের ব্যাপক বিরোধিতার মুখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও ঘোষণা দেন, ধর্মীয় স্বাধীনতার এ দেশে মসজিদ নির্মাণের বিরোধিতার কোনো সুযোগ নেই। রোববার মসজিদ নির্মাণের বিরোধীরা বারাক ওবামার বিরুদ্ধেও স্লোগান দেয়।
এদিকে নিউইয়র্কের গভর্নর ডেভিড পেটার্সন বলেছেন, প্রয়োজনে সরকারি জমি বরাদ্দ নিয়ে মসজিদ প্রকল্পকে স্থানান্তরিত করার চেষ্টা করবেন তিনি। উদ্যোক্তা ইমাম রউফ খানের স্ত্রী ডেইজি খান বলেন, প্রকল্পের স্থানান্তর নিয়ে তারা এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না, বা এ নিয়ে কোনো পক্ষের সঙ্গে তাদের আলোচনাও হয়নি।
মসজিদ প্রকল্প নিয়ে যখন বিতর্ক তুঙ্গে তখন প্রকল্পের উদ্যোক্তা ইমাম রউফ খান যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি উদ্যোগে মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন। মুসলিম দেশসমূহের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্ক উন্নয়নে তিনি দূত হিসেবে কাজ করছেন
No comments