আকুতে বাংলাদেশের বাণিজ্য কমেছে ১৮%
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বার্ষিক বাণিজ্য ২০০৯ সালে ব্যাপকভাবে কমে গেছে। বিশ্বমন্দার জের ধরে সদস্য দেশগুলোর পরস্পরের মধ্যে আমদানি ও রপ্তানি হ্রাস পাওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশসহ আটটি দেশের অলিখিত বাণিজ্য জোট হিসেবে পরিচিত আকুর বার্ষিক বাণিজ্য ২০০৮ সালের তুলনায় ২০০৯ সালে প্রায় ৩৩ শতাংশ কমে গেছে।
গত বছর আকুর মোট লেনদেন দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৮১৪ কোটি ডলারের কিছু বেশি, যেখানে ২০০৮ সালে এর পরিমাণ ছিল চার হাজার ১৯৩ কোটি ডলার, যা আকুর পত্তনের পর সর্বোচ্চ।
আলোচ্য সময়ে আকুতে বাংলাদেশের বাণিজ্য ২০০৮ সালের তুলনায় ১৮ শতাংশ কমে গেছে। এর মধ্যে আকুর সদস্য দেশগুলো থেকে আমদানি যতখানি কমেছে, তার চেয়ে অনেক বেশি কমেছে রপ্তানি। ফলে আকুতে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতিও কমেছে।
ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থিত আকুর সচিবালয়ের ডিসেম্বর মাসের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা—এই আটটি দেশ বর্তমানে আকুর সদস্য। অবশ্য এ বছর থেকে মালদ্বীপ আকুতে যুক্ত হয়েছে।
সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক লেনদেন সহজ করা ও পারস্পরিক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমানোর জন্য আকু গঠন করা হয় ১৯৭৫ সালে। একে পরোক্ষভাবে একটি বাণিজ্য জোট হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। আকুতে মার্কিন ডলারে পাশাপাশি ইউরোর মাধ্যমেও লেনদেন নিষ্পন্ন করার সুযোগ রয়েছে।
সদস্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো এই লেনদেনের প্রক্রিয়াটি সমন্বয় করে থাকে। আর এই লেনদেনের হিসাবটি আকুতে ঋণ গ্রহণ ও ঋণ প্রদানের আকারে সম্পন্ন হয়। যারা ঋণ গ্রহণ করে, তাদের একটি নির্দিষ্ট হারে সুদ প্রদান করতে হয়। ঋণ গ্রহণকে আমদানি ও ঋণ প্রদানকে রপ্তানির সূচক হিসেবে গণ্য করা হয়।
আকুর প্রতিবেদন থেকে দেখা যায় যে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আকুর সদস্য দেশগুলোয় ১৩ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের পণ্য ও সেবা রপ্তানি করেছে, যা ২০০৮ সালে ছিল প্রায় ১৫ কোটি ডলার। ফলে রপ্তানি কমেছে আট শতাংশ।
বিপরীতে ২০০৯ সালে আকুর অন্য দেশগুলো থেকে সমন্বিতভাবে বাংলাদেশ প্রায় ৩০২ কোটি ডলারের পণ্য-সেবা আমদানি করেছে। তার আগের বছর এর পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৭০ কোটি ডলারের ওপর। অর্থাত্ আমদানি কমেছে প্রায় সাড়ে ১৮ শতাংশ।
পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় আরও দেখা যায় যে গত বছর আকুতে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে ২৮৮ কেটি ডলার, যা ২০০৮ সালে ছিল ৩৫৬ কোটি ডলার।
সার্বিকভাবে ২০০৮ সালের জানুয়ারি-ডিসেম্বর সময়কালে আকুতে বাংলাদেশের মোট বাণিজ্যের অর্থমূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩১৬ কোটি ৩৫ লাখ ডলার, যেখানে ২০০৮ সালে এর মূল্যমান ছিল ৩৮৬ কোটি ডলার।
অবশ্য এর মধ্যে সুদ বাবদ লেনদেনও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কারণ, আকুর আওতায় একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সদস্য দেশগুলোকে ঋণ প্রদান করা হয়। পরে তা নিষ্পত্তি করা হয়। যারা ঋণ নেয়, তাদের সুদ প্রদান করতে হয়।
সদস্য দেশগুলোর প্রতিটি দেশই ঋণ নেয়। আবার ঋণ প্রদানও করে। ঋণ প্রদানের চেয়ে ঋণ গ্রহণ বেশি হলে সুদ দিতে হয়। উল্টোটা হলে সুদ পাওয়া যায়।
ডিসেম্বর শেষে এসে আকুতে সবচেয়ে বেশি সুদ গুনেছে ভারত, যার পরিমাণ দুই লাখ ৭২ হাজার ৫১৫ ডলার। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ, যাকে ৪৩ হাজার ডলার সুদ গুনতে হয়েছে। বিপরীতে সবচেয়ে বেশি সুদ যোগ হয়েছে ইরানের হিসাবে, যার পরিমাণ তিন লাখ ৫৭ হাজার ১৪৬ ডলার।
আকুর পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায় যে ২০০৯ সালে ভুটান বাদে অন্য সব সদস্য দেশের লেনদেন আকুতে কমে গেছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আকুতে ভুটানের সার্বিক লেনদেন বেড়েছে ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ।
আকুতে গত বছর সবচেয়ে বেশি লেনদেন করেছে ভারত, যার পরিমাণ এক হাজার ২৩৪ কোটি ৩১ লাখ ডলারের কিছু বেশি। তবে এই লেনদেন ২০০৮ সালের তুলনায় প্রায় সাড়ে ৩৪ শতাংশ কম। ২০০৮ সালে আমদানি-রপ্তানি ও সুদ মিলিয়ে ভারতের বাণিজ্যমূল্য দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৭৮ কোটি ডলার।
আকুতে সার্বিক লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইরান। গত বছর দেশটি আকুতে ৮৮৪ কোটি ডলারের কিছু বেশি লেনদেন করেছে, যা ২০০৮ সালে ছিল প্রায় এক হাজার ৩৬৪ কোটি ডলার। ফলে এক বছরের ব্যবধানে আকুতে ইরানের সার্বিক লেনদেন কমেছে প্রায় ৩৪ শতাংশ।
বাংলাদেশসহ আটটি দেশের অলিখিত বাণিজ্য জোট হিসেবে পরিচিত আকুর বার্ষিক বাণিজ্য ২০০৮ সালের তুলনায় ২০০৯ সালে প্রায় ৩৩ শতাংশ কমে গেছে।
গত বছর আকুর মোট লেনদেন দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৮১৪ কোটি ডলারের কিছু বেশি, যেখানে ২০০৮ সালে এর পরিমাণ ছিল চার হাজার ১৯৩ কোটি ডলার, যা আকুর পত্তনের পর সর্বোচ্চ।
আলোচ্য সময়ে আকুতে বাংলাদেশের বাণিজ্য ২০০৮ সালের তুলনায় ১৮ শতাংশ কমে গেছে। এর মধ্যে আকুর সদস্য দেশগুলো থেকে আমদানি যতখানি কমেছে, তার চেয়ে অনেক বেশি কমেছে রপ্তানি। ফলে আকুতে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতিও কমেছে।
ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থিত আকুর সচিবালয়ের ডিসেম্বর মাসের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা—এই আটটি দেশ বর্তমানে আকুর সদস্য। অবশ্য এ বছর থেকে মালদ্বীপ আকুতে যুক্ত হয়েছে।
সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক লেনদেন সহজ করা ও পারস্পরিক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমানোর জন্য আকু গঠন করা হয় ১৯৭৫ সালে। একে পরোক্ষভাবে একটি বাণিজ্য জোট হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। আকুতে মার্কিন ডলারে পাশাপাশি ইউরোর মাধ্যমেও লেনদেন নিষ্পন্ন করার সুযোগ রয়েছে।
সদস্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো এই লেনদেনের প্রক্রিয়াটি সমন্বয় করে থাকে। আর এই লেনদেনের হিসাবটি আকুতে ঋণ গ্রহণ ও ঋণ প্রদানের আকারে সম্পন্ন হয়। যারা ঋণ গ্রহণ করে, তাদের একটি নির্দিষ্ট হারে সুদ প্রদান করতে হয়। ঋণ গ্রহণকে আমদানি ও ঋণ প্রদানকে রপ্তানির সূচক হিসেবে গণ্য করা হয়।
আকুর প্রতিবেদন থেকে দেখা যায় যে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আকুর সদস্য দেশগুলোয় ১৩ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের পণ্য ও সেবা রপ্তানি করেছে, যা ২০০৮ সালে ছিল প্রায় ১৫ কোটি ডলার। ফলে রপ্তানি কমেছে আট শতাংশ।
বিপরীতে ২০০৯ সালে আকুর অন্য দেশগুলো থেকে সমন্বিতভাবে বাংলাদেশ প্রায় ৩০২ কোটি ডলারের পণ্য-সেবা আমদানি করেছে। তার আগের বছর এর পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৭০ কোটি ডলারের ওপর। অর্থাত্ আমদানি কমেছে প্রায় সাড়ে ১৮ শতাংশ।
পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় আরও দেখা যায় যে গত বছর আকুতে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে ২৮৮ কেটি ডলার, যা ২০০৮ সালে ছিল ৩৫৬ কোটি ডলার।
সার্বিকভাবে ২০০৮ সালের জানুয়ারি-ডিসেম্বর সময়কালে আকুতে বাংলাদেশের মোট বাণিজ্যের অর্থমূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩১৬ কোটি ৩৫ লাখ ডলার, যেখানে ২০০৮ সালে এর মূল্যমান ছিল ৩৮৬ কোটি ডলার।
অবশ্য এর মধ্যে সুদ বাবদ লেনদেনও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কারণ, আকুর আওতায় একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সদস্য দেশগুলোকে ঋণ প্রদান করা হয়। পরে তা নিষ্পত্তি করা হয়। যারা ঋণ নেয়, তাদের সুদ প্রদান করতে হয়।
সদস্য দেশগুলোর প্রতিটি দেশই ঋণ নেয়। আবার ঋণ প্রদানও করে। ঋণ প্রদানের চেয়ে ঋণ গ্রহণ বেশি হলে সুদ দিতে হয়। উল্টোটা হলে সুদ পাওয়া যায়।
ডিসেম্বর শেষে এসে আকুতে সবচেয়ে বেশি সুদ গুনেছে ভারত, যার পরিমাণ দুই লাখ ৭২ হাজার ৫১৫ ডলার। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ, যাকে ৪৩ হাজার ডলার সুদ গুনতে হয়েছে। বিপরীতে সবচেয়ে বেশি সুদ যোগ হয়েছে ইরানের হিসাবে, যার পরিমাণ তিন লাখ ৫৭ হাজার ১৪৬ ডলার।
আকুর পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায় যে ২০০৯ সালে ভুটান বাদে অন্য সব সদস্য দেশের লেনদেন আকুতে কমে গেছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আকুতে ভুটানের সার্বিক লেনদেন বেড়েছে ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ।
আকুতে গত বছর সবচেয়ে বেশি লেনদেন করেছে ভারত, যার পরিমাণ এক হাজার ২৩৪ কোটি ৩১ লাখ ডলারের কিছু বেশি। তবে এই লেনদেন ২০০৮ সালের তুলনায় প্রায় সাড়ে ৩৪ শতাংশ কম। ২০০৮ সালে আমদানি-রপ্তানি ও সুদ মিলিয়ে ভারতের বাণিজ্যমূল্য দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৭৮ কোটি ডলার।
আকুতে সার্বিক লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইরান। গত বছর দেশটি আকুতে ৮৮৪ কোটি ডলারের কিছু বেশি লেনদেন করেছে, যা ২০০৮ সালে ছিল প্রায় এক হাজার ৩৬৪ কোটি ডলার। ফলে এক বছরের ব্যবধানে আকুতে ইরানের সার্বিক লেনদেন কমেছে প্রায় ৩৪ শতাংশ।
No comments