সংগ্রামের অভিজ্ঞতা বিনিময় করলেন কমিউনিস্ট নেতারা - নয়াদিল্লিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে কমিউনিস্ট ও ওয়ার্কার্স পার্টির আন্তর্জাতিক সম্মেলনের স্লোগান হওয়া উচিত ছিল ‘দ্য ট্রায়ালস অব বিইং এ কমিউনিস্ট ইন টুডেস ওয়ার্ল্ড’, কিন্তু তার বদলে স্লোগান করা হয়েছে ‘কমিউনিজম অন দ্য গো’। গত শুক্রবার নয়াদিল্লির একটি হোটেলে তিন দিনের এই সম্মেলন শুরু হয়। গতকাল রোববার ছিল সম্মেলনের শেষ দিন।
পুরোনো স্লোগান ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’ যে এখনো বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের কমিউনিস্ট নেতাদের এক জায়গায় সমবেত হওয়ার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে, এই সম্মেলনে আবারও সেটি প্রমাণিত হয়েছে। তিন দিনের সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের কমিউনিস্ট নেতারা গণতন্ত্রের জন্য সামরিক শাসন, পুঁজিবাদী শাসন ও কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রামের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছেন। এই প্রথম এশিয়াতে কমিউনিস্ট ও ওয়ার্কার্স পার্টির এ ধরনের আন্তর্জাতিক কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হলো।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া বক্তারা বিভিন্ন ধরনের মত প্রকাশ করেন। আমেরিকার কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বারাক ওবামার বিজয় ন্যায়, শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য নতুন করে লড়াইয়ে নামার দ্বার খুলে দিয়েছে। এর বিপরীতে কিউবার প্রতিনিধি ওবামার বিভিন্ন পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্রে সমাজতান্ত্রিক আদর্শের বিরুদ্ধে একটি নয়া ‘বন্ধুসুলভ উদ্যোগ’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি জানান, কিউবায় কর দেওয়ার বিষয়টি চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কমিউনিস্টদের যেসব পরিবর্তন মোকাবিলা করতে হচ্ছে, তা নিয়ে সম্মেলনে আলোচনা হয়। পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক মহাসচিব ইমদাদ কাজী বলেন, তাঁর দল শুধু পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে প্রকাশ্যে কার্যক্রম চালাতে পারে। তিনি বলেন, ‘বেলুচিস্তানে চলাফেরা করার জন্য আমাকে ছদ্মবেশে ঢোলা পায়জামা ও লম্বা দাড়ির আড়ালে থাকতে হয়।’ মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা জানান, দেশে তাঁদের গোপনে দলীয় কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। অল বার্মা স্টুডেন্টস লিগের কিয়াও থান বলেন, ‘আমরা যারা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করছি, তারা ভারতে উদ্বাস্তু হিসেবে আশ্রয় নিয়েছি।’
চীনের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে তাঁদের দেশের মন্দা-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনর্গঠন কার্যক্রম তুলে ধরেন। চীনা প্রতিনিধি ডিং ডিং বলেন, ‘আমরা বেকারত্ব নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলাম, তবে তা সহজেই সমাধান করা হয়েছে।
পুরোনো স্লোগান ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’ যে এখনো বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের কমিউনিস্ট নেতাদের এক জায়গায় সমবেত হওয়ার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে, এই সম্মেলনে আবারও সেটি প্রমাণিত হয়েছে। তিন দিনের সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের কমিউনিস্ট নেতারা গণতন্ত্রের জন্য সামরিক শাসন, পুঁজিবাদী শাসন ও কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রামের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছেন। এই প্রথম এশিয়াতে কমিউনিস্ট ও ওয়ার্কার্স পার্টির এ ধরনের আন্তর্জাতিক কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হলো।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া বক্তারা বিভিন্ন ধরনের মত প্রকাশ করেন। আমেরিকার কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বারাক ওবামার বিজয় ন্যায়, শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য নতুন করে লড়াইয়ে নামার দ্বার খুলে দিয়েছে। এর বিপরীতে কিউবার প্রতিনিধি ওবামার বিভিন্ন পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্রে সমাজতান্ত্রিক আদর্শের বিরুদ্ধে একটি নয়া ‘বন্ধুসুলভ উদ্যোগ’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি জানান, কিউবায় কর দেওয়ার বিষয়টি চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কমিউনিস্টদের যেসব পরিবর্তন মোকাবিলা করতে হচ্ছে, তা নিয়ে সম্মেলনে আলোচনা হয়। পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক মহাসচিব ইমদাদ কাজী বলেন, তাঁর দল শুধু পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে প্রকাশ্যে কার্যক্রম চালাতে পারে। তিনি বলেন, ‘বেলুচিস্তানে চলাফেরা করার জন্য আমাকে ছদ্মবেশে ঢোলা পায়জামা ও লম্বা দাড়ির আড়ালে থাকতে হয়।’ মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা জানান, দেশে তাঁদের গোপনে দলীয় কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। অল বার্মা স্টুডেন্টস লিগের কিয়াও থান বলেন, ‘আমরা যারা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করছি, তারা ভারতে উদ্বাস্তু হিসেবে আশ্রয় নিয়েছি।’
চীনের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে তাঁদের দেশের মন্দা-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনর্গঠন কার্যক্রম তুলে ধরেন। চীনা প্রতিনিধি ডিং ডিং বলেন, ‘আমরা বেকারত্ব নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলাম, তবে তা সহজেই সমাধান করা হয়েছে।
No comments