ইরানের মনোভাবে রাশিয়া ক্লান্ত হলেও ধৈর্য হারায়নি
প্রায় অর্ধদশক ধরে চলা পরমাণুসংকট নিয়ে ইরান বর্তমানে যে অবস্থান বজায় রেখেছে, সে ব্যাপারে রাশিয়া হতাশ হওয়ার ইঙ্গিত দিলেও সামগ্রিকভাবে তাদের অবস্থানের বড় কোনো পরিবর্তন হয়নি। বিশ্লেষকেরা সম্প্রতি এমন দাবিই করেছেন।
পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোর বিপক্ষে রাশিয়াকে নিজের পক্ষের সবচেয়ে বড় ভরসা হিসেবে বিবেচনা করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। কিন্তু গত সপ্তাহগুলোতে রাশিয়ার কর্মকর্তারা এ ইস্যুতে ইরানের অবস্থান নিয়ে হতাশা জানিয়েছেন।
কর্মকর্তারা বলেছেন, তেহরানের ওপর নতুন অবরোধ আরোপ একটি বাস্তব সমাধান হতে পারে। পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশে পরিচালিত হচ্ছে—ইরানের এমন দাবির ব্যাপারেও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
তবে বিশ্লেষকেরা সতর্ক করে বলেছেন, ইরানের ক্ষেত্রে রাশিয়ার বক্তব্যে অবস্থান পরিবর্তনের সুর শোনা গেলেও ইরাননীতিতে সার্বিকভাবে রাশিয়ার অবস্থানের পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। ইরানসংকটের ক্ষেত্রে রাশিয়ার অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। কারণ রাশিয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। তেহরানের ওপর প্রভাব বিস্তারের অনেক বেশি সুযোগ রয়েছে তাদের।
মস্কোর সেন্টার ফর কনটেম্পোরারি ইরানিয়ান স্টাডিজের পরিচালক রজব সাফারভ বলেন, এটা সত্যি, গত মাসে ইরান ইস্যুতে রাশিয়ার অবস্থানের বড় ধরনের পরিবর্তন হয়েছে। তবে বক্তব্যের সুর বদলালেও সার্বিক অবস্থানের তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।
রাশিয়ার মূল উদ্বেগ, এ অঞ্চলে হঠাত্ করেই যাতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি না হয়। কারণ ইরান থেকে রাশিয়ার সীমান্ত মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরে। ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর অবরোধ আরোপের জন্য রাশিয়ার সর্থন চাইতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত সপ্তাহে মস্কো সফর করেন। তেহরানের প্রধান আঞ্চলিক শত্রু ইসরায়েল।
গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের পক্ষে বক্তব্য দিয়ে আসছেন। তবে সাফারভ বলেন, এ ধরনের হুঁশিয়ারিমূলক বক্তব্য দিলেও নিরাপত্তা পরিষদে এ ধরনের প্রস্তাব আনা হলে রাশিয়া তা সমর্থন করবে না।
মস্কোর কার্নেগি সেন্টারের বিশ্লেষক আলেক্সেই মালাশেঙ্কো বলেন, নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে ধোঁয়াশা তৈরি করে রাখার পেছনে রাশিয়ার স্বার্থ রয়েছে। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে আহমাদিনেজাদ নতি স্বীকার করলে প্রথমে রাশিয়াকে এর কৃতিত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু পরে তাদের ভূমিকা খাটো করে ফেলা হবে। তাই নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া কখানোই ইরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের প্রস্তাবে ভোট দেবে না।
গ্রিসের কর্মীকে বহিষ্কার: ইরানে বিমান পরিবহন সংস্থায় কর্মরত গ্রিসের একজন কর্মীর কাজ করার ও বসবাসের অনুমতিপত্র বাতিল করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। তাঁকে দেশ থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল ইরানের বার্তা সংস্থা ফারস নিউজ এজেন্সি এ খবর জানায়। কিশ এয়ারলাইন নামের বিমান পরিবহন সংস্থার ওই কর্মীর বিরুদ্ধে যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোর বিপক্ষে রাশিয়াকে নিজের পক্ষের সবচেয়ে বড় ভরসা হিসেবে বিবেচনা করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। কিন্তু গত সপ্তাহগুলোতে রাশিয়ার কর্মকর্তারা এ ইস্যুতে ইরানের অবস্থান নিয়ে হতাশা জানিয়েছেন।
কর্মকর্তারা বলেছেন, তেহরানের ওপর নতুন অবরোধ আরোপ একটি বাস্তব সমাধান হতে পারে। পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশে পরিচালিত হচ্ছে—ইরানের এমন দাবির ব্যাপারেও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
তবে বিশ্লেষকেরা সতর্ক করে বলেছেন, ইরানের ক্ষেত্রে রাশিয়ার বক্তব্যে অবস্থান পরিবর্তনের সুর শোনা গেলেও ইরাননীতিতে সার্বিকভাবে রাশিয়ার অবস্থানের পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। ইরানসংকটের ক্ষেত্রে রাশিয়ার অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। কারণ রাশিয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। তেহরানের ওপর প্রভাব বিস্তারের অনেক বেশি সুযোগ রয়েছে তাদের।
মস্কোর সেন্টার ফর কনটেম্পোরারি ইরানিয়ান স্টাডিজের পরিচালক রজব সাফারভ বলেন, এটা সত্যি, গত মাসে ইরান ইস্যুতে রাশিয়ার অবস্থানের বড় ধরনের পরিবর্তন হয়েছে। তবে বক্তব্যের সুর বদলালেও সার্বিক অবস্থানের তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।
রাশিয়ার মূল উদ্বেগ, এ অঞ্চলে হঠাত্ করেই যাতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি না হয়। কারণ ইরান থেকে রাশিয়ার সীমান্ত মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরে। ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর অবরোধ আরোপের জন্য রাশিয়ার সর্থন চাইতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত সপ্তাহে মস্কো সফর করেন। তেহরানের প্রধান আঞ্চলিক শত্রু ইসরায়েল।
গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের পক্ষে বক্তব্য দিয়ে আসছেন। তবে সাফারভ বলেন, এ ধরনের হুঁশিয়ারিমূলক বক্তব্য দিলেও নিরাপত্তা পরিষদে এ ধরনের প্রস্তাব আনা হলে রাশিয়া তা সমর্থন করবে না।
মস্কোর কার্নেগি সেন্টারের বিশ্লেষক আলেক্সেই মালাশেঙ্কো বলেন, নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে ধোঁয়াশা তৈরি করে রাখার পেছনে রাশিয়ার স্বার্থ রয়েছে। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে আহমাদিনেজাদ নতি স্বীকার করলে প্রথমে রাশিয়াকে এর কৃতিত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু পরে তাদের ভূমিকা খাটো করে ফেলা হবে। তাই নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া কখানোই ইরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের প্রস্তাবে ভোট দেবে না।
গ্রিসের কর্মীকে বহিষ্কার: ইরানে বিমান পরিবহন সংস্থায় কর্মরত গ্রিসের একজন কর্মীর কাজ করার ও বসবাসের অনুমতিপত্র বাতিল করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। তাঁকে দেশ থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল ইরানের বার্তা সংস্থা ফারস নিউজ এজেন্সি এ খবর জানায়। কিশ এয়ারলাইন নামের বিমান পরিবহন সংস্থার ওই কর্মীর বিরুদ্ধে যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
No comments