জার্মানির উদ্যোক্তাদের বিদ্যুত্ খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাব এমসিসিআইয়ের
বাংলাদেশ সফররত জার্মানির শিল্পোদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিদ্যুত্ খাতে; বিশেষ করে কয়লাভিত্তিক, বায়ুচালিত, সৌরবিদ্যুত্ প্রকল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের প্রভাবশালী সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)।
একই সঙ্গে ব্যবসায়ী সংগঠনটি দেশের অন্যান্য অবকাঠামোর মধ্যে বন্দর, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে।
অন্যদিকে জার্মান ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলও বলেছে, কয়লাভিত্তিক ও সৌরবিদ্যুত্ প্রকল্প নির্মাণে তাদের প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে লভ্যাংশের পুরো অর্থ ফেরত নেওয়ার সুযোগ থাকলে বিদ্যুত্সহ অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নে তারা বিনিয়োগ আগ্রহী।
গতকাল মঙ্গলবার জার্মান এশিয়া-প্যাসিফিক অ্যাসোসিয়েশনের (ওএভি) একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল এমসিসিআইয়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এমসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল হাফিজ চৌধুরী। আরও বক্তব্য দেন এমসিসিআইয়ের সহসভাপতি নাসিম মঞ্জুর, পরিচালক নিহাদ কবীর, উপদেষ্টা সি কে হায়দার প্রমুখ। জার্মান বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পিটার ক্লাসেন।
স্বাগত বক্তব্যে আবদুল হাফিজ চৌধুরী বলেন, জার্মানি হলো বাংলাদেশের অন্যতম ব্যবসায়িক অংশীদার। ২০০৩-০৪ অর্থবছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের মোট পরিমাণ ছিল ১৪৯ কোটি সাড়ে ৮৬ লাখ ডলার। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে তা বেড়ে হয়েছে ২৫৮ কোটি ডলার।
আর ২০০৮-০৯ অর্থবছরে জার্মানিতে ২২৬ কোটি সাড়ে ৯৭ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ১৭ শতাংশ ওভেন পোশাক ও ২৪ শতাংশ নিট পোশাক।
এ ছাড়া জার্মানিতে চিংড়ি, হোম টেক্সটাইল, কাঁচা পাট, কৃষিজাত পণ্য, জাহাজ ও চামড়া রপ্তানি হয়ে থাকে।
এমসিসিআইয়ের সভাপতি আরও বলেন, জার্মানি থেকে পণ্য আমদানিও ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। দেশটি থেকে মূলত মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি করা হয়। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে প্রায় ২৮ কোটি ২৯ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছে। ২০০৩-০৪ অর্থবছরে ২০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছিল।
আবদুল হাফিজ চৌধুরী বলেন, বিশ্বমন্দার প্রভাবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায় এবার শিল্পোত্পাদনও কিছুটা কমেছে। এ ছাড়া বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছুটা মন্থর গতি দেখা দিলেও প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের পরিমাণ ২২ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
এমসিসিআইয়ের সভাপতি কয়লাভিত্তিক, বায়ুচালিত, সৌরবিদ্যুত্ প্রকল্পসহ অন্যান্য অবকাঠামোর মধ্যে বন্দর, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাব করেন।
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য নানা ধরনের সরকারি সুবিধার কথা তুলে ধরে আবদুল হাফিজ চৌধুরী জার্মানির উদ্যোক্তাদের সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) প্রকল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
জার্মান বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের নেতা পিটার ক্লাসেন বলেন, বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে চমত্কার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে বাংলাদেশের অংশীদারি ৮০ শতাংশ। বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ থাকলেও আমলাতন্ত্রিকতা ও উপযুক্ত অবকাঠামো না থাকায় বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে না।
পিটার ক্লাসেন আরও বলেন, কয়লাভিত্তিক ও সৌরবিদ্যুত্ প্রকল্প নির্মাণে তাঁদের প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলাদেশে অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে শিল্প স্থাপন করে তার লভ্যাংশের অর্থ দেশে ফেরত নেওয়ার সুযোগ থাকলে বিদ্যুত্সহ অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নে জার্মানির উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে আগ্রহী বলে তিনি জানান।
একই সঙ্গে ব্যবসায়ী সংগঠনটি দেশের অন্যান্য অবকাঠামোর মধ্যে বন্দর, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে।
অন্যদিকে জার্মান ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলও বলেছে, কয়লাভিত্তিক ও সৌরবিদ্যুত্ প্রকল্প নির্মাণে তাদের প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে লভ্যাংশের পুরো অর্থ ফেরত নেওয়ার সুযোগ থাকলে বিদ্যুত্সহ অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নে তারা বিনিয়োগ আগ্রহী।
গতকাল মঙ্গলবার জার্মান এশিয়া-প্যাসিফিক অ্যাসোসিয়েশনের (ওএভি) একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল এমসিসিআইয়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এমসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল হাফিজ চৌধুরী। আরও বক্তব্য দেন এমসিসিআইয়ের সহসভাপতি নাসিম মঞ্জুর, পরিচালক নিহাদ কবীর, উপদেষ্টা সি কে হায়দার প্রমুখ। জার্মান বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পিটার ক্লাসেন।
স্বাগত বক্তব্যে আবদুল হাফিজ চৌধুরী বলেন, জার্মানি হলো বাংলাদেশের অন্যতম ব্যবসায়িক অংশীদার। ২০০৩-০৪ অর্থবছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের মোট পরিমাণ ছিল ১৪৯ কোটি সাড়ে ৮৬ লাখ ডলার। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে তা বেড়ে হয়েছে ২৫৮ কোটি ডলার।
আর ২০০৮-০৯ অর্থবছরে জার্মানিতে ২২৬ কোটি সাড়ে ৯৭ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ১৭ শতাংশ ওভেন পোশাক ও ২৪ শতাংশ নিট পোশাক।
এ ছাড়া জার্মানিতে চিংড়ি, হোম টেক্সটাইল, কাঁচা পাট, কৃষিজাত পণ্য, জাহাজ ও চামড়া রপ্তানি হয়ে থাকে।
এমসিসিআইয়ের সভাপতি আরও বলেন, জার্মানি থেকে পণ্য আমদানিও ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। দেশটি থেকে মূলত মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি করা হয়। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে প্রায় ২৮ কোটি ২৯ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছে। ২০০৩-০৪ অর্থবছরে ২০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছিল।
আবদুল হাফিজ চৌধুরী বলেন, বিশ্বমন্দার প্রভাবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায় এবার শিল্পোত্পাদনও কিছুটা কমেছে। এ ছাড়া বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছুটা মন্থর গতি দেখা দিলেও প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের পরিমাণ ২২ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
এমসিসিআইয়ের সভাপতি কয়লাভিত্তিক, বায়ুচালিত, সৌরবিদ্যুত্ প্রকল্পসহ অন্যান্য অবকাঠামোর মধ্যে বন্দর, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাব করেন।
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য নানা ধরনের সরকারি সুবিধার কথা তুলে ধরে আবদুল হাফিজ চৌধুরী জার্মানির উদ্যোক্তাদের সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) প্রকল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
জার্মান বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের নেতা পিটার ক্লাসেন বলেন, বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে চমত্কার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে বাংলাদেশের অংশীদারি ৮০ শতাংশ। বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ থাকলেও আমলাতন্ত্রিকতা ও উপযুক্ত অবকাঠামো না থাকায় বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে না।
পিটার ক্লাসেন আরও বলেন, কয়লাভিত্তিক ও সৌরবিদ্যুত্ প্রকল্প নির্মাণে তাঁদের প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলাদেশে অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে শিল্প স্থাপন করে তার লভ্যাংশের অর্থ দেশে ফেরত নেওয়ার সুযোগ থাকলে বিদ্যুত্সহ অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নে জার্মানির উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে আগ্রহী বলে তিনি জানান।
No comments