কনজারভেটিভ পার্টিকে গণমাধ্যমের সমর্থন
ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টির ওপর থেকে ব্রিটেনের প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলো সুদৃষ্টি উঠিয়ে নিয়েছে। ঢালাওভাবে তারা সমর্থন করে যাচ্ছে প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টিকে। দি সান, টাইমস, ইকোনমিস্ট-এর মতো পত্রিকাগুলো অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনের দল থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। সর্বশেষ এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে দ্য ফাইনান্সিয়াল টাইমস। পত্রিকাটি গতকাল মঙ্গলবার প্রধান বিরোধী দলকে সমর্থন করে সম্পাদকীয় ছাপিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কনজারভেটিভ পার্টিই পারবে ব্রিটেনে সবচেয়ে ভালো ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে। পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় ব্যর্থতার কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। এতে বলা বলেছে, বিরোধী দলে গিয়ে দলকে গুছিয়ে নতুন করে পুনরুজ্জীবিত করাটাই হবে এখন লেবার পার্টির প্রধান কাজ।
ফাইনান্সিয়াল টাইমস বলেছে, সরকারে আসার জন্য ডেভিড ক্যামেরনের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টি যোগ্যতর দল নয়। তবে তাদের দলীয় প্রজ্ঞা সমর্থনযোগ্য। তারাই পারবে মানুষের সম্পদ বাড়ানো এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে।
পত্রিকাটি বলেছে, অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে এবং বিদেশে শক্তিশালী ভাবমূর্তি তুলে ধরতে ব্রিটেনে এ মুহূর্তে সুস্থিত ও রীতিসিদ্ধ সরকার দরকার। এ জন্য কনজারভেটিভ পার্টিই সবচেয়ে উপযুক্ত দল। তবে পত্রিকাটি কনজারভেটিভ পার্টির ব্যাপারে কিছুটা সংশয়ও প্রকাশ করেছে। দলটির রক্ষণশীল মনোভাবের কারণে ইউরোপের বিরাগভাজনে পরিণত হওয়া এবং ক্যামেরনের রাজনৈতিক অনভিজ্ঞতার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচন কাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। লেবার পার্টির সামনে টানা চারবারের মতো ক্ষমতায় আসার সুযোগ এটি। কিন্তু দলটির এ বিজয়ের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কেউ আশার কথা শোনাতে পারেনি। নির্বাচনপূর্ব জনমত জরিপের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে লেবার পার্টি পিছিয়ে আছে। তাদের চেয়ে বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে আছে প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি। জরিপে দ্বিতীয় স্থানে আছে মধ্যপন্থী লিবারেল ডেমোক্র্যাটস। আর তৃতীয় স্থানে লেবার পার্টি। এ অবস্থায় জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, এবারের নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন নাও করতে পারে। সে ক্ষেত্রে ক্ষমতায় জোট সরকারকে দেখা যেতে পারে।
ফাইনান্সিয়াল টাইমস আরও বলেছে, লেবার পার্টি জনসেবা খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে। জনসেবার মান উন্নয়নে শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে দলটি, যদিও সবসময়ই যে এ বিনিয়োগ জনকল্যাণে হয়েছে, তা নয়। মাঝেমধ্যে তা বেহাতও হয়েছে। এ অবস্থায় দলকে আবার ক্ষমতায় আনার মতো দক্ষতা ব্রাউনের নেই। তবে দেশের উন্নয়নে স্থপতিতুল্য হচ্ছেন ব্রাউন। দেশের ক্ষতি করার মতো লোক তিনি নন।
ব্রিটেনে নির্বাচনকে সামনে রেখে গণমাধ্যমের সমর্থন আদায়ের বিষয়টি যেকোনো দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মূলত গণমাধ্যমগুলো যেদিকে যায়, ভোটারদের রায়ও সেদিকে। ১৯৮৭ সালের পর এই প্রথম কনজারভেটিভ পার্টিকে সমর্থন করল ফাইনান্সিয়াল টাইমস
ফাইনান্সিয়াল টাইমস বলেছে, সরকারে আসার জন্য ডেভিড ক্যামেরনের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টি যোগ্যতর দল নয়। তবে তাদের দলীয় প্রজ্ঞা সমর্থনযোগ্য। তারাই পারবে মানুষের সম্পদ বাড়ানো এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে।
পত্রিকাটি বলেছে, অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে এবং বিদেশে শক্তিশালী ভাবমূর্তি তুলে ধরতে ব্রিটেনে এ মুহূর্তে সুস্থিত ও রীতিসিদ্ধ সরকার দরকার। এ জন্য কনজারভেটিভ পার্টিই সবচেয়ে উপযুক্ত দল। তবে পত্রিকাটি কনজারভেটিভ পার্টির ব্যাপারে কিছুটা সংশয়ও প্রকাশ করেছে। দলটির রক্ষণশীল মনোভাবের কারণে ইউরোপের বিরাগভাজনে পরিণত হওয়া এবং ক্যামেরনের রাজনৈতিক অনভিজ্ঞতার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচন কাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। লেবার পার্টির সামনে টানা চারবারের মতো ক্ষমতায় আসার সুযোগ এটি। কিন্তু দলটির এ বিজয়ের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কেউ আশার কথা শোনাতে পারেনি। নির্বাচনপূর্ব জনমত জরিপের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে লেবার পার্টি পিছিয়ে আছে। তাদের চেয়ে বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে আছে প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি। জরিপে দ্বিতীয় স্থানে আছে মধ্যপন্থী লিবারেল ডেমোক্র্যাটস। আর তৃতীয় স্থানে লেবার পার্টি। এ অবস্থায় জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, এবারের নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন নাও করতে পারে। সে ক্ষেত্রে ক্ষমতায় জোট সরকারকে দেখা যেতে পারে।
ফাইনান্সিয়াল টাইমস আরও বলেছে, লেবার পার্টি জনসেবা খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে। জনসেবার মান উন্নয়নে শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে দলটি, যদিও সবসময়ই যে এ বিনিয়োগ জনকল্যাণে হয়েছে, তা নয়। মাঝেমধ্যে তা বেহাতও হয়েছে। এ অবস্থায় দলকে আবার ক্ষমতায় আনার মতো দক্ষতা ব্রাউনের নেই। তবে দেশের উন্নয়নে স্থপতিতুল্য হচ্ছেন ব্রাউন। দেশের ক্ষতি করার মতো লোক তিনি নন।
ব্রিটেনে নির্বাচনকে সামনে রেখে গণমাধ্যমের সমর্থন আদায়ের বিষয়টি যেকোনো দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মূলত গণমাধ্যমগুলো যেদিকে যায়, ভোটারদের রায়ও সেদিকে। ১৯৮৭ সালের পর এই প্রথম কনজারভেটিভ পার্টিকে সমর্থন করল ফাইনান্সিয়াল টাইমস
No comments