সুপারিশ বাস্তবায়নে সমস্যায় পড়তে পারে ভারতের কংগ্রেস সরকার -রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশনের প্রতিবেদন by দীপাঞ্জন রায় চৌধুরী
ভারতের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর কল্যাণের জন্য গঠিত ‘রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশন’-এর প্রতিবেদনটি সে দেশের পার্লামেন্টের শীতকালীন অধিবেশনে তোলা হয়েছে। এ প্রতিবেদনে মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে কোটা সংরক্ষণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এতে সব ধর্মের দলিত সম্প্রদায়কে ‘তফসিলি সম্প্রদায়’ হিসেবে মর্যাদা দেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটি ভারতের ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সরকারের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে—এমন ধারণাই প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকেরা।
বিশ্লেষকেরা বলেন, ভারতে গত কয়েক দশকের কোটানীতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এ ব্যাপারে তৈরি করা কাঠামোটি খুব একটা কার্যকর নয়। কারণ, এই কাঠামোতে সমাজে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার ব্যবস্থা নেই। তাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কল্যাণের জন্য কোটা নয়, বরং পর্যাপ্ত সুযোগ সৃষ্টি করা দরকার। ইতিহাস প্রমাণ করেছে, সাম্প্রদায়িক কোটা ব্যবস্থা জাতীয় ঐক্য ও সমন্বয়ের স্বার্থ তেমনভাবে রক্ষা করতে পারেনি।
সংখ্যালঘুদের জন্য বিশেষ কোটা সংরক্ষণ-ব্যবস্থা চালুর প্রসঙ্গে ১৯৪৯ সালেই ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু বলেছিলেন, ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার মানে হচ্ছে, তাদের আলাদাভাবে বিবেচনা করা, মূল জনগোষ্ঠী থেকে তাদের আলাদা করে ফেলা। সংরক্ষণ-ব্যবস্থা স্বল্পমেয়াদে ওই সম্প্রদায়ের লোকদের সুবিধা দিলেও দীর্ঘমেয়াদে সমাজের মূল প্রবাহ থেকে তাদের আলাদা করে ফেলে।’ ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার প্যাটেল সংখ্যালঘুদের জন্য কোটা পদ্ধতির সমর্থন করলেও ওই সময়ের শীর্ষ পাঁচ নেতা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা হাফিজুর রহমান, বেগম আইজাজ রসুল, হুসেইনভয় লালজি ও তাজাম্মুল হোসেন এর বিরোধিতা করেন।
এদিকে রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশনের প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়নে কংগ্রেস সরকার খুব একটা আগ্রহী নয়। এ ব্যাপারে কংগ্রেসের মুখপাত্র অভিষেক সিংঘভি বলেন, ‘প্রতিবেদনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এটা এমনিতেই একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া এবং এ নিয়ে যথাযথ বিশ্লেষণের জন্য আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে।’ যদিও সংখ্যালঘু-বিষয়কমন্ত্রী সালমান খুরশিদ ঘোষণা দিয়েছিলেন, সরকার ছয় মাসের মধ্যে কোটা ব্যবস্থা চালু করবে।
দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কল্যাণে কী ধরনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত, সে ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন তৈরি করার দায়িত্ব বিচারপতি রঙ্গনাথ মিশ্রের নেতৃত্বে গঠিত কমিশনকে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কমিশন ২০০৭ সালের মে মাসে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।
প্রতিবেদনটি ভারতের ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সরকারের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে—এমন ধারণাই প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকেরা।
বিশ্লেষকেরা বলেন, ভারতে গত কয়েক দশকের কোটানীতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এ ব্যাপারে তৈরি করা কাঠামোটি খুব একটা কার্যকর নয়। কারণ, এই কাঠামোতে সমাজে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার ব্যবস্থা নেই। তাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কল্যাণের জন্য কোটা নয়, বরং পর্যাপ্ত সুযোগ সৃষ্টি করা দরকার। ইতিহাস প্রমাণ করেছে, সাম্প্রদায়িক কোটা ব্যবস্থা জাতীয় ঐক্য ও সমন্বয়ের স্বার্থ তেমনভাবে রক্ষা করতে পারেনি।
সংখ্যালঘুদের জন্য বিশেষ কোটা সংরক্ষণ-ব্যবস্থা চালুর প্রসঙ্গে ১৯৪৯ সালেই ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু বলেছিলেন, ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার মানে হচ্ছে, তাদের আলাদাভাবে বিবেচনা করা, মূল জনগোষ্ঠী থেকে তাদের আলাদা করে ফেলা। সংরক্ষণ-ব্যবস্থা স্বল্পমেয়াদে ওই সম্প্রদায়ের লোকদের সুবিধা দিলেও দীর্ঘমেয়াদে সমাজের মূল প্রবাহ থেকে তাদের আলাদা করে ফেলে।’ ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার প্যাটেল সংখ্যালঘুদের জন্য কোটা পদ্ধতির সমর্থন করলেও ওই সময়ের শীর্ষ পাঁচ নেতা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা হাফিজুর রহমান, বেগম আইজাজ রসুল, হুসেইনভয় লালজি ও তাজাম্মুল হোসেন এর বিরোধিতা করেন।
এদিকে রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশনের প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়নে কংগ্রেস সরকার খুব একটা আগ্রহী নয়। এ ব্যাপারে কংগ্রেসের মুখপাত্র অভিষেক সিংঘভি বলেন, ‘প্রতিবেদনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এটা এমনিতেই একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া এবং এ নিয়ে যথাযথ বিশ্লেষণের জন্য আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে।’ যদিও সংখ্যালঘু-বিষয়কমন্ত্রী সালমান খুরশিদ ঘোষণা দিয়েছিলেন, সরকার ছয় মাসের মধ্যে কোটা ব্যবস্থা চালু করবে।
দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কল্যাণে কী ধরনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত, সে ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন তৈরি করার দায়িত্ব বিচারপতি রঙ্গনাথ মিশ্রের নেতৃত্বে গঠিত কমিশনকে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কমিশন ২০০৭ সালের মে মাসে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।
No comments