পাকিস্তানকে সন্ত্রাসীরা অচল করে দিক ভারত সেটা চায় না: মনমোহন সিং
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের জন্য পাকিস্তান অচল হয়ে পড়ুক, ভারত তেমন কিছু চায় না। তিনি বলেন, পাকিস্তানে সন্ত্রাসীরা এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করুক, যাতে পাকিস্তানের বেসামরিক সরকার নামেমাত্র একটা সরকারে পরিণত হোক, ভারত তাও চায় না। বরং পাকিস্তানে গণতন্ত্র সাফল্য লাভ করুক, ভারত সেটাই চায়। মনমোহনের দাবি, আফগানিস্তানে চলমান সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের অভিন্ন লক্ষ্য নেই।
নিউজউইককে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে মনমোহন সিং এসব কথা বলেছেন। তাঁর ওয়াশিংটন সফরের আগে এই সাক্ষাত্কার প্রকাশ করা হয়। চার দিনের সরকারি সফরে গতকাল রোববার তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান।
পাকিস্তানে ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসবাদের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে মনমোহন সিং বলেন, পাকিস্তানে এখন প্রায় সর্বত্র সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। আগে পাকিস্তানের কেবল উপজাতীয় এলাকায় সন্ত্রাসীদের তত্পরতা সীমাবদ্ধ ছিল। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ আমাদের নিজেদের ভূখণ্ডের নিরাপত্তার জন্যও কঠিন হুমকিস্বরূপ। আমরা পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের সেই অবস্থায় দেখতে চাই না, যেখানে জনগণের সরকার নামেমাত্র সরকারে পরিণত হয়।’
পাকিস্তানে বর্তমানে সেই অবস্থা বিরাজ করছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলছি না, সেই অবস্থা পাকিস্তানে এখনই সৃষ্টি হয়েছে। আমরা পাকিস্তানে ভবিষ্যতে গণতন্ত্রের সফলতা চাই। কিন্তু একই সঙ্গে এটাও ঠিক, আল-কায়েদা ও সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে শক্ত ঘাঁটি গেড়ে বসেছে।’
আফগান যুদ্ধে পাকিস্তানের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের একই লক্ষ্য রয়েছে কি না, সে ব্যাপারে আমি সন্দিহান। পাকিস্তান সেখানে কেবল নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তারা চায়, যুক্তরাষ্ট্র যেন আফগানিস্তান থেকে দ্রুত বের হয়ে আসে।’
মনমোহন সিং বলেন, ‘ভারতের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, পাকিস্তানে সক্রিয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনা। প্রায় ২৫ বছর ধরে পাকিস্তানের সহযোগিতায়, পাকিস্তানের ইন্ধন ও উসকানিমূলক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ভারত আক্রান্ত হয়েছে। ভারত আশা করে, ওয়াশিংটন সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে পাকিস্তানকে এই পথ থেকে বিরত রাখবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এর আগেও বহু অনুষ্ঠানে বলেছি, ভারতকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই পাকিস্তানের। কারণ, আমাদের উভয়েরই গন্তব্য পরস্পর সম্পৃক্ত। আমাদের দুই পক্ষেরই উচিত, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা ও রোগব্যাধির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা। কারণ, দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা ও রোগব্যাধির শিকার।’
মনমোহন সিং হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে বেরিয়ে এলে আল-কায়েদা সেখানে ঘাঁটি গাড়ার সুযোগ পাবে। এতে করে সেখানে গৃহযুদ্ধ বেধে যেতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে আশা করি, যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বসম্প্রদায় আফগানিস্তানে অবস্থান করবে। তালেবানেরা আফগানিস্তানে জয়ী হলে তা গোটা বিশ্বের জন্যই বিপর্যয় ডেকে আনবে।’
তিনি উল্লেখ করেন, গত শতাব্দীর আশির দশকে ধর্মীয় মৌলবাদীদের ব্যবহার করেই সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ডেকে আনা হয়। তিনি বলেন, ‘সোভিয়েত ইউনিয়নকে পরাভূত করা সেই একই গোষ্ঠী যদি এখন আরেকটি বড় শক্তিকে (যুক্তরাষ্ট্র) পরাজিত করে, তাহলে তাদের মধ্যে যে সাহস সঞ্চারিত হবে, তা বিশ্বের জন্য মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনবে।
নিউজউইককে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে মনমোহন সিং এসব কথা বলেছেন। তাঁর ওয়াশিংটন সফরের আগে এই সাক্ষাত্কার প্রকাশ করা হয়। চার দিনের সরকারি সফরে গতকাল রোববার তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান।
পাকিস্তানে ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসবাদের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে মনমোহন সিং বলেন, পাকিস্তানে এখন প্রায় সর্বত্র সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। আগে পাকিস্তানের কেবল উপজাতীয় এলাকায় সন্ত্রাসীদের তত্পরতা সীমাবদ্ধ ছিল। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ আমাদের নিজেদের ভূখণ্ডের নিরাপত্তার জন্যও কঠিন হুমকিস্বরূপ। আমরা পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের সেই অবস্থায় দেখতে চাই না, যেখানে জনগণের সরকার নামেমাত্র সরকারে পরিণত হয়।’
পাকিস্তানে বর্তমানে সেই অবস্থা বিরাজ করছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলছি না, সেই অবস্থা পাকিস্তানে এখনই সৃষ্টি হয়েছে। আমরা পাকিস্তানে ভবিষ্যতে গণতন্ত্রের সফলতা চাই। কিন্তু একই সঙ্গে এটাও ঠিক, আল-কায়েদা ও সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে শক্ত ঘাঁটি গেড়ে বসেছে।’
আফগান যুদ্ধে পাকিস্তানের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের একই লক্ষ্য রয়েছে কি না, সে ব্যাপারে আমি সন্দিহান। পাকিস্তান সেখানে কেবল নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তারা চায়, যুক্তরাষ্ট্র যেন আফগানিস্তান থেকে দ্রুত বের হয়ে আসে।’
মনমোহন সিং বলেন, ‘ভারতের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, পাকিস্তানে সক্রিয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনা। প্রায় ২৫ বছর ধরে পাকিস্তানের সহযোগিতায়, পাকিস্তানের ইন্ধন ও উসকানিমূলক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ভারত আক্রান্ত হয়েছে। ভারত আশা করে, ওয়াশিংটন সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে পাকিস্তানকে এই পথ থেকে বিরত রাখবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এর আগেও বহু অনুষ্ঠানে বলেছি, ভারতকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই পাকিস্তানের। কারণ, আমাদের উভয়েরই গন্তব্য পরস্পর সম্পৃক্ত। আমাদের দুই পক্ষেরই উচিত, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা ও রোগব্যাধির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা। কারণ, দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা ও রোগব্যাধির শিকার।’
মনমোহন সিং হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে বেরিয়ে এলে আল-কায়েদা সেখানে ঘাঁটি গাড়ার সুযোগ পাবে। এতে করে সেখানে গৃহযুদ্ধ বেধে যেতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে আশা করি, যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বসম্প্রদায় আফগানিস্তানে অবস্থান করবে। তালেবানেরা আফগানিস্তানে জয়ী হলে তা গোটা বিশ্বের জন্যই বিপর্যয় ডেকে আনবে।’
তিনি উল্লেখ করেন, গত শতাব্দীর আশির দশকে ধর্মীয় মৌলবাদীদের ব্যবহার করেই সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ডেকে আনা হয়। তিনি বলেন, ‘সোভিয়েত ইউনিয়নকে পরাভূত করা সেই একই গোষ্ঠী যদি এখন আরেকটি বড় শক্তিকে (যুক্তরাষ্ট্র) পরাজিত করে, তাহলে তাদের মধ্যে যে সাহস সঞ্চারিত হবে, তা বিশ্বের জন্য মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনবে।
No comments