আখের সংকট ও লোকসানের আশঙ্কা নিয়ে ঠাকুরগাঁও চিনিকলে মাড়াই শুরু by মজিবর রহমান খান
ব্যাপকভাবে আখের সংকট ও লোকসানের আশঙ্কার মধ্য দিয়ে ঠাকুরগাঁও চিনিকলে ২০০৯-১০ মৌসুমের আখ মাড়াই শুরু হয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, আলু চাষের জন্য জমি তৈরি করতে এবং বেশি দাম পাওয়ার সুযোগ কাজে লাগাতে অনেক কৃষক এ চিনিকলে মাড়াই শুরুর আগেই আখ বিক্রি করে ফেলেছেন। কারণ চিনিকলটিতে এবার এক মাস দেরিতে ২৫ ডিসেম্বর থেকে চলতি মৌসুমের আখ মাড়াই শুরু হবে—আগেভাগে এ খবর শুনে কৃষকেরা স্থানীয় গুড় তৈরির কারখানাগুলোর কাছে বেশি দামে আখ বিক্রি করে দেন। যে কারণে ঠাকুরগাঁও চিনিকলে এবার যেমন আখের মারাত্মক সংকট পড়বে, তেমনি বড় ধরনের লোকসানের সম্মুখীন হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কৃষকেরা জানান, ঠাকুরগাঁও চিনিকলের কাছে যেখানে প্রতি মণ আখ বিক্রি করে পাওয়া যায় ৬৬ টাকা, সেখানে গুড় তৈরির কারখানাগুলো দেয় ৯০ থেকে ১০০ টাকা।
ঠাকুরগাঁও চিনিকলে গত শুক্রবার নতুন মৌসুমের আখ মাড়াই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প সংস্থার চেয়ারম্যান রণজিত্ কুমার বিশ্বাস, জেলা প্রশাসক মুনশী শাহাবুদ্দিন আহমদ, পুলিশ সুপার বি এম হারুন অর রশীদ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মকবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক কোরাইশী এবং চিনিকলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, এবার এই চিনিকলে ৪৭ হাজার টন আখ মাড়াই করে তিন হাজার ৩৩৭ টন চিনি উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। সূত্র আরও জানায়, এবার ৬৬ টাকা মণ দরে আখ কেনা হলেও আগামী বছর থেকে ৮০ টাকা দরে কেনা হবে।
সদর উপজেলার নারগুনের সফিউল ইসলাম ও আবদুল মালেক এবং মোহাম্মদপুর গ্রামের পয়গাম আলী জানান, ঠাকুরগাঁও চিনিকলে দেরিতে আখ মাড়াই শুরু হবে জেনে তাঁরা জমির আখ কেটে ফেলেছেন।
এ ছাড়া সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের মো. বাদল, মণ্ডলপাড়ার মনতাজ আলী, মনসুর আলী ও বেসারউদ্দিন জানান, তাঁরা চিনিকলের কাছে আখ বিক্রি করার চেয়ে নিজেরাই এখন গুড়ের কারখানা করে বেশি লাভ করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, গত বছর এই চিনিকলে আখ মাড়াই করে লোকসান হয়েছিল প্রায় ১৯ কোটি টাকা। এবার দেরিতে মাড়াই শুরু করায় আখের সংকটে পড়ে আরও বেশি পরিমাণে লোকসান দেবে।
কৃষকেরা জানান, সার ও বীজের দাম এবং শ্রমিকদের মজুরি মিলিয়ে এখন আর আগের মতো লাভ না হওয়ায় তাঁরা আখ চাষ কমিয়ে দিয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় আখচাষি সমিতির সাবেক সভাপতি ইউনুস আলী বলেন, চিনিকলের লোকসান কমাতে হলে চিনিকল এলাকায় আখের চাষ বাড়াতে ও সার কিনতে আখচাষিদের ভর্তুকি দিতে হবে। এ ছাড়া চিনিকলের জমি আলুর জন্য লিজ না দিয়ে আখ চাষের জন্য বরাদ্দ দিতে হবে।
ঠাকুরগাঁও চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, চিনিকল এলাকায় আগামী মৌসুমে ১২ হাজার একর জমিতে আখ চাষ এবং এক লাখ ৩৫ হাজার টন আখ মাড়াই করে নয় হাজার ৫৮৫ টন চিনি উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঠাকুরগাঁও চিনিকল ১৯৫৮ সালে স্থাপিত হয়। এর অনেক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যে কারণে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে প্রতিবছর চিনিকলটির উত্পাদন ব্যাহত হয়।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, আলু চাষের জন্য জমি তৈরি করতে এবং বেশি দাম পাওয়ার সুযোগ কাজে লাগাতে অনেক কৃষক এ চিনিকলে মাড়াই শুরুর আগেই আখ বিক্রি করে ফেলেছেন। কারণ চিনিকলটিতে এবার এক মাস দেরিতে ২৫ ডিসেম্বর থেকে চলতি মৌসুমের আখ মাড়াই শুরু হবে—আগেভাগে এ খবর শুনে কৃষকেরা স্থানীয় গুড় তৈরির কারখানাগুলোর কাছে বেশি দামে আখ বিক্রি করে দেন। যে কারণে ঠাকুরগাঁও চিনিকলে এবার যেমন আখের মারাত্মক সংকট পড়বে, তেমনি বড় ধরনের লোকসানের সম্মুখীন হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কৃষকেরা জানান, ঠাকুরগাঁও চিনিকলের কাছে যেখানে প্রতি মণ আখ বিক্রি করে পাওয়া যায় ৬৬ টাকা, সেখানে গুড় তৈরির কারখানাগুলো দেয় ৯০ থেকে ১০০ টাকা।
ঠাকুরগাঁও চিনিকলে গত শুক্রবার নতুন মৌসুমের আখ মাড়াই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প সংস্থার চেয়ারম্যান রণজিত্ কুমার বিশ্বাস, জেলা প্রশাসক মুনশী শাহাবুদ্দিন আহমদ, পুলিশ সুপার বি এম হারুন অর রশীদ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মকবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক কোরাইশী এবং চিনিকলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, এবার এই চিনিকলে ৪৭ হাজার টন আখ মাড়াই করে তিন হাজার ৩৩৭ টন চিনি উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। সূত্র আরও জানায়, এবার ৬৬ টাকা মণ দরে আখ কেনা হলেও আগামী বছর থেকে ৮০ টাকা দরে কেনা হবে।
সদর উপজেলার নারগুনের সফিউল ইসলাম ও আবদুল মালেক এবং মোহাম্মদপুর গ্রামের পয়গাম আলী জানান, ঠাকুরগাঁও চিনিকলে দেরিতে আখ মাড়াই শুরু হবে জেনে তাঁরা জমির আখ কেটে ফেলেছেন।
এ ছাড়া সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের মো. বাদল, মণ্ডলপাড়ার মনতাজ আলী, মনসুর আলী ও বেসারউদ্দিন জানান, তাঁরা চিনিকলের কাছে আখ বিক্রি করার চেয়ে নিজেরাই এখন গুড়ের কারখানা করে বেশি লাভ করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, গত বছর এই চিনিকলে আখ মাড়াই করে লোকসান হয়েছিল প্রায় ১৯ কোটি টাকা। এবার দেরিতে মাড়াই শুরু করায় আখের সংকটে পড়ে আরও বেশি পরিমাণে লোকসান দেবে।
কৃষকেরা জানান, সার ও বীজের দাম এবং শ্রমিকদের মজুরি মিলিয়ে এখন আর আগের মতো লাভ না হওয়ায় তাঁরা আখ চাষ কমিয়ে দিয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় আখচাষি সমিতির সাবেক সভাপতি ইউনুস আলী বলেন, চিনিকলের লোকসান কমাতে হলে চিনিকল এলাকায় আখের চাষ বাড়াতে ও সার কিনতে আখচাষিদের ভর্তুকি দিতে হবে। এ ছাড়া চিনিকলের জমি আলুর জন্য লিজ না দিয়ে আখ চাষের জন্য বরাদ্দ দিতে হবে।
ঠাকুরগাঁও চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, চিনিকল এলাকায় আগামী মৌসুমে ১২ হাজার একর জমিতে আখ চাষ এবং এক লাখ ৩৫ হাজার টন আখ মাড়াই করে নয় হাজার ৫৮৫ টন চিনি উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঠাকুরগাঁও চিনিকল ১৯৫৮ সালে স্থাপিত হয়। এর অনেক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যে কারণে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে প্রতিবছর চিনিকলটির উত্পাদন ব্যাহত হয়।
No comments