আশা-নিরাশার দোলাচলে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা
মাহমুদ আব্বাস ও নেতানিয়াহু |
ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে পুনরায় সরাসরি শান্তি আলোচনা নিয়ে আশাবাদের সঞ্চার হলেও বিভিন্ন ইস্যুতে মতৈক্যে পৌঁছানো কঠিন হতে পারে। তবে শুরুর বিষয়টিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।
প্রেসিডেন্ট ওবামার সন্ত্রাস দমনবিষয়ক উপদেষ্টা জন ব্রেনান বলেন, ‘আমরা খুবই আশাবাদী, এই আলোচনার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।’ ব্রেনান আরও বলেন, ‘আমরা এই আশাবাদ নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি, আলোচনা সফল হবে।’
আগামী ২ সেপ্টেম্বর ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিআমিন নেতানিয়াহু ওয়াশিংটনে সরাসরি শান্তি আলোচনায় মিলিত হতে যাচ্ছেন। একে ওবামার কূটনৈতিক সফলতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তবে সরাসরি শান্তি আলোচনা শুরুর ঘোষণা সত্ত্বেও মধ্যপ্রাচ্য সংকটের সমাধান অর্জন অনেকটা কঠিন হবে বলে মনে করছেন অনেক পর্যবেক্ষক। জেরুজালেমের মর্যাদা, ফিলিস্তিনি শরণার্থী, ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সীমানাসহ নানা ইস্যুতে মতৈক্যে পৌঁছানো অনেক কঠিন হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল দুই পক্ষই জেরুজালেমকে নিজেদের রাজধানী হিসেবে দাবি করে থাকে।
দুই পক্ষকে সরাসরি আলোচনায় বসতে রাজি করানোকে এখনই সফলতা হিসেবে দেখতে রাজি নন অনেক বিশ্লেষক। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্রুকিং ইনস্টিটিউশনের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী থমাস মান বলেন, সরাসরি শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরুর বিষয়টিকে এখনই সত্যিকারের অর্জন হিসেবে ঘোষণা করাটা আগাম হয়ে যাবে। তিনি বলেন, অসম্ভব রকম কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় এটা ছোট, তবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্টিফেন ওয়াল্টের সুর ছিল অনেক কঠোর। বিদেশি নীতিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে তিনি বলেন, সরাসরি আলোচনা নিছক একটা বিভ্রম।এদিকে ২০ মাসের মধ্যে প্রথম সরাসরি আলোচনার প্রাক্কালে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলেছে, আলোচনায় সীমান্তের চেয়ে নিরাপত্তার বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দেবে তারা। প্রধানমন্ত্রী বেনিআমিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের শান্তিচুক্তিতে পৌঁছানো কঠিন হলেও সম্ভব। তিনি বলেন, ‘আমরা সমালোচক ও পূর্বাভাসদানকারীদের চমকে দিতে চাই। কিন্তু সেটি করতে ফিলিস্তিনি পক্ষে আমাদের একজন সত্যিকারের অংশীদার দরকার।’ নেতানিয়াহু বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের অবশ্যই মেনে নিতে হবে ইসরায়েল ইহুদি জনগোষ্ঠীর রাষ্ট্র এবং এখানকার মানুষের নিরাপত্তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।’অন্যদিকে পরীক্ষামূলকভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করার জন্য প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) নির্বাহী কমিটির কাছে এক মাস সময় চেয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। গতকাল সোমবার লন্ডনভিত্তিক আরবি ভাষার পত্রিকা আল-কুদস আল-আরাবি এ খবর জানিয়েছে।পিএলওর নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিরা হাসের বরাত দিয়ে পত্রিকাটির খবরে বলা হয়েছে, আব্বাস মনে করেন, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর অধিকৃত পশ্চিমতীরে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের বসতি স্থাপন কার্যক্রমের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে আলোচনা ভেস্তে যাবে। সরাসরি আলোচনায় ফিলিস্তিন পক্ষের অংশগ্রহণের বিষয়ে গত শুক্রবার নির্বাহী কমিটির বৈঠকে কোনো ভোটগ্রহণ হয়নি। কারণ বৈঠকে কমিটির অর্ধেক সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন।মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক আন্তর্জাতিক চার দূত—যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে আব্বাস বলেছেন, ইসরায়েল বসতি স্থাপন কার্যক্রম অব্যাহত রাখলে ফিলিস্তিন আলোচনা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করবে। সরাসরি আলোচনায় মিসরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক, জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ চার দূতের একজন টনি ব্লেয়ারকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।অবশ্য এই আলোচনায় অংশ নিতে আব্বাস রাজি হওয়ায় গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস এবং আব্বাসের বিরোধী অংশ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ওবামার সন্ত্রাস দমনবিষয়ক উপদেষ্টা জন ব্রেনান বলেন, ‘আমরা খুবই আশাবাদী, এই আলোচনার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।’ ব্রেনান আরও বলেন, ‘আমরা এই আশাবাদ নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি, আলোচনা সফল হবে।’
আগামী ২ সেপ্টেম্বর ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিআমিন নেতানিয়াহু ওয়াশিংটনে সরাসরি শান্তি আলোচনায় মিলিত হতে যাচ্ছেন। একে ওবামার কূটনৈতিক সফলতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তবে সরাসরি শান্তি আলোচনা শুরুর ঘোষণা সত্ত্বেও মধ্যপ্রাচ্য সংকটের সমাধান অর্জন অনেকটা কঠিন হবে বলে মনে করছেন অনেক পর্যবেক্ষক। জেরুজালেমের মর্যাদা, ফিলিস্তিনি শরণার্থী, ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সীমানাসহ নানা ইস্যুতে মতৈক্যে পৌঁছানো অনেক কঠিন হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল দুই পক্ষই জেরুজালেমকে নিজেদের রাজধানী হিসেবে দাবি করে থাকে।
দুই পক্ষকে সরাসরি আলোচনায় বসতে রাজি করানোকে এখনই সফলতা হিসেবে দেখতে রাজি নন অনেক বিশ্লেষক। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্রুকিং ইনস্টিটিউশনের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী থমাস মান বলেন, সরাসরি শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরুর বিষয়টিকে এখনই সত্যিকারের অর্জন হিসেবে ঘোষণা করাটা আগাম হয়ে যাবে। তিনি বলেন, অসম্ভব রকম কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় এটা ছোট, তবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্টিফেন ওয়াল্টের সুর ছিল অনেক কঠোর। বিদেশি নীতিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে তিনি বলেন, সরাসরি আলোচনা নিছক একটা বিভ্রম।এদিকে ২০ মাসের মধ্যে প্রথম সরাসরি আলোচনার প্রাক্কালে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলেছে, আলোচনায় সীমান্তের চেয়ে নিরাপত্তার বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দেবে তারা। প্রধানমন্ত্রী বেনিআমিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের শান্তিচুক্তিতে পৌঁছানো কঠিন হলেও সম্ভব। তিনি বলেন, ‘আমরা সমালোচক ও পূর্বাভাসদানকারীদের চমকে দিতে চাই। কিন্তু সেটি করতে ফিলিস্তিনি পক্ষে আমাদের একজন সত্যিকারের অংশীদার দরকার।’ নেতানিয়াহু বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের অবশ্যই মেনে নিতে হবে ইসরায়েল ইহুদি জনগোষ্ঠীর রাষ্ট্র এবং এখানকার মানুষের নিরাপত্তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।’অন্যদিকে পরীক্ষামূলকভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করার জন্য প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) নির্বাহী কমিটির কাছে এক মাস সময় চেয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। গতকাল সোমবার লন্ডনভিত্তিক আরবি ভাষার পত্রিকা আল-কুদস আল-আরাবি এ খবর জানিয়েছে।পিএলওর নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিরা হাসের বরাত দিয়ে পত্রিকাটির খবরে বলা হয়েছে, আব্বাস মনে করেন, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর অধিকৃত পশ্চিমতীরে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের বসতি স্থাপন কার্যক্রমের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে আলোচনা ভেস্তে যাবে। সরাসরি আলোচনায় ফিলিস্তিন পক্ষের অংশগ্রহণের বিষয়ে গত শুক্রবার নির্বাহী কমিটির বৈঠকে কোনো ভোটগ্রহণ হয়নি। কারণ বৈঠকে কমিটির অর্ধেক সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন।মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক আন্তর্জাতিক চার দূত—যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে আব্বাস বলেছেন, ইসরায়েল বসতি স্থাপন কার্যক্রম অব্যাহত রাখলে ফিলিস্তিন আলোচনা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করবে। সরাসরি আলোচনায় মিসরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক, জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ চার দূতের একজন টনি ব্লেয়ারকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।অবশ্য এই আলোচনায় অংশ নিতে আব্বাস রাজি হওয়ায় গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস এবং আব্বাসের বিরোধী অংশ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
No comments