শহীদ বরকতের বাড়িকে জাদুঘর করার দাবি
ভাষাসৈনিক শহীদ আবুল বরকতের জন্মভিটা মুর্শিদাবাদের বাবলা গ্রামে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী একুশের মেলা। মেলার উদ্বোধন হয় গত শুক্রবার। মেলার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে নিযুক্ত বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সচিব মো. ওমর ফারুক। মেলার আয়োজক বরকত চর্চা কেন্দ্র। তিন দিনের একুশের অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে প্রভাতফেরি, মশাল মিছিল, বরকতের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বাবলায় বরকত স্মৃতি সংঘও আয়োজন করেছে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের। বরকতের স্মৃতিধন্য বাবলা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তালিবপুর উচ্চবিদ্যালয়েও দিনটি পালন হয়েছে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে।
বাবলা গ্রামে এবার বরকতের বাড়িটিকে অধিগ্রহণ করে বরকত জাদুঘর গড়ার দাবি তুলেছেন স্থানীয় বরকত ভক্তরা।
ভাষা দিবসের স্মরণে শুক্রবার থেকেই কলকাতায় শুরু হয়েছে মহান ভাষা দিবস। পশ্চিমবঙ্গ, ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি, আসাম, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ডসহ গোটা ভারতেই পালিত হয়েছে দিবসটি। ওই সব রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি পর্যায়ে দিনটি পালিত হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে। নয়াদিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কে আয়োজন করা হয়েছে মেলার। এখানে দিনটি পালিত হয়েছে বাংলাদেশ দিবস হিসেবে।
শুক্রবার বিকেলে কলকাতার একাডেমি অব ফাইন আর্টস প্রাঙ্গণে একুশের প্রথম সূচনা করে ‘ভাষা ও চেতনা সমিতি’। বিকেলে দিনটির আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খোন্দকার। ২৪ ঘণ্টা ধরে চলেছে ওই অনুষ্ঠান। রাত ১২টায় এখানেই মশাল জ্বালিয়ে সূচনা হয় মহান ভাষা উত্সবের। এই অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট লোকসংগীতশিল্পী কিরণচন্দ্র রায়। যোগ দেন বাংলাদেশের একঝাঁক শিল্পীও।
কলকাতার শহীদ স্মৃতি উদ্যান বা কার্জন পার্কে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ভাষা স্মারক সমিতি। নবজাগরণ দিনটি পালন করেছে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে।
কলকাতায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা উদ্যাপন কমিটি নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি পালন করেছে। এ উপলক্ষে যতীনদাস পার্ক থেকে মোহরকুঞ্জ পর্যন্ত একুশের পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে যোগ দেন কলকাতার নামী-দামি সব শিল্পী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা সমিতিও দিনটি পালন করেছে সাড়ম্বরে। দ্বারভাঙ্গা হলে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভার। রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ দিবসটিকে ঘিরে বাংলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজন করে বাংলা কবিতা উত্সবের।
কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন দিনটি পালন করেছে সাড়ম্বরে। এ উপলক্ষে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে তৈরি করা হয়েছে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে একটি শহীদ মিনার। এখানের কর্মসূচির মধ্যে ছিল প্রভাতফেরি, শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এ ছাড়া উপ-হাইকমিশনে দুই দিন ধরে এক ‘আর্ট ক্যাম্পের’ আয়োজন করা হয়। ওই ক্যাম্পে কলকাতার প্রখ্যাত শিল্পীদের পাশে একসঙ্গে ছবি এঁকেছেন বাংলাদেশের প্রথিতযশা শিল্পী হাশেম খান, আবদুশ শাকুর, বীরেন্দ্র সোম, শহীদ কবীর ও রেজাউল করিম। পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতনামা শিল্পীদের মধ্যে ছবি এঁকেছেন বিজন চৌধুরী, ওয়াসিম কাপুর, রবীন মণ্ডল, অমিতাভ সেনগুপ্ত, তপন মিত্র প্রমুখ। বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টস সোসাইটি একুশ উপলক্ষে গড়িয়ার নেতাজি সুভাষ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে দিনটি পালন করেছে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। এখানে যোগ দিয়েছে কলকাতায় অধ্যয়নরত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।
লন্ডনে নানা কর্মসূচি: লন্ডন থেকে তানভীর আহমেদ জানান, সারা বিশ্বের মতো যুক্তরাজ্যেও পালিত হয়েছে মাতৃভাষা দিবস। দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একুশের প্রথম প্রহরে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদুর রহমান খান, টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র আহমেদ ওমর ও কাউন্সিলররা ফুল দিয়ে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
পরে প্রবাসের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
যুক্তরাজ্যের অপর বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা ওল্ডহ্যাম ও লুটনে অবস্থিত শহীদ মিনারেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় প্রবাসী বাঙালিরা। গতকাল সকালে বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের সমন্বয়ে মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে। বিকেলে হোয়াইট চ্যাপেলের আইডিয়া স্টোরে দিবসিটি উদ্যাপন উপলক্ষে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী।
বাবলায় বরকত স্মৃতি সংঘও আয়োজন করেছে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের। বরকতের স্মৃতিধন্য বাবলা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তালিবপুর উচ্চবিদ্যালয়েও দিনটি পালন হয়েছে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে।
বাবলা গ্রামে এবার বরকতের বাড়িটিকে অধিগ্রহণ করে বরকত জাদুঘর গড়ার দাবি তুলেছেন স্থানীয় বরকত ভক্তরা।
ভাষা দিবসের স্মরণে শুক্রবার থেকেই কলকাতায় শুরু হয়েছে মহান ভাষা দিবস। পশ্চিমবঙ্গ, ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি, আসাম, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ডসহ গোটা ভারতেই পালিত হয়েছে দিবসটি। ওই সব রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি পর্যায়ে দিনটি পালিত হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে। নয়াদিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কে আয়োজন করা হয়েছে মেলার। এখানে দিনটি পালিত হয়েছে বাংলাদেশ দিবস হিসেবে।
শুক্রবার বিকেলে কলকাতার একাডেমি অব ফাইন আর্টস প্রাঙ্গণে একুশের প্রথম সূচনা করে ‘ভাষা ও চেতনা সমিতি’। বিকেলে দিনটির আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খোন্দকার। ২৪ ঘণ্টা ধরে চলেছে ওই অনুষ্ঠান। রাত ১২টায় এখানেই মশাল জ্বালিয়ে সূচনা হয় মহান ভাষা উত্সবের। এই অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট লোকসংগীতশিল্পী কিরণচন্দ্র রায়। যোগ দেন বাংলাদেশের একঝাঁক শিল্পীও।
কলকাতার শহীদ স্মৃতি উদ্যান বা কার্জন পার্কে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ভাষা স্মারক সমিতি। নবজাগরণ দিনটি পালন করেছে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে।
কলকাতায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা উদ্যাপন কমিটি নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি পালন করেছে। এ উপলক্ষে যতীনদাস পার্ক থেকে মোহরকুঞ্জ পর্যন্ত একুশের পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে যোগ দেন কলকাতার নামী-দামি সব শিল্পী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা সমিতিও দিনটি পালন করেছে সাড়ম্বরে। দ্বারভাঙ্গা হলে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভার। রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ দিবসটিকে ঘিরে বাংলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজন করে বাংলা কবিতা উত্সবের।
কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন দিনটি পালন করেছে সাড়ম্বরে। এ উপলক্ষে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে তৈরি করা হয়েছে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে একটি শহীদ মিনার। এখানের কর্মসূচির মধ্যে ছিল প্রভাতফেরি, শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এ ছাড়া উপ-হাইকমিশনে দুই দিন ধরে এক ‘আর্ট ক্যাম্পের’ আয়োজন করা হয়। ওই ক্যাম্পে কলকাতার প্রখ্যাত শিল্পীদের পাশে একসঙ্গে ছবি এঁকেছেন বাংলাদেশের প্রথিতযশা শিল্পী হাশেম খান, আবদুশ শাকুর, বীরেন্দ্র সোম, শহীদ কবীর ও রেজাউল করিম। পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতনামা শিল্পীদের মধ্যে ছবি এঁকেছেন বিজন চৌধুরী, ওয়াসিম কাপুর, রবীন মণ্ডল, অমিতাভ সেনগুপ্ত, তপন মিত্র প্রমুখ। বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টস সোসাইটি একুশ উপলক্ষে গড়িয়ার নেতাজি সুভাষ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে দিনটি পালন করেছে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। এখানে যোগ দিয়েছে কলকাতায় অধ্যয়নরত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।
লন্ডনে নানা কর্মসূচি: লন্ডন থেকে তানভীর আহমেদ জানান, সারা বিশ্বের মতো যুক্তরাজ্যেও পালিত হয়েছে মাতৃভাষা দিবস। দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একুশের প্রথম প্রহরে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদুর রহমান খান, টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র আহমেদ ওমর ও কাউন্সিলররা ফুল দিয়ে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
পরে প্রবাসের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
যুক্তরাজ্যের অপর বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা ওল্ডহ্যাম ও লুটনে অবস্থিত শহীদ মিনারেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় প্রবাসী বাঙালিরা। গতকাল সকালে বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের সমন্বয়ে মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে। বিকেলে হোয়াইট চ্যাপেলের আইডিয়া স্টোরে দিবসিটি উদ্যাপন উপলক্ষে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী।
No comments