আমরাই পারি -জলবায়ু পরিবর্তন by বান কি মুন
ধীরে ধীরে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কোপেনহেগেন সম্মেলনের কাছাকাছি চলে এসেছি। জলবায়ু পরিবর্তন মানবসভ্যতার অস্তিত্বের জন্য হুমকি—এ কথা সবাই মানে। তারপরও কী করতে হবে, তা নিয়ে এখনো আমরা একমত হতে পারছি না।
এমন হচ্ছে কেন? জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়াবলি বেশ জটিল। জাতীয় অর্থনীতি থেকে ব্যক্তির জীবনযাপন সবই আক্রান্ত হচ্ছে। রাজনৈতিক লেনদেন ও সম্পদের অঙ্গীকারের প্রশ্ন এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। কোনো দেশের পক্ষে এগুলোকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। ব্যাংককে সম্প্রতি জলবায়ু আলোচনায় আমরা এমনটাই দেখেছি। প্রত্যাশা ছিল আমরা অগ্রগতির দেখা পাব, অথচ দেখলাম অচলাবস্থা।
তথাপি সমঝোতার আশাজাগানিয়া কিছু লক্ষণও দেখা যাচ্ছে। সঠিক অবস্থান নেওয়ার জন্য দরকার শুধু রাজনৈতিক সদিচ্ছা। জাতীয় স্বার্থের সংকীর্ণ গণ্ডি থেকে বেরিয়ে এসে সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার মানসে খোলাখুলি ও গঠনমূলক আলোচনায় অংশ নেওয়া দরকার।
এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী হতে পারি। সম্প্রতি লন্ডনে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধিশালী ১৭টি দেশের (এ দেশগুলো বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী) এক সভায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন জানিয়েছেন, দেশগুলো এতে সম্পৃক্ত হয়ে পরিবর্তনের কোনো সমন্বিত এজেন্ডা তুলে ধরলে কোপেনহেগেন সম্মেলনের সফলতা দুরবর্তী কোন বিষয় হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ। জন কেরি ও লিন্ডসে গ্রাহাম সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুই দল সমর্থিত পদক্ষেপ ঘোষণার মাধ্যমে এ বিষয়ে আপসের মানসিকতা দেখিয়েছেন, তা আমাকে উত্সাহিত করেছে। একজন ডেমোক্রেট অন্যজন রিপাবলিকান সিনেটর; তাঁরা দলীয় পার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠে সত্যিকারের লেনদেনের মানসিকতা নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রশ্নে মতৈক্যে পৌঁছেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রকে কেবল দর্শক হয়ে থাকার মতো সময় দেওয়ার ঝুঁকি আমরা আর নিতে পারব না। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কোপেনহেগেনে সমঝোতায় পৌঁছাতে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র দ্বিধাগ্রস্ত বা ঠিকমতো সম্পৃক্ত না হলে সুনির্দিষ্ট কৌশল ও নীতি গ্রহণে অযথা দেরি হবে। আশু বিপদ মোকাবিলায় এই দেরির ঝুঁকি নেওয়ার সুযোগ আমাদের নেই।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সারা বিশ্বের নেতাদের যুক্ততা ও নেতৃত্ব দিন দিন বাড়ছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শতাধিক দেশের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে যোগ দেন। তাঁর এ অংশগ্রহণ সংহতি ও দায়বদ্ধতার স্পষ্ট বার্তাবাহী। একইভাবে চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতারা দূষণমুক্ত জ্বালানি প্রযুক্তির উন্নতি ঘটানো ও কোপেনহেগেন সম্মেলন সফল হওয়া নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ২০২০ সালের মধ্যে ১৯৯০ সালের কার্বন নির্গমন মাত্রার ২৫ শতাংশ কমাবেন, যার মাধ্যমে তিনি অন্য সব শিল্পোন্নত দেশের জন্য অনুসরণীয় মাত্রা দেখিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নও বৈশ্বিক মতৈক্যের অংশ হিসেবে ৩০ শতাংশ নির্গমন কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। নরওয়ে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত নির্গমন কমাতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে। বন ধ্বংসের ফলে যে নির্গমন তা প্রচুর পরিমাণে কমানোর পরিকল্পনা হাজির করেছে ব্রাজিল। নির্গমন কমাতে ভারত ও চীন নানা কার্যক্রম নিচ্ছে।
কোপেনহেগেন সম্মেলনের সফলতার চারটি মাপকাঠি হলো:
প্রতিটি দেশকে বন ধ্বংস এবং নৌ ও বিমান চলাচলসহ কার্বনের প্রধান প্রধান উত্স থেকে নির্গমন কমানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। উন্নত দেশগুলোর অগ্রগতির মধ্যমেয়াদি লক্ষ্যমাত্রা আরও শক্তিশালী করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আন্তর্দেশীয় প্যানেলের মতে বর্তমানে এ লক্ষ্যমাত্রা প্রয়োজনীয় মাত্রার ধারে কাছে নেই। উন্নয়নশীল দেশগুলোর কার্বন নির্গমনের ঊর্ধ্বগতি হ্রাস করতে হবে এবং তাদের দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলের অংশ হিসেবে পরিবেশবান্ধব অর্থনৈতিক বিকাশ ত্বরান্বিত করতে হবে।
সফল সমঝোতা এমন হতে হবে যেন তা পরিবর্তনশীল জলবায়ুর সঙ্গে দুনিয়ার খাপ খাওয়ানোর সামর্থ্য বাড়াতে পারে। বিশেষত, এটিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব যাদের ওপর সবচেয়ে বেশি পড়ে তাদের জন্য সমন্বিত সহায়তা প্রদান করার ব্যবস্থা থাকতে হবে। পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজনে সহায়তা কেবল নৈতিক কর্তব্যের বিষয় নয়, আরও স্থিতিশীল, আরও নিরাপদ পৃথিবীর জন্য এক চমত্কার বিনিয়োগও বটে।
সমঝোতার বাস্তবায়নের জন্য অর্থ ও উপায়ের সরবরাহ থাকতে হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলো পরিবেশবান্ধব অর্থনৈতিক বিকাশের দিকে অগ্রসর হতে দরকার তহবিল ও প্রযুক্তিগত সহায়তা। প্রচুর পরিমাণে বাড়তি অর্থায়ন না করা গেলে আলোচিত সমাধানগুলো অর্জন করা যাবে না।
সমঝোতার মধ্যে অবশ্যই থাকতে হবে একটি ন্যায়সংগত বৈশ্বিক সুশাসনকাঠামো। সম্পদের বিতরণ ও ব্যবস্থাপনায় সব দেশের কথা বলার জায়গা থাকতে হবে। এমনভাবেই পারস্পরিক আস্থা তৈরি হবে।
কোপেনহেগেনে এমন কোনো সমন্বয়ী, ন্যায়সংগত ও উচ্চাভিলাষী সমঝোতায় পৌঁছাতে পারি কি আমরা, যা গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমিয়ে এবং বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি রুখে বৈজ্ঞানিকভাবে নিরাপদ স্তরে নিয়ে আসতে পারবে? আমরা কি দূষণমুক্ত জ্বালানী বিকাশে অনুঘটকের ভূমিকা নিতে পারি? জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে আক্রান্ত দেশগুলো রক্ষায় আমরা সহায়তা করতে পারি? যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃস্থানীয় ভূমিকার প্রত্যাশা কি আমরা করতে পারি?
এসব প্রশ্নের সর্বোত্কৃষ্ট উত্তর মিলবে সিনেটর কেরি ও গ্রাহামের সাম্প্রতিক কথায়, ‘হ্যাঁ, আমরা পারি।’
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস থেকে নেওয়া। ইংরেজি থেকে অনুবাদ: আহসান হাবীব
বান কি-মুন: জাতিসংঘের মহাসচিব।
এমন হচ্ছে কেন? জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়াবলি বেশ জটিল। জাতীয় অর্থনীতি থেকে ব্যক্তির জীবনযাপন সবই আক্রান্ত হচ্ছে। রাজনৈতিক লেনদেন ও সম্পদের অঙ্গীকারের প্রশ্ন এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। কোনো দেশের পক্ষে এগুলোকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। ব্যাংককে সম্প্রতি জলবায়ু আলোচনায় আমরা এমনটাই দেখেছি। প্রত্যাশা ছিল আমরা অগ্রগতির দেখা পাব, অথচ দেখলাম অচলাবস্থা।
তথাপি সমঝোতার আশাজাগানিয়া কিছু লক্ষণও দেখা যাচ্ছে। সঠিক অবস্থান নেওয়ার জন্য দরকার শুধু রাজনৈতিক সদিচ্ছা। জাতীয় স্বার্থের সংকীর্ণ গণ্ডি থেকে বেরিয়ে এসে সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার মানসে খোলাখুলি ও গঠনমূলক আলোচনায় অংশ নেওয়া দরকার।
এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী হতে পারি। সম্প্রতি লন্ডনে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধিশালী ১৭টি দেশের (এ দেশগুলো বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী) এক সভায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন জানিয়েছেন, দেশগুলো এতে সম্পৃক্ত হয়ে পরিবর্তনের কোনো সমন্বিত এজেন্ডা তুলে ধরলে কোপেনহেগেন সম্মেলনের সফলতা দুরবর্তী কোন বিষয় হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ। জন কেরি ও লিন্ডসে গ্রাহাম সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুই দল সমর্থিত পদক্ষেপ ঘোষণার মাধ্যমে এ বিষয়ে আপসের মানসিকতা দেখিয়েছেন, তা আমাকে উত্সাহিত করেছে। একজন ডেমোক্রেট অন্যজন রিপাবলিকান সিনেটর; তাঁরা দলীয় পার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠে সত্যিকারের লেনদেনের মানসিকতা নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রশ্নে মতৈক্যে পৌঁছেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রকে কেবল দর্শক হয়ে থাকার মতো সময় দেওয়ার ঝুঁকি আমরা আর নিতে পারব না। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কোপেনহেগেনে সমঝোতায় পৌঁছাতে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র দ্বিধাগ্রস্ত বা ঠিকমতো সম্পৃক্ত না হলে সুনির্দিষ্ট কৌশল ও নীতি গ্রহণে অযথা দেরি হবে। আশু বিপদ মোকাবিলায় এই দেরির ঝুঁকি নেওয়ার সুযোগ আমাদের নেই।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সারা বিশ্বের নেতাদের যুক্ততা ও নেতৃত্ব দিন দিন বাড়ছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শতাধিক দেশের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে যোগ দেন। তাঁর এ অংশগ্রহণ সংহতি ও দায়বদ্ধতার স্পষ্ট বার্তাবাহী। একইভাবে চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতারা দূষণমুক্ত জ্বালানি প্রযুক্তির উন্নতি ঘটানো ও কোপেনহেগেন সম্মেলন সফল হওয়া নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ২০২০ সালের মধ্যে ১৯৯০ সালের কার্বন নির্গমন মাত্রার ২৫ শতাংশ কমাবেন, যার মাধ্যমে তিনি অন্য সব শিল্পোন্নত দেশের জন্য অনুসরণীয় মাত্রা দেখিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নও বৈশ্বিক মতৈক্যের অংশ হিসেবে ৩০ শতাংশ নির্গমন কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। নরওয়ে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত নির্গমন কমাতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে। বন ধ্বংসের ফলে যে নির্গমন তা প্রচুর পরিমাণে কমানোর পরিকল্পনা হাজির করেছে ব্রাজিল। নির্গমন কমাতে ভারত ও চীন নানা কার্যক্রম নিচ্ছে।
কোপেনহেগেন সম্মেলনের সফলতার চারটি মাপকাঠি হলো:
প্রতিটি দেশকে বন ধ্বংস এবং নৌ ও বিমান চলাচলসহ কার্বনের প্রধান প্রধান উত্স থেকে নির্গমন কমানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। উন্নত দেশগুলোর অগ্রগতির মধ্যমেয়াদি লক্ষ্যমাত্রা আরও শক্তিশালী করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আন্তর্দেশীয় প্যানেলের মতে বর্তমানে এ লক্ষ্যমাত্রা প্রয়োজনীয় মাত্রার ধারে কাছে নেই। উন্নয়নশীল দেশগুলোর কার্বন নির্গমনের ঊর্ধ্বগতি হ্রাস করতে হবে এবং তাদের দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলের অংশ হিসেবে পরিবেশবান্ধব অর্থনৈতিক বিকাশ ত্বরান্বিত করতে হবে।
সফল সমঝোতা এমন হতে হবে যেন তা পরিবর্তনশীল জলবায়ুর সঙ্গে দুনিয়ার খাপ খাওয়ানোর সামর্থ্য বাড়াতে পারে। বিশেষত, এটিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব যাদের ওপর সবচেয়ে বেশি পড়ে তাদের জন্য সমন্বিত সহায়তা প্রদান করার ব্যবস্থা থাকতে হবে। পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজনে সহায়তা কেবল নৈতিক কর্তব্যের বিষয় নয়, আরও স্থিতিশীল, আরও নিরাপদ পৃথিবীর জন্য এক চমত্কার বিনিয়োগও বটে।
সমঝোতার বাস্তবায়নের জন্য অর্থ ও উপায়ের সরবরাহ থাকতে হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলো পরিবেশবান্ধব অর্থনৈতিক বিকাশের দিকে অগ্রসর হতে দরকার তহবিল ও প্রযুক্তিগত সহায়তা। প্রচুর পরিমাণে বাড়তি অর্থায়ন না করা গেলে আলোচিত সমাধানগুলো অর্জন করা যাবে না।
সমঝোতার মধ্যে অবশ্যই থাকতে হবে একটি ন্যায়সংগত বৈশ্বিক সুশাসনকাঠামো। সম্পদের বিতরণ ও ব্যবস্থাপনায় সব দেশের কথা বলার জায়গা থাকতে হবে। এমনভাবেই পারস্পরিক আস্থা তৈরি হবে।
কোপেনহেগেনে এমন কোনো সমন্বয়ী, ন্যায়সংগত ও উচ্চাভিলাষী সমঝোতায় পৌঁছাতে পারি কি আমরা, যা গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমিয়ে এবং বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি রুখে বৈজ্ঞানিকভাবে নিরাপদ স্তরে নিয়ে আসতে পারবে? আমরা কি দূষণমুক্ত জ্বালানী বিকাশে অনুঘটকের ভূমিকা নিতে পারি? জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে আক্রান্ত দেশগুলো রক্ষায় আমরা সহায়তা করতে পারি? যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃস্থানীয় ভূমিকার প্রত্যাশা কি আমরা করতে পারি?
এসব প্রশ্নের সর্বোত্কৃষ্ট উত্তর মিলবে সিনেটর কেরি ও গ্রাহামের সাম্প্রতিক কথায়, ‘হ্যাঁ, আমরা পারি।’
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস থেকে নেওয়া। ইংরেজি থেকে অনুবাদ: আহসান হাবীব
বান কি-মুন: জাতিসংঘের মহাসচিব।
No comments