ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হতে যাচ্ছে?
যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন আগামীকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। শেষ সময়ের বিভিন্ন জনমত জরিপ আভাস দিচ্ছে, এবার কোনো দলই সরকার গঠনের জন্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাও তেমনটি মনে করছেন। ফলে দেশটিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দেশটিতে একবার মাত্র ঝুলন্ত পার্লামেন্ট গঠিত হয়েছিল।
ঝুলন্ত পার্লামেন্টে কোনো রাজনৈতিক দলই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক আসন পায় না। অন্য দলের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করতে হয়। ফলে সরকার পার্লামেন্টে কোনো আইন পাস করতে চাইলেও অন্য দলের সমর্থনের ওপর নির্ভর করতে হয়। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে ৬৫০টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কোনো দলকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে কমপক্ষে ৩২৬টি আসনে জিততে হবে। কোনো দলই প্রয়োজনীয় আসন না পেলে অন্য দলের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করতে হবে। এটিই হবে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট।
এবারের নির্বাচনে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টি গতবারের চেয়ে ২৪টি আসন কম পেলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে। আর একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টিকে গতবারের চেয়ে কমপক্ষে ১১৬টি আসন বেশি পেতে হবে। এ দুটির কোনোটিই না হলে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যাবে। নির্বাচনে লেবার পার্টি বা কনজারভেটিভ পার্টিই প্রথম কিংবা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পাবে ধরে নিয়েই এমনটা বলা হচ্ছে।
তবে নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও সরকার গঠন করতে পারে। এ জন্য বড় দলটিকে ছোট ছোট কিছু দলের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠনের মতো প্রয়োজনীয় আসন সংগ্রহ করতে হয়। সে ক্ষেত্রে অনেক সময় বৃহত্তম দলটিকে নীতির প্রশ্নে ছাড় দিতে হয় কিংবা মন্ত্রিপরিষদে ছোট দলটির নেতাদের স্থান দিতে হয়। জোট সরকার গঠনের পরও বড় দলটিকে ছোট দলগুলোর সঙ্গে চুক্তি করতে হয়—পার্লামেন্টে সরকার পতনের জন্য ভোটাভুটি হলে তারা যেন সরকারের পক্ষেই ভোট দেয়।
আবার বড় দলটি কোনো ছোট দলের সঙ্গে চুক্তি না করেও সরকার গঠন করতে পারে। সে ক্ষেত্রে পার্লামেন্টে অন্য দলগুলোর উত্থাপিত বিভিন্ন বিল পাস করবে সরকার, বিনিময়ে সরকারকে তারা সমর্থন দিয়ে যাবে।
তবে এসবের কোনোটিই সম্ভব না হলে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তখন আবার নির্বাচন হতে হবে। কিন্তু খুব অল্প সময়ের মধ্যে দুটি সাধারণ নির্বাচন জনগণের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর একবারই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। ১৯৭৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে হ্যারল্ড উইলসনের নেতৃত্বে লেবার পার্টি ৩০১টি আসনে জয়লাভ করে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আবির্ভূত হয়। এডওয়ার্ড হিথের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টি পায় ২৯৭টি আসন। ঝুলন্ত পার্লামেন্ট গঠন করেন হ্যারল্ড উইলসন। কিন্তু সেই পার্লামেন্ট বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। একই বছরের অক্টোবরে আবারও নির্বাচন হলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে হ্যারল্ডের লেবার পার্টি।
ঝুলন্ত পার্লামেন্টে কোনো রাজনৈতিক দলই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক আসন পায় না। অন্য দলের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করতে হয়। ফলে সরকার পার্লামেন্টে কোনো আইন পাস করতে চাইলেও অন্য দলের সমর্থনের ওপর নির্ভর করতে হয়। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে ৬৫০টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কোনো দলকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে কমপক্ষে ৩২৬টি আসনে জিততে হবে। কোনো দলই প্রয়োজনীয় আসন না পেলে অন্য দলের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করতে হবে। এটিই হবে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট।
এবারের নির্বাচনে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টি গতবারের চেয়ে ২৪টি আসন কম পেলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে। আর একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টিকে গতবারের চেয়ে কমপক্ষে ১১৬টি আসন বেশি পেতে হবে। এ দুটির কোনোটিই না হলে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যাবে। নির্বাচনে লেবার পার্টি বা কনজারভেটিভ পার্টিই প্রথম কিংবা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পাবে ধরে নিয়েই এমনটা বলা হচ্ছে।
তবে নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও সরকার গঠন করতে পারে। এ জন্য বড় দলটিকে ছোট ছোট কিছু দলের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠনের মতো প্রয়োজনীয় আসন সংগ্রহ করতে হয়। সে ক্ষেত্রে অনেক সময় বৃহত্তম দলটিকে নীতির প্রশ্নে ছাড় দিতে হয় কিংবা মন্ত্রিপরিষদে ছোট দলটির নেতাদের স্থান দিতে হয়। জোট সরকার গঠনের পরও বড় দলটিকে ছোট দলগুলোর সঙ্গে চুক্তি করতে হয়—পার্লামেন্টে সরকার পতনের জন্য ভোটাভুটি হলে তারা যেন সরকারের পক্ষেই ভোট দেয়।
আবার বড় দলটি কোনো ছোট দলের সঙ্গে চুক্তি না করেও সরকার গঠন করতে পারে। সে ক্ষেত্রে পার্লামেন্টে অন্য দলগুলোর উত্থাপিত বিভিন্ন বিল পাস করবে সরকার, বিনিময়ে সরকারকে তারা সমর্থন দিয়ে যাবে।
তবে এসবের কোনোটিই সম্ভব না হলে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তখন আবার নির্বাচন হতে হবে। কিন্তু খুব অল্প সময়ের মধ্যে দুটি সাধারণ নির্বাচন জনগণের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর একবারই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। ১৯৭৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে হ্যারল্ড উইলসনের নেতৃত্বে লেবার পার্টি ৩০১টি আসনে জয়লাভ করে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আবির্ভূত হয়। এডওয়ার্ড হিথের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টি পায় ২৯৭টি আসন। ঝুলন্ত পার্লামেন্ট গঠন করেন হ্যারল্ড উইলসন। কিন্তু সেই পার্লামেন্ট বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। একই বছরের অক্টোবরে আবারও নির্বাচন হলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে হ্যারল্ডের লেবার পার্টি।
No comments