পুলিশের ‘বেআইনি হাত’-পোশাকি নয়, দক্ষ ও সত্ পুলিশ প্রয়োজন -
পুলিশের হাতই কি আইনের হাত? পুলিশের সব কাজই কি আইনানুগ? নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মালীপাড়া গ্রামের পাঁচ গ্রামবাসীকে থানায় নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। ঢাকার মিরপুরে জনতার ধরিয়ে দেওয়া চাঁদাবাজকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন হলো, যে হাত নিরীহ ব্যক্তিদের নির্যাতন করেছে এবং চাঁদাবাজদের ছেড়ে দিয়েছে, সেই হাত কি আইনের হাত? পুলিশি ক্ষমতার এ অপব্যবহারকে কি আইনি কাজ বলা যায়? গত রোববারের প্রথম আলোয় প্রকাশিত এ দুটি সংবাদ নমুনা মাত্র। ছোট থেকে বড় পর্যায়ে এ রকম ঘটনা অহরহই ঘটছে এবং এতে কেবল মানবাধিকারই লঙ্ঘিত হচ্ছে না, অপরাধীরা অপরাধ করেও রেহাই পাচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট নির্যাতিত ব্যক্তিরা চুরি-ডাকাতির বিরুদ্ধে রাতে গ্রাম পাহারায় নিয়োজিত ছিলেন। থানায় ধরে নিয়ে পুলিশ তাঁদের নির্যাতন করে। এ ছাড়া ঘুষ চাওয়ারও অভিযোগ করেন নির্যাতিত ব্যক্তিরা। আড়াইহাজার থানার এসআই রফিক প্রথম আলোর কাছে নিজের ভুল স্বীকার করে বলেন, ‘আমি নিজে নির্যাতন করিনি...অন্য পুলিশ সদস্যরা তাঁদের কিছুটা শাসন করেছেন।’ এই ভুল ও নির্যাতনের জন্য এখন দোষী পুলিশ সদস্যদের ‘শাসন’ করা প্রয়োজন। নতুবা এ রকম অপকর্ম চলতেই থাকবে।
পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্যেরই পেশাগত সততা ও দক্ষতা অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু পুলিশের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ সদস্যরা নানা সময় অপরাধীদের সহযোগিতা করে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা যে জনগণের জানমালের রক্ষকের বদলে ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, সেটাও সুবিদিত। তাঁদের একটা দিক উজ্জ্বল, আরেকটা দিক অন্ধকার। ইংরেজ ঔপন্যাসিক রবার্ট লুই স্টিভেনসনের জেকিল অ্যান্ড মিস্টার হাইড উপন্যাসে একই ব্যক্তির দিনে ও রাতে বিপরীত চরিত্রের দ্বন্দ্বের কথা রয়েছে। জেকিল দিনের বেলায় সজ্জন হিসেবে এবং রাতের বেলায় ঘৃণ্য অপরাধীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। আমাদের পুলিশ বাহিনীর ভেতরও আইনের রক্ষক ও আইন ভঙ্গকারী—এই দুই ভূমিকার দ্বন্দ্ব দেখতে পাওয়া যায়। এর অবসান ঘটাতে ভালো কাজের পুরস্কার ও মন্দ কাজের শাস্তিই একমাত্র পথ। এখন দেখা যাক, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ উপরিউক্ত দুটি ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের কীভাবে ‘শাসন’ করে।
নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট নির্যাতিত ব্যক্তিরা চুরি-ডাকাতির বিরুদ্ধে রাতে গ্রাম পাহারায় নিয়োজিত ছিলেন। থানায় ধরে নিয়ে পুলিশ তাঁদের নির্যাতন করে। এ ছাড়া ঘুষ চাওয়ারও অভিযোগ করেন নির্যাতিত ব্যক্তিরা। আড়াইহাজার থানার এসআই রফিক প্রথম আলোর কাছে নিজের ভুল স্বীকার করে বলেন, ‘আমি নিজে নির্যাতন করিনি...অন্য পুলিশ সদস্যরা তাঁদের কিছুটা শাসন করেছেন।’ এই ভুল ও নির্যাতনের জন্য এখন দোষী পুলিশ সদস্যদের ‘শাসন’ করা প্রয়োজন। নতুবা এ রকম অপকর্ম চলতেই থাকবে।
পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্যেরই পেশাগত সততা ও দক্ষতা অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু পুলিশের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ সদস্যরা নানা সময় অপরাধীদের সহযোগিতা করে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা যে জনগণের জানমালের রক্ষকের বদলে ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, সেটাও সুবিদিত। তাঁদের একটা দিক উজ্জ্বল, আরেকটা দিক অন্ধকার। ইংরেজ ঔপন্যাসিক রবার্ট লুই স্টিভেনসনের জেকিল অ্যান্ড মিস্টার হাইড উপন্যাসে একই ব্যক্তির দিনে ও রাতে বিপরীত চরিত্রের দ্বন্দ্বের কথা রয়েছে। জেকিল দিনের বেলায় সজ্জন হিসেবে এবং রাতের বেলায় ঘৃণ্য অপরাধীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। আমাদের পুলিশ বাহিনীর ভেতরও আইনের রক্ষক ও আইন ভঙ্গকারী—এই দুই ভূমিকার দ্বন্দ্ব দেখতে পাওয়া যায়। এর অবসান ঘটাতে ভালো কাজের পুরস্কার ও মন্দ কাজের শাস্তিই একমাত্র পথ। এখন দেখা যাক, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ উপরিউক্ত দুটি ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের কীভাবে ‘শাসন’ করে।
No comments