বিএনপির ঘেরাও কর্মসূচি
গণতন্ত্রে যেকোনো ব্যক্তি বা দলের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা স্বীকৃত। তাই বলে নিজের মত প্রকাশ করতে গিয়ে অন্যদের ঘরবন্দী করা কিংবা তাদের দুর্ভোগ বাড়ানোর এখতিয়ার কারও নেই। গত সোমবার বিএনপি নির্বাচন কমিশন অফিস ঘেরাওয়ের নামে যে মহানগরের কয়েকটি ব্যস্ততম সড়ক দখল করে রেখেছিল, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ভোলা উপনির্বাচনের ফলাফল বাতিল, পুনর্নির্বাচন এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অপর দুই নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে তারা সমাবেশ ও নির্বাচন কমিশন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি নেয়। এ কর্মসূচির ব্যাপারে তারা যে আন্তরিক ছিল না, সমাবেশে জ্যেষ্ঠ নেতাদের গরহাজিরই তা প্রমাণ করে। শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত নির্বাচন কমিশন কার্যালয় অভিমুখী পদযাত্রাটি বাংলামোটরে সমাপ্তি ঘোষণা করা হলেও বিভিন্ন সড়কে যানজট ভয়াবহ রূপ নেয়। ঘরমুখী হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ে। যানবাহন না পেয়ে অনেকেই হেঁটে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
আমরা বরাবরই সড়ক বন্ধ ও সরকারি জায়গা দখল করে জনদুর্ভোগ বাড়িয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের বিরোধিতা করে আসছি। রাজনৈতিক দলগুলোকে এর বিকল্প সন্ধান করতে হবে। যে কর্মসূচি কোনো সুফল বয়ে আনে না, সেই কর্মসূচি দিয়ে কী লাভ? ভোলার নির্বাচন শতভাগ অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে, সেই দাবি কেউ করবেন না। নির্বাচন কমিশনও কিছু কিছু অনিয়ম চিহ্নিত করে নয়টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বাতিল করে দিয়েছিল। এই নির্বাচনে ভোট কারচুপি ও অনিয়মের অকাট্য তথ্য-প্রমাণ থাকলে এবং তা যদি নির্বাচন বাতিল করার মতো হয়, তবে বিএনপির উচিত আদালতে প্রতিকার চাওয়া। কিন্তু সে পথে না গিয়ে তারা যে পথ বেছে নিয়েছে, তা জনগণের দুর্ভোগ বাড়াল।
আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি হলো ক্ষমতায় থাকতে এক রকম, ক্ষমতার বাইরে গেলে অন্য রকম। দেশবাসীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কারণও তা-ই। এ নিয়ে ক্ষমতাসীনদেরও আত্মপ্রসাদ লাভের কোনো সুযোগ নেই। বিরোধী দলে থাকতে তারাও রাজপথ দখলের প্রতিযোগিতায় ছিল। এমনিতেই দেশের অর্থনীতি অত্যন্ত নাজুক। বিদ্যুৎ, পানির অভাবে নগরজীবন প্রায় বিপন্ন। তদুপরি রাজপথ দখল করে আন্দোলন-সংগ্রামের কর্মসূচি নিলে জনজীবন অচল হয়ে পড়তে বাধ্য। সেটি কারও কাম্য নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে অনুরোধ, এমন কোনো কর্মসূচি নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে জনগণের কষ্ট ও দুর্ভোগ বাড়ে, সংঘাত-সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকে। যে জনগণের জন্য রাজনীতি, তাদের কষ্ট বাড়িয়ে কি কখনো দেশসেবার মহৎ দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যাবে? এতে জনসমর্থনও বাড়বে না, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও হাসিল করা যাবে না।
ভোলা উপনির্বাচনের ফলাফল বাতিল, পুনর্নির্বাচন এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অপর দুই নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে তারা সমাবেশ ও নির্বাচন কমিশন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি নেয়। এ কর্মসূচির ব্যাপারে তারা যে আন্তরিক ছিল না, সমাবেশে জ্যেষ্ঠ নেতাদের গরহাজিরই তা প্রমাণ করে। শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত নির্বাচন কমিশন কার্যালয় অভিমুখী পদযাত্রাটি বাংলামোটরে সমাপ্তি ঘোষণা করা হলেও বিভিন্ন সড়কে যানজট ভয়াবহ রূপ নেয়। ঘরমুখী হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ে। যানবাহন না পেয়ে অনেকেই হেঁটে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
আমরা বরাবরই সড়ক বন্ধ ও সরকারি জায়গা দখল করে জনদুর্ভোগ বাড়িয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের বিরোধিতা করে আসছি। রাজনৈতিক দলগুলোকে এর বিকল্প সন্ধান করতে হবে। যে কর্মসূচি কোনো সুফল বয়ে আনে না, সেই কর্মসূচি দিয়ে কী লাভ? ভোলার নির্বাচন শতভাগ অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে, সেই দাবি কেউ করবেন না। নির্বাচন কমিশনও কিছু কিছু অনিয়ম চিহ্নিত করে নয়টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বাতিল করে দিয়েছিল। এই নির্বাচনে ভোট কারচুপি ও অনিয়মের অকাট্য তথ্য-প্রমাণ থাকলে এবং তা যদি নির্বাচন বাতিল করার মতো হয়, তবে বিএনপির উচিত আদালতে প্রতিকার চাওয়া। কিন্তু সে পথে না গিয়ে তারা যে পথ বেছে নিয়েছে, তা জনগণের দুর্ভোগ বাড়াল।
আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি হলো ক্ষমতায় থাকতে এক রকম, ক্ষমতার বাইরে গেলে অন্য রকম। দেশবাসীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কারণও তা-ই। এ নিয়ে ক্ষমতাসীনদেরও আত্মপ্রসাদ লাভের কোনো সুযোগ নেই। বিরোধী দলে থাকতে তারাও রাজপথ দখলের প্রতিযোগিতায় ছিল। এমনিতেই দেশের অর্থনীতি অত্যন্ত নাজুক। বিদ্যুৎ, পানির অভাবে নগরজীবন প্রায় বিপন্ন। তদুপরি রাজপথ দখল করে আন্দোলন-সংগ্রামের কর্মসূচি নিলে জনজীবন অচল হয়ে পড়তে বাধ্য। সেটি কারও কাম্য নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে অনুরোধ, এমন কোনো কর্মসূচি নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে জনগণের কষ্ট ও দুর্ভোগ বাড়ে, সংঘাত-সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকে। যে জনগণের জন্য রাজনীতি, তাদের কষ্ট বাড়িয়ে কি কখনো দেশসেবার মহৎ দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যাবে? এতে জনসমর্থনও বাড়বে না, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও হাসিল করা যাবে না।
No comments