এনআরও নিয়ে উত্তেজনা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য হুমকি নয়: হলব্রুক
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানবিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত রিচার্ড হলব্রুক বলেছেন, ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন অর্ডিন্যান্স (এনআরও) নিয়ে পাকিস্তানে বর্তমানে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, তা এখন পর্যন্ত মার্কিন স্বার্থের জন্য কোনো হুমকি তৈরি করেনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি মার্কিন টেলিভিশনে সাক্ষাত্কার দেওয়ার সময় এ কথা বলেন তিনি।
এনআরও নিয়ে বিতর্ককে একটি ‘চরম রাজনৈতিক নাটক’ উল্লেখ করে হলব্রুক বলেন, ওয়াশিংটন খুব সতর্কভাবে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। সাক্ষাত্কারে তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানে জঙ্গি দমনের ব্যাপারে অসুবিধা পোহাচ্ছে তার দেশ। তালেবান ও আল-কায়েদার জঙ্গি দমনে আফগানিস্তানের মতো পাকিস্তানে সেনা পাঠাতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র। আর এ জন্য বিকল্প উপায় খুঁজতে হচ্ছে। হলব্রুক জানান, পাকিস্তানে চলমান এই রাজনৈতিক নাটকে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি), পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন), পাঞ্জাব প্রদেশ, সেখানকার সেনাবাহিনীর প্রধান আশফাক কায়ানি, সুপ্রিম কোর্ট ও জনমত।
গত সপ্তাহে পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফের জারি করা ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন অধ্যাদেশকে সুপ্রিম কোর্ট ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করার পর থেকেই সেখানকার রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়। ওই ঘোষণার পর প্রেসিডেন্ট জারদারির বিরুদ্ধে আগের দুর্নীতির মামলাগুলো পুনরুজ্জীবিত হওয়ার পথ খুলে যায়। একই ধরনের মামলা রয়েছে পিপিপির অনেক নেতা ও মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও।
এদিকে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে লন্ডন সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরেছেন পিএমএল-এনের নেতা নওয়াজ শরিফ। এনআরও বিতর্ক নিয়ে মুসলিম লিগের কয়েকজন নেতা কঠোর বক্তব্য দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পিপিপির নেতারাও পাল্টা বক্তব্য দেন। শরিফের দেশে ফেরা প্রসঙ্গে দলীয় মুখপাত্র আহসান ইকবাল বলেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে দলীয় কৌশল নির্ধারণ করার জন্য শরিফকে দ্রুত দেশে ফেরার অনুরোধ করা হয়। আহসান ইকবাল আরও বলেন, গত কয়েক দিনে পিপিপি ও পিএমএল-এনের নেতারা পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেওয়ায় দুই দলের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। আলোচনার ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে। শরিফ ও জারদারির মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনাকে নাকচ না করে তিনি বলেন, বৈঠকের জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আলোচ্যসূচি দরকার।
গত বুধবার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল কায়ানি বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তাঁরা জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া জঙ্গি দমনে সামরিক বাহিনীর ভবিষ্যত্ চাহিদা নিয়েও তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়।
এনআরও নিয়ে বিতর্ককে একটি ‘চরম রাজনৈতিক নাটক’ উল্লেখ করে হলব্রুক বলেন, ওয়াশিংটন খুব সতর্কভাবে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। সাক্ষাত্কারে তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানে জঙ্গি দমনের ব্যাপারে অসুবিধা পোহাচ্ছে তার দেশ। তালেবান ও আল-কায়েদার জঙ্গি দমনে আফগানিস্তানের মতো পাকিস্তানে সেনা পাঠাতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র। আর এ জন্য বিকল্প উপায় খুঁজতে হচ্ছে। হলব্রুক জানান, পাকিস্তানে চলমান এই রাজনৈতিক নাটকে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি), পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন), পাঞ্জাব প্রদেশ, সেখানকার সেনাবাহিনীর প্রধান আশফাক কায়ানি, সুপ্রিম কোর্ট ও জনমত।
গত সপ্তাহে পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফের জারি করা ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন অধ্যাদেশকে সুপ্রিম কোর্ট ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করার পর থেকেই সেখানকার রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়। ওই ঘোষণার পর প্রেসিডেন্ট জারদারির বিরুদ্ধে আগের দুর্নীতির মামলাগুলো পুনরুজ্জীবিত হওয়ার পথ খুলে যায়। একই ধরনের মামলা রয়েছে পিপিপির অনেক নেতা ও মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও।
এদিকে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে লন্ডন সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরেছেন পিএমএল-এনের নেতা নওয়াজ শরিফ। এনআরও বিতর্ক নিয়ে মুসলিম লিগের কয়েকজন নেতা কঠোর বক্তব্য দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পিপিপির নেতারাও পাল্টা বক্তব্য দেন। শরিফের দেশে ফেরা প্রসঙ্গে দলীয় মুখপাত্র আহসান ইকবাল বলেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে দলীয় কৌশল নির্ধারণ করার জন্য শরিফকে দ্রুত দেশে ফেরার অনুরোধ করা হয়। আহসান ইকবাল আরও বলেন, গত কয়েক দিনে পিপিপি ও পিএমএল-এনের নেতারা পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেওয়ায় দুই দলের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। আলোচনার ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে। শরিফ ও জারদারির মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনাকে নাকচ না করে তিনি বলেন, বৈঠকের জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আলোচ্যসূচি দরকার।
গত বুধবার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল কায়ানি বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তাঁরা জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া জঙ্গি দমনে সামরিক বাহিনীর ভবিষ্যত্ চাহিদা নিয়েও তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়।
No comments