পরীক্ষার মুখে ওবামার পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার অঙ্গীকার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার অঙ্গীকার আগামী মাসে একটি পরীক্ষার মুখে পড়তে যাচ্ছে। ওবামাকে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে, মার্কিন নিরাপত্তা কৌশলে পরমাণু অস্ত্রের প্রভাব কতখানি কমাতে যাচ্ছেন তিনি। কারণ মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে মার্কিন কংগ্রেসে ওবামা প্রশাসনের পরমাণু অস্ত্রবিষয়ক পর্যালোচনা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হবে।
২০০২ সালের পর প্রথমবারের মতো এ ধরনের প্রতিবেদন কংগ্রেসে তোলা হবে। নির্ধারিত সময়ের দুই মাস পর প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হচ্ছে। পরমাণু অস্ত্র বাস্তবে আসলে কী কাজে লাগে তা নিয়ে অবশ্য এরই মধ্যে একটি অভ্যন্তরীণ বিতর্ক চালু হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রে।
এর আগে ওবামা অঙ্গীকার করেছিলেন, ‘স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে জাতীয় নিরাপত্তা রণকৌশলে পরমাণু অস্ত্রের ভূমিকা কমিয়ে আনব আমরা। সেই সঙ্গে অন্যদেরও একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
তবে পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আন্দোলনের পক্ষের লোকেরা পর্যালোচনা প্রতিবেদন থেকে খুব বেশি কিছু পাওয়ার আশা করার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ইউনিয়ন অব কনসার্নড সায়েন্টিস্টসের কর্মী স্টিফেন ইয়াং বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, এবারের পর্যালোচনা প্রতিবেদনটি একটি মধ্যম মানের নথি হবে। এতে প্রেসিডেন্ট ওবামার আলোচ্যসূচির প্রতিফলন থাকলেও মার্কিন রণকৌশলে রাতারাতি কোনো পরিবর্তন আনার সুপারিশ সম্ভবত থাকছে না। তা সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট পরিবর্তন আনার নির্দেশ দিতে পারেন। তবে আমার ধারণা, এ ধরনের কোনো নির্দেশের প্রকাশ এবারের নথিতে নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্র রাখার ‘একমাত্র উদ্দেশ্য’ হচ্ছে অন্য পরমাণু অস্ত্রধর দেশগুলোকে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার থেকে বিরত রাখা—এমন একটি ঘোষণা দেওয়ার জন্য সে দেশের পরমাণু অস্ত্রের ভান্ডার কমিয়ে আনার পক্ষের লোকজন ওবামার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি অন্য যেকোনো পরিস্থিতিতে এই অস্ত্র ছাড়াই সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে।
তবে যেকোনো পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে না—এমন কোনো ঘোষণা দেওয়ার প্রস্তাব ওবামাকে করা হয়নি। কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টও প্রকাশ্যে কখনো এ ধরনের কথা উচ্চারণ করেননি।
চলতি মাসে ওবামার কাছে লেখা এক চিঠিতে অস্ত্র হ্রাস প্রস্তাবের পক্ষের সমর্থকেরা বলেছেন, পরমাণু অস্ত্র হ্রাস করার দৃঢ় মনোভাব পরমাণু অস্ত্রের ভান্ডার কয়েক হাজার থেকে কয়েক শতে নামিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি ন্যাটো জোটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইউরোপ বা এশিয়া মহাদেশে পরামাণু অস্ত্র মোতায়েন করা হবে না—পর্যালোচনা প্রতিবেদনটিকে এমন ইংগিত দেওয়ার কাজে ব্যবহার করারও আহ্বান জানান তাঁরা।
আর পরমাণু অস্ত্র হ্রাস করার ব্যাপারে এই প্রস্তাব আরও গতি পেয়েছে গত শুক্রবার বেলজিয়ামের ঘোষণার পর। বেলজিয়াম সরকার ওই দিন ঘোষণা করেছে, ইউরোপের মাটিতে মোতায়েন ২০০ পরমাণু বোমা সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে জার্মানি, লুক্সেমবার্গ, নরওয়ে ও নেদারল্যান্ডসের আহ্বানের সঙ্গে রয়েছে তারা।
এ ব্যাপারে জাপানের মোনোভাবেরও পরিবর্তন হয়েছে। গত শুক্রবার জাপানের আইনসভার ২০০ সদস্য একটি চিঠিতে আহ্বান জানিয়েছেন, ‘ওবামা যেন ঘোষণা করেন, জাপানে থাকা পরমাণু অস্ত্রগুলো পুরোপুরি যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে মোতায়েন করা হয়েছে।’
ভিন্ন বাস্তবতাটি হলো, যুক্তরাষ্ট্রকে এমন একটি পরমাণু অস্ত্রভান্ডার টিকিয়ে রাখতে হবে, যার মাধ্যমে তারা ইউরোপ, উত্তর-পূর্ব এশিয়া এমনকি মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারে। তা না হলে দক্ষিণ কোরিয়া বা জাপান পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে বিশ্লেষকদের।
চলতি সপ্তাহে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরকারের তিনটি পরমাণু গবেষণাগার, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ও প্রচলিত বাহিনীর ওপর আরও আস্থা আনার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। এতে করে নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রে পরমাণু অস্ত্রের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি। তবে সবার দৃষ্টি এখন ওবামার ওপর—যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্র কমিয়ে আনার ব্যাপারে কী ধরনের ইংগিত তিনি দেন। কারণ, ইরান ও অন্যান্য পরমাণু অস্ত্রধর হয়ে ওঠা দেশগুলোর ওপর চাপ তৈরি করছে মার্কিন প্রশাসন।
২০০২ সালের পর প্রথমবারের মতো এ ধরনের প্রতিবেদন কংগ্রেসে তোলা হবে। নির্ধারিত সময়ের দুই মাস পর প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হচ্ছে। পরমাণু অস্ত্র বাস্তবে আসলে কী কাজে লাগে তা নিয়ে অবশ্য এরই মধ্যে একটি অভ্যন্তরীণ বিতর্ক চালু হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রে।
এর আগে ওবামা অঙ্গীকার করেছিলেন, ‘স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে জাতীয় নিরাপত্তা রণকৌশলে পরমাণু অস্ত্রের ভূমিকা কমিয়ে আনব আমরা। সেই সঙ্গে অন্যদেরও একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
তবে পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আন্দোলনের পক্ষের লোকেরা পর্যালোচনা প্রতিবেদন থেকে খুব বেশি কিছু পাওয়ার আশা করার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ইউনিয়ন অব কনসার্নড সায়েন্টিস্টসের কর্মী স্টিফেন ইয়াং বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, এবারের পর্যালোচনা প্রতিবেদনটি একটি মধ্যম মানের নথি হবে। এতে প্রেসিডেন্ট ওবামার আলোচ্যসূচির প্রতিফলন থাকলেও মার্কিন রণকৌশলে রাতারাতি কোনো পরিবর্তন আনার সুপারিশ সম্ভবত থাকছে না। তা সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট পরিবর্তন আনার নির্দেশ দিতে পারেন। তবে আমার ধারণা, এ ধরনের কোনো নির্দেশের প্রকাশ এবারের নথিতে নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্র রাখার ‘একমাত্র উদ্দেশ্য’ হচ্ছে অন্য পরমাণু অস্ত্রধর দেশগুলোকে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার থেকে বিরত রাখা—এমন একটি ঘোষণা দেওয়ার জন্য সে দেশের পরমাণু অস্ত্রের ভান্ডার কমিয়ে আনার পক্ষের লোকজন ওবামার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি অন্য যেকোনো পরিস্থিতিতে এই অস্ত্র ছাড়াই সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে।
তবে যেকোনো পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে না—এমন কোনো ঘোষণা দেওয়ার প্রস্তাব ওবামাকে করা হয়নি। কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টও প্রকাশ্যে কখনো এ ধরনের কথা উচ্চারণ করেননি।
চলতি মাসে ওবামার কাছে লেখা এক চিঠিতে অস্ত্র হ্রাস প্রস্তাবের পক্ষের সমর্থকেরা বলেছেন, পরমাণু অস্ত্র হ্রাস করার দৃঢ় মনোভাব পরমাণু অস্ত্রের ভান্ডার কয়েক হাজার থেকে কয়েক শতে নামিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি ন্যাটো জোটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইউরোপ বা এশিয়া মহাদেশে পরামাণু অস্ত্র মোতায়েন করা হবে না—পর্যালোচনা প্রতিবেদনটিকে এমন ইংগিত দেওয়ার কাজে ব্যবহার করারও আহ্বান জানান তাঁরা।
আর পরমাণু অস্ত্র হ্রাস করার ব্যাপারে এই প্রস্তাব আরও গতি পেয়েছে গত শুক্রবার বেলজিয়ামের ঘোষণার পর। বেলজিয়াম সরকার ওই দিন ঘোষণা করেছে, ইউরোপের মাটিতে মোতায়েন ২০০ পরমাণু বোমা সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে জার্মানি, লুক্সেমবার্গ, নরওয়ে ও নেদারল্যান্ডসের আহ্বানের সঙ্গে রয়েছে তারা।
এ ব্যাপারে জাপানের মোনোভাবেরও পরিবর্তন হয়েছে। গত শুক্রবার জাপানের আইনসভার ২০০ সদস্য একটি চিঠিতে আহ্বান জানিয়েছেন, ‘ওবামা যেন ঘোষণা করেন, জাপানে থাকা পরমাণু অস্ত্রগুলো পুরোপুরি যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে মোতায়েন করা হয়েছে।’
ভিন্ন বাস্তবতাটি হলো, যুক্তরাষ্ট্রকে এমন একটি পরমাণু অস্ত্রভান্ডার টিকিয়ে রাখতে হবে, যার মাধ্যমে তারা ইউরোপ, উত্তর-পূর্ব এশিয়া এমনকি মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারে। তা না হলে দক্ষিণ কোরিয়া বা জাপান পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে বিশ্লেষকদের।
চলতি সপ্তাহে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরকারের তিনটি পরমাণু গবেষণাগার, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ও প্রচলিত বাহিনীর ওপর আরও আস্থা আনার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। এতে করে নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রে পরমাণু অস্ত্রের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি। তবে সবার দৃষ্টি এখন ওবামার ওপর—যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্র কমিয়ে আনার ব্যাপারে কী ধরনের ইংগিত তিনি দেন। কারণ, ইরান ও অন্যান্য পরমাণু অস্ত্রধর হয়ে ওঠা দেশগুলোর ওপর চাপ তৈরি করছে মার্কিন প্রশাসন।
No comments