যুক্তরাষ্ট্রের ২৯টি অঙ্গরাজ্যে বেকারত্বের হার বেড়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের ২৯টি অঙ্গরাজ্যে নতুন করে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কিন শ্রম দপ্তর গত শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে।
শ্রম দপ্তর জানায়, মিশিগান অঙ্গরাজ্যে এখন বেকারত্বের হার ১৫ শতাংশের বেশি। সর্বোচ্চ বেকারত্বের তালিকায় আছে নেভাদা (১৩ শতাংশ) এবং রোড আইল্যান্ড (১২.৯ শতাংশ) অঙ্গরাজ্য। এ ছাড়া তালিকায় থাকা অন্য অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে আছে ফ্লোরিডা, ক্যালিফোর্নিয়া, সাউথ ক্যারোলাইনা, ডেলাওয়ার, ওয়াশিংটন ডিসি ইত্যাদি। এসব অঙ্গরাজ্যে বেকারত্বের হার ১০ শতাংশের বেশি। গত মাসে কেবল নিউইয়র্কে নতুন করে ১৫ হাজার ৩০০ লোক চাকরিচ্যুত হয়েছে। একই সময়ে ফ্লোরিডায় সাড়ে আট হাজার, জর্জিয়ায় সাড়ে সাত হাজার এবং ভার্জিনিয়ায় সাত হাজারেরও বেশি লোকের চাকরিচ্যুতি ঘটেছে। কালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে গত এক বছরে প্রায় সাত লাখ লোক চাকরিচ্যুত হয়েছে।
অর্থনৈতিক মন্দা এবং শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে পড়ার প্রভাব সর্বত্র তীব্র হয়ে দেখা দিয়েছে। একের পর এক অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার পরও অর্থনীতির মন্দাবস্থায় অনেকটা স্থিতি অবস্থা ফিরে আসার কথা বলছেন সরকারের নীতিনির্ধারকেরা। বেকারত্বের হার বৃদ্ধি নিয়ে দেশজুড়ে তীব্র জন-অসন্তোষ বিরাজ করছে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মন্দা অবস্থা কেটে উঠবে বলে বারবার আশ্বস্ত করছেন দেশবাসীকে। গত শনিবার দেওয়া বেতার ভাষণে এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ওবামা পুনরায় আশার বাণী শুনিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর এশিয়া সফরের মাধ্যমে স্বদেশে চাকরির বাজারে প্রভাব পড়বে। নতুন নতুন অর্থনৈতিক কর্মসূচিতে কয়েক লাখ মার্কিন জনগণের কর্মসংস্থান হবে তাঁর এশিয়া সফরের ফলে।
ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ মেইন ফ্লেইথ বলেছেন, একমাত্র স্বাস্থ্যসেবা খাত ছাড়া সব ক্ষেত্রে লোকজনের চাকরি হারানোর প্রভাবে চাকরিচ্যুতি ঘটেছে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে। দেড় বছর ধরে ব্যাপকভাবে লোকজনের চাকরি হারানোর ঘটনা ঘটছে।
দেশজুড়ে বিশাল এ বেকারত্ব সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ওবামা প্রশাসনকে। সাধারণত চাকরিচ্যুতির পরে সীমিত সময়ের জন্য বেকারভাতা দেওয়া হয়ে থাকে। চাকরির বাজার মন্দা থাকার কারণে বেকারভাতার মেয়াদ এরই মধ্যে কয়েক দফা বাড়ানো হয়েছে। কর্মক্ষম বিশাল জনগোষ্ঠীকে বেকারভাতা পরিশোধের চাপ পড়েছে মার্কিন অর্থনীতিতে। চাকরিচ্যুতির ফলে লোকজন ঘরবাড়ির ব্যাংকঋণ পরিশোধ করতে পারছে না। বসতভাড়ি নিলামে তুলেও ব্যাংকগুলো ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছে না।
মন্দা অর্থনীতির এ দুষ্টচক্র থেকে সহসা মুক্তি পাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ—অর্থনীতিবিদেরা এ কথাই বলছেন বারবার। বেকারত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় জন-অসন্তোষে সবচেয়ে তোপের মুখে রয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী টিমোথি গাইথনার। দেশের অর্থনীতি সামাল দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন টিমোথি, এমন অভিযোগ এনে তাঁর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন অনেকে।
শ্রম দপ্তর জানায়, মিশিগান অঙ্গরাজ্যে এখন বেকারত্বের হার ১৫ শতাংশের বেশি। সর্বোচ্চ বেকারত্বের তালিকায় আছে নেভাদা (১৩ শতাংশ) এবং রোড আইল্যান্ড (১২.৯ শতাংশ) অঙ্গরাজ্য। এ ছাড়া তালিকায় থাকা অন্য অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে আছে ফ্লোরিডা, ক্যালিফোর্নিয়া, সাউথ ক্যারোলাইনা, ডেলাওয়ার, ওয়াশিংটন ডিসি ইত্যাদি। এসব অঙ্গরাজ্যে বেকারত্বের হার ১০ শতাংশের বেশি। গত মাসে কেবল নিউইয়র্কে নতুন করে ১৫ হাজার ৩০০ লোক চাকরিচ্যুত হয়েছে। একই সময়ে ফ্লোরিডায় সাড়ে আট হাজার, জর্জিয়ায় সাড়ে সাত হাজার এবং ভার্জিনিয়ায় সাত হাজারেরও বেশি লোকের চাকরিচ্যুতি ঘটেছে। কালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে গত এক বছরে প্রায় সাত লাখ লোক চাকরিচ্যুত হয়েছে।
অর্থনৈতিক মন্দা এবং শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে পড়ার প্রভাব সর্বত্র তীব্র হয়ে দেখা দিয়েছে। একের পর এক অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার পরও অর্থনীতির মন্দাবস্থায় অনেকটা স্থিতি অবস্থা ফিরে আসার কথা বলছেন সরকারের নীতিনির্ধারকেরা। বেকারত্বের হার বৃদ্ধি নিয়ে দেশজুড়ে তীব্র জন-অসন্তোষ বিরাজ করছে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মন্দা অবস্থা কেটে উঠবে বলে বারবার আশ্বস্ত করছেন দেশবাসীকে। গত শনিবার দেওয়া বেতার ভাষণে এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ওবামা পুনরায় আশার বাণী শুনিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর এশিয়া সফরের মাধ্যমে স্বদেশে চাকরির বাজারে প্রভাব পড়বে। নতুন নতুন অর্থনৈতিক কর্মসূচিতে কয়েক লাখ মার্কিন জনগণের কর্মসংস্থান হবে তাঁর এশিয়া সফরের ফলে।
ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ মেইন ফ্লেইথ বলেছেন, একমাত্র স্বাস্থ্যসেবা খাত ছাড়া সব ক্ষেত্রে লোকজনের চাকরি হারানোর প্রভাবে চাকরিচ্যুতি ঘটেছে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে। দেড় বছর ধরে ব্যাপকভাবে লোকজনের চাকরি হারানোর ঘটনা ঘটছে।
দেশজুড়ে বিশাল এ বেকারত্ব সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ওবামা প্রশাসনকে। সাধারণত চাকরিচ্যুতির পরে সীমিত সময়ের জন্য বেকারভাতা দেওয়া হয়ে থাকে। চাকরির বাজার মন্দা থাকার কারণে বেকারভাতার মেয়াদ এরই মধ্যে কয়েক দফা বাড়ানো হয়েছে। কর্মক্ষম বিশাল জনগোষ্ঠীকে বেকারভাতা পরিশোধের চাপ পড়েছে মার্কিন অর্থনীতিতে। চাকরিচ্যুতির ফলে লোকজন ঘরবাড়ির ব্যাংকঋণ পরিশোধ করতে পারছে না। বসতভাড়ি নিলামে তুলেও ব্যাংকগুলো ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছে না।
মন্দা অর্থনীতির এ দুষ্টচক্র থেকে সহসা মুক্তি পাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ—অর্থনীতিবিদেরা এ কথাই বলছেন বারবার। বেকারত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় জন-অসন্তোষে সবচেয়ে তোপের মুখে রয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী টিমোথি গাইথনার। দেশের অর্থনীতি সামাল দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন টিমোথি, এমন অভিযোগ এনে তাঁর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন অনেকে।
No comments