পুরোনো প্রশ্ন নিয়েই স্কুল ক্রিকেট
প্রতিবার স্কুল ক্রিকেট এলেই ওঠে প্রশ্নগুলো। পাওয়া যায় নানা আশ্বাস, ‘আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে’—এই প্রতিশ্রুতিও। কিন্তু ঠিক আর হয় না। পুরোনো সেই প্রশ্নগুলোকে আরও একবার সামনে নিয়ে এসে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ইয়াং টাইগার্স অনূর্ধ্ব-১৬ জাতীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। দেশের ৬৪টি জেলার ৭২টি ভেন্যুতে এই প্রতিযোগিতা হবে তিন পর্বে—জেলা, বিভাগীয় ও জাতীয়।
টুর্নামেন্ট উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট এবং স্কুল ক্রিকেট ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য জালাল আহমেদ চৌধুরী দাবি করলেন, স্কুল ক্রিকেটের নিয়মিত আয়োজন স্কুলে স্কুলে ক্রিকেটের চর্চা বাড়াচ্ছে। স্কুলগুলোও এই টুর্নামেন্ট নিয়ে এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সিরিয়াস। অনেক স্কুল প্রতিযোগিতাকে সামনে রেখে এবার কোচও নিয়োগ দিয়েছে।
পুরোনো প্রশ্নগুলো তারপরও উঠল। স্কুল ক্রিকেটে ভুয়া ম্যাচের অভিযোগ আছে। একবার নাকি রাজশাহী অঞ্চলের খেলায় এক দিনে একই মাঠে দুই ম্যাচ খেলিয়ে দুই দিনের টাকা নিয়ে নেওয়া হয়েছিল! কাল সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নটা তুলতেই জালাল আহমেদ চৌধুরী দিলেন একটা আশ্বাস, ‘এই অভিযোগ আমাদের কানেও এসেছে। এসব দেখভালের জন্য এবার আমরা একটা স্কুল ক্রিকেট ম্যানেজমেন্ট কমিটি করেছি। আশা করি, এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না।’
স্কুল ক্রিকেট আয়োজনের প্রধান উদ্দেশ্য নতুন প্রতিভা অন্বেষণ। এই স্কুল ক্রিকেট থেকেই উঠে আসা খেলোয়াড়দের একজন মেহরাব হোসেন জুনিয়র কাল সংবাদ সম্মেলনেও উপস্থিত ছিলেন। স্কুল ক্রিকেট তাঁর ক্যারিয়ারে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, সে কথাই বললেন জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার, ‘স্কুল ক্রিকেট বেশির ভাগ ক্রিকেটারের ক্ষেত্রেই নিজেকে প্রমাণ করার মঞ্চ হয়। আমার জন্যও তাই। ২০০২-০৩ সালে এই স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড স্কুল ক্রিকেটে পারফর্ম করেই আমি প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে ডাক পাই। স্কুল ক্রিকেট বড় জায়গায় খেলার প্রস্তুতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ মেহরাব মনে করেন স্কুল ক্রিকেটের মান যত বাড়বে, ততই এর উদ্দেশ্য সফল হবে, ‘আমাদের তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসানের উঠে আসায়ও স্কুল ক্রিকেটের অবদান আছে। এ ছাড়া বিশ্বের প্রায় সব আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের শুরুটাই স্কুল ক্রিকেট দিয়ে। আমাদের স্কুল ক্রিকেটের মান আরও ভালো হলে ভবিষ্যতে আরও অনেক ক্রিকেটার উঠে আসবে আশা করি।’
মেহরাব জুনিয়র যে মানের স্কুল ক্রিকেটের কথা বললেন, সে মানের স্কুল ক্রিকেট বাংলাদেশে হয় কি না, সেটি একটা প্রশ্ন। দিনে দিনে প্রতিযোগী স্কুলের সংখ্যা বাড়ছে। গতবার সারা দেশের ৪৬৪টি স্কুল খেলেছে, এবার খেলবে ৫৩৯টি স্কুল। কিন্তু সে তুলনায় খেলার মান কি বাড়ছে? সাম্প্রতিক টুর্নামেন্টগুলো থেকে অর্জনই বা কী বিসিবির? এসব প্রশ্নে সুনির্দিষ্ট উত্তর নেই কারো কাছেই।
আশার কথা, স্পনসর স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক তবু আছে স্কুল ক্রিকেটের সঙ্গে। ব্যাংকের হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স বিটপী দাশ চৌধুরী বললেন, ‘স্কুল ক্রিকেটের মূল উদ্দেশ্য ঢাকার বাইরের ক্রিকেট প্রতিভাদের খুঁজে এনে বড় পর্যায়ে খেলার সুযোগ করে দেওয়া, মূল স্রোতে নিয়ে আসা। বিসিবি যেভাবে সেটা করছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট।’ স্কুল ক্রিকেটের সঙ্গে বেসরকারি এই ব্যাংকটির নাম জড়িয়ে আছে ২০০৪ সাল থেকে। এ বছর স্পনসরশিপ বাবদ ৭৭ লাখ টাকা দিচ্ছে তারা বিসিবিকে।
টুর্নামেন্ট উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট এবং স্কুল ক্রিকেট ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য জালাল আহমেদ চৌধুরী দাবি করলেন, স্কুল ক্রিকেটের নিয়মিত আয়োজন স্কুলে স্কুলে ক্রিকেটের চর্চা বাড়াচ্ছে। স্কুলগুলোও এই টুর্নামেন্ট নিয়ে এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সিরিয়াস। অনেক স্কুল প্রতিযোগিতাকে সামনে রেখে এবার কোচও নিয়োগ দিয়েছে।
পুরোনো প্রশ্নগুলো তারপরও উঠল। স্কুল ক্রিকেটে ভুয়া ম্যাচের অভিযোগ আছে। একবার নাকি রাজশাহী অঞ্চলের খেলায় এক দিনে একই মাঠে দুই ম্যাচ খেলিয়ে দুই দিনের টাকা নিয়ে নেওয়া হয়েছিল! কাল সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নটা তুলতেই জালাল আহমেদ চৌধুরী দিলেন একটা আশ্বাস, ‘এই অভিযোগ আমাদের কানেও এসেছে। এসব দেখভালের জন্য এবার আমরা একটা স্কুল ক্রিকেট ম্যানেজমেন্ট কমিটি করেছি। আশা করি, এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না।’
স্কুল ক্রিকেট আয়োজনের প্রধান উদ্দেশ্য নতুন প্রতিভা অন্বেষণ। এই স্কুল ক্রিকেট থেকেই উঠে আসা খেলোয়াড়দের একজন মেহরাব হোসেন জুনিয়র কাল সংবাদ সম্মেলনেও উপস্থিত ছিলেন। স্কুল ক্রিকেট তাঁর ক্যারিয়ারে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, সে কথাই বললেন জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার, ‘স্কুল ক্রিকেট বেশির ভাগ ক্রিকেটারের ক্ষেত্রেই নিজেকে প্রমাণ করার মঞ্চ হয়। আমার জন্যও তাই। ২০০২-০৩ সালে এই স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড স্কুল ক্রিকেটে পারফর্ম করেই আমি প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে ডাক পাই। স্কুল ক্রিকেট বড় জায়গায় খেলার প্রস্তুতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ মেহরাব মনে করেন স্কুল ক্রিকেটের মান যত বাড়বে, ততই এর উদ্দেশ্য সফল হবে, ‘আমাদের তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসানের উঠে আসায়ও স্কুল ক্রিকেটের অবদান আছে। এ ছাড়া বিশ্বের প্রায় সব আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের শুরুটাই স্কুল ক্রিকেট দিয়ে। আমাদের স্কুল ক্রিকেটের মান আরও ভালো হলে ভবিষ্যতে আরও অনেক ক্রিকেটার উঠে আসবে আশা করি।’
মেহরাব জুনিয়র যে মানের স্কুল ক্রিকেটের কথা বললেন, সে মানের স্কুল ক্রিকেট বাংলাদেশে হয় কি না, সেটি একটা প্রশ্ন। দিনে দিনে প্রতিযোগী স্কুলের সংখ্যা বাড়ছে। গতবার সারা দেশের ৪৬৪টি স্কুল খেলেছে, এবার খেলবে ৫৩৯টি স্কুল। কিন্তু সে তুলনায় খেলার মান কি বাড়ছে? সাম্প্রতিক টুর্নামেন্টগুলো থেকে অর্জনই বা কী বিসিবির? এসব প্রশ্নে সুনির্দিষ্ট উত্তর নেই কারো কাছেই।
আশার কথা, স্পনসর স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক তবু আছে স্কুল ক্রিকেটের সঙ্গে। ব্যাংকের হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স বিটপী দাশ চৌধুরী বললেন, ‘স্কুল ক্রিকেটের মূল উদ্দেশ্য ঢাকার বাইরের ক্রিকেট প্রতিভাদের খুঁজে এনে বড় পর্যায়ে খেলার সুযোগ করে দেওয়া, মূল স্রোতে নিয়ে আসা। বিসিবি যেভাবে সেটা করছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট।’ স্কুল ক্রিকেটের সঙ্গে বেসরকারি এই ব্যাংকটির নাম জড়িয়ে আছে ২০০৪ সাল থেকে। এ বছর স্পনসরশিপ বাবদ ৭৭ লাখ টাকা দিচ্ছে তারা বিসিবিকে।
No comments