পুল এললিগের স্বার্থে
অনেক দিনই হকি স্টেডিয়ামের দিকে যান না জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় মওদুদুর রহমান শুভ। বছরখানেক মাঠে লিগ খেলা হয় না, গিয়েই বা কী করবেন? তবে ঠিকই নিয়মিত যোগাযোগ করছেন অন্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে। একসময়ের সতীর্থরা ফোন করে বলেন, ‘ভাই, আমাদের জন্য কিছু একটা করেন।’ ‘কিছু একটা’ বলতে পুলের শৃঙ্খল ভাঙার কথাই বলেছেন তাঁর কাছে। কিন্তু শুভ শুধু সান্ত্বনাই দিতে পারেন তাঁদের, এর বেশি কিছু যে করার নেই তাঁর!
পরশু রাতে হকি ফেডারেশনের লিগ কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, জার্মান-ফেরত ১৯ খেলোয়াড়ের ১৭ জন পুলের আওতায় খেলবেন। কিন্তু এর আগে ১২ অক্টোবরের লিগ কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল জার্মানিতে যাওয়া ১৯ খেলোয়াড় লিগে অংশ নিতে পারবেন না। তবে এ মাসের প্রথম সপ্তাহে জার্মানি থেকে ফিরেই খেলোয়াড়েরা লিগে খেলার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। খেলোয়াড়দের দিকটা ভেবে তখনই তাঁদের লিগে খেলতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ফেডারেশন। তখন অবশ্য পুল করার চিন্তা ছিল না। কিন্তু পরশু সেই পুলও করা হলো। দুই গোলকিপারকে বাইরে রেখে জাতীয় দলের ১৭ জন এই পুলে আছেন। যেকোনো দল এই পুল থেকে নিতে পারবে ৪ জন খেলোয়াড়। রাসেলমাহমুদ জিমি, মামুনুর রহমান চয়ন, জাহিদুল ইসলাম রাজন ও কামরুজ্জামানকে নিয়ে কোটা পূরণ করেছে শুধু মোহামেডান। অন্য বড় দল আবাহনী, ঊষা এখনো পুলের খেলোয়াড় নেয়নি।
ফেডারেশন বলছে, খেলোয়াড়দের সমানভাবে খেলার সুযোগ করে দিতেই এই পুল। ক্লাবগুলো এটি মেনে নিয়েছে, বলা ভালো এটি তাদেরই প্রস্তাব। কিন্তু পুলের ব্যাপারটা কিছুতেই মানতেই পারছেন না জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা। রাসেল মাহমুদ জিমি তো বলেই ফেললেন, ‘পুলপ্রথা অবশ্যই খারাপ। কারণ পুলের কোটায় আছে ৪ খেলোয়াড়। এখানে বড় চারটা ক্লাব যদি কোনো কারণে চারজন খেলোয়াড় না নেয় তাহলে এই খেলোয়াড়গুলো কোথায় যাবে? তাহলে তো তাদের ছোট দলেই খেলতে হবে। না হয় খেলতে পারবে না। ছোট দলে খেললে তেমন টাকাও পাবে না। গতবার পুল করাতে ১০ জন খেলোয়াড় দলই পায়নি। পরে ওদের ফ্রি করে দেওয়া হয়েছিল। এই রকম পরিস্থিতি তো হওয়া উচিত না।’ জিমির সঙ্গে একই সুরে কথা বললেন আসাদুজ্জামান চন্দনও।
পুল যে খেলোয়াড়দের স্বার্থ রক্ষা করে না সেটা মানছেন আবাহনীর হকি কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ দোলনও। তবে এবারের প্রেক্ষাপটের জন্য ফেডারেশনকে দুষছেন তিনি, ‘ফেডারেশন তো ওদের খেলারই সুযোগ দিচ্ছিল না। আমরা ক্লাবগুলোই ওদের খেলার সুযোগ করে দিয়েছি।’
শহীদুল্লাহর কথায় পরিষ্কার, খেলোয়াড়দের লিগে খেলতে দিয়েই ‘অনেক করা হয়ে গেছে’। এখন পুলের ব্যাপারটা নিয়ে তাদের কথা না বলাই ভালো। ফেডারেশন সম্পাদক খোন্দকার জামিলউদ্দিনের কথায়ও প্রকাশ পাচ্ছে যে, খেলোয়াড়দের লিগে খেলতে পারাটাই ‘অনেক’, ‘তাদের প্রথমে লিগ খেলতে দিতে চাইনি জাতীয় দলের কথা ভেবে, কিন্তু পরে তাদের রুজি-রোজগারের কথা ভেবে লিগে খেলার অনুমতি দিয়েছি, এখন খেলোয়াড়দেরও তো কিছুটা ছাড় দিতে হবে।’
পরশু রাতে হকি ফেডারেশনের লিগ কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, জার্মান-ফেরত ১৯ খেলোয়াড়ের ১৭ জন পুলের আওতায় খেলবেন। কিন্তু এর আগে ১২ অক্টোবরের লিগ কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল জার্মানিতে যাওয়া ১৯ খেলোয়াড় লিগে অংশ নিতে পারবেন না। তবে এ মাসের প্রথম সপ্তাহে জার্মানি থেকে ফিরেই খেলোয়াড়েরা লিগে খেলার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। খেলোয়াড়দের দিকটা ভেবে তখনই তাঁদের লিগে খেলতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ফেডারেশন। তখন অবশ্য পুল করার চিন্তা ছিল না। কিন্তু পরশু সেই পুলও করা হলো। দুই গোলকিপারকে বাইরে রেখে জাতীয় দলের ১৭ জন এই পুলে আছেন। যেকোনো দল এই পুল থেকে নিতে পারবে ৪ জন খেলোয়াড়। রাসেলমাহমুদ জিমি, মামুনুর রহমান চয়ন, জাহিদুল ইসলাম রাজন ও কামরুজ্জামানকে নিয়ে কোটা পূরণ করেছে শুধু মোহামেডান। অন্য বড় দল আবাহনী, ঊষা এখনো পুলের খেলোয়াড় নেয়নি।
ফেডারেশন বলছে, খেলোয়াড়দের সমানভাবে খেলার সুযোগ করে দিতেই এই পুল। ক্লাবগুলো এটি মেনে নিয়েছে, বলা ভালো এটি তাদেরই প্রস্তাব। কিন্তু পুলের ব্যাপারটা কিছুতেই মানতেই পারছেন না জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা। রাসেল মাহমুদ জিমি তো বলেই ফেললেন, ‘পুলপ্রথা অবশ্যই খারাপ। কারণ পুলের কোটায় আছে ৪ খেলোয়াড়। এখানে বড় চারটা ক্লাব যদি কোনো কারণে চারজন খেলোয়াড় না নেয় তাহলে এই খেলোয়াড়গুলো কোথায় যাবে? তাহলে তো তাদের ছোট দলেই খেলতে হবে। না হয় খেলতে পারবে না। ছোট দলে খেললে তেমন টাকাও পাবে না। গতবার পুল করাতে ১০ জন খেলোয়াড় দলই পায়নি। পরে ওদের ফ্রি করে দেওয়া হয়েছিল। এই রকম পরিস্থিতি তো হওয়া উচিত না।’ জিমির সঙ্গে একই সুরে কথা বললেন আসাদুজ্জামান চন্দনও।
পুল যে খেলোয়াড়দের স্বার্থ রক্ষা করে না সেটা মানছেন আবাহনীর হকি কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ দোলনও। তবে এবারের প্রেক্ষাপটের জন্য ফেডারেশনকে দুষছেন তিনি, ‘ফেডারেশন তো ওদের খেলারই সুযোগ দিচ্ছিল না। আমরা ক্লাবগুলোই ওদের খেলার সুযোগ করে দিয়েছি।’
শহীদুল্লাহর কথায় পরিষ্কার, খেলোয়াড়দের লিগে খেলতে দিয়েই ‘অনেক করা হয়ে গেছে’। এখন পুলের ব্যাপারটা নিয়ে তাদের কথা না বলাই ভালো। ফেডারেশন সম্পাদক খোন্দকার জামিলউদ্দিনের কথায়ও প্রকাশ পাচ্ছে যে, খেলোয়াড়দের লিগে খেলতে পারাটাই ‘অনেক’, ‘তাদের প্রথমে লিগ খেলতে দিতে চাইনি জাতীয় দলের কথা ভেবে, কিন্তু পরে তাদের রুজি-রোজগারের কথা ভেবে লিগে খেলার অনুমতি দিয়েছি, এখন খেলোয়াড়দেরও তো কিছুটা ছাড় দিতে হবে।’
No comments