পরমাণু অস্ত্রভান্ডারের তথ্য প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রে মজুদ পরমাণু অস্ত্রভান্ডারের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। গত সোমবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন এ তথ্য প্রকাশ করে। পেন্টাগন জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রভান্ডারে মোট পাঁচ হাজার ১১৩টি পরমাণু অস্ত্র মজুদ আছে। যেসব পরমাণু অস্ত্র ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে এবং যেগুলো নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা চলছে, তা এই হিসাবে ধরা হয়নি। ১৯৬৭ সালে এর সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ২৫৫টি। ১৯৮৯ সালে বার্লিন প্রাচীর ধ্বংসের পর এ সংখ্যা ছিল ২২ হাজার ২১৭টি।
পেন্টাগনের এক জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানান, ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে আট হাজার ৭৪৮টি পরমাণু অস্ত্র ধ্বংস করা হয়। ওই মুখপাত্র আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্রভান্ডারের তথ্য এর আগে ১৯৬১ সালেও প্রকাশ করা হয়ে। আমরা এ সংক্রান্ত তথ্য ২০০৯ সালে হালনাগাদ করি। এখন সে তথ্যই প্রকাশ করা হলো।
পেন্টাগনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে কংগ্রেসম্যান জিম লংইভিন বলেন, রাশিয়া, চীন, ভারত ও পাকিস্তানের উচিত নিজ নিজ দেশে মজুদ পরমাণু অস্ত্রসংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা।
পেন্টাগনের প্রকাশ করা এই তথ্য স্বাধীনভাবে তদন্তের দাবি রাখে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রহিম মেহমানপারাস্ত। গতকাল মঙ্গলবার তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করা দরকার। তিনি আরও বলেন, পাঁচ সহস্রাধিক পরমাণু মজুদ রয়েছে এমন কোনো দেশ বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি।
এর আগে গত সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) পর্যালোচনা সম্মেলনে ইরানি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বলেন, হাজার হাজার পরমাণু অস্ত্র থাকা কোনো দেশের জন্য গর্বের ব্যাপার হতে পারে না। বরং এটি বিরক্তি উদ্রেককারী ও লজ্জার ব্যাপার। যুক্তরাষ্ট্রের মতো যেসব দেশ পরমাণু অস্ত্র হামলার হুমকি দেয়, সেসব দেশকে শাস্তি দিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান আহমাদিনেজাদ।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে অব্যাহত পরমাণু কর্মসূচি থেকে বিরত রাখতে পরমাণু অস্ত্র হামলা চালানো কিংবা হামলার হুমকি দেওয়া বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার শামিল। হুমকিদাতা দেশগুলোর শাস্তি জাতিসংঘকে দিতে হবে।
একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ইরান বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি অব্যাহত রেখে এনপিটি চুক্তি ভঙ্গ করেছে। আহমাদিনেজাদের বক্তব্য একঘেয়ে, মিথ্যা ও মাঝেমধ্যে বুনো অভিযোগে ভরা বলে মন্তব্য করেন হিলারি।
পেন্টাগনের এক জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানান, ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে আট হাজার ৭৪৮টি পরমাণু অস্ত্র ধ্বংস করা হয়। ওই মুখপাত্র আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্রভান্ডারের তথ্য এর আগে ১৯৬১ সালেও প্রকাশ করা হয়ে। আমরা এ সংক্রান্ত তথ্য ২০০৯ সালে হালনাগাদ করি। এখন সে তথ্যই প্রকাশ করা হলো।
পেন্টাগনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে কংগ্রেসম্যান জিম লংইভিন বলেন, রাশিয়া, চীন, ভারত ও পাকিস্তানের উচিত নিজ নিজ দেশে মজুদ পরমাণু অস্ত্রসংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা।
পেন্টাগনের প্রকাশ করা এই তথ্য স্বাধীনভাবে তদন্তের দাবি রাখে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রহিম মেহমানপারাস্ত। গতকাল মঙ্গলবার তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করা দরকার। তিনি আরও বলেন, পাঁচ সহস্রাধিক পরমাণু মজুদ রয়েছে এমন কোনো দেশ বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি।
এর আগে গত সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) পর্যালোচনা সম্মেলনে ইরানি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বলেন, হাজার হাজার পরমাণু অস্ত্র থাকা কোনো দেশের জন্য গর্বের ব্যাপার হতে পারে না। বরং এটি বিরক্তি উদ্রেককারী ও লজ্জার ব্যাপার। যুক্তরাষ্ট্রের মতো যেসব দেশ পরমাণু অস্ত্র হামলার হুমকি দেয়, সেসব দেশকে শাস্তি দিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান আহমাদিনেজাদ।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে অব্যাহত পরমাণু কর্মসূচি থেকে বিরত রাখতে পরমাণু অস্ত্র হামলা চালানো কিংবা হামলার হুমকি দেওয়া বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার শামিল। হুমকিদাতা দেশগুলোর শাস্তি জাতিসংঘকে দিতে হবে।
একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ইরান বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি অব্যাহত রেখে এনপিটি চুক্তি ভঙ্গ করেছে। আহমাদিনেজাদের বক্তব্য একঘেয়ে, মিথ্যা ও মাঝেমধ্যে বুনো অভিযোগে ভরা বলে মন্তব্য করেন হিলারি।
No comments